banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 831 বার পঠিত

 

রমজানের ইফতারিতে মরক্কান বাগরির

মুনিম সিদ্দিকী


আসুন এই রমজানের ইফতারিতে মরক্কান বাগরির তৈরি করি।

মরক্কান বাগরির রেসিপি

শীত আর গ্রীষ্মে বাগরির বানিয়ে খেতে পারেন। একবার বানালে টাওয়াল দিয়ে ঢেকে রেখে তিন দিন পর্যন্ত খেতে পারবেন, আমাদের দেশের চালের গুড়ির চিতুই পিঠার মত শক্ত হবে না, নরম তুলতুলেই থাকবে।

আমাদের দেশে চিতুই পিঠা চালের গুড়ি দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। আমাদের চিতুই পিঠা গরম গরম খেতে হয়। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে পড়ে। আমি আজ যে চিতুই পিঠার রেসিপি দিচ্ছি তা নরম তুলতুলে হবে ঠাণ্ডা হলেও শক্ত হবেনা। সকল বয়সের মানুষের কাছে সুস্বাদু লাগবে বিশেষ করে শিশু এবং বয়ঃবৃদ্ধের জন্য হবে অনন্য খাবার।

দোহাই মরক্কান বাগরিরকে চিতুই পীঠা বলবেন না। চিতুই কে চিতুই আর বাগরিরকে বাগরির বলে উল্লেখ করুন। মরক্কান বাগরিরই বলে যেন অন্যদেরকে আপ্যায়ন করেন। ধন্যবাদ।

যা লাগবে

১- ময়দা দেড় কাপ বা ১৬৫ গ্রাম।
২-সুজি দেড় কাপ বা ১৬৫ গ্রাম।
৩- চিনি ১ টেবিল চামচ বা ১৫ গ্রাম।
৪- লবণ ১ চা চামচ বা ৫গ্রাম।
৫- বেকিং পাউডার ১ চা চামচ বা ৫ গ্রাম।
৬- ইস্ট ২ চা চামচ বা ১০ গ্রাম।
৭- পানি উষ্ণ তবে গরম নয় সাড়ে চার কাপ বা ৪৯৫ গ্রাম।

প্রস্তুতি

১- প্রথমে পানি বাদে সকল উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। ময়দা আর সুচির পরিমাণ কম বেশি করা যায়। তবে সুজির সাথে অবশ্য ময়দা থাকতে হবে, কিন্তু ময়দার সাথে সুজি না থাকলেও বাগরির করা যাবে। ডুরুম গমের ময়দা আর সুজি হলে রঙ হলুদাভাব দেখাবে। শুধু ময়দা হলে সাদাভাব দেখাবে। আমাদের দেশের সুজির পরিমাপ বেশি হলে কালচে ভাব দেখাবে।

২-অল্প অল্প করে ঐ মিশ্রণে উষ্ণ পানি ঢেলে মিশ্রণকে নরম থকথকে করে নিতে হবে।

৩- মেশিন থাকলে ৩০ সেকেন্ড ঐ মিশ্রণ ঘুটে নিন। না থাকলে কাঠে চামচ বা অন্য কিছু দিয়ে ভালো ভাবে ঘুটে মসৃণ করে নিন। মনে রাখবেন এই মিশ্রণ পানির মত পাতলা যেন না হয় আবার যেন ঘনও না হয়।

৪- ঘুটাঘুটির পর পরিষ্কার টাওয়াল দিয়ে ঢেকে গরম কোন স্থানে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেস্টে রাখুন।

৫- ২০ /৩০ মিনিট পর লক্ষ্য করুন যে ঐ মিশ্রণের উপর বুদবুদ দেখা যায় কিনা? যদি বুদবুদ দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার মিশ্রণ ঠিক হয়েছে। যদি বুদ বুদ না হয় তাহলে আরো অল্প পানি মিশিয়ে নিন এবং অপেক্ষা করুন। বুদবুদ আসা পর্যন্ত।

৬- এবার চুলার মধ্যে মৃদু তাপে ননস্টিক ফ্রাই পেন গরম করুন।

৭- গরম হলে ডাবু হাতার চামচ দিয়ে এক চামচ মিশ্রণ ননস্টিক প্যানের মধ্যখানে গোল করে ছড়িয়ে দিন।

৮- কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। যখন দেখবেন পিঠার মধ্যে অসংখ্য ছিদ্র দেখা যাচ্ছে এবং কাচা ভাব চলে গেছে তখন খন্তা দিয়ে আলতো করে ফ্রাইপ্যান থেকে নামিয়ে নিন।

৯- নামিয়ে নিয়ে পরিষ্কার টাওয়ালের মধ্যে একটি একটি করে রাখুন। গরম অবস্থায় একটির উপর আরেকটি রাখবেন না। ঠাণ্ডা হবার পর একটির উপরে আরেকটি রাখতে পারবেন।

১০- এবার ফ্রাই প্যানকে উলটো করে ট্যাপের ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।

এর পর ৭ নং নির্দেশের মত করতে থাকুন।

এই গুলো ঘরে রেখে তিন দিন পর্যন্ত খাওয়া যাবে। সকাল বিকালের নাস্তায় চায়ের সাথে খেতে পারেন। বাগরির তাওয়া থেকে নামিয়ে গরম থাকতে থাকতে বাটার দিয়ে গ্লেজিং করলে বাগরির সুন্দর দেখাবে খেতেও ভালো লাগবে। গরম থাকা অবস্থায় বাটার (মাখন) লাগিয়ে বা বাটার মধু লাগিয়ে খেতে পারেন। ঠাণ্ডা হলে শুধু মধু বা জালিগুড় মিশিয়ে খেতে পারবেন। আবার রান্না করা গোস্তের তরকারী দিয়েও খেতে পারবেন। আবার জ্যাম জেলি বা কন্ডেন্সমিল্ক দিয়ে বা কাচমরিচ/পুদিনা পাতার চাটনি দিয়েও খেতে পারবেন।

 

Facebook Comments