banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 2014 বার পঠিত

 

একজন ডাক্তার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার গল্প

ফাতেমা শাহরিন


তানজিলা জলিল অমি। হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজ এবং হসপিটাল থেকে এমবিবিএস শেষ করেছেন। একাধারে ‘কণ্ঠী’ এর ওয়নার,  ডিজাইনার দুটোই।

এক বছর আগের কথা,  নিজের ভেতরই পরিবর্তনের ডাক পেলেন অমি এভাবেই শুরু হল তার ‘কণ্ঠী’ র যাত্রা। ‘কন্ঠী’ মূলত হাতে বানানো গয়না এর অনলাইন দোকান। কন্ঠীর শুরুর গল্পটা বলতে গিয়ে অমি বলেন,  আমার প্রথম অনলাইন শপ আবোলতাবোল ক্রাফটস থেকে। মূলত ক্রাফটিং ম্যাটেরিয়াল সেল করতাম। ম্যাটেরিয়াল নিয়ে কাজ করতে করতেই এক সময় অল্পকিছু গয়না বানানো হয়। সবার ভালোলাগা আর উৎসাহতেই কন্ঠী চালু।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা অমি বলছিলেন, ‘কণ্ঠী’ তে মূলত আমি একাই কাজ করি। এছাড়া আমার একজন ওয়ার্কার আছেন যিনি হাতের কাজ করেন। আমি কাজ কারো কাছে শিখিনি। নিজে নিজেই শেখা। ছোটবেলা থেকেই ক্রাফটিং এ উৎসাহ ছিলো আমার।
ম্যাটেরিয়াল সেল এর কারনে কাজ করা আরো সুবিধাজনক হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, সবচাইতে বেশি সহযোগিতা ও উৎসাহ পেয়েছেন মা এবং কাছের দুই একজন বন্ধুর কাছ থেকে।

নারী হিসেবে কাজটি তার কাছে কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল?
এ প্রসংগে অমি বলেন, নারী হিসাবে সবচাইতে সমস্যা হল, গয়না বানানোর কাঁচামাল জোগাড় করা। কারণ আমাদের দেশে এখনো হাতের কাজ জনপ্রিয় না। এবং এসবের পরিসর অনেক কম। সেগুলো খুঁজে বের করা এবং কাজ করা কিছুটা কঠিন। এছাড়া বড় চ্যালেঞ্জ মুলধন। নিজ উদ্যোগ কাজ শুরু করা আবার নারী হিসাবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে কোনো কাজেই সাফলতা পাওয়া কিছুটা কষ্টকর। বড় সমস্যা হল, মূল ধারার ব্যবসার জন্য নারীরা সহযোগীতা কম পায়। বাধা প্রধানত, পরিবার থেকে আসে। দ্বিতীয়ত, মূলধনের অভাব তো আছেই।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা  অমি বলেন,’মেয়েদের সাবলম্বী হওয়ার জন্য এটা যথেষ্ট ভালো সুযোগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করা। কারন ঘরে থেকেই এই কাজ করা যায়। সীমিত মুলধন হাতে থাকলেও শুরু করা যায়।
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা অমির মতে, ‘নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটা কথাই হল, ‘কোনোভাবেই হার মানা যাবেনা।’ অনেক বাঁধা আসবে। অনেক কষ্ট করতে হবে। কিন্তু তবুও সামনে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে। কণ্ঠী নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান অমি। তিনি অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও কন্ঠীকে নিয়ে যাবেন। নিজের স্বপ্ন পূরণ করার ক্ষমতাই আসলে অমির কাছে বড় সফলতা।’

পরিশেষে একটাই কথা বলা যায়, যে কোন পেশার হতে পারেন সেটায় জীবনের মুল লক্ষ্য নয়, লক্ষ্য হওয়া চাই ‘সফলতা’। আর সফলতার জন্য কেবল মাত্র চাকুরিই মাধ্যম নয় বরং পরিশ্রমী, আত্মবিশ্বাসী, বুদ্ধিদীপ্ত উদ্যোক্তা হতে পারাটাই বড় সফলতা নিশ্চিত করে।

Facebook Comments