banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 772 বার পঠিত

 

মে দিবসে শ্রমজীবি নারী

অপরাজিতা ডেক্স


মে দিবস, ‘শ্রমিক-মালিক ভাই ভাই সোনার বাংলা গড়তে চাই।’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০১৮ সালের মে দিবস পালিত হচ্ছে। শোষণ, বঞ্চনা আর অক্লান্ত পরিশ্রম থেকে মুক্তির দাবীতে ১৮৮৬ সালের এই দিনে রক্ত ঝরিয়ে ছিলেন শ্রমিকরা।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাষ্ট্রীয়ভাবে মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

শ্রমজীবী নারী

বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নারী শিক্ষা আনুপাতিক হারে কম আমাদের দেশে। ফলে নারীর স্বীকৃতি মিলছে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই শ্রমজীবী হিসেবে। বর্তমান সময়ে চায়ের দোকান, দিনমজুর থেকে সব ধরনের অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নারী শ্রমিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যায়।

কি কি কাজে নিয়োজিত

নারী শ্রমিকরা মুলত নানানমুখী কাজ করছে।
১.গৃহকর্মী হিসেবে।
২.গার্মেন্টস শিল্পে নারী শ্রমিকদের বিশাল ভূমিকা। গার্মেন্টসে কাজ করা শ্রমিকদের শতকরা ৮০/৯০% ভাগই নারী। ৩.কৃষিকাজেও অংশগ্রহণ।
৪. ইটভাটায়ও কাজ ।
সর্বস্তরেই কোন কাজেই নারীরা পিছিয়ে নেই। নারী শ্রমিকদের প্রতি সম আচরণ ও সমান সুযোগের ঘোষণা গৃহীত হলেও নারী শ্রমিকরা কার্যত সেই সুবিধা ভোগ করতে পারেন না।

শ্রমজীবী নারীদের বেতন বৈষম্য

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের যৌথ এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, “নারীর জন্য অর্থনৈতিক ন্যায্যতা’ থেকে জানা যায়, শতকরা ৬১ জন নারী শ্রমিক দৈনিক ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পেয়ে থাকেন এবং শতকরা ৩২ জন দৈনিক ১০০ টাকার কম মজুরি পান”। অন্যদিকে, শতকরা ৫৬ জন পুরুষ শ্রমিক ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান।

শ্রমজীবি নারীদের আইনগত সচেতনতা

মূলত চারটি আইন সম্পর্কে শ্রমজীবী নারীদের প্রাথমিক ধারণা থাকা দরকার। এগুলো হলো :
১. মুসলিম পারিবারিক আইন
২. নাগরিক অধিকার রক্ষা আইন।
এর দু’টো ধারা রয়েছে :
ক. সাংবিধানিক ও খ. ফৌজদারি আইন
৩. মুসলিম উত্তরাধিকার আইন এবং
৪. ভূমি আইন।
একজনকে শ্রমজীবিকে লিখিত সহায়িকা, ছবি সম্বলিত চার্ট, ক্লাস নোট প্রভৃতির মাধ্যমে সহজভাবে ক্লাসে করে করে বিভিন্ন আইনের ধারাগুলো বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।

শ্রমজীবি নারী বা সাধারণ সকলের প্রতি সংবেদনশীল আইনও নারীদেরকে আশ্রয় দিতে হবে, ছায়া দিতে হবে, রক্ষা করতে হবে কিন্তু আদৌ কি পারছে এই সমাজ? মুলত সমাজে পুরুষ এবং নারীর অবস্থা ও অবস্থান যে সম পর্যায়ের নয় এবং তার নাম ঠিকানা পত্রিকায় প্রকাশ যে তার জন্য আজীবন অভিশাপ বয়ে আনে এ বোধ সাংবাদিকদেরকেও ভাবতে হবে। জাতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এসব নারী শ্রমিকদের অবদান অনেক।

Facebook Comments