banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1103 বার পঠিত

 

আপনার শিশুকে চিনুন ৮ টি উপায়ে’ (শেষ পর্ব)

এ কে এম ওমর ফারুক


দৃষ্টি ও অবস্থানমূলক বুদ্ধিমত্তা :
এই শ্রেণীভুক্ত শিশুরা ছবির বিষয়বস্তু সম্বন্ধে চিন্তা করে। ছবির সাহায্যে মনে রাখে। ছবি আঁকতে ও রং করতে ভালোবাসে। প্রতিকৃতি বানাতে পছন্দ করে। মানচিত্র চার্ট ও নং সহজে বুঝতে পারে। কোন কিছুর চিত্র সহজে কল্পনা করতে পারে। রূপক শব্দ ও বাক্য বেশি ব্যবহার করে।

অনুভূতি ও শরীরবৃত্তীয় বুদ্ধিমত্তা :
যে শিশুরা খেলাধুলা পছন্দ করে তার অনুভূতি ও শরীরবৃত্তীর বুদ্ধিমত্তার শ্রেণীভুক্ত। এ ধরনের শিশুরা কোন কিছু সহজে ধরতে চায়। হাতেনাতে কাজ করতে পছন্দ করে। হস্ত শিল্পে দক্ষ হয়। শরীর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ থাকে। অংশগ্রহণ করে সহজে শেখে। বস্তু সহজে নিয়ন্ত্রণ করে। শুনে বা দেখে শেখার চেয়ে নিজে করে শেখে এবং মনে রাখে।

ছন্দ ও সঙ্গীতমূলক বুদ্ধিমত্তা :
কিছু শিশুর তাল ও লয়ের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। সুর ও ছন্দ সহজে এদের মনে প্রভাব বিস্তর করে। এরা গান পছন্দ করে। কবিতা ও ছড়ার তালে তালে আবৃত্তি করতে পছন্দ করে। বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পছন্দ করে। প্রকৃতির বিভিন্ন শব্দের প্রতি সহজে আকৃষ্ট হয়। এরা ছন্দ ও সঙ্গীতমূলক বুদ্ধিমত্তার আওতাভুক্ত।

আন্তঃব্যক্তিক বুদ্ধিমত্তা :
এরা সহজেই অন্যের মনের কথা বুঝতে পারে। অন্যের সঙ্গে সহজেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। এদের অনেক বন্ধু-বান্ধব থাকে। অন্যের সমস্যা সমাধানে ঝগড়া-বিবাদ মেটাতে এরা পছন্দ করে। এরা দলভুক্ত হয়ে কাজ করতে ভালবাসে। অন্যের কাজে সহযোগিতা করে এবং সামাজিক পরিস্থিতি সহজেই বুঝতে পারে।

প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তা :
প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি যারা বিশেষভাবে দুর্বল তারা প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। সাধারণত এরা প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করে। তাছাড়া জীব ও জড়োর বৈশিষ্ট্য নিয়ে চিন্তা করতে পছন্দ করে। গাছপালা-পশুপাখি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পছন্দ করে। গাছপালার যত্ন করতে ভালবাসে। প্রকৃতির বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করতে আনন্দ পায়। সর্বপরি প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান নিয়ে গবেষণা করতে পছন্দ করে।

পৃথিবীর সকল শিশুই শুধু নয় সকল মানুষই এই আটটি বুদ্ধিমত্তার অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেকটি মানুষের ভেতর এই আটটি বুদ্ধিমত্তার যে কোন একটি প্রবলভাবে পরিলক্ষিত হয় এবং পাশাপাশি অন্য বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। এই বিষয়গুলো যে কারও আচরণে লক্ষ করলেই স্পষ্ট পরিলক্ষিত হবে।

একটি শিশুর সফলভাবে বেড়ে ওঠার জন্য তার বুদ্ধিমত্তাকে বিবেচনা করা প্রয়োজন। তার লেখাপড়া ও কাজে-কর্মে উৎসাহ প্রদান করা প্রয়োজন। তাহলে প্রত্যেকটি শিশুই সফল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তথ্য সূত্রঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ও সম্পাদিত।

পর্ব-১

Facebook Comments