প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম
ঢাকা: বাল্যবিবাহকে ‘শিশুবিবাহ’ আখ্যায়িত করে এটি রোধে সমাজিক দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পর্যালোচনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সভায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্মীয় আইনের প্রগতিশীল ব্যাখ্যা না দেয়া যাবে ততক্ষণ বাল্যবিবাহ রোধ করা যাবে না। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে কন্যাশিশুর ‘নিরাপত্তা’ প্রধান ভূমিকা পালন করে। নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েদের নিরাপত্তা অনেকাংশেই কম।
এ বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের দুর্বল ও তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র একটি আইন বানিয়েছে। এই আইনে ধর্ষণকে জোরপূর্বক ধর্ষনের কথা বলা হয়েছে। কোন ধর্ষণ কি জোরপূর্বক ছাড়া হয়? অপরাধের সঙ্গে কোন আপস নয় মন্তব্য করে মিজানুর রহমান বলেন, খসড়া আইনটি আমরা পর্যবেক্ষন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করবো। সভায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইমান আলী বলেন, বাল্যবিবাহের মূল কারণ সামাজিক প্রেক্ষাপট। নিরাপত্তার কারনে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এজন্য যৌন হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের দুটি জাজমেন্ট আছে। সরকারকে উদ্যোগী হয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়েশা বেগম বলেন একজন কন্যাশিশু ভবিষ্যতের একজন ‘পারসন’ হবে। সেই কন্যাশিশুকে আমরা কিভাবে গড়ে তুলবো সেটা আমাদেরই বিবেচনা করতে হবে এবং তা মানবাধিকারের নীতিমালায় দেখতে হবে। তিনি বলেন বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের অন্তহীন লড়াই। এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তাহমিনা বেগম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট ফৌজিয়া করিম প্রমুখ।
অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৩ফেব্রুয়ারি২৩০০ঘন্টা২০১৪