banner

সোমবার, ০৯ Jun ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: June 9, 2025

 

এক ডিমে শুরু,এক মহীয়সীর মসজিদ নির্মাণ ইতিহাস

বাংলাদেশের হাজার বছরের গৌরবময় ইতিহাস আর ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো স্থাপত্যশিল্প। এই ভূখণ্ডের নয়নাভিরাম মসজিদগুলো যুগে যুগে বিমোহিত করেছে অগণিত দর্শনার্থী আর ইতিহাসপ্রেমী মানুষকে। তবে এমন একটি মসজিদের কথা কি শুনেছেন, যার গোড়াপত্তন হয়েছিল মাত্র একটি ডিম দিয়ে?
হ্যাঁ, হবিগঞ্জ জেলার এক নিভৃত পল্লী প্রজাতপুরে দাঁড়িয়ে আছে এমনই এক মসজিদ—যার পেছনে লুকিয়ে আছে এক মহীয়সী নারীর অতুলনীয় ত্যাগ, ধৈর্য ও একাগ্রতা।

সরাসরি গল্পে আসা যাক। হবিগঞ্জ সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরের এই প্রজাতপুর গ্রামের এক নারী, যিনি ‘বেঙ্গির মা’ নামে পরিচিত, নিয়ত করেছিলেন নিজের উপার্জিত অর্থেই গড়ে তুলবেন একটি মসজিদ। স্বামীর অঢেল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তিনি সে অর্থ স্পর্শ করেননি।

ঘটনা ১৯০২ সালের। প্রজাতপুর ও লালাপুর গ্রামের মাঝামাঝি একটি স্থানে এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন তিনি। শুরুটা ছিল একটি মাত্র ডিম দিয়ে! সেই ডিম মানত করে একটি মুরগির নিচে রাখেন তিনি। ধীরে ধীরে সেই ডিম থেকে ছানা, ছানা থেকে ডিম—এভাবে একসময় একটি মুরগির খামার গড়ে তোলেন বেঙ্গির মা।
খামারের মুরগি বিক্রি করে জমাতে থাকেন টাকা। এক সময়, নিজ চেষ্টায় এক লাখ টাকা জোগাড় করেন এবং তা দিয়েই নির্মাণ করেন মসজিদ। তিনি প্রথমে এর নাম রাখেন ‘এক আন্ডার মসজিদ’। সময়ের সাথে মসজিদটির আসল নাম হয়ে ওঠে—‘বেঙ্গির মায়ের মসজিদ’।

আজও শতবর্ষ পেরিয়ে সেই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। মসজিদের মূল ভবন এখনো অক্ষত রয়েছে, যদিও ২০০৯ সালে এলাকাবাসী এর বর্ধিত অংশ সংস্কার করেন এবং সম্প্রতি আবার রং করা হয়।
মসজিদের খতিব মাওলানা আলমাছ উদ্দিন বলেন, “আমি মসজিদের ইতিহাস শুনে বিস্মিত। নিয়ত থাকলে মানুষ কী না করতে পারে!”

বেঙ্গির মার উত্তরপুরুষ রাকিল হোসেন বলেন, “আমার দাদির দাদি বেঙ্গির মা শুধুমাত্র একটি ডিম থেকেই যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, তা এখনো আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”

বর্তমানে মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে আছেন বেঙ্গির মার বংশধর রূপ উদ্দিন, লন্ডনপ্রবাসী আবদুল হারিছ, ব্যবসায়ী হেলিম উদ্দিন, রাকিল হোসেন ও শামীনুর মিয়া।
এলাকাবাসীর দাবি, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উন্নীত করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়া হোক সরকারের পক্ষ থেকে।

এক ডিম থেকে শুরু হয়ে গড়ে ওঠা এই মসজিদ কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনাই নয়, আত্মনিবেদনের এক চিরন্তন স্মারক।

 

৩৫ থেকে ৩৯ বয়সী নারীদের মধ্যে এইচপিভি সংক্রমণ সর্বাধিক

সম্প্রতি ‘ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচআর-এইচপিভি) সংক্রমণের হার অঞ্চলভেদে ভিন্ন হলেও একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা স্পষ্ট,৩৫-৩৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।

সিলেট অঞ্চলে এই হার সবচেয়ে বেশি (৬.৪%), যেখানে গ্রামীণ এলাকায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.১ শতাংশে। সবচেয়ে কম সংক্রমণ পাওয়া গেছে রাজশাহীতে (১.৭%)। গবেষণার আওতায় থাকা ৩,৮৫৬ জন নারীর মধ্যে মোট ১৩৮ জন এইচপিভি পজিটিভ ছিলেন, অর্থাৎ গড় হার ৩.৬%।

উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠি, কক্সবাজার ও বাগেরহাটে পরিচালিত আরেক গবেষণায় দেখা যায়, বিবাহিত নারীদের মধ্যে সংক্রমণের গড় হার ২.৫৬% হলেও ঝালকাঠিতে তা ছিল ৩%। এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হওয়া ভাইরাস ধরন ছিল এইচপিভি-১৬, যা ক্যানসার সৃষ্টির ক্ষেত্রে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ।

স্ক্রিনিং পদ্ধতির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে দেখা গেছে, ভায়া + এইচপিভি পরীক্ষার সমন্বিত পদ্ধতি একক পরীক্ষার তুলনায় রোগ শনাক্তকরণে বেশি কার্যকর। এ গবেষণায় ৪,৭৯২ জন নারী অংশ নেন এবং ফলাফল অনুযায়ী, যৌথ পদ্ধতিতে পজিটিভ পাওয়া যায় ৫.৯% নারীর, যেখানে শুধুমাত্র এইচপিভি স্ক্রিনিংয়ে তা ছিল ৩.৭%।

জাতীয় পর্যায়ের গবেষণায় ৩০-৬০ বছর বয়সী নারীদের ওপর পরিচালিত আরেক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এইচআর-এইচপিভি সংক্রমণের হার ছিল ৩.২%। এর মধ্যে ১% ছিলেন এইচপিভি-১৬ পজিটিভ এবং ০.২% ছিলেন এইচপিভি-১৮ পজিটিভ।

এছাড়াও, ডিএইচআইএস২ ভিত্তিক ই-হেলথ ইনফরমেশন সিস্টেম (ই-এইচআইএস) ব্যবহারের মাধ্যমে স্ক্রিনিং ও ট্র্যাকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। বর্তমানে ১৪,২১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক এই সিস্টেম ব্যবহার করছে। যদিও ইন্টারনেট সংযোগ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা আগামীতে আরও কার্যকর স্ক্রিনিং কার্যক্রম গড়ে তুলতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরেন, যেমন:
উপকূলীয় ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে স্ক্রিনিং জোরদার

৩৫-৪৪ বছর বয়সী নারীদের অগ্রাধিকার

জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ই-স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম সংযুক্তকরণ

ল্যাব ও হিস্টোপ্যাথলজি রিপোর্টের ডিজিটাল সংযুক্তি

ভায়া ও এইচপিভি’র যৌথ ট্রাইএজ পদ্ধতি নিশ্চিতকরণ

বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এই স্ক্রিনিং কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিল এবং ভবিষ্যতে নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট গঠনের পরিকল্পনাও জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের এই ধরণের উদ্যোগ নারীস্বাস্থ্য সচেতনতা, ক্যানসার প্রতিরোধ ও দ্রুত রোগ শনাক্তকরণে একটি আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

📌পাঠকদের জন্য পরামর্শ:
৩৫ বছর বয়স পার হওয়ার পর সকল নারীর উচিত নিয়মিত এইচপিভি ও জরায়ুমুখ ক্যানসার স্ক্রিনিং করানো। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো সম্ভব।

 

মন্থর জীবনের আহ্বান: ক্লান্ত পুঁজিবাদের যুগে ‘কিছু না করা’র বিপ্লব

ধীরে চলা, বিশ্রামের জন্য সময় বের করা: এ কি শুধু বিলাসিতা, নাকি এক জরুরি প্রয়োজন?

আজকের ব্যস্ত, প্রযুক্তি-নির্ভর জীবনে, যেখানে মানুষ প্রতিদিন ‘আরো করো’ সংস্কৃতির শিকার, সেখানে ‘কিছু না করা’ হয়ে উঠছে এক নিঃশব্দ প্রতিবাদ! এক নতুন জীবনদর্শন!

একটি বছর শুধু বিশ্রামে কাটানো, কেমন শোনায়?
নেই অফিস, নেই ইমেইল, নেই ক্যারিয়ারের দৌড়ঝাঁপ-শুধু নিজেকে সময় দেওয়া।
এক সময় এটা ছিল “ব্যর্থতা”র প্রতিচ্ছবি, কিন্তু আজ তা হয়ে উঠেছে আত্মউপলব্ধির পথ। এই ধরণের ধীর জীবনচর্চা এখন পুঁজিবাদী ব্যস্ততার বিরুদ্ধে এক নীরব বিপ্লবের রূপ নিচ্ছে।

ব্রিটিশ লেখিকা এমা গ্যানন একসময় ক্যারিয়ার-ভিত্তিক ‘গার্লবস’ কালচারের প্রতিনিধি ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এক চরম বার্নআউট তাঁর জীবন পাল্টে দেয়। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, স্ক্রিনের দিকে তাকাতেও কষ্ট হতো, হাঁটতে গেলেও ক্লান্তি ছাপিয়ে যেত। এই অবস্থায় তিনি এক বছর কাজ থেকে সম্পূর্ণ বিরতি নেন।

এই অভিজ্ঞতাই জন্ম দেয় তাঁর আত্মজীবনীমূলক দুই খণ্ডের বই “A Year of Nothing”। বইটিতে তিনি বলেছেন কীভাবে দিনগুলো কাটিয়েছেন পাখি দেখা, শিশুদের কার্টুন দেখা, জার্নাল লেখা আর ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটার মতো সহজ কিন্তু শান্তিপূর্ণ অভ্যাসে। তাঁর মতে, “ঘুম, আকাশ দেখা, হাঁটাহাঁটি -এগুলো বিলাসিতা নয়, বরং আমাদের মানসিক সুস্থতার অপরিহার্য অংশ।”

‘কাজই যদি জীবনের মানদণ্ড হয়’ – এই বিশ্বাসে ধাক্কা
আজকের সমাজে ‘ব্যস্ততা’কে সাফল্যের মাপকাঠি ধরা হয়। কিন্তু এই ধারণার বিরুদ্ধেই দাঁড়াচ্ছে নতুন প্রজন্ম। অনেক লেখক-চিন্তক এখন বলছেন, বিশ্রামও এক ধরনের হতে পারে অগ্রগতির চালিকাশক্তি।

জেনি ওডেলের “How To Do Nothing” বইটি দেখিয়েছে, কীভাবে প্রযুক্তি আমাদের মনোযোগ চুরি করছে, এবং ‘কিছু না করাও’ এক রাজনৈতিক অবস্থান হতে পারে।

অলিভার বার্কম্যানের “Four Thousand Weeks” মনে করিয়ে দেয়, আমাদের জীবনের সময় সীমিত, তাই তা যেন আমরা ব্যস্ততার আড়ালে হারিয়ে না ফেলি।

“নিকসেন” নামে এক ডাচ ধারণা বলছে – ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু না করাটাই নিজেকে সময় দেওয়ার একটি পদ্ধতি।

অক্টাভিয়া রাহিম তাঁর বই “Pause, Rest, Be”–তে যোগব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের সঙ্গে সংযোগ তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

ক্লডিয়া হ্যামন্ডের “The Art of Rest” বইয়ে দেখা যায় গবেষণালব্ধ প্রমাণ – বিশ্রাম আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কতটা জরুরি।

এই ‘মন্থরতার’ ঢেউ কোথা থেকে এলো?
এক কথায়- আমরা ক্লান্ত,খুব বেশি ক্লান্ত।
নিত্যদিনের কাজের চাপে, সোশ্যাল মিডিয়ার অপূর্ণতার প্রতিযোগিতায়, স্ক্রিনে আটকে থাকা জীবনে আমরা হাঁপিয়ে উঠেছি। কোভিড-প্যান্ডেমিক অনেককে প্রথমবারের মতো বাধ্য করেছে থামতে, নিজেকে সময় দিতে। সেখান থেকেই অনেকেই বুঝেছেন-ধীরে চলা মানে পিছিয়ে পড়া নয়।

তবে, ‘কিছু না করা’ কি সবার জন্য সম্ভব?
সমালোচকেরা বলেন, এই “বিশ্রামের জীবন” মূলত সেইসব মানুষের জন্য, যাদের আর্থিক সুরক্ষা আছে। সবকিছু ছেড়ে শুধু নিজের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ কি সবার আছে?

এই প্রশ্ন থেকেই স্পষ্ট হয় – ধীরে চলার পথও এক ধরনের প্রিভিলেজ। কিন্তু তাই বলে এই বার্তা অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায় না। বরং এটি মনে করিয়ে দেয় – যতটা সম্ভব, আমাদেরও দরকার কিছুটা থেমে যাওয়া, কিছুটা বিশ্রাম, কিছুটা নিজের খেয়াল রাখা।

‘কিছু না করা’ এখন আর অলসতার প্রতীক নয়। বরং এটি হয়ে উঠছে এক সচেতন সিদ্ধান্ত -প্রযুক্তি, ব্যস্ততা, আর অকারণ চাপের বিরুদ্ধে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একটি কৌশল।
বই পড়া, গাছপালায় পানি দেওয়া, কিছু সময় নীরবে বসে থাকা-এসব আজকের দুনিয়ায় এক ধরনের বিপ্লব।

ক্লান্ত এই সময়ে, আপনি কি প্রস্তুত একটু থামতে!

 

ঈদের ভোজের পর পেট ভার? দূর করুন সহজ উপায়ে!

কুরবানির ঈদ মানেই মাংসের বাহার -রোস্ট, কাবাব, কোরমা কিংবা বিরিয়ানি! কিন্তু এতসব মজাদার খাবারের পর অনেক সময় পেট ভার, গ্যাস্ট্রিক কিংবা অস্বস্তি দেখা দেয়। মূলত ফাইবারজাতীয় খাবার কম খাওয়া ও অতিরিক্ত ঝাল-মসলাযুক্ত মাংস হজমে সমস্যা তৈরি করে। তাই খাওয়ার আনন্দ ঠিক রেখে, পেট সুস্থ রাখার জন্য মেনে চলুন এই সহজ ৫টি উপায়:

১.পর্যাপ্ত পানি পান করুন (তবে সময়মতো)
খাওয়ার সময় একসাথে বেশি পানি পান না করে, খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা পরে পানি পান করুন। এতে হজমপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় না, বরং খাবার ভালোভাবে ভাঙতে সহায়তা করে। ঈদের ব্যস্ততায় পানি পানের কথা একদম ভুলে যাবেন না।

২.এক বাটি টক দই খান
মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার পর এক বাটি টক দই পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা প্রো-বায়োটিক উপাদান অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজমে সহায়তা করে। ফলে পেট ভার ভাব অনেকটাই কমে আসে।

৩. আদা-লেবুর মিশ্রণ
আদা কুচি, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও হালকা গরম পানি মিশিয়ে খেলে হজমে সহায়তা হয় এবং পেটের অস্বস্তি দূর হয়। চাইলে আদা দিয়ে হালকা চা তৈরি করে খেতেও পারেন। এটি পেটের গ্যাস দূর করতে বেশ কার্যকর।

৪. হাঁটা বা হালকা চলাফেরা করুন
খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া উচিত নয়। অন্তত ১৫–২০ মিনিট হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। এতে হজম ভালো হয়, খাবার পাকস্থলীতে জমে থাকে না এবং পেট ফাঁপা কিংবা ভার ভাব কমে।

৫. পুদিনাপাতা বা জিরা পানি পান করুন
ঈদের মসলাদার খাবার খাওয়ার পরে এক গ্লাস পুদিনা পাতা বা জিরা ভেজানো হালকা গরম পানি পান করলে হজমে আরাম মেলে। এগুলো প্রাকৃতিক হজম সহায়ক এবং পেট ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে।

ঈদের আনন্দের সঙ্গে যেন হজমের অস্বস্তি না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই সহজ ৫টি স্বাস্থ্য টিপস মেনে চললে কুরবানির ঈদের মজাদার খাবারের আনন্দ নষ্ট না করেই পেটকে রাখা যাবে সুস্থ ও হালকা।

ঈদ মোবারক! 🌙🍖