সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রীসংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সূচনা করেছে। ২০২৫ সালের ২৮ মে, সংগঠনটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে এক স্মারকলিপি পেশ করেন, যেখানে নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়।
স্মারকলিপিতে যেসব দাবিগুলো তুলে ধরা হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সহজলভ্যতা
পর্যাপ্ত কমনরুম, নামাজরুম ও ওজুখানার ব্যবস্থা
মাতৃত্বকালীন সময়ে সহযোগিতা প্রদান
আবাসন সংকট নিরসন ও জরুরি প্রয়োজনে হলে প্রবেশাধিকার
যৌন হয়রানিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ
মেডিকেল সহায়তা এবং হলভিত্তিক ওষুধের প্রাপ্যতা
ঢাবি শাখার সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না জানান, “দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নতুন করে কাজ শুরু করি। বর্তমানে আমরা শাখা পর্যায়ে কাঠামো গঠন করতে সক্ষম হয়েছি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।”
সেক্রেটারি আফসানা আক্তার বলেন, “নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও সম্মানজনক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি। ইসলামী ছাত্রীসংস্থা অতীতেও নারীদের অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে, ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।”
ইসলামী মূল্যবোধ, নিরাপদ শিক্ষাব্যবস্থা ও নারী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সংগঠনের এই নতুন যাত্রা নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না—
আপনি কি মনে করেন, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামভিত্তিক সংগঠনগুলোর কার্যকর উপস্থিতি শিক্ষাঙ্গনে নৈতিকতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখতে পারে?
বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে নারী শিক্ষার্থীরা কোন কোন সমস্যায় বেশি ভুগছেন বলে আপনি মনে করেন? সমাধানে কী কী উদ্যোগ নেওয়া উচিত?
একটি ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্বে নারী শিক্ষার্থীদের দাবি তুলে ধরা কি সময়ের দাবি নয়? আপনি কি এই পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন?
আপনি কি মনে করেন, নামাজরুম, কমনরুম, মাতৃত্বকালীন সহায়তা ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রশাসনের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা উচিত?
একজন সচেতন মুসলিম নাগরিক হিসেবে আপনি নারী নেতৃত্বে ইসলামী সংগঠনের এমন উদ্যোগকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?