banner

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: April 18, 2025

 

বাচ্চা মোবাইল ছাড়া খেতে চায় না

অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেন যে তাদের বাচ্চা মোবাইল বা টিভি ছাড়া খেতে চায় না। তবে বাস্তবতা হলো, বাচ্চা নিজে থেকে মোবাইল ছাড়া খেতে চায় না – এই ধারণা আমরা প্যারেন্টরাই তৈরি করেছি। শিশুরা যা শেখে, সেটি তাদের আশপাশের পরিবেশ ও বড়দের আচরণ দেখে শেখে। আমরা যদি প্রথম থেকেই মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার না করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে দিই, তাহলে শিশুরাও ধীরে ধীরে স্বাভাবিকভাবে খেতে শিখবে।

মোবাইলের ওপর নির্ভরতা কোথা থেকে এলো?
১. কর্মব্যস্ত জীবনযাত্রা ও সহজ সমাধানের সন্ধান-
বর্তমানে বেশিরভাগ পরিবারেই মা-বাবা কর্মজীবী। ফলে শিশুদের দেখাশোনার দায়িত্ব নানী, দাদী বা গৃহকর্মীদের ওপর পড়ে। তাদের ধৈর্য্য, শারীরিক সামর্থ্য বা সময় সীমিত থাকে। বাচ্চার খাবার খাওয়ানোর জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে চেষ্টার পরিবর্তে স্ক্রিনটাইম সহজ সমাধান হয়ে দাঁড়ায়। এতে বাচ্চা চুপচাপ ভিডিও দেখতে দেখতে খেয়ে ফেলে, আর কেয়ারগিভারের জন্যও কাজ সহজ হয়ে যায়।

২. পরিচ্ছন্নতার প্রতি অতিরিক্ত গুরুত্ব
বাচ্চারা স্বাভাবিকভাবেই খাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে খায়, যা তাদের শেখারই একটি অংশ। কিন্তু অনেক প্যারেন্ট চান না যে ঘর নোংরা হোক বা বাচ্চা হাতে-মুখে মাখিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুক। ফলে তারা স্বাভাবিকভাবে খাওয়ার সুযোগ না দিয়ে মুখে খাবার গুঁজে দেওয়ার প্রবণতা গড়ে তোলেন। এতে শিশুর নিজে খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়, এবং মোবাইল সামনে দিলে সে যান্ত্রিকভাবে খেয়ে নেয়।

শিশু কীভাবে স্বাভাবিকভাবে খাওয়া শিখবে?

১. ধৈর্য ধরুন, শিশু নিজে খেতে শিখবে
শিশুকে খেতে শেখানোর জন্য সময় দিতে হবে। নিচে পাটি বিছিয়ে বা চেয়ার-টেবিলে বসিয়ে তার সামনে খাবার দিন। সে খাবার ধরবে, মুখে তুলবে, ফেলবে, নোংরা করবে—এটাই স্বাভাবিক। কিছুদিন এভাবে চেষ্টা করলে, দেখবেন ২ বছরের মধ্যেই সে নিজে খেতে শিখে গেছে।

২. ক্ষুধা লাগার সুযোগ দিন
যখন শিশুর সত্যিকারের ক্ষুধা লাগবে, তখন সে স্বাভাবিকভাবেই খেতে চাইবে। মোবাইলের কারণে মনোযোগ নষ্ট হলে শিশুর ক্ষুধাবোধও কমে যায়। তাই খাবারের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন, এবং তার আগে বা পরে অযথা স্ন্যাকস খেতে দেবেন না।

৩. শিশুর ওজন ঠিক থাকলে খাওয়ার পরিমাণ নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না

অনেক অভিভাবক মনে করেন বাচ্চা কম খাচ্ছে, তাই তারা জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যদি শিশুর ওজন স্বাভাবিক থাকে এবং সে সুস্থ থাকে, তবে কম-বেশি খাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

৪. মোবাইল ছাড়াই মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানোর উপায় খুঁজুন

যদি কখনো শিশুর মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানো দরকার হয়, তাহলে ভিডিও ছাড়া অন্যান্য উপায় ব্যবহার করুন। যেমন—
তার সামনে ছোট গল্প বলুন,খাওয়ার সময় রঙিন প্লেট-বাটি ব্যবহার করুন, তাকে খেলনা বা বই দিন, যাতে সে নিজে ব্যস্ত থাকে।
মুড়ি বা অন্য শুকনো খাবার দিয়ে গুণতে বা সাজাতে দিন।

সচেতন হোন, শিশুকে সুরক্ষিত রাখুন
শিশুর স্ক্রিন অ্যাডিকশন মূলত অভিভাবকদের তৈরি করা সমস্যা। শুরু থেকেই যদি নিয়ম মেনে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা হয়, তবে পরে এটি নিয়ে সমস্যা হবে না।

তাই আজ থেকে “বাচ্চা মোবাইল ছাড়া খায় না” বলা বন্ধ করুন, এবং ধৈর্য ধরে শিশুকে স্বাভাবিকভাবে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।

 

সাহসী নারী অ্যাগনোডিস

প্রাচীন গ্রিসে নারীদের জন্য চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করা ছিল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে শুধুমাত্র গৃহস্থালির কাজ ও সন্তান লালন-পালনের জন্যই উপযুক্ত মনে করা হতো। কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এক নারী জন্ম নিয়েছিলেন, যিনি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তার নাম ছিল অ্যাগনোডিস।

অ্যাগনোডিস ছোটবেলা থেকেই চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সমাজের নিয়ম তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। নিজের চুল কেটে, পুরুষের বেশ ধরে তিনি ভর্তি হন আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত মেডিকেল স্কুলে। কঠোর পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে তিনি সেখানে সফলতার সঙ্গে চিকিৎসাশাস্ত্র শেখেন এবং একদিন দক্ষ চিকিৎসক হয়ে ফিরে আসেন এথেন্সে।

একদিন রাস্তায় হাঁটার সময় তিনি শুনতে পান এক প্রসূতি নারীর আর্তনাদ। ব্যথায় কাতর সেই নারী কোনো পুরুষ চিকিৎসকের কাছে যেতে রাজি ছিলেন না, কারণ তখনকার সমাজে নারীদের পুরুষের স্পর্শ নেওয়া ছিল লজ্জার বিষয়। অ্যাগনোডিস তখন নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন, নিজেকে একজন নারী হিসেবে প্রমাণ করেন এবং সফলভাবে প্রসব করাতে সাহায্য করেন।

এই ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এবং নারীরা অ্যাগনোডিসের কাছে ছুটে আসতে শুরু করেন। তাদের বিশ্বাস ছিল, একজন নারী চিকিৎসক হিসেবে অ্যাগনোডিস তাদের কষ্ট বুঝতে পারবেন এবং নিরাপদে চিকিৎসা দেবেন। কিন্তু এটি পুরুষ চিকিৎসকদের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারা অভিযোগ করেন, অ্যাগনোডিস একজন পুরুষ, যিনি নারীদের প্রলুব্ধ করছেন।

অ্যাগনোডিসকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। প্রথমে তাকে প্রমাণ করতে হয়েছিল যে তিনি আসলে একজন নারী। কিন্তু সত্য প্রকাশের পরও শাস্তি এড়ানো গেল না। সমাজের নিয়ম ভঙ্গ করে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করার অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিদ্রোহ। সেই সব নারীরা, যাদের অ্যাগনোডিস সুস্থ করেছিলেন, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন। বিচারকদের স্ত্রীরাও সমর্থনে এগিয়ে আসেন এবং ঘোষণা করেন, “যদি অ্যাগনোডিসকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তবে আমাদেরও দিতে হবে।”

নারীদের এই ঐক্য ও প্রতিবাদের মুখে বিচারকদের সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। আইন পরিবর্তন করা হয় এবং তখন থেকে নারীরা নারীদের চিকিৎসা করার অনুমতি পান।

অ্যাগনোডিস ছিলেন গ্রীসের প্রথম নারী চিকিৎসক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তার সংগ্রাম শুধু নিজের জন্য ছিল না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নারীদের জন্যও।
নারীদের ইতিহাস গড়া কখনোই সহজ ছিল না। প্রতিটি বিজয়ের পেছনে লুকিয়ে থাকে নিরব সংগ্রাম ও বাধার পাহাড়। কিন্তু যখন এক নারী অন্য নারীর পাশে দাঁড়ায়, তখনই সত্যিকার পরিবর্তন আসে।

এই গল্প শুধু অ্যাগনোডিসের নয়, এটি সমস্ত সাহসী নারীর গল্প—যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সমাজের গোঁড়ামি ভেঙে সামনে এগিয়ে যায় এবং নতুন ইতিহাস তৈরি করে।
তুমি কি সেই ইতিহাসের অংশ হতে প্রস্তুত?

 

পুদিনা: আপনার দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যকর লাইফ হ্যাক

 

পুদিনা একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা শুধু তাজা সুগন্ধই দেয় না, বরং এটি আমাদের শরীরের জন্য একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে।
এখানে কিছু সহজ ও কার্যকর হেলথ টিপস শেয়ার করা হলো, যা আপনাকে পুদিনা ব্যবহার করে জীবনকে আরও সুস্থ ও প্রাণবন্ত করে তুলতে সাহায্য করবে।

ত্বকের যত্ন: গরমে ত্বকে ফুসকুড়ি বা জ্বালাপোড়া থাকলে, কিছু পুদিনা পাতা চটকে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন। এটি ত্বককে শান্ত করবে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধ করবে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর: পুদিনা পাতা পানি দিয়ে কুলি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে এবং দাঁত-মাড়ি থাকবে সুস্থ।

হজমশক্তি বৃদ্ধি: পুদিনা পাতার চা হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে। খাবারের পর এক কাপ পুদিনা চা পান করুন।

মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন: পুদিনার পাতার গন্ধ মাথাব্যথা কমাতে এবং মাইগ্রেনের সমস্যায় সাহায্য করতে পারে। নাকের উপরর কিছু পুদিনা পাতা রেখে গভীর শ্বাস নিন।

ক্লান্তি দূরীকরণ: পুদিনা পাতার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ক্লান্তি দ্রুত দূর হবে এবং আপনি চাঙ্গা অনুভব করবেন।

কফ দূর: পুদিনা পাতা, তুলসী, আদা ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে কফ ও শ্বাসকষ্ট কমে যায়।

উকুন মুক্ত চুল: পুদিনার শেকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন, পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি উকুন দূর করবে।

শরীর ঠান্ডা রাখা: গরমে পুদিনা পাতা খাওয়া শরীরকে শীতল রাখে এবং জ্বরের উপসর্গ কমায়।

হার্ট সুস্থ রাখে: পুদিনা রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

অনিয়মিত পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে: পুদিনা পাতা অনিয়মিত পিরিয়ডের ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।

পুদিনার সহজ কিছু ব্যবহার আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে। তাই, দৈনন্দিন জীবনে এটি অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি পাবেন প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যকর সমাধান।

 

ক্যামেরা হাতে শেষ নিঃশ্বাস: শহীদ ফটোগ্রাফার ফাতিমা হাসুনা

 

আজকের প্রভাতে যখন সূর্য উঠেছে, তখন গাজার আকাশে কেবল ধোঁয়া আর ধ্বংসস্তূপ। সেই ধ্বংসের নিচে চাপা পড়ে গেছেন এক সাহসিনী—ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক ফাতিমা হাসুনা, যিনি শহীদ হয়েছেন ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বর্বর বোমা হামলায়। গাজা শহরের নাফাক অঞ্চলে নিজ বাড়িতে চালানো হামলায় শহীদ হয়েছেন তিনি ও তাঁর পরিবারের আরও ১০ জন সদস্য।

ফাতিমা হাসুনা শুধু একজন আলোকচিত্রী নন, তিনি ছিলেন এক জীবন্ত ইতিহাস, গাজার চোখে দেখা সত্যের নির্ভীক ভাষ্যকার। তাঁর হাতে ছিল ক্যামেরা, আর হৃদয়ে প্রতিরোধের আগুন। তাঁর প্রতিটি ছবি একেকটি ভাষ্য, যা দখলদারদের গোলার চেয়ে কম শক্তিশালী ছিল না।

গাজা যখন আগুনে জ্বলছে, চারপাশে ধ্বংস আর মৃত্যু, তখন ফাতিমা ছুটে যেতেন ঘটনাস্থলে—হাতে ক্যামেরা, চোখে আগ্রহ, হৃদয়ে সাহস। তিনি তুলতেন সেইসব ছবি, যা পৃথিবীর অনেক মানুষের চোখে জল এনে দিয়েছে। ধুলায় ঢাকা পথ, কাঁদতে থাকা শিশু, খালি থালা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধা—এসবের মধ্যেই তিনি দেখাতেন আগ্রাসনের চেহারা।

এক সাক্ষাৎকারে ফাতিমা বলেছিলেন—
“আমি অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছবি তুলেছি। আমি কাজ করি হৃদয় দিয়ে, মহান রবের সন্তুষ্টির জন্যে। কেউ তো আমাদের কান্না শুনবে!”
“আমার ক্যামেরা আমার অস্ত্র। তারা আমার দেশ ও জনগণকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু আমার চিত্র/ছবিকে পারবেনা।”

এগুলো আজ আর কেবল বাক্য নয়, এখন ইতিহাসের এক একটি স্তম্ভ। ফাতিমার ক্যামেরা আজ নীরব, কিন্তু তাঁর ছবিগুলো আজও কথা বলে। গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে যে রক্ত ঝরে, তার সাক্ষী হয়ে আছে তাঁর প্রতিটি ক্যাপচার করা মুহূর্ত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর মৃত্যুতে শোক আর শ্রদ্ধা জানিয়ে অনেকেই লিখেছেন—”ফাতিমার লেন্স থেমে গেলেও, তাঁর তোলা ছবি ইতিহাসের বুক থেকে কেউ মুছতে পারবে না।”
আরো বলা হচ্ছে—
“তিনি ছিলেন গাজার প্রতিরোধের এক নারীচিত্রী, যিনি প্রমাণ করে গেছেন—প্রতিরোধ মানে শুধু অস্ত্র নয়, প্রতিরোধ মানে সত্যের চিত্র তুলে ধরা।”

তিনি বলেছিলেন: “আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকেই ভয় পাই না। আমি ছবি তুলি, কারণ কেউ তো আছে, যাকে দেখাতে হবে আমাদের উপর কী ঘটছে। কেউ তো আমাদের কান্না শুনবে।”
তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত ছিলেন তার সংগ্রামের ক্যামেরা হাতেই।

আজ তাঁর এই অস্ত্র থেমে গেছে। কিন্তু তাঁর প্রতিরোধ এখন ছবি হয়ে বেঁচে থাকবে আমাদের হৃদয়ে, সংগ্রামের অনুপ্রেরণায়, উম্মাহর চেতনায়।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আল্লাহ তাঁকে শহীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিন, জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দিন।