banner

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: April 13, 2025

 

গুঁড়া তেলাপোকা দূর করার ৫টি কার্যকরী উপায়

 

গুঁড়া তেলাপোকার উপদ্রব অনেকের জন্যই বিরক্তিকর। তবে কিছু ঘরোয়া ও কার্যকরী পদ্ধতি অনুসরণ করলে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে ৫টি সহজ ও কার্যকরী উপায় দেওয়া হলো—

১. বোরিক অ্যাসিড ও চিনি মিশ্রণ
এক চা-চামচ বোরিক অ্যাসিড, চিনি ও আটা মিশিয়ে ছোট ছোট বল তৈরি করুন।

তেলাপোকার লুকিয়ে থাকার জায়গায় রাখুন।

এটি খেলে তেলাপোকা ধ্বংস হয়ে যাবে।

২. বেকিং সোডা ও চিনি ব্যবহার করুন
সমান পরিমাণ বেকিং সোডা ও চিনি মিশিয়ে তেলাপোকার চলাচলের স্থানে ছিটিয়ে দিন।

চিনি তেলাপোকাকে আকৃষ্ট করবে, আর বেকিং সোডা খেলে তারা মারা যাবে।

৩. লবণ ও ভিনেগার স্প্রে করুন
এক কাপ পানিতে এক চা-চামচ লবণ ও দুই চা-চামচ ভিনেগার মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন।

তেলাপোকা দেখলেই সরাসরি এটি স্প্রে করুন, দ্রুত প্রভাব পড়বে।

৪. ঘর পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন
রান্নাঘর ও বাথরুম সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখুন।

খাবারের উচ্ছিষ্ট ও আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করুন।

তেলাপোকার লুকানোর সম্ভাব্য স্থান, যেমন ক্যাবিনেট ও সিঙ্কের নিচের অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

৫. ল্যাভেন্ডার ও পুদিনার ব্যবহার
তেলাপোকা ল্যাভেন্ডার ও পুদিনার গন্ধ সহ্য করতে পারে না।

তেলাপোকার চলাচলের স্থানে পুদিনা বা ল্যাভেন্ডার পাতা রাখুন।

পুদিনা বা ল্যাভেন্ডার তেলের কয়েক ফোঁটা পানির সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করলেও ভালো ফল পাবেন।

উপরের উপায়গুলো নিয়মিত কাজে লাগালে সহজেই গুঁড়া তেলাপোকার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

শাহবাগ থেকে সোহরাওয়ার্দী: নারীর কণ্ঠে গাজার মুক্তির ডাক

 

ঢাকার রাজপথ যেন সেদিন রূপ নিয়েছিল গাজা উপত্যকার প্রতিচ্ছবিতে। শাহবাগ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান—চারপাশে ছিল ক্ষোভ, বেদনা আর প্রতিরোধের আগুন। শত সহস্র মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছিল অবিচারের বিরুদ্ধে দীপ্ত প্রতিবাদ। সেই স্বরলিপিতে নারীর কণ্ঠ ছিল অনস্বীকার্য ও দৃঢ়—মমতার মাটি থেকে উঠে আসা প্রতিবাদের উচ্চারণ, যেখানে প্রতিটি পা যেন গাজায় নিহত এক শিশুর জন্য ন্যায়ের দাবি হয়ে গর্জে উঠেছে।
২০২৫ সালের ১২ এপ্রিল ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ’-এর আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে লাখো মানুষ অংশ নেন। শাহবাগ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত সমাবেশে নারী-পুরুষের কণ্ঠ এক হয়ে উচ্চারিত হয়েছে: “ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে আছি”।

ইবনে সিনা নার্সিং ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ এমনকি নারায়ণগঞ্জের মদনপুর বা কেরানীগঞ্জ থেকেও নারীরা যোগ দিয়েছেন। শিক্ষার্থী, গৃহিণী, শিক্ষক ও পেশাজীবীরা—সবাই একই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছেন নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।
মনিকা নামের এক নার্সিং শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা যত দূরেই থাকি, গাজার জন্য এই মুহূর্তে পাশে থাকা মানেই প্রতিবাদ।” নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ৬১ বছরের শান্তা বেগম বললেন, “ফোনে ইউটিউবে দেখে জানলাম গাজার কথা, তাই এসেছি।”
প্রকৌশলী সোনিয়া খান প্রশ্ন তুলেছেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে চুপ থাকা মানেই তা সমর্থন করা।” কেরানীগঞ্জের শিক্ষক মাবিয়া আক্তার জানান, “আমরা বাংলাদেশি নারীরাও মুসলিম উম্মাহর পাশে আছি।” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের নারীদের কান্না ও শিশুদের নিথর দেহ দেখে অনেকেই আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি।

ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা প্ল্যাকার্ড আর প্রতিবাদী স্লোগানে মুখরিত এ সমাবেশে নারীদের দৃপ্ত অংশগ্রহণ জানিয়ে দিল—তারা শুধু ঘরের নয়,মানবতার প্রশ্নে তারা সদা সবখানে জাগ্রত।
সোহরাওয়ার্দীর প্রান্তর সাক্ষী হয়ে রইল সেই অঙ্গীকারের—মানবতার বিরুদ্ধে কোনো জুলুম মেনে নেবে না এ প্রজন্ম।
আর গাজার ধ্বংসস্তূপের গায়ে হয়তো একদিন এই কণ্ঠগুলোর প্রতিধ্বনি পৌঁছে যাবে, জানিয়ে দেবে—তারা একা ছিল না। অস্ত্র নয়, ভালোবাসা ও প্রতিবাদের ভাষা নিয়েই
বাংলাদেশের নারীরাও তাদের পাশে ছিল।