banner

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2025

 

ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সন্তানের মা: Valentina Vassilyeva

 

ইতিহাসে এমন কিছু ঘটনা রয়েছে, যা শুনলে অবিশ্বাস্য মনে হয়। তেমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছিল ১৮শ শতকের রাশিয়ায়। Valentina Vassilyeva নামের এক রুশ নারী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্ম দেওয়া মা হিসেবে পরিচিত। তার জীবন ও সন্তান জন্মদানের গল্প আজও মানুষকে বিস্মিত করে।

Valentina Vassilyeva ১৭০৭ সালে রাশিয়ার Shuya অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন এক সাধারণ কৃষকের স্ত্রী। সে সময় সন্তান জন্ম দেওয়া নারীদের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত হতো, বিশেষ করে কৃষক পরিবারে, যেখানে বেশি সন্তান মানে বাড়তি কর্মশক্তি। Valentina-র ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও অবিশ্বাস্য হয়ে ওঠে, কারণ তিনি ২৭ বার গর্ভধারণ করেছিলেন এবং মোট ৬৯টি সন্তানের জন্ম দেন।

Valentina ১৬ বার যমজ, ৭ বার ট্রিপলেট এবং ৪ বার কোয়াড্রুপলেট সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, তার ৬৯টি সন্তানের মধ্যে ৬৭ জন বেঁচে ছিলেন এবং মাত্র ২ জন শৈশবে মারা যান। এটি এমন এক রেকর্ড, যা আজ পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি।

এই তথ্য বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিলে পাওয়া যায়। ১৭৮২ সালে মস্কোর সরকারের কাছে জমা দেওয়া নথিতে Feodor Vassilyev-এর ৬৯ জন সন্তান থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া, এটি Guinness World Records-এও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, যেহেতু ১৮শ শতকের রাশিয়ায় জন্ম নিবন্ধন ব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিল না, তাই কিছু বিতর্কও রয়েছে।

অসংখ্য সন্তান জন্ম দেওয়ার পরও Valentina দীর্ঘ সময় বেঁচে ছিলেন এবং ১৭৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার এই জীবনগাঁথা ইতিহাসে বিরলতম ঘটনার মধ্যে একটি, যা আজও গবেষকদের বিস্মিত করে।

 

ইফতারিতে ডাবের পুডিং

 

গরম আবহাওয়ার মধ্যে ইফতারি যেন এক স্বস্তির আশ্রয়, যেখানে প্রত্যেকটি খাবার আমাদের শরীর ও মনকে প্রশান্তি দেয়। এমনই এক স্নিগ্ধ ও স্বস্তিদায়ক উপাদান হলো ডাবের পুডিং। মিষ্টি, ঠান্ডা এবং সুস্বাদু এই পুডিং ইফতারির টেবিলে এনে দেয় একধাপ বিশেষত্ব। কেবল মুখের স্বাদ নয়,শারীরিক তৃপ্তি প্রদানকারী খাবারও বটে।

ডাবের পুডিং তৈরি করতে কিছু সহজ উপকরণ প্রয়োজন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

উপকরণ:
১. একটি বা দুটি শাঁসযুক্ত ডাবের পানি
২. ২৫ বা ৫০ গ্রাম চায়না গ্রাস (পানির পরিমাণ অনুযায়ী পরিমাণ বাড়ানো যাবে)
৩. পরিমাণমতো চিনি

প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে, গরম পানিতে ১০-১৫ মিনিট চায়না গ্রাস ভিজিয়ে রাখুন। তারপর একটি ডাবের পানি পুরোটা একটি পাত্রে ঢেলে নিন। এরপর, পাত্রটি চুলায় দিয়ে ফুটতে দিন। পানি ফুটতে শুরু করলে, এতে পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে ভালভাবে নাড়তে হবে যেন চিনি গলে পানির সাথে মিশে যায়।
এরপর, ভেজানো চায়না গ্রাস ডাবের পানিতে মিশিয়ে পুরো মিশ্রণ টা থিক না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
এবারমিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে একটি বাটিতে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন ২-৩ ঘণ্টা। ফ্রিজে সেট হয়ে গেলে, উপরের অংশে ডাবের শাঁস বা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
ইফতারে পরিপূর্ণতার জন্য অনবদ্য একটু আইটেম!

 

রমজানে নারীর ব্যস্ততা কমিয়ে সহজ জীবন গড়ার উপায়

 

রমজান, আত্মশুদ্ধির মাস, ধৈর্য ও সংযমের পরীক্ষার মাস। এই মাসে ইবাদতের পাশাপাশি সংসারের দায়িত্বও বেড়ে যায় বহুগুণ। বিশেষ করে নারীদের জন্য রমজান যেন এক অনন্ত ব্যস্ততার গল্প হয়ে ওঠে। সেহরি থেকে ইফতার, ইবাদত থেকে পরিবারের দেখভাল—সবকিছু সামলাতে গিয়ে যেন ক্লান্তির শেষ থাকেনা । অথচ একটু কৌশলী পরিকল্পনা ও পারিবারিক সহযোগিতা পেলে এই সময়টাকে আরও সহজ করে তোলা সম্ভব।

পরিকল্পনাই সাফল্যের চাবিকাঠি
যেকোনো কাজকে সহজ করতে দরকার সুপরিকল্পনা। রমজানের প্রতিদিনের কাজ আগেভাগে সাজিয়ে নিলে অযথা ব্যস্ততা কমে যাবে। কোন কাজ কখন করা হবে, কী কী প্রস্তুতি প্রয়োজন, কোন কাজ আগে সম্পন্ন করা উচিত—এসব লিখে রাখলে সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে। এতে ক্লান্তি যেমন কমবে, তেমনি ইবাদতের জন্যও বাড়তি সময় বের করা যাবে।

বাহুল্য পরিহার, সহজতাই সৌন্দর্য
আমাদের সমাজে ইফতার মানেই যেন বাহারি আয়োজন। প্রতিদিন নানা পদ না থাকলে চলে না, অথচ এত আয়োজন করতে গিয়ে নারীদের বেশ বেগ পোহাতে হয়। অথচ রমজানের মূল উদ্দেশ্যই হলো সংযম ও আত্মশুদ্ধি। তাই প্রতিদিন বাহুল্য এড়িয়ে পুষ্টিকর ও সহজ কিছু খাবার তৈরি করলেই কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

সম্ভব হলে আগেভাগে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া
সময় ও পরিশ্রম বাঁচাতে কিছু কাজ আগেই সেরে রাখা যায়। যেমন—সপ্তাহের জন্য মাছ-মাংস কেটে সংরক্ষণ করা, মসলা গুঁড়ো করে রাখা, পেঁয়াজ-রসুন কেটে রাখা বা শরবত তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া। এতে কাজের চাপ অনেকটাই কমে আসবে এবং ইফতারের সময় অস্থিরতা দূর হবে।

পরিবারের সবাই মিলে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া
শেয়ারিং এন্ড কেয়ারিং এর মাধ্যমে রমজানের সৌন্দর্য আরো বহুগুনে বাড়িয়ে তোলে। তাই পরিবারের পুরুষ সদস্য ও শিশুদেরও ঘরের কাজে অংশগ্রহণ করা উচিত। পেঁয়াজ-রসুন কাটা, শরবত তৈরি, টেবিল সাজানো—এই ছোট ছোট কাজে সাহায্য করলে নারীর ওপর চাপ অনেকটাই কমবে।

নিজেকে ভুলে গেলে চলবে না
দিনভর রোজা রেখে বিরামহীনভাবে কাজ করলে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ নেমে আসতে পারে। তাই কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেওয়া দরকার। পানিশূন্যতা দূর করতে ইফতারের পর প্রচুর পানি পান করতে হবে, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শরীর সুস্থ থাকলে ইবাদতেও মনোযোগ বাড়বে, কাজে ক্লান্তিও কমে আসবে।

রমজান মাস নারীর জন্য যেন বোঝা হয়ে না উঠে, বরং এটি আত্মার প্রশান্তি ও পরিবারে সৌহার্দ্য তৈরির মাস হবে। যদি সবাই মিলে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়, দায়িত্ব ভাগ করে নেয়, তাহলে নারীর জন্য রমজানও হবে প্রশান্তিময়। সংযমের এই পথচলা হোক সুস্থ, সুন্দর ও পরিপূর্ণ।

 

কেরানীগঞ্জে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা: তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রাজধানীর কেরানীগঞ্জে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তিন যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ট্রাইব্যুনালের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সজিব, রাকিব ও শাওন। এছাড়া লাশ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ জানান, ট্রাইব্যুনাল ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন আসামিদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২) অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন।

২০২২ সালের ১১ জুন কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আঁটিবাজার এলাকায় টহলরত পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, নিহত নারীর নাম মারিয়া। তার বান্ধবী বৃষ্টি আক্তার আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে পুলিশ আসামি শাওনকে গ্রেফতার করে।
শাওন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানায়, সে নিজে,রাকিব, সজিব, আলী আকবর মিলে মারিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়। পরে রাকিব ও সজিবকেও গ্রেফতার করা হলে তারাও আদালতে একই স্বীকারোক্তি দেয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর বিচারকাজ শুরু হলে ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা আসামি রাকিব ও শাওনকে আদালতে হাজির করা হয় এবং রায় শেষে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।