banner

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2025

 

সহকারী জজ পরীক্ষায় দেশসেরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হালিমাতুস সাদিয়া

 

১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে সহকারী জজ হিসেবে দেশসেরা হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হালিমাতুস সাদিয়া। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারাবাহিক ৩বারের সাফল্যকে পেছনে ফেলে এবার শীর্ষস্থান অর্জন করলেন তিনি।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী হালিমাতুস সাদিয়া মূলত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার লোহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে মোট ১০২ জন সহকারী জজ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষার্থী, সুব্রত পোদ্দার (৪৭তম) ও নূর-ই-নিশাত (৫২তম), চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

এই অসাধারণ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হালিমাতুস সাদিয়া বলেন “এই অর্জন শুধুমাত্র আমার একার নয়, এটি আমার মা-বাবা, শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করতে পেরে আমি গর্বিত। দেশবাসীর দোয়া চাই, যেন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করতে পারি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনও এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন “আমাদের শিক্ষার্থীরা যে কোনো প্রতিযোগিতায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে সক্ষম। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংকটের মধ্যেও শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।”

উল্লেখ্য, এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরপর তিনবার বিজেএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রথম স্থান অর্জন করায় নতুন এক ইতিহাস রচিত হলো।

 

জলবায়ু বিপর্যয়ে নারীর স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় গুরুতর প্রভাব

 

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নারীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জলবায়ুজনিত দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে নারীরা নানা সংকটে পড়ছেন। বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি, শিক্ষাজীবন ব্যাহত হওয়া এবং দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতনের হার বাড়ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার আনোয়ারা বেগম মুনিরা খান মিলনায়তনে “জলবায়ু বিপর্যয়ে নারীর উপর অভিঘাত মোকাবেলায় করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সংগঠকরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নারীদের বাস্তব সংকট ও তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নারী ও কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক মেয়েশিশুর শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দারিদ্র্যের শিকার হওয়ায় মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, যা বাল্যবিয়ের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়া দুর্যোগকবলিত এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ ব্যবস্থা না থাকায় নারী ও কিশোরীরা যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত পানি অধ্যুষিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।

সভায় বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, নারীদের জন্য দুর্যোগকালীন নিরাপদ আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ এবং সচেতনতা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। পাশাপাশি, সরকার ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে একযোগে কাজ করে নারীদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পারভীন ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগমসহ ৩১টি জেলা থেকে আগত সংগঠকবৃন্দ। বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নারীদের রক্ষা করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে এবং নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে মতবিনিময় সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

 

ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই: নারীদের জন্য প্রয়োজন বিশেষ পদক্ষেপ

 

আলেয়া বেগম, একজন গৃহকর্মী, প্রতিদিনের কঠোর পরিশ্রমে অভ্যস্ত ছিলেন। ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া—এই সব কাজের পর শরীরে ব্যথা হওয়াটা তার কাছে স্বাভাবিকই মনে হতো। কিন্তু একদিন প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর, তিনি বুঝতে পারেন এটি সাধারণ ক্লান্তি নয়। হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর পর ধরা পড়ে—তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
চিকিৎসা চলাকালীন তিনি বেশ কিছুদিন কাজে যেতে পারেননি। এই সুযোগে তার কর্মস্থলে অন্য গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। ফলে অসুস্থতার কারণে শুধু যে তার শারীরিক দুর্বলতা বেড়েছে তা-ই নয়, জীবিকাও হারিয়েছেন তিনি। সুস্থ হওয়ার পর নতুন কাজ খুঁজতে গিয়েও নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।

আলেয়ার গল্পটি দেশের হাজারও নিম্নআয়ের নারীর চিত্র ফুটিয়ে তোলে, যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর কর্মসংস্থান হারানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতার শিকার হন।

ডেঙ্গুতে নারীরা বেশি ঝুঁকিতে কেন?
২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫৭৫ জনের মধ্যে ২৯৫ জনই ছিলেন নারী। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নারীদের শারীরিক ও সামাজিক অবস্থান তাদের ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
১. জৈবিক কারণ: নারীদের শরীরে রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ ও হরমোনজনিত জটিলতা বেশি থাকে, যা ডেঙ্গুর প্রভাবকে তীব্র করে তোলে।

২. সময়মতো চিকিৎসার অভাব: নিম্নআয়ের নারীরা চিকিৎসা নিতে দেরি করেন, ফলে ডেঙ্গু গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

3. সামাজিক কারণ: পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নারীদের ওপর বেশি থাকে। তারা নিজের অসুস্থতা এড়িয়ে যান, যা পরে গুরুতর সমস্যা তৈরি করে।

অর্থনীতিতে প্রভাব
দেশের মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০% নারী, যারা প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু ডেঙ্গুর মতো রোগে আক্রান্ত হলে, তারা শুধু নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন না, বরং দেশের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আলেয়ার মতো গৃহকর্মীরা অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ হারান, চিকিৎসার জন্য খরচ বহন করতে হয় এবং সুস্থ হওয়ার পর নতুন কাজ পেতে বাধার সম্মুখীন হন। তাদের জন্য কোনো সামাজিক সুরক্ষা না থাকায়, একবার অসুস্থ হলে তারা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দীর্ঘ সময় নেন।

নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় দরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ
ডেঙ্গু মোকাবিলায় নারীদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সময়মতো চিকিৎসা ও সচেতনতার অভাব অনেক নারীর জীবন সংকটে ফেলে দেয়।
১. সচেতনতা বৃদ্ধি: ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে নারীদের মধ্যে বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন।

২. ওয়ান-স্টপ সার্ভিস বুথ: নারীদের চিকিৎসা সহজ করতে এক জায়গায় পরীক্ষা, চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

৩. ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প: নিম্নআয়ের নারীদের জন্য বিনামূল্যে প্লাটিলেট কাউন্ট ও অন্যান্য পরীক্ষা সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার।

ডেঙ্গু শুধু একটি রোগ নয়, এটি নারীদের জীবিকা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর বড় ধাক্কা সৃষ্টি করে। আলেয়ার মতো হাজারো নারী এই সমস্যার শিকার হচ্ছেন, অথচ তাদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। নারীদের স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা গেলে, এই ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকার ও সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে নারীদের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করতে।
তথ্য সুত্র ঃ দ্য ডেইলি স্টার

 

সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য রাসুল (সা.)-এর সুন্নত

 

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। তিনি যেমন একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, শাসক ও দাঈ ছিলেন, তেমনই দাম্পত্য জীবনে ছিলেন স্নেহশীল, দায়িত্বশীল ও শ্রেষ্ঠ স্বামী। তাঁর জীবনের অনুসরণীয় দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির শিক্ষা।

নবিজি (সা.) তাঁর স্ত্রীদের প্রতি সর্বদা সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করতেন এবং সাহাবিদেরও তাঁদের স্ত্রীদের প্রতি উত্তম ব্যবহারের নির্দেশ দিতেন। তিনি বলেছেন—
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর প্রতি সর্বোত্তম আচরণ করে। আর আমি আমার স্ত্রীর প্রতি তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।” (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

নিচে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুন্নত উল্লেখ করা হলো, যা পালন করলে দাম্পত্য জীবন আরও সুন্দর ও সুখময় হয়ে উঠবে—

১. স্ত্রীর কাছ থেকে চুল আঁচড়ে নেওয়া
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন—
“আমি হায়েজ অবস্থায় আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম।” (বুখারি ২৯৫)

২. স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে ঘুমানো
আয়েশা (রা.) বলেন—
“রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার উরুতে মাথা রেখে ঘুমাতেন।” (বুখারি ৪৬০৭)

৩. স্ত্রীর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করা

তিনি আরও বলেন—
“আমি নবিজির (সা.) সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করেছিলাম এবং জয়ী হয়েছিলাম। পরে আমি মোটা হলে তিনি দৌড়ে আমাকে পরাজিত করেন এবং বলেন, ‘এ বিজয় সেই পরাজয়ের বদলা।’” (আবু দাউদ ২৫৭৮)

৪. স্ত্রীর সঙ্গে একসঙ্গে গোসল করা

“আমি ও নবিজি (সা.) একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করতাম।” (বুখারি ২৫০)

৫. স্ত্রীর কোলে হেলান দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করা

“নবিজি (সা.) আমার কোলে হেলান দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতেন, তখন আমি হায়েজ অবস্থায় ছিলাম।” (বুখারি ২৯৭)

৬. স্ত্রীর প্রশংসা করা
রাসুল (সা.) বলেছেন—
“নারীদের মধ্যে আয়েশার মর্যাদা অন্য সকল নারীর তুলনায় এমন, যেমন সারীদের মর্যাদা অন্যান্য খাদ্যের তুলনায়।” (বুখারি ৩৪১১)

৭. স্ত্রীর কাজে সহায়তা করা

হজরত আসওয়াদ (রা.) বলেন—
“আমি আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবিজি (সা.) ঘরে কী করতেন? তিনি বললেন, তিনি পরিবারকে সাহায্য করতেন এবং নামাজের সময় হলে বেরিয়ে যেতেন।” (বুখারি ৬৭৬)

প্রিয় নবী (সা.)-এর দাম্পত্য জীবনের সুন্নতগুলো আমাদের জন্য উত্তম দৃষ্টান্ত। যদি প্রতিটি স্বামী পরিবারে এই সুন্নতগুলো পালন করেন, তাহলে সংসার হবে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও প্রশান্তির এক সুন্দর আশ্রয়স্থল।

 

শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নতুন শেখা বিষয় সংরক্ষণ ও পুনঃপ্রস্তুত করে, যা শিশুর স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে। বিশেষত, গভীর রাতের ঘুম শিশুর শেখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং তার মস্তিষ্ককে সুসংগঠিত রাখে।

ঘুমের একটি বিশেষ ধাপ হলো REM (Rapid Eye Movement), যেখানে শিশুর মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে এবং নতুন শেখা তথ্য সংরক্ষণ ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করে। এই ধাপে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে এবং স্মৃতি শক্তিশালী হয়।

অন্যদিকে, NREM (Non-Rapid Eye Movement) ধাপে শিশুর শরীর ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেয় এবং শেখা বিষয়গুলোর দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণ ঘটে। তাই গভীর ঘুম শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

শিশুর বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। নবজাতক শিশুদের দিনে ১৪-১৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, কারণ এই সময় তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয়। ৩-১২ মাস বয়সী শিশুদের ১২-১৫ ঘণ্টা এবং ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের ১০-১৪ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। পর্যাপ্ত ঘুম শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি, মনোযোগ বৃদ্ধি এবং শেখার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা যখন রাতে পর্যাপ্ত ঘুমায়, তখন তারা সারা দিনে শেখা বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে মনে রাখতে পারে। রাতের ঘুমের সময় মস্তিষ্ক শেখা তথ্যকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তরিত করে। দিনের ঘুমও কিছুটা সহায়ক, তবে রাতের গভীর ঘুম সবচেয়ে কার্যকর। নতুন কিছু শেখার পর পর্যাপ্ত ঘুম শিশুর স্মৃতি মজবুত করতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, শেখার দক্ষতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শিশুর সঠিক ঘুম নিশ্চিত করা তার সার্বিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

 

নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন: জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত

 

নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন বর্তমানে একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, জানিয়েছে নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি। সম্প্রতি সেগুনবাগিচায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা জানান, নারীর প্রতি যে ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, তা শুধুমাত্র নারীর সমস্যা নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সমস্যা।

‘ঢাকাতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ বিষয়ে আলোচনা করতে আয়োজিত এই সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায়। বক্তারা জানান, এ ধরনের সহিংসতা রোধে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, বর্তমানে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে এ সহিংসতার মাত্রা আরো বেড়ে যায়। নারীর প্রতি ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রবণতা এবং দুর্বলতার কারণে সহিংসতা বেড়েছে। এজন্য নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

তথ্যসুত্র :আজকের পত্রিকা

 

কেশবপুরের প্রিয়া খাতুন: সাইক্লিং ও হকিতে দেশসেরা হওয়া কিশোরী

 

গড়ভাঙ্গা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিয়া খাতুন বর্তমানে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক তারকা। কেশবপুর উপজেলা শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের প্রিয়া সাইক্লিংয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশসেরা হয়েছে এবং হকি দলের অধিনায়ক হিসেবে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ৫৩তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রিয়া সাইক্লিংয়ে স্বর্ণপদক জয় করে এবং তার নেতৃত্বে গড়ভাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা হকিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।

প্রিয়া খাতুন রাজনগর বাকাবর্শী গ্রামের কৃষক শাহজাহান মোড়ল ও লাকি বেগমের মেয়ে। দারিদ্র্য ও সামাজিক সংকট মোকাবিলা করে প্রিয়া ছোটবেলা থেকে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শুরু করে। সাইক্লিং ও হকি খেলার প্রতি তার আগ্রহ বাড়ে এবং গত বছর সাইক্লিংয়ে রাজশাহী থেকে প্রথম হওয়ার পর মনোবল বৃদ্ধি পায়। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন তাকে একটি রেসিং সাইকেল উপহার দেন।

প্রিয়া তার সাফল্যের জন্য পরিবার ও শিক্ষকদের সহযোগিতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মেয়ের এই সাফল্যে তার মা গর্বিত, এবং এলাকার বাসিন্দারা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রভাত কুমার বসু বলেন, গ্রামের মেয়েরা এই জাতীয় সাফল্য অর্জন করে সত্যিই গর্বের বিষয়। কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

 

টোকিওর প্রযুক্তি উন্নয়নে নারী নেতৃত্ব

 

টোকিওকে আরও আধুনিক, স্মার্ট ও নিরাপদ নগরীতে রূপান্তর করতে বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্ট (টিএমজি)। ২০১৬ সাল থেকে গভর্নর ইউরিকো কোইকের নেতৃত্বে নারীরা এই রূপান্তরের মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছেন।

টোকিও মেট্রোপলিটন অ্যাসেম্বলির ১২৭ সদস্যের মধ্যে ৪১ জন নারী, যারা শহরের উন্নয়ন, প্রযুক্তি, ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তাদের মধ্যে নোবুকো ইরি উল্লেখযোগ্য, যিনি শহরের বিনোদন ও রাতের জীবন পুনরুজ্জীবিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার মতে, টোকিওর আকর্ষণ ধরে রাখতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সাংস্কৃতিক ও বিনোদন খাতের বিকাশ অপরিহার্য।

“সুশি টেক টোকিও” নামের বিশ্বব্যাপী সম্মেলনে উদ্ভাবনী স্টার্টআপ ও বিনিয়োগকারীরা একত্র হন, যেখানে স্মার্ট সিটি ও টেকসই উন্নয়নের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। নতুনভাবে চালু হওয়া “পাবলিক ডে” অনুষ্ঠানে শিশু ও পরিবারদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি, রোবট পরিচালনা ও ইন্টারঅ্যাকটিভ ভিআর গেমের সুযোগ থাকছে।

নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ টোকিওর উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। নোবুকো ইরি মনে করেন, নারীদের উপস্থিতি শিশুবিকাশ, শিক্ষা ও নার্সিংয়ের মতো বাস্তব সমস্যা সমাধানে সহায়ক। টিএমজি বৈচিত্র্য, নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে টোকিওকে ভবিষ্যতের সেরা শহর হিসেবে গড়ে তুলতে নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

 

মেরি এলিজাবেথ গ্যারেট: নারী শিক্ষার অগ্রদূত

 

সমাজের পরিবর্তন আনতে কিছু মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করেন। মেরি এলিজাবেথ গ্যারেট তেমনই একজন সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ ছিলেন, যিনি নারী শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নারীরা উচ্চশিক্ষা ও চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রবেশের সুযোগ পান।

মেরি এলিজাবেথ গ্যারেট জন্মগ্রহণ করেন ৫ মার্চ ১৮৫৪ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে। তার বাবা জন ওয়ার্ক গ্যারেট ছিলেন একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও বাল্টিমোর অ্যান্ড ওহাইও রেলওয়ের প্রেসিডেন্ট। ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি শিক্ষা ও নেতৃত্বের মূল্যবোধ শিখেছিলেন।
তবে তার মায়ের অকালমৃত্যু এবং সমাজে নারীদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য তাকে ব্যথিত করে। তিনি উপলব্ধি করেন, নারীদের যদি শিক্ষার সুযোগ না দেওয়া হয়, তবে তারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নিতে পারবে না। এই উপলব্ধিই তাকে নারী শিক্ষার জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।

মেরি গ্যারেট তার সম্পদ ও প্রতিভা কাজে লাগিয়ে নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার দরজা উন্মুক্ত করতে চেষ্টা করেন। তার উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্যোগ হলো—

Johns Hopkins School of Medicine-এ নারীদের সুযোগ

১৮৯০-এর দশকে, Johns Hopkins School of Medicine আর্থিক সংকটে পড়ে। তখন মেরি গ্যারেট ৩,৫০,০০০ ডলার অনুদান দেন, কিন্তু শর্ত দেন যে এই মেডিকেল স্কুলে নারীদেরও সমানভাবে ভর্তি ও শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। তার এই পদক্ষেপের ফলে প্রথমবারের মতো নারীরা Johns Hopkins-এ চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়নের সুযোগ পান। এটি নারীদের চিকিৎসা শিক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দেয়।

Bryn Mawr School প্রতিষ্ঠা

১৮৮৫ সালে, তিনি Bryn Mawr School for Girls প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। এটি ছিল উচ্চমানের একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে গণিত, বিজ্ঞান, সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হতো।

শিক্ষার পাশাপাশি তিনি নারীদের অধিকার ও সমতার জন্য বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি National American Woman Suffrage Association-এরও একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং নারীদের ভোটাধিকার আদায়ের প্রচারণায় অর্থ সহায়তা দেন।

মেরি গ্যারেট বিয়ে করেননি এবং তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই সমাজসেবা ও নারী শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয় করেন। তার বন্ধুমহলে ছিলেন অনেক প্রভাবশালী নারীবাদী চিন্তাবিদ ও সমাজ সংস্কারক, যাদের সঙ্গে মিলে তিনি বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রকল্পে কাজ করেছেন।
তিনি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, আত্মবিশ্বাসী এবং নেতৃত্বগুণসম্পন্ন। তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও সংগঠক হিসেবে দক্ষতা তাকে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

মেরি এলিজাবেথ গ্যারেট ৩ এপ্রিল ১৯১৫ সালে, ৬১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তবে তার রেখে যাওয়া শিক্ষানীতি ও দান-অনুদানের ফলে অসংখ্য নারী উচ্চশিক্ষা ও চিকিৎসাশাস্ত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
আজকের দিনে নারীদের শিক্ষায় যে অগ্রগতি দেখা যায়, তার পেছনে গ্যারেটের মতো দানশীল ও দূরদর্শী মানুষের অবদান অপরিসীম। নারী শিক্ষার উন্নয়নে তিনি যে পথ দেখিয়ে গেছেন, তা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

শিশু যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপের দাবি ২৬ এনজিওর

 

বাংলাদেশে শিশু ও নারীদের প্রতি যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ২৬টি এনজিওর সমন্বয়ে গঠিত ‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক’। সংগঠনটি সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

নেটওয়ার্কের সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এক বিবৃতিতে জানায়, শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে, যা দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার ক্রমবর্ধমান হার দেশের জন্য গুরুতর সংকেত। এটি রোধ করতে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ জনগণের সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এ বিষয়ে তারা বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, শিশু কল্যাণ পরিষেবার সমন্বয় এবং একটি শিশু সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে।

‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক’ জোটের সদস্য সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স, অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), ইনসিডিন বাংলাদেশ, জাগো নারী, কাঠপেন্সিল, মানব কল্যাণ পরিষদ (এমকেপি), মৌমাছি, পরিবর্তন-খুলনা, সুসমাজ ফাউন্ডেশন, সলিডারিটি, শিশুরাই সব সহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন।

এই জোট যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার ও সমাজের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে এবং শিশুদের সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।

তথ্যসূত্র -আজকের পত্রিকা