banner

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2025

 

পরীক্ষার সময় নিকাব পরিহিত ছাত্রীদের জন্য থাকবে নারী শিক্ষক

 

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাস্ট) পরীক্ষার সময় নিকাব পরিহিত ছাত্রীদের চেহারা শনাক্তের জন্য আলাদা নারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

এ উদ্যোগের ফলে পর্দানশীন শিক্ষার্থীরা নিশ্চিন্তে ও স্বস্তির সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। অনেক সময় নিকাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের চেহারা শনাক্তের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়, যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আলাদা নারী শিক্ষকের মাধ্যমে এটি সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বজায় থাকবে।

এই ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এছাড়া, এটি ইসলামী মূল্যবোধ ও সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি উদ্যোগ, যা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও অনুসরণযোগ্য হতে পারে।

এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে এবং তাদের পরীক্ষার সময় কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
তথ্যসুত্রঃsomc

 

দেশজুড়ে নারী ও শিশু ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ, শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

 

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ নারী ও শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমবেত হয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়, যেখানে তারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
এ সময় সমাজকর্মী মুঈদ হাসান তড়িৎ, শিক্ষার্থী তাওহীদা ইসলাম স্বপ্নীল ও প্রেমা সরকারসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, “দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, যা উদ্বেগজনক।”
তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগেরও দাবি জানান।

এদিন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদও ধর্ষণ, নারী নির্যাতন এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তাদের মতে, সম্প্রতি দেশে ধর্ষণ ও নৃশংস সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

একই দিনে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ-মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ এবং ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানায়।

ইডেন মহিলা কলেজে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, “এভাবে ধর্ষণ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটলে নারীরা কোথাও নিরাপদ নন।”

এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানান।
দেশজুড়ে এমন প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

 

নারী খামারিদের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

 

নারীদের আরও বেশি করে খামার ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, পোলট্রি শিল্প শুরু থেকেই কৃষকের সঙ্গে যুক্ত, আর কৃষকের বাড়িতে মুরগি পালনের মূল দায়িত্ব ছিল নারীদের। তাই এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে হলে নারী খামারিদের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে তিন দিনব্যাপী ‘১৩তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো ও সেমিনার-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, “ক্ষুদ্র খামারিদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাদের সংখ্যা বাড়লে পোলট্রি শিল্প আরও বিকশিত হবে, যা সরাসরি তাদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত।” ফিডের উচ্চমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সব পক্ষ একত্রে কাজ করলে ফিডের দাম কমানো সম্ভব। কারণ, পোলট্রি শিল্পই আমাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটাচ্ছে।”

শিশুদের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের ওপর গুরুত্ব দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “পোলট্রিকে যদি অস্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়ানো হয়, তাহলে তা মানুষের খাদ্যের সঙ্গে মিশে যায়। এ কারণেই বিশ্বজুড়ে অর্গানিক ফুড নিয়ে নতুন ভাবনা তৈরি হয়েছে। আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক হতে হলে আমাদের অর্গানিক চাষের দিকে যেতে হবে।”

ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই মেলা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় পোলট্রি মেলা বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন—মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

এ ধরনের উদ্যোগ পোলট্রি শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

প্রথমবারেই সহকারী জজ চবির তানিয়া সুলতানা

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ১৭তম নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তানিয়া সুলতানা। প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েই তিনি বিজেএস পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন।

তানিয়া সুলতানার শৈশব কেটেছে চট্টগ্রামের রাউজানে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন বিচার বিভাগে যোগ দেওয়ার। অনার্স ও মাস্টার্স জীবনে একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন, যা তার বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভিত্তি গড়ে তোলে।

তবে তিনি পুরোপুরি নিয়োজিত হন মাস্টার্স শেষ করার পর। প্রথমেই তিনি বিজেএস পরীক্ষার সিলেবাস বিশ্লেষণ করেন এবং বিগত বছরের প্রশ্ন ঘেঁটে বুঝতে চেষ্টা করেন কোন কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এরপর নির্দিষ্ট বই ও রিসোর্স ঠিক করে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিবিড় পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন।

তানিয়া কখনো সময় ধরে পড়াশোনা করেননি; বরং প্রতিদিন নির্দিষ্ট টপিক শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করতেন। লিখিত পরীক্ষায় সফলতার জন্য তিনি বিষয়ভিত্তিক গভীর প্রস্তুতি নিয়েছেন, কারণ এই পরীক্ষাটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মৌখিক পরীক্ষার জন্য তিনি মূলত রিভিশনের ওপর জোর দেন।

প্রস্তুতির সময় মানসিক চাপ থাকলেও তিনি কখনো হাল ছাড়েননি। পরিবারের স্বপ্ন এবং নিজের লক্ষ্য তাকে বারবার সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে। ১০ দিনের লিখিত পরীক্ষার সময় সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও, স্বপ্ন পূরণের অদম্য ইচ্ছাই তাকে ধরে রেখেছে।

তানিয়া সুলতানা বিশ্বাস করেন, যারা ভবিষ্যতে সহকারী জজ হতে চান, তাদের অনার্স জীবন থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধরে রাখতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। একাগ্রতা ও সঠিক প্রস্তুতিই বিজেএস পরীক্ষায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

তানিয়া সুলতানার এই অর্জন প্রমাণ করে, লক্ষ্য ঠিক থাকলে এবং পরিশ্রমি হলে সাফল্য ধরা দিতেই বাধ্য!