banner

রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: March 8, 2025

 

গাজীপুরে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি মাসের ১৮তারিখ মঙ্গলবার গাজীপুর শহরের আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) কনফারেন্স রুমে এ সভার আয়োজন করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় পরিচালিত ব্র্যাকের “অগ্নি প্রকল্প”-এর আওতায় যৌথভাবে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়।

সভায় প্রকল্পের সমন্বয়কারী আসমা খানম রুবা স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন জেলা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান। আলোচনায় বক্তারা নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তারা জানান, “অগ্নি প্রকল্প”-এর মাধ্যমে পরিবহন, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৪টি সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সভায় উপস্থাপিত পরিসংখ্যানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর জেলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৩ জন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৪ জন, অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩১ জন, বাল্যবিবাহ হয়েছে ৫৫টি এবং অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১২টি। আলোচকরা এসব তথ্য তুলে ধরে বলেন, সমাজে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে শুধুমাত্র আইনের কঠোর প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, বরং মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৭৮ জন ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪২ জনকে প্রাথমিক কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হয়েছে, ৭৯ জনকে আইনি সহায়তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ৮ জন চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।

বক্তারা উল্লেখ করেন, নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও কার্যকর প্রয়োগ জরুরি।

সভায় প্রকল্প সমন্বয়কারী আসমা খানম রুবা বলেন “নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে গণমাধ্যম কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।”

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নৈতিকতার গুরুত্বারোপ করেন এবং এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। বক্তারা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে সমাজে নারীরা নিরাপদ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

 

বই রিভিউ: Revive Your Heart – Nouman Ali Khan

 

এটি একটি ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক বই, যেখানে লেখক আধুনিক জীবনের চ্যালেঞ্জের মুখে একজন মুসলিম কীভাবে কোরআনের শিক্ষা থেকে শক্তি ও দিকনির্দেশনা নিতে পারে, তা ব্যাখ্যা করেছেন।
যারা মানসিক প্রশান্তি খুঁজছেন, আত্মউন্নয়ন চান, অথবা ইসলামের গভীর দর্শনকে সহজভাবে বুঝতে চান, তাদের জন্য এটি দারুণ একটি বই। উস্তাদ নোমান আলী খান খুবই সহজ ভাষায় গভীর বিষয় ব্যাখ্যা করেন, যা নতুনদের জন্যও সহজবোধ্য।

বইটি মোট পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত, এবং প্রতিটি অধ্যায়েই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রথম অধ্যায়ে দুআ বা আল্লাহর সাথে যোগাযোগের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলা হয়েছে। লেখক বলছেন, আমরা শুধু বিপদে পড়লেই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, কিন্তু তখন যদি দোয়া কবুল না হয়, তখন অনেকেই মনে করেন যে আল্লাহ তাদের দোয়া শোনেন না। তবে, এই অধ্যায়ে শেখানো হয়েছে কিভাবে আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন এবং দোয়ার বিপরীতে কিছু হলেও সেটা যে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরিক্ষা, তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় অধ্যায় একটি সক্রিয় মুসলিম কমিউনিটি গড়ে তোলার বিষয়ে। লেখক মুসলিম সমাজের বিভক্তির দিকে নজর দিয়েছেন এবং দেখিয়েছেন কিভাবে আমাদের মধ্যে অন্যের প্রতি অতিরিক্ত ধারণা ও বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়, যা আমাদের ঐক্যের শক্তি ও একতা কমিয়ে দেয়। এটি সমাজের জন্য একটি বড় ক্ষতি, যা আমাদের ঈমানের পরিপূর্ণতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

তৃতীয় অধ্যায় আর্থিক লেনদেন নিয়ে। এখানে লেখক আমাদেরকে সতর্ক করেছেন, কিভাবে ছোটখাটো আর্থিক লেনদেনের কারণে আমাদের চরিত্র ও শান্তি বিপর্যস্ত হতে পারে। অর্থের প্রতি আমাদের মনোভাব কেমন হতে পারে এবং অর্থের প্রভাবে কিভাবে জীবন বদলে যেতে পারে, তা তিনি তুলে ধরেছেন।

এছাড়া, বইটির প্রচ্ছদ ও অনুবাদ বেশ ভালো, সহজ এবং সাবলীল ভাষায় লেখা, যা পাঠককে বইটির প্রতিটি অধ্যায়ের সাথে সহজে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে।

সার্বিকভাবে, Revive Your Heart একটি দারুণ অনুপ্রেরণামূলক বই, যা প্রতিটি মুসলিমের জীবনে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে।যাপিত জীবনে শান্তি, ঈমান এবং দৃঢ় বিশ্বাস অর্জন করতে চাইলে এই বইটি একবার হলেও পড়া উচিত।

 

রমদ্বানের প্রস্তুতি: মহানবী (সা.)-এর নীতি ও শিক্ষা

 

রমদ্বান মাস ইসলামের পবিত্রতম মাস, আর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এ মাসের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিতেন। তিনি শুধু রমদ্বান শুরু হলে আমল বাড়াতেন না, বরং রজব ও শাবান মাস থেকেই রমদ্বানের জন্য শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। এখানে আমরা মহানবী (সা.)-এর রমদ্বানের প্রস্তুতি গ্রহণের পদ্ধতি তুলে ধরছি।

১. রজব মাস থেকেই প্রস্তুতি শুরু
ছয় মাস আগেই মহানবী (সা.) রমদ্বানের বরকত লাভের দোয়া করতে শুরু করতেন। বিশেষত, রজব মাস এলেই তিনি বলতেন—
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبَ وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শা‘বানা, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দাও এবং আমাদের রমদ্বান পর্যন্ত পৌঁছে দাও। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩৪৬৮)

২. শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা
মহানবী (সা.) শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, “আমি রাসূল (সা.)-কে শাবান মাসের চেয়ে বেশি কোনো মাসে রোজা রাখতে দেখিনি।” (বুখারি, হাদিস: ১৯৬৯)
তবে যারা শাবান মাসের শুরু থেকে নফল রোজা রাখতেন না, তাদের জন্য শেষের দিকে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন, যেন তারা রমদ্বানের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারে।

৩. শাবানের শেষে চাঁদ দেখা
প্রতি আরবি মাস শুরুর আগে রাসূল (সা.) চাঁদ দেখার প্রতি গুরুত্ব দিতেন। তিনি সাহাবিদের চাঁদ দেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপনের নির্দেশ দিতেন।
নতুন চাঁদ দেখলে তিনি এই দোয়াটি পড়তেন—
اللّهُّمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ رَبِّيْ وِرَبُّكَ الله
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল য়ুমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! এ চাঁদকে ঈমান, নিরাপত্তা, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আমার ও তোমাদের রব আল্লাহ। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫২৬)

৪. রমদ্বানের ফজিলত ও গুরুত্ব আলোচনা
শাবান মাসে মহানবী (সা.) সাহাবাদের রমদ্বানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতেন। তিনি বলতেন, “তোমাদের কাছে বরকতময় রমদ্বান এসেছে। আল্লাহ তায়ালা তার সিয়ামকে তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, শয়তানকে আবদ্ধ করা হয়, আর এতে রয়েছে এমন একটি রাত, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে এ মাসের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতার্থেই বঞ্চিত হলো।” (সুনানে নাসায়ি)

৫. আত্মিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নেওয়া
রমদ্বানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মহানবী (সা.) ইবাদতের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতেন। তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও অধিক পরিমাণ দু’আ এবং যিকিরের মাধ্যমে আত্মিক শক্তি অর্জন করতেন।
শারীরিকভাবে প্রস্তুতির জন্য শাবান মাসে রোজার অভ্যাস গড়ে তুলতেন, যাতে রমদ্বানে পূর্ণ উদ্যমে ইবাদত করা সম্ভব হয়।

৬. পরিবার ও সমাজকে প্রস্তুত করা

রাসূল (সা.) তার পরিবার ও সাহাবিদের রমদ্বানের জন্য প্রস্তুত করতেন। তিনি তাদেরকে কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া, সদকা ও অন্যান্য ইবাদতের প্রতি উৎসাহিত করতেন।
তিনি বিশেষত শিশুদের রোজা রাখার প্রতি আগ্রহী করতেন এবং ছোটদের ধীরে ধীরে রোজার প্রতি অভ্যস্ত করার উপদেশ দিতেন।

মহানবী (সা.) আমাদের জন্য রমজানের প্রস্তুতির অনন্য আদর্শ রেখে গেছেন। তিনি রজব থেকে প্রস্তুতি শুরু করতেন, শাবানে নফল রোজার মাধ্যমে অভ্যাস গড়ে তুলতেন, রমজানের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করতেন এবং তার পরিবার ও সাহাবিদের আত্মিকভাবে তৈরি করতেন।
আমাদেরও উচিত মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী আগে থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া, যেন আমরা এই পবিত্র মাসের সর্বোচ্চ বরকত লাভ করতে পারি।

 

বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা: ২০২৪ সালের জরিপে উদ্বেগজনক চিত্র

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) যৌথভাবে পরিচালিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০২৪’–এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়, যেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।

জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৭০ শতাংশ নারী তাঁদের জীবদ্দশায় অন্তত একবার হলেও শারীরিক, যৌন, মানসিক বা অর্থনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই এই হার ছিল ৪৯ শতাংশ। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, নারীরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হন নিজের স্বামী বা জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে। নন-পার্টনার সহিংসতার তুলনায় স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতার হার অনেক বেশি, যা নারীদের নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা আরও গভীরভাবে প্রকাশ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ওপর সহিংসতার হার বিগত বছরগুলোর তুলনায় খুব একটা কমেনি। ২০১৫ সালের জরিপে জীবদ্দশায় সহিংসতার হার ছিল ৭৩ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে সামান্য কমে ৭০ শতাংশ হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ১২ মাসের হিসেবে এই হার ৪১ শতাংশ, যা এখনো যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষ করে শারীরিক সহিংসতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নারীরা স্বামীর কাছ থেকে তিনগুণ বেশি নির্যাতনের শিকার হন, আর যৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা ১৪ গুণ বেশি।

এছাড়া, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি সহিংসতার শিকার হন। গবেষণায় উঠে এসেছে, এইসব এলাকার নারীরা তাঁদের জীবদ্দশায় এবং সাম্প্রতিক ১২ মাসে অদুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীদের তুলনায় বেশি মাত্রায় সহিংসতার সম্মুখীন হন। অর্থাৎ, পরিবেশগত ও আর্থসামাজিক কারণ নারীদের প্রতি সহিংসতার মাত্রাকে আরও তীব্র করে তোলে।

এই জরিপে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, তা হলো—নারীদের ৬৪ শতাংশ তাঁদের ওপর হওয়া সহিংসতার কথা কাউকে বলেন না। পারিবারিক সুনাম রক্ষা করা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ এবং সমাজে সহিংসতাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি এর মূল কারণ। অনেক নারী মনে করেন, সহিংসতার শিকার হওয়ার পরও চুপ থাকা তাঁদের জন্য নিরাপদ, কারণ বিচারপ্রক্রিয়ায় জটিলতা ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া তাঁদের পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তোলে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব আলেয়া আক্তার। এছাড়া ইউএনএফপিএর ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে এবং অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পবকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এই জরিপ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৭,৪৭৬ জন নারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। এতে শহর, গ্রাম, দুর্যোগপ্রবণ এলাকা এবং বস্তির নারীদের অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পুরো দেশের পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
জরিপের ফলাফল স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে, নারীর প্রতি সহিংসতা এখনো বাংলাদেশে একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা। এটি মোকাবিলার জন্য আইন ও নীতির কার্যকর বাস্তবায়ন, নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে। তা না হলে, নারীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করতে বাধ্য হবেন, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকেও ব্যাহত করবে।

তথ্যসুত্রঃপ্রথম আলো