banner

রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫ ইং, ,

Monthly Archives: March 2025

 

রমদ্বানে স্তন্যদানকারী মায়েদের করণীয়

 

রমদ্বানের রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। তবে ইসলামে মা ও শিশুর সুস্থতার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য রোজার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় রয়েছে।

স্তন্যদানকারী মায়ের রোজার বিধান
যদি কোনো মা রোজা রাখার কারণে নিজের বা সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতিতে পড়েন, তাহলে তার জন্য রোজা না রাখা বৈধ। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:
“আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, কঠিন করতে চান না।” (সূরা বাকারা: ১৮৫)
এই আয়াতের ভিত্তিতে ইসলাম বিশেষ পরিস্থিতিতে রোজার বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে।
হাদিসেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের জন্য অর্ধেক নামাজ ও রোজা মাফ করে দিয়েছেন এবং অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্যও রোজা মাফ করে দিয়েছেন।” (তিরমিজি: ৭১৫, ইবনে মাজাহ: ১৬৬৭)

রোজা না রাখলে করণীয়
যদি কোনো মা রোজা রাখতে অক্ষম হন, তাহলে পরে সেই রোজাগুলোর কাজা আদায় করতে হবে। তবে কিছু আলেমের মতে, কাজার পরিবর্তে দরিদ্রদের খাওয়ানোও গ্রহণযোগ্য হতে পারে, বিশেষত যদি দীর্ঘ মেয়াদে কাজা রাখা কঠিন হয়।

রমদ্বানে স্তন্যদানকারী মায়ের করণীয়
১.পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার: সেহরি ও ইফতারে প্রোটিন, শাকসবজি, ফলমূল ও পানীয় গ্রহণ করুন।

২.শরীরের অবস্থা বোঝা: যদি রোজার কারণে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয় বা দুধের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে আল্লাহর দেওয়া সুবিধা গ্রহণ করুন।

৩.বিশেষজ্ঞ পরামর্শ: ডাক্তার বা ইসলামি আলেমের পরামর্শ নিন।

ইসলাম সহজ দ্বীন। তাই মা ও শিশুর সুস্থতা রক্ষায় ইসলাম প্রদত্ত সুবিধা গ্রহণ করা উচিত।

 

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র: হোমাইরা জাহান সনম

 

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় এক অনন্য নাম হোমাইরা জাহান সনম। প্রতিকূল পরিবেশ, সামাজিক বাধা ও নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে তিনি আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৃষি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে তিনি হয়েছেন গর্বিত এক বাংলাদেশি। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউশনসে (এপিএএআরআই) টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন।

সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার প্রত্যন্ত এক হাওরবেষ্টিত গ্রাম বড়ই-এ জন্ম হোমাইরা জাহান সনমের। গ্রামের সাধারণ মেয়েদের মতো তিনিও নানা সামাজিক ও পারিবারিক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন। প্রতিদিন তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হতো তাঁকে। কিন্তু এসব বাধা তাঁকে থামিয়ে রাখতে পারেনি।
শৈশবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন হোমাইরা, কিন্তু সামাজিক বাস্তবতা তাঁকে সেই পথ থেকে সরে আসতে বাধ্য করে। তবে তিনি স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কৃষি বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। পরে কীটতত্ত্ব (এনটোমোলজি) বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

স্নাতকোত্তর শেষ করার পর হোমাইরা কিছুদিন পারিবারিক দায়িত্ব পালন করেন। এরপর কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা সেন্টার ফর অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োসায়েন্সেস ইন্টারন্যাশনাল (CABI)-এ প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে যোগ দেন। মাত্র এক বছরের মধ্যেই তাঁর কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠা ও গবেষণার প্রতি একাগ্রতার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে সুনাম অর্জন করেন।
২০২৪ সালে তিনি এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউশনসে (এপিএএআরআই) টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন, যা ছিল বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত।

বর্তমানে এপিএএআরআই-তে হোমাইরা জাহান সনম কৃষি গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। তাঁর গবেষণার মূল বিষয়গুলো হলো-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা,প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা,কৃষি বাণিজ্যে স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি মান নিশ্চিতকরণ।

কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে তাঁর গবেষণা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

হোমাইরা চান, বাংলাদেশের কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে। প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে তিনি কাজ করছেন। তার স্বপ্ন, দেশের কৃষকদের জন্য সহজ ও কার্যকর কৃষি প্রযুক্তি নিশ্চিত করা, যাতে কৃষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন এবং উৎপাদন বাড়াতে পারেন।

হোমাইরা জাহান সনমের জীবনগল্প প্রমাণ করে, দৃঢ় সংকল্প ও কঠোর পরিশ্রম মানুষকে যেকোনো সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে পারে। তাঁর পথচলা বাংলাদেশের তরুণদের, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার এক উজ্জ্বল মুখ, হোমাইরা জাহান সনম—যিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান, আর এগিয়ে চলেন নতুন সম্ভাবনার পথে।

তথ্যসুত্র – the daily star

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫: সমতা, অধিকার ও ক্ষমতায়নের প্রতীক

 

নারী–পুরুষের সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day) একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রতি বছর ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়, যার মূল উদ্দেশ্য নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং সমাজে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। নারীরা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখলেও, আজও তারা নানা বাধা ও বৈষম্যের সম্মুখীন হন। তাই, এই দিনটি শুধুমাত্র উদযাপনের জন্য নয়, বরং এটি একটি আন্দোলন, যা নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস
১৯০৮: নিউইয়র্কে প্রায় ১৫,০০০ নারী ভোটাধিকার, কর্মক্ষেত্রে ন্যায্য সুযোগ এবং লিঙ্গবৈষম্যের অবসানের দাবিতে আন্দোলন করেন।

১৯০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় নারী দিবস’ (National Women’s Day) পালিত হয়।

১৯১০: ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী সম্মেলনে (International Socialist Women’s Conference) জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন (Clara Zetkin) আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

১৯১১: প্রথমবারের মতো অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়।

১৯১৩-১৪: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, রাশিয়ার নারীরা ২৩ ফেব্রুয়ারি (বর্তমানে ৮ মার্চ) প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেন।

১৯৭৫: জাতিসংঘ (United Nations) আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় এবং এটি ‘নারীর অধিকার ও আন্তর্জাতিক শান্তির দিন’ (Day for Women’s Rights and International Peace) হিসেবে ঘোষণা করে।

১৯৯৬: জাতিসংঘ প্রথমবারের মতো নারী দিবসের জন্য একটি বার্ষিক প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে— “Celebrating the Past, Planning for the Future” (অতীতকে উদযাপন, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা)।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য
নারীরা সমাজের অন্যতম চালিকাশক্তি হলেও, এখনও তারা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, নেতৃত্ব এবং আইনগত অধিকারের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের মূল কারণগুলো হলো—

লিঙ্গসমতা (Gender Equality)
★কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।

★নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অধিকতর সম্পৃক্ত করা।

নারীর ক্ষমতায়ন (Women’s Empowerment)
★শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রযুক্তিতে নারীদের সম্পৃক্ত করা।

★অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

নারী সহিংসতা প্রতিরোধ (Ending Violence Against Women)

★পারিবারিক ও সামাজিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।

★নারীদের প্রতি সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ (Leadership & Participation)
★নারীদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা।

★নারীদের মতামত ও কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দেওয়া।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য
প্রতি বছর জাতিসংঘ নারী দিবসের জন্য একটি বিশেষ থিম নির্ধারণ করে। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য হলো—

“For ALL women and girls: Rights. Equality. Empowerment.”
(সমস্ত নারীদের জন্য: অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়ন।)
এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে বিশ্বের সব নারী ও কন্যার জন্য সমান অধিকার, ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নারী দিবস উদযাপন কিভাবে করা হয়?
প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে নারী দিবস নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়—

★ নারীর অর্জন ও সাফল্যের স্বীকৃতি প্রদান।
★ নারী অধিকার বিষয়ে কর্মশালা, সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন।
★ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রচারণা।
★নারীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি।
★কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য নীতি প্রণয়ন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস শুধুমাত্র উদযাপনের জন্য নয়, এটি একটি সচেতনতা ও সামাজিক পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন।
নারীদের প্রতি সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান সুযোগ তৈরি করা সময়ের দাবি। শুধুমাত্র নারীদের ক্ষমতায়ন নয়, বরং নারীদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমেই সত্যিকার অর্থে উন্নত ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

 

গাজীপুরে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি মাসের ১৮তারিখ মঙ্গলবার গাজীপুর শহরের আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) কনফারেন্স রুমে এ সভার আয়োজন করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় পরিচালিত ব্র্যাকের “অগ্নি প্রকল্প”-এর আওতায় যৌথভাবে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়।

সভায় প্রকল্পের সমন্বয়কারী আসমা খানম রুবা স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন জেলা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান। আলোচনায় বক্তারা নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তারা জানান, “অগ্নি প্রকল্প”-এর মাধ্যমে পরিবহন, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৪টি সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সভায় উপস্থাপিত পরিসংখ্যানে জানানো হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর জেলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৩ জন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৪ জন, অনলাইনে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩১ জন, বাল্যবিবাহ হয়েছে ৫৫টি এবং অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১২টি। আলোচকরা এসব তথ্য তুলে ধরে বলেন, সমাজে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে শুধুমাত্র আইনের কঠোর প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, বরং মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৭৮ জন ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৪২ জনকে প্রাথমিক কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হয়েছে, ৭৯ জনকে আইনি সহায়তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ৮ জন চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।

বক্তারা উল্লেখ করেন, নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও কার্যকর প্রয়োগ জরুরি।

সভায় প্রকল্প সমন্বয়কারী আসমা খানম রুবা বলেন “নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে গণমাধ্যম কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।”

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নৈতিকতার গুরুত্বারোপ করেন এবং এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। বক্তারা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান, যাতে সমাজে নারীরা নিরাপদ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।

 

বই রিভিউ: Revive Your Heart – Nouman Ali Khan

 

এটি একটি ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক বই, যেখানে লেখক আধুনিক জীবনের চ্যালেঞ্জের মুখে একজন মুসলিম কীভাবে কোরআনের শিক্ষা থেকে শক্তি ও দিকনির্দেশনা নিতে পারে, তা ব্যাখ্যা করেছেন।
যারা মানসিক প্রশান্তি খুঁজছেন, আত্মউন্নয়ন চান, অথবা ইসলামের গভীর দর্শনকে সহজভাবে বুঝতে চান, তাদের জন্য এটি দারুণ একটি বই। উস্তাদ নোমান আলী খান খুবই সহজ ভাষায় গভীর বিষয় ব্যাখ্যা করেন, যা নতুনদের জন্যও সহজবোধ্য।

বইটি মোট পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত, এবং প্রতিটি অধ্যায়েই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রথম অধ্যায়ে দুআ বা আল্লাহর সাথে যোগাযোগের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলা হয়েছে। লেখক বলছেন, আমরা শুধু বিপদে পড়লেই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, কিন্তু তখন যদি দোয়া কবুল না হয়, তখন অনেকেই মনে করেন যে আল্লাহ তাদের দোয়া শোনেন না। তবে, এই অধ্যায়ে শেখানো হয়েছে কিভাবে আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন এবং দোয়ার বিপরীতে কিছু হলেও সেটা যে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরিক্ষা, তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় অধ্যায় একটি সক্রিয় মুসলিম কমিউনিটি গড়ে তোলার বিষয়ে। লেখক মুসলিম সমাজের বিভক্তির দিকে নজর দিয়েছেন এবং দেখিয়েছেন কিভাবে আমাদের মধ্যে অন্যের প্রতি অতিরিক্ত ধারণা ও বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়, যা আমাদের ঐক্যের শক্তি ও একতা কমিয়ে দেয়। এটি সমাজের জন্য একটি বড় ক্ষতি, যা আমাদের ঈমানের পরিপূর্ণতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

তৃতীয় অধ্যায় আর্থিক লেনদেন নিয়ে। এখানে লেখক আমাদেরকে সতর্ক করেছেন, কিভাবে ছোটখাটো আর্থিক লেনদেনের কারণে আমাদের চরিত্র ও শান্তি বিপর্যস্ত হতে পারে। অর্থের প্রতি আমাদের মনোভাব কেমন হতে পারে এবং অর্থের প্রভাবে কিভাবে জীবন বদলে যেতে পারে, তা তিনি তুলে ধরেছেন।

এছাড়া, বইটির প্রচ্ছদ ও অনুবাদ বেশ ভালো, সহজ এবং সাবলীল ভাষায় লেখা, যা পাঠককে বইটির প্রতিটি অধ্যায়ের সাথে সহজে সম্পর্ক স্থাপন করতে সাহায্য করে।

সার্বিকভাবে, Revive Your Heart একটি দারুণ অনুপ্রেরণামূলক বই, যা প্রতিটি মুসলিমের জীবনে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও সম্পর্ক আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে।যাপিত জীবনে শান্তি, ঈমান এবং দৃঢ় বিশ্বাস অর্জন করতে চাইলে এই বইটি একবার হলেও পড়া উচিত।

 

রমদ্বানের প্রস্তুতি: মহানবী (সা.)-এর নীতি ও শিক্ষা

 

রমদ্বান মাস ইসলামের পবিত্রতম মাস, আর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এ মাসের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিতেন। তিনি শুধু রমদ্বান শুরু হলে আমল বাড়াতেন না, বরং রজব ও শাবান মাস থেকেই রমদ্বানের জন্য শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। এখানে আমরা মহানবী (সা.)-এর রমদ্বানের প্রস্তুতি গ্রহণের পদ্ধতি তুলে ধরছি।

১. রজব মাস থেকেই প্রস্তুতি শুরু
ছয় মাস আগেই মহানবী (সা.) রমদ্বানের বরকত লাভের দোয়া করতে শুরু করতেন। বিশেষত, রজব মাস এলেই তিনি বলতেন—
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبَ وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শা‘বানা, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দাও এবং আমাদের রমদ্বান পর্যন্ত পৌঁছে দাও। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩৪৬৮)

২. শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা
মহানবী (সা.) শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, “আমি রাসূল (সা.)-কে শাবান মাসের চেয়ে বেশি কোনো মাসে রোজা রাখতে দেখিনি।” (বুখারি, হাদিস: ১৯৬৯)
তবে যারা শাবান মাসের শুরু থেকে নফল রোজা রাখতেন না, তাদের জন্য শেষের দিকে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন, যেন তারা রমদ্বানের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারে।

৩. শাবানের শেষে চাঁদ দেখা
প্রতি আরবি মাস শুরুর আগে রাসূল (সা.) চাঁদ দেখার প্রতি গুরুত্ব দিতেন। তিনি সাহাবিদের চাঁদ দেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপনের নির্দেশ দিতেন।
নতুন চাঁদ দেখলে তিনি এই দোয়াটি পড়তেন—
اللّهُّمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ رَبِّيْ وِرَبُّكَ الله
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল য়ুমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম; রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! এ চাঁদকে ঈমান, নিরাপত্তা, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন। আমার ও তোমাদের রব আল্লাহ। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫২৬)

৪. রমদ্বানের ফজিলত ও গুরুত্ব আলোচনা
শাবান মাসে মহানবী (সা.) সাহাবাদের রমদ্বানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতেন। তিনি বলতেন, “তোমাদের কাছে বরকতময় রমদ্বান এসেছে। আল্লাহ তায়ালা তার সিয়ামকে তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। এ মাসে আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, শয়তানকে আবদ্ধ করা হয়, আর এতে রয়েছে এমন একটি রাত, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে এ মাসের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে প্রকৃতার্থেই বঞ্চিত হলো।” (সুনানে নাসায়ি)

৫. আত্মিক ও শারীরিক প্রস্তুতি নেওয়া
রমদ্বানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মহানবী (সা.) ইবাদতের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতেন। তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও অধিক পরিমাণ দু’আ এবং যিকিরের মাধ্যমে আত্মিক শক্তি অর্জন করতেন।
শারীরিকভাবে প্রস্তুতির জন্য শাবান মাসে রোজার অভ্যাস গড়ে তুলতেন, যাতে রমদ্বানে পূর্ণ উদ্যমে ইবাদত করা সম্ভব হয়।

৬. পরিবার ও সমাজকে প্রস্তুত করা

রাসূল (সা.) তার পরিবার ও সাহাবিদের রমদ্বানের জন্য প্রস্তুত করতেন। তিনি তাদেরকে কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া, সদকা ও অন্যান্য ইবাদতের প্রতি উৎসাহিত করতেন।
তিনি বিশেষত শিশুদের রোজা রাখার প্রতি আগ্রহী করতেন এবং ছোটদের ধীরে ধীরে রোজার প্রতি অভ্যস্ত করার উপদেশ দিতেন।

মহানবী (সা.) আমাদের জন্য রমজানের প্রস্তুতির অনন্য আদর্শ রেখে গেছেন। তিনি রজব থেকে প্রস্তুতি শুরু করতেন, শাবানে নফল রোজার মাধ্যমে অভ্যাস গড়ে তুলতেন, রমজানের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করতেন এবং তার পরিবার ও সাহাবিদের আত্মিকভাবে তৈরি করতেন।
আমাদেরও উচিত মহানবী (সা.)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী আগে থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া, যেন আমরা এই পবিত্র মাসের সর্বোচ্চ বরকত লাভ করতে পারি।

 

বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা: ২০২৪ সালের জরিপে উদ্বেগজনক চিত্র

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) যৌথভাবে পরিচালিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০২৪’–এর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়, যেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।

জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৭০ শতাংশ নারী তাঁদের জীবদ্দশায় অন্তত একবার হলেও শারীরিক, যৌন, মানসিক বা অর্থনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই এই হার ছিল ৪৯ শতাংশ। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, নারীরা সবচেয়ে বেশি সহিংসতার শিকার হন নিজের স্বামী বা জীবনসঙ্গীর মাধ্যমে। নন-পার্টনার সহিংসতার তুলনায় স্বামীর মাধ্যমে সহিংসতার হার অনেক বেশি, যা নারীদের নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা আরও গভীরভাবে প্রকাশ করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের ওপর সহিংসতার হার বিগত বছরগুলোর তুলনায় খুব একটা কমেনি। ২০১৫ সালের জরিপে জীবদ্দশায় সহিংসতার হার ছিল ৭৩ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে সামান্য কমে ৭০ শতাংশ হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ১২ মাসের হিসেবে এই হার ৪১ শতাংশ, যা এখনো যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষ করে শারীরিক সহিংসতার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নারীরা স্বামীর কাছ থেকে তিনগুণ বেশি নির্যাতনের শিকার হন, আর যৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা ১৪ গুণ বেশি।

এছাড়া, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি সহিংসতার শিকার হন। গবেষণায় উঠে এসেছে, এইসব এলাকার নারীরা তাঁদের জীবদ্দশায় এবং সাম্প্রতিক ১২ মাসে অদুর্যোগপ্রবণ এলাকার নারীদের তুলনায় বেশি মাত্রায় সহিংসতার সম্মুখীন হন। অর্থাৎ, পরিবেশগত ও আর্থসামাজিক কারণ নারীদের প্রতি সহিংসতার মাত্রাকে আরও তীব্র করে তোলে।

এই জরিপে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, তা হলো—নারীদের ৬৪ শতাংশ তাঁদের ওপর হওয়া সহিংসতার কথা কাউকে বলেন না। পারিবারিক সুনাম রক্ষা করা, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ এবং সমাজে সহিংসতাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি এর মূল কারণ। অনেক নারী মনে করেন, সহিংসতার শিকার হওয়ার পরও চুপ থাকা তাঁদের জন্য নিরাপদ, কারণ বিচারপ্রক্রিয়ায় জটিলতা ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া তাঁদের পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তোলে।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব আলেয়া আক্তার। এছাড়া ইউএনএফপিএর ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে এবং অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিনটন পবকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এই জরিপ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৭,৪৭৬ জন নারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। এতে শহর, গ্রাম, দুর্যোগপ্রবণ এলাকা এবং বস্তির নারীদের অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পুরো দেশের পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
জরিপের ফলাফল স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে, নারীর প্রতি সহিংসতা এখনো বাংলাদেশে একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা। এটি মোকাবিলার জন্য আইন ও নীতির কার্যকর বাস্তবায়ন, নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করতে হবে। তা না হলে, নারীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করতে বাধ্য হবেন, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকেও ব্যাহত করবে।

তথ্যসুত্রঃপ্রথম আলো