banner

রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: March 9, 2025

 

শিল্পী নাজমুন নাহার রহমানের একক চিত্র প্রদর্শনী

 

শিল্পী নাজমুন নাহার রহমানের একক চিত্র প্রদর্শনী ‘প্রবাহমান দৃষ্টিভঙ্গি’ শুরু হয়েছে রাজধানীর ধানমন্ডির সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার বিকেল ৫টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই প্রদর্শনী,চলমান ছিল ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ছিল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারাক আলভী, অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চিত্র সমালোচক আইয়ুব ভূঁইয়া। উদ্বোধনী আয়োজনে অতিথিরা নাজমুন নাহার রহমানের শিল্পকর্মের প্রশংসা করেন এবং তাঁর চিত্রকলার বৈচিত্র্য ও গভীরতা নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রদর্শনীতে শিল্পীর ২৩টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে, যেখানে রং, আকৃতি ও বিমূর্ত ধারার অনন্য সংমিশ্রণ দেখা যাচ্ছে। নাজমুন নাহার তাঁর শিল্পকর্মে বাস্তবতা ও কল্পনার এক অপূর্ব মিশ্রণ ঘটিয়েছেন, যা দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। তাঁর চিত্রকর্মগুলোতে আধুনিক বিমূর্ত শিল্পের প্রভাব স্পষ্ট, যা ভিন্নমাত্রার শৈল্পিক অভিজ্ঞতা দিচ্ছে দর্শকদের।

নাজমুন নাহার রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান, ভারত ও নেপালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গ্রুপ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন এবং ফ্রান্স, ভারত ও নেপালে নানা পুরস্কার অর্জন করেছেন। তবে এটি তাঁর প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী, যা তাঁর শিল্পীসত্তার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।

প্রদর্শনীতে আসা দর্শনার্থীরা শিল্পীর সৃষ্টিশীল কাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। অনেকে তাঁর চিত্রকর্মকে সময় ও সমাজের বহুমাত্রিক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন। শিল্প সমালোচকদের মতে, নাজমুন নাহারের কাজে জীবনের গভীরতা, অনুভূতির সূক্ষ্মতা ও নান্দনিক সৌন্দর্যের চমৎকার প্রকাশ ঘটেছে।

 

রিমান্ডের নামে ভয়াবহ নির্যাতনের স্বীকার ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা

 

ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার অপরাধ কী ছিল? তিনি হেফাজত নেতাদের পক্ষে আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের জামিনের জন্য লড়েছিলেন। কিন্তু এই আইনসঙ্গত কাজই তার জীবনে এক ভয়াবহ বিভীষিকা নিয়ে আসে। তাকে জঙ্গি বানিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়, চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়, রিমান্ডে নিয়ে চলতে থাকে অবর্ণনীয় শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন।

২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট। রাতের অন্ধকারে ধানমন্ডিতে শাকিলা ফারজানার বাসায় প্রায় ২০০ জন র‍্যাব সদস্য হানা দেয়। কোনো প্রশ্ন, কোনো পরোয়ানা ছাড়াই তাকে জানানো হয়—”আপনাকে জঙ্গি অর্থায়নের মামলায় গ্রেপ্তার করা হলো।” এই ঘোষণার পরপরই তার চোখ বেঁধে ফেলা হয়, তুলে নেওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে।
তিনি তখনো বুঝতে পারছিলেন না, আসলে কী ঘটছে। কিছুক্ষণ পর তাকে একটি ছোট ঘরে ঢোকানো হয়। সেই ঘর থেকে ভেসে আসছিল বিদ্যুতের শকের শব্দ। তীব্র সেই শব্দে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়।
এরপর শুরু হয় ভয়াবহ মারধর। কেউ একজন তার সামনে দাঁড়িয়ে বলে, “তোর ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড দে!” আতঙ্কিত শাকিলা তখন কিছুই মনে করতে পারছিলেন না। কিন্তু তারা থামেনি। অকথ্য গালাগালির সঙ্গে চলতে থাকে চড়, থাপ্পড়, লাথি। পাশে থেকে ভেসে আসছিল তার সহকারী আইনজীবী লিটনের চিৎকার। তাকেও ধরে এনেছিল তারা।

অমানবিক নির্যাতনের পর তাকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। গাড়ি চলতে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিছু সময় পর ওয়্যারলেসে এক কর্মকর্তা বলেন, “স্যার, আমরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সামনে। অপারেশনে যাব?”
এই কথা শুনেই শাকিলার মনে হয়েছিল, এবার বোধহয় সব শেষ। তাকে গুলি করে হত্যা করে ‘জঙ্গি’ হিসেবে চালিয়ে দেবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর গাড়ি আবার চলতে শুরু করে, গন্তব্য পতেঙ্গায় র‍্যাব-৭ সদর দফতর।
সেখানে পৌঁছানোর পর তার চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। এরপর তাকে বলা হয়, “সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছে। আমরা যা বলব, তাই বলবেন।” অর্থাৎ, পুরো ঘটনাটি মিডিয়ার সামনে সাজানো হবে।

শাকিলাকে প্রথমে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারপর আরও দুদিন রিমান্ডে রেখে চলতে থাকে অকথ্য নির্যাতন। রিমান্ডের প্রথম দিনই তার ওপর চলে পাশবিক অত্যাচার। একজন কর্মকর্তা, যিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদের নামে তার মুখের সামনে এসে মদের গন্ধ ছাড়ছিলেন, সঙ্গে চলছিল অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি ও লাথি।
তিনি পরে জানতে পারেন, এই কর্মকর্তা আর কেউ নন, সাবেক সেনাকর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।
এমনকি তাকে ভয় দেখানো হয়, “তোমার বড় ছেলেকে ধরে এনে জঙ্গি বানিয়ে দেব।” সেই মুহূর্তে শাকিলা কান্নায় ভেঙে পড়েন। চিৎকার করে বলেন, “ওর দিকে হাত না বাড়িয়ে আমাকে মেরে ফেলুন।”

কারাগারে পাঠানোর পরও তার নির্যাতন থামেনি। সেখানে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করার জন্য প্রতিদিন তিন ঘণ্টা লোহার গারদের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো।
একদিন তিনি দেখেন, জেলগেটের বাইরে তার মা দাঁড়িয়ে আছেন। পরে জানতে পারেন তার মা প্রতিদিন জেলগেটে এসে দাঁড়িয়ে থাকতেন, মেয়েকে একবার দেখার আশায়।
কারাগারে মাঝেমধ্যে গভীর রাতে ঘুম ভেঙে দেখতেন, তার পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। এক নারী অবয়বের কেউ সামনে ব্লেড নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল, যেন যে কোনো মুহূর্তে আঘাত করবে। ভয়ে শাকিলা চিৎকার করে উঠতেন।

মুক্তি পেলেও স্মৃতি আজও তাড়া করে ফেরে
প্রায় ১০ মাস বন্দি থাকার পর ২০১৬ সালের ৫ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তাকে জামিন দেয়। তিনি মুক্তি পান, কিন্তু তার জীবন থেকে হারিয়ে যায় মূল্যবান সময়, হারিয়ে যায় স্বাভাবিকতা।
শাকিলা ফারজানার বাবা এই মানসিক ধাক্কা সহ্য করতে পারেননি। মেয়ের ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার কষ্টে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।
আজও শাকিলা ফারজানা সেই বিভীষিকাময় রাতগুলোর কথা মনে করলে শিউরে ওঠেন। তিনি শুধু একজন আইনজীবী ছিলেন, যিনি বিচার বিভাগের নিয়ম মেনে জামিন করিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র তাকে ‘জঙ্গি’ বানিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকারে পরিণত করে।

এই নির্মমতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে তো? নাকি ঘটে যাওয়া এই অন্যায় বিচারহীনতাই থেকে যাবে আমাদের সমাজের চিরস্থায়ী বাস্তবতা হিসেবে?

 

বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত থাকবে: বাংলা একাডেমি

 

অমর একুশে বইমেলায় নারী ও শিশুদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলা একাডেমি। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমি এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বইমেলার ওয়াশরুমের পাশে নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করা হবে।

শুরুতে এই উদ্যোগটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ড্রিমার ডংকি পরিচালনা করছিল, যারা স্পন্সরের সহায়তায় কাজ করছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি অনুমতি না নিয়ে বইমেলার বিভিন্ন জায়গায় অন্যান্য পণ্য বিক্রি করছিল, যা মেলার নিয়মের পরিপন্থী। ফলে কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

বাংলা একাডেমি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের বিষয়ে কোনো সংকোচ পোষণ করে না এবং নারীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্য বইমেলার নীতিমালার আওতায় বিনামূল্যে ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত থাকবে। অতীতেও বইমেলায় বিভিন্ন জরুরি উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে এবং এবারও সেই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
এদিকে, ‘স্টে সেইফ’ ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রদর্শনী ও বিক্রি বন্ধ করার ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম-এর সুপারিশে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে তাদের স্টল বন্ধ করতে বলা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে সমস্যা ছাড়া কার্যক্রম চালালেও, পরে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আপত্তি আসতে শুরু করে।

এ বিষয়ে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় এবং এটি নিয়ে বইমেলায় বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া দুঃখজনক। সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেখানে নারী স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কাজ করছে, সেখানে বইমেলায় এটি নিয়ে আলোচনা হওয়াটা হতাশাজনক। তবে বাংলা একাডেমির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, নারীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাধা তৈরি হওয়া উচিত নয়। বাংলা একাডেমি নিশ্চিত করেছে, বইমেলায় নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ব্যবস্থা আরও সুসংগঠিত হবে।

 

‘অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৪’ পেলেন ঢাকা বিভাগের পাঁচ সংগ্রামী নারী

 

আত্মশক্তির প্রতীক হয়ে সমাজে পরিবর্তন এনে দেওয়া ঢাকা বিভাগের পাঁচজন সংগ্রামী নারী পেয়েছেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৪’। রাজধানীর দোয়েল চত্বরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এই বছর অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে রাজবাড়ির স্বপ্না রানী ঘোষ, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের মাসুদা আক্তার, সফল জননী ক্যাটাগরিতে কিশোরগঞ্জের সেলিনা মজিদ, নির্যাতনের বিভীষিকা কাটিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করায় ফরিদপুরের লিপি বেগম এবং সমাজ উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য ফরিদপুরের সামর্তবান এই পুরস্কারে ভূষিত হন। প্রতিটি পুরস্কারপ্রাপ্ত নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার ৫৮ জন নারী এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, যাঁদের মধ্য থেকে নির্বাচিত পাঁচজনকে চূড়ান্তভাবে ‘অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৪’ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ নারীদের অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন ‘আমরা নারীর অসহায়ত্বের গল্প বেশি বলি, কিন্তু আমাদের ইতিহাসে নারীর বীরত্বের অসংখ্য উদাহরণ আছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নারীরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, অথচ তাঁদের অবদান অনেক সময় উপেক্ষিত থেকে যায়। আমাদের উচিত এই বীর নারীদের স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাঁদের গল্পগুলো সংরক্ষণ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনীতি, কৃষি ও পরিবার প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। গৃহস্থালি কাজে একজন নারী প্রতিদিন প্রায় ১৮ ঘণ্টা ব্যয় করেন, অথচ সেই শ্রমের কোনো স্বীকৃতি নেই। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে এবং নারীদের অবদান যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।’
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ চব্বিশের অভ্যুত্থানে নারীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন ‘জুলাইয়ের আন্দোলনে প্রথম সারিতে থাকা নারীদের নাম আমরা কি মনে রেখেছি? চব্বিশের আন্দোলনে শহীদ হওয়া ১১ জন নারীর কথা কি আমরা বলি? আমাদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে ইতিহাসের ন্যায়সংগত স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খানসহ আরও অনেকে।
বক্তারা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা ও সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
নারীদের সংগ্রাম, সাহস ও সাফল্যের স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে সমাজকে আরও এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।