banner

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: April 24, 2025

 

এক মাসে ২০৫ নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার

 

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ২০৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মাসিক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপ অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৭ জন নারী, যার মধ্যে ৪২ জন কন্যাশিশু। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২০ জন, যাঁদের মধ্যে ১৪ জন কন্যা। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১ জন, যাঁদের মধ্যে দুইজন কন্যা। যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছেন দুজন। নিপীড়নের শিকার হয়েছেন আটজন, যাঁদের মধ্যে চারজন কন্যাশিশু।
এছাড়া, উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন তিনজন (একজন কন্যা), অ্যাসিডদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন দুজন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। দুই গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এর মধ্যে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।
নারী ও কন্যাশিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার আরও কিছু উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে জরিপে। বিভিন্ন কারণে ৪৯ জন (১১ জন কন্যাসহ) হত্যার শিকার হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়েছেন পাঁচজন, তাঁদের মধ্যে তিনজন কন্যাশিশু। অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন আরও সাতজন কন্যা।

এছাড়া সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন দুজন, যাঁদের একজন কন্যা। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে দুটি, আর বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে তিনটি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই পরিস্থিতিকে গভীর উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটি নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনগণকে এ ধরনের অপরাধ রোধে একসঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছে।

তথ্যসূত্র:
বাংলা ট্রিবিউন
আইটিভি বিডি
আজকের পত্রিকা

 

১১ বছর বয়সী সুবার ঘটনা: সামাজিক ও নৈতিক বিশ্লেষণ

 

সম্প্রতি বাংলাদেশের ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া ১১ বছর বয়সী মেয়ে সুবার ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, দুই বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে তার পরিচয় হয় নওগাঁ জেলার এক ছেলের সাথে, যা পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে রূপ নেয়। ঢাকায় অসুস্থ মায়ের সাথে থাকা অবস্থায়, সুবা তার মাকে হাসপাতালে রেখে উক্ত ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে নওগাঁর মধ্যপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে।

এই ঘটনা আমাদের সমাজের বর্তমান নৈতিক ও পারিবারিক অবস্থার একটি বাস্তব প্রতিফলন। বর্তমান ডিজিটাল যুগে টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক মাধ্যম শিশুদের সহজেই প্রভাবিত করছে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও পারিবারিক মূল্যবোধের অভাবের কারণে অনেক কিশোর-কিশোরী অপরিণত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা তাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এদিকে, অনেকেই এই ঘটনার কারণ হিসেবে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণের আইনকে দোষারোপ করছেন। তাদের মতে, যদি বিয়ের বয়স কম হতো, তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। তবে বাস্তবতা হলো- বিয়ে শুধু ভালো চরিত্র গঠনের উপায় নয়; বরং দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য মানসিক ও আর্থিকভাবে প্রস্তুত হওয়াও জরুরি। শুধুমাত্র বিয়েকে সমাধান হিসেবে দেখা হলে, সমাজে আরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।

এই ঘটনার মূল কারণ খুঁজে সমাধানের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। পিতামাতা, শিক্ষক ও সমাজের দায়িত্ব হলো শিশুদের মধ্যে নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার শেখানো, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া এবং শিশুদের আবেগিয় ও মানসিক বিকাশের দিকে নজর দেওয়া।
শুধু বিয়ে নয়, বরং যথাযথ পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধই পারে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে।

 

একুশে পদক পেলো সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল

 

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আরেকটি গৌরবময় অধ্যায় যুক্ত হলো! জাতীয় নারী ফুটবল দল এবছর একুশে পদক ২০২৫-এ ভূষিত হয়েছে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার তাদের এই সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়। মোট ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলও এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে। প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল ২০২২ ও ২০২৪ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
নারী ফুটবলারদের এই সাফল্য দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে।

একুশে পদক বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।
নারী ফুটবল দলের এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য রইলো শুভেচ্ছা!

 

চট্টগ্রামে পাঁচ সংগ্রামী নারী পেলেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার ২০২৪’

সমাজ উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রে সফলতা এবং ব্যক্তিগত সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন নারীকে ‘অদম্য নারী পুরস্কার ২০২৪’ প্রদান করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও চট্টগ্রাম মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরের আইস ফ্যাক্টরি রোডের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান, এবং সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়া উদ্দিন।
সম্মাননা পাওয়া পাঁচজন নারীর প্রত্যেকেই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানিত হয়েছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কামালপাড়া ইউনিয়নের নিগার শারমিন। শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সফলতার স্বীকৃতি পেয়েছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রেহেনা সুলতানা। সফল জননী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার নাইখাইন গ্রামের চেমন আরা বেগম। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পেয়েছেন কক্সবাজার জেলার মোহাজেরপাড়া এলাকার জাহানারা ইসলাম। এছাড়া নির্যাতনের বিভীষিকা কাটিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার জন্য কক্সবাজার সদরের ঘোনার পাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগম সম্মানিত হয়েছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেয়া খান বলেন, “সুবিধাবঞ্চিত অবস্থা থেকে উঠে এসে যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তাদের স্বীকৃতি দিতেই এই আয়োজন। এতে অন্য নারীরাও উৎসাহিত হবেন। আমাদের সমাজে এখনো নারীদের অনেক অবদান স্বীকৃত হয় না, তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। নারীদের এগিয়ে যেতে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়া উদ্দিন বলেন, “সমাজে মানুষে মানুষে বিভাজন আছে। মানসিক বাধা দূর করা দরকার। নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। উন্নত বিশ্বে নারী-পুরুষ কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে। শুধু চাকরি করলেই সফল বা স্বাধীন বলা যাবে না। আপনার নিজের জীবন নিয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই আপনি স্বাধীন।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ কর্মসূচির পরিচালক মনির হোসেন এবং চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার শাকিলা সোলতানা।

এই স্বীকৃতি শুধু পাঁচজন নারীর জন্য নয়, বরং সমস্ত সংগ্রামী নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। নারী উদ্যোক্তা, সমাজকর্মী, চাকরিজীবী, শিক্ষিকা এবং নির্যাতন থেকে ঘুরে দাঁড়ানো নারীদের সম্মানিত করে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ আবারও প্রমাণ করলো—নারীরা যেকোনো প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যেতে সক্ষম।

 

তুরস্কের ক্যালিগ্রাফি শিল্পের নব পথিকৃৎ রুমেয়সা কুরতুলুস

তুরস্কের ক্যালিগ্রাফি দীর্ঘ শতাব্দী ধরে দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রধান অংশ। “শব্দ উড়ে যায়, লেখা থেকে যায়” -এই প্রবাদটি তুরস্কে ক্যালিগ্রাফির স্থায়িত্ব ও গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। একসময় এই শিল্প রাজপ্রাসাদ, মসজিদ এবং পাণ্ডুলিপিকে অলঙ্কৃত করত, কিন্তু আধুনিক যুগে বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল স্ক্রিন ও নিওন সাইনের ভিড়ে এর সৌন্দর্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। তবু কিছু শিল্পী এখনো এই ঐতিহ্যকে জীবন্ত রাখার চেষ্টা করছেন, এবং তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রুমেয়সা জয়নেপ কুরতুলুস।
ইস্তাম্বুলের উস্কুদারে নিজের ক্যালিগ্রাফি স্টুডিও ‘কেবিকেচ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মাত্র ২৬ বছর বয়সেই কুরতুলুস ক্যালিগ্রাফি শিল্পে নতুন জীবন আনতে শুরু করেন। তার কাজ শুধু ব্যক্তিগত শিল্পীসত্তার প্রকাশ নয়, বরং তুরস্কের ঐতিহ্য রক্ষা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এই সংস্কৃতিকে তুলে ধরার মাধ্যম।

তুরস্কের ক্যালিগ্রাফি চর্চার ইতিহাস দীর্ঘ। ১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর এটি আরও সমৃদ্ধ হয়। তবে ১৯২৮ সালে তুরস্কে লাতিন বর্ণমালা চালুর ফলে আরবি ক্যালিগ্রাফির প্রভাব কমতে থাকে, এবং এখান থেকেই আধুনিক তুর্কি ক্যালিগ্রাফির নতুন শাখার জন্ম হয়। এমিন বারিন ছিলেন এই পরিবর্তনের অগ্রদূত। তিনি আরবি ক্যালিগ্রাফির নান্দনিকতাকে লাতিন শৈলীর সঙ্গে একত্রিত করে এক নতুন ধারা তৈরি করেন।

কুরতুলুসও তার ক্যালিগ্রাফি শৈলীতে ঐতিহ্যগত কুফিক স্ক্রিপ্ট, লাতিন ক্যালিগ্রাফি ও আধুনিক ডিজাইনের সমন্বয় ঘটিয়েছেন। বিশেষ করে তার সৃষ্টি ‘শব্দ উড়ে যায়, লেখা থেকে যায়’ এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে তিনি তুরস্কের বর্ণমালা সংস্কারের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তার কাজে আরবি ও লাতিন অক্ষরের অপূর্ব সংমিশ্রণ দেখা যায়, যা কেবল দৃষ্টিনন্দন নয়, বরং ঐতিহাসিক সংযোগও তুলে ধরে।

তার শিল্পীসত্তা শুধু সৃজনশীলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এক দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
কুরতুলুসের আর্কিটেকচারাল শিক্ষার প্রভাব তার কাজে স্পষ্ট -তিনি ক্যালিগ্রাফিকে শুধুই অক্ষরের নকশা হিসেবে দেখেন না, বরং স্থাপত্যশিল্পের মতোই এটি একটি কাঠামোগত উপাদান হিসেবে বিবেচনা করেন। তার মতে, ক্যালিগ্রাফি শুধু শিল্প নয়, এটি একটি সভ্যতার সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতির প্রতিচিত্র।

২০১৭ সালে তার প্রথম প্রদর্শনী ‘রেঞ্জ খোদা’ দর্শকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে। এটি ছিল একটি মাল্টি-সেন্সরি প্রদর্শনী, যেখানে শুধু চোখ নয়, স্পর্শের মাধ্যমেও শিল্পকর্ম অনুভব করা যেত। বিশেষ করে, একটি ব্রেইল ক্যালিগ্রাফি কাজ ‘আল্লাহ’ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, যা তাদের প্রার্থনার অনুভূতিকে বাস্তবে রূপ দেয়।

কুরতুলুসের কাজ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বেশ প্রশংসিত। ২০২৩ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রোমান হলিডে কনফারেন্সে অংশ নেন এবং প্রথন তুর্কি ক্যালিগ্রাফার হিসেবে সম্মাননা স্বরূপ ‘ড্যান্সিং লেটার্স’ স্কলারশিপ অর্জন করেন।

বর্তমানে, তিনি তার স্টুডিওতে নিয়মিত কর্মশালা পরিচালনা করছেন, যেখানে নতুন প্রজন্মকে ক্যালিগ্রাফির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তার কাজ শুধু ঐতিহ্য সংরক্ষণই নয়, বরং এটি একটি নবজাগরণ।

রুমেয়সা কুরতুলুস প্রমাণ করেছেন যে ক্যালিগ্রাফি শুধুমাত্র অতীতের স্মারক নয়,বরং এটি একটি প্রাণবন্ত ও সৃজনশীল শিল্পধারা, যা সময়ের সঙ্গে নবায়িত ও বিকশিত হচ্ছে।