banner

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: February 4, 2025

 

এবারের সাফল্যগাঁথা: দারিদ্র্য যাকে পিছাতে পারেনি স্বপ্ন পূরণের পথ থেকে

 

জীবনযুদ্ধে বিজয়ীরা হাল ছাড়েন না, প্রতিকূলতাকে পরিণত করেন সম্ভাবনায়। একসময় যে ঘর ভাড়া দিতেও হিমশিম খেত পরিবার, সেই ঘরের মেয়ে আজ ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নপথে। দারিদ্র্য যার জন্য ছিল চরম বাধা, সেই সীমা আজ প্রমাণ করলেন—“মন যেখানে উচ্চ, সাফল্য সেখানে অনিবার্য।”

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সীমার বাবা একজন বাসচালক, মা গৃহিণী। সংসারের টানাপোড়েন লেগেই ছিল, কিন্তু সীমার স্বপ্ন ছিল আকাশছোঁয়া। দারিদ্র্যের অন্ধকারে থেকেও তিনি আলো খুঁজেছেন শিক্ষার পথেই। টিউশনি করে নিজের খরচ চালানো সেই সীমাই এবার দেশের একটি স্বনামধন্য মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

সীমার বাবা চেয়েছিলেন মেয়েটি যেন অন্তত সাধারণ শিক্ষা শেষ করে, কিন্তু তার মায়ের চোখে ছিল আরো বড় স্বপ্ন। অভাবের কঠিন পথ পেরিয়ে, শত প্রতিকূলতা সয়ে তিনি বুক বাঁধলেন সংগ্রামের জন্য।
সীমার ভাষ্যমতে “পড়ার ইচ্ছে ছিল প্রবল, কিন্তু অর্থের অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। অনেক রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি, টিউশনি করে যা পেতাম, তাই দিয়ে বই-খাতা কিনতাম,”।

তার এই সাফল্যে পরিবার তো বটেই, পুরো এলাকাবাসী,সে এখন অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা।
কেবল নিজের জন্য নয়, সীমার স্বপ্ন পুরো সমাজকে আলোকিত করা। তিনি বলেন, “একদিন ডাক্তার হয়ে আমি দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে চাই। যারা চিকিৎসা পায় না, তাদের বিনামূল্যে সেবা দিতে চাই। আমি জানি, কষ্ট কাকে বলে, তাই আমি চাই না কেউ কষ্ট পাক।”
সীমার গল্প প্রমাণ করে, “যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে।” যদি ইচ্ছাশক্তি থাকে, তবে দারিদ্র্যও স্বপ্নের পথে বাধা হতে পারে না।
এ গল্প শুধু সীমার নয়, বরং সকল স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণীর। যারা লড়াই করতে ভয় পান, তাদের জন্য সীমা যেন এক জীবন্ত উদাহরণ। কারণ সত্যিই, “দুঃসাহসীরাই সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়।”