banner

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: January 27, 2025

 

নাজমুন নাহার: বাংলাদেশের পতাকাবাহী প্রথম বিশ্বজয়ী পরিব্রাজক

 

নাজমুন নাহার, বাংলাদেশের গর্ব, বিশ্বজয়ী পরিব্রাজক হিসেবে ১৭৮টি দেশ ভ্রমণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি বিশ্বের প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে এই অনন্য অর্জন গড়েছেন। সর্বশেষ ১৭৮তম দেশ হিসেবে তিনি ভ্রমণ করেছেন পাপুয়া নিউগিনি। পাপুয়া নিউগিনির উপ-প্রধানমন্ত্রী জন রোসো তাঁর এই দৃষ্টান্তমূলক রেকর্ডকে সম্মান জানান। এর আগে তিনি ১৭৭তম দেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ করেন, যেখানে তাঁর সংগ্রাম ও সাফল্য নিয়ে তাভুলি নিউজে একটি বিশেষ ফিচার প্রকাশিত হয়।

নাজমুন নাহারের এই অনন্য অভিযাত্রা শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবময় অধ্যায়। তাঁর প্রতিটি যাত্রায় তিনি বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে গেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের পরিচয়। দেশে ফিরে তিনি ১২ ডিসেম্বর “প্রাইড অব বাংলাদেশ” সম্মাননায় ভূষিত হন।

নাজমুন তাঁর ভ্রমণকে শুধু নিজের ইচ্ছা পূরণের জন্য সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি বিশ্বজুড়ে শান্তি, ঐক্য এবং পরিবেশ রক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। ওশেনিয়ার ফিজি, টোঙ্গা, ভানুয়াতু, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়া নিউগিনি ভ্রমণের সময় তিনি সামুদ্রিক দেশগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আবিষ্কার করেছেন এবং বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্বভ্রমণে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে নাজমুনকে। বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি ছিলেন তাঁর স্বপ্ন পূরণে দৃঢ়।
২০০০ সালে ভারতের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর ভ্রমণের সূচনা হয়। এরপর ২০১৮ সালে জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক অর্জন করেন। ২০২১ সালে তিনি সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপে ভ্রমণ করে ১৫০টি দেশের যাত্রা সম্পন্ন করেন এবং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১৭৫টি দেশ ভ্রমণের আরেকটি মাইলফলক সৃষ্টি করেন।

লক্ষ্মীপুরে জন্মগ্রহণ কারী এই ভ্রমণ পিপাসুর অনুপ্রেরণা ছিল তাঁর দাদা আহমদ উল্লাহ, যিনি নিজেও আরব অঞ্চলে ১৪টি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকে সাহস, অধ্যবসায় এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাঁকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি সুইডেনে উচ্চশিক্ষা লাভ করার পাশাপাশি প্রস্তুতি নেন বিশ্বজয়ের।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, গণমাধ্যম, এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা নাজমুন নাহারকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ডসহ প্রায় ৫৫টি পুরস্কার পেয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মোটিভেশনাল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করে তরুণ প্রজন্মকে বড় স্বপ্ন দেখতে এবং সেগুলো পূরণ করতে উৎসাহিত করেছেন।

নাজমুন নাহার কেবল একজন পরিব্রাজক নন; তিনি একটি অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর গল্প শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়ে নারীদের জন্য একটি উদাহরণ। বেগম রোকেয়া বা প্রীতিলতার মতোই তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আলোর পথ দেখাবেন।একজন নাজমুন নাহার সত্যিই আমাদের লাল-সবুজের পতাকাবাহী তারকা এবং গর্ব।

#NazmunNahar #WorldTraveller #BangladeshiPride #178Countries #GlobalExplorer #FlagBearer #Inspiration #WomenEmpowerment #PeaceAdvocate #EnvironmentalAwareness
#নাজমুননাহার #বিশ্বপরিব্রাজক #বাংলাদেশেরগর্ব #১৭৮দেশ #লালসবুজেরপতাকাবাহী #নারীরপ্রেরণা #শান্তিরদূত #পরিবেশসংরক্ষণ

 

ভারতে বাংলাদেশি নারী ধর্ষনের পর হত্যা:প্রতিবাদ উঠুক

 

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করা এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। এটি কেবল একটি অমানবিক ঘটনা নয়, বরং ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, এবং নাগরিক নিরাপত্তার প্রতি চরম অবহেলার একটি উদাহরণ।
ভারত, যে দেশ নিজেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে, সেখানে একজন বাংলাদেশি নারীকে এভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বৈধভাবে বসবাসরত যেকোনো বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট দেশের মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু এই ঘটনায় তা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
নিহত নারীর পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিও জানাই।
আমরা চাই, এ ধরনের অমানবিকতার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হোক। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা যেন কেবল কাগজে-কলমে না থেকে বাস্তবায়িত হয়। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে আমরা কখনো নীরব থাকবো না।

 

প্রথম সৌদি নারী নভোচারীর:রায়নাহ বারনাভি

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রথম সৌদি নারী নভোচারী রায়নাহ বারনাভি যাত্রা শুরু করেছেন। স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেটটি নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ২০২৩ সালের ২১ মে (রোববার) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়।

রায়নাহ বারনাভির সঙ্গে ছিলেন সৌদি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ফাইটার পাইলট আলি আল-কার্নি, মার্কিন ব্যবসায়ী জন শফনার এবং দলের নেতা নাসার সাবেক নভোচারী পেগি হুইটসন। দলটি ২২ মে (সোমবার) মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছায়।
মহাকাশ স্টেশনে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় কাটিয়ে, দলটি ৩০ মে (মঙ্গলবার) পৃথিবীতে ফিরে আসে। ফ্লোরিডা উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় তারা অবতরণ করেন।

এই মিশনে রায়নাহ বারনাভি স্টেম (STEM)সেল গবেষণা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, “এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য স্বপ্ন পূরণের মুহূর্ত। এটি আমাদের প্রমাণ করে, মহাকাশ যাত্রা সবার জন্য সম্ভব।”

হিউস্টনভিত্তিক কোম্পানি এক্সিওম স্পেসের আয়োজনে পরিচালিত এই মিশনে অংশগ্রহণের জন্য প্রতি সিটের সম্ভাব্য ভাড়া ছিল সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার। যাত্রার সময় তাদের দৈনিক খাবার খরচ ছিল দুই হাজার ডলার এবং অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য ব্যয় হয়েছে আরও বেশ কয়েক হাজার ডলার।

এই মিশন সৌদি আরবের মহাকাশ গবেষণায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।