banner

রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: January 23, 2025

 

ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির আবেদন নাকচ: ন্যায়বিচারের প্রশ্নে নতুন বিতর্ক

 

সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির আবেদন নাকচ করেছে। ড. আফিয়া সিদ্দিকী ২০১০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি, যেখানে তাকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে এফবিআই এজেন্টকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। তবে এই অভিযোগ ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ।

সম্প্রতি ড. আফিয়া সিদ্দিকীর পক্ষ থেকে তার আইনজীবী ক্লাইভ স্ট্যাফোর্ড স্মিথ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ক্ষমার আবেদন জমা দেন।সাথে ৭৬,৫০০ শব্দের বিশাল দলিলে তার নির্দোষিতা তুলে ধরা হয়। তবে বাইডেন প্রশাসন এই আবেদন সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে।

ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মামলাটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। অভিযোগের পক্ষে প্রমাণের অভাব, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার ঘাটতি এবং তার ওপর কারাগারে অমানবিক আচরণ মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে। তার আটক ও বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত।
তবে সম্প্রতি আবেদনের প্রত্যাখ্যানের পর ন্যায়বিচারের প্রশ্নে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

 

শিশু অধিকার আইন ২০২৫: ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের ওপর কেমন প্রভাব পড়বে

 

বাংলাদেশে প্রস্তাবিত “শিশু অধিকার আইন ২০২৫” নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে, অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানকে মায়ের স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করার সুযোগ দেওয়া ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সমাজ ও ধর্মীয় নেতারা।
আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নারী যদি অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান লালন-পালনের ইচ্ছা বা সক্ষমতা না রাখেন, তবে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তানকে রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর করতে পারবেন। এই ধারা সমর্থকরা বলছেন, এটি নারীদের মানসিক ও আর্থিক চাপ কমানোর পাশাপাশি পরিত্যক্ত শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।
তবে, এই আইনের বিরোধিতা করছেন ধর্মীয় ও সমাজবিজ্ঞানীরা। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, সন্তানকে পরিত্যাগ করা কোরআন ও হাদিসের শিক্ষার পরিপন্থী। সন্তানকে মহান আল্লাহর দান হিসেবে দেখার যে শিক্ষা, তা এই আইনের মাধ্যমে অবহেলিত হবে। হিন্দু ও খ্রিস্টান নেতারাও আইনটিকে ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করেছেন।
সমাজবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, এই ধারা পরিবার কাঠামোকে দুর্বল করে তুলতে পারে। এটি অপব্যবহার করে অনেকেই দায়িত্ব এড়ানোর সহজ উপায় হিসেবে নিতে পারেন। তাছাড়া, এই আইনের ফলে নৈতিক অবক্ষয় এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আইনটি এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে এবং এর চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মতামত নেওয়া হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আইনটি বাস্তবায়নের আগে ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন প্রয়োজন। পাশাপাশি, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং নৈতিক অবক্ষয় রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।