banner

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: January 21, 2025

 

২০বছরের বন্দীদশা থেকে মুক্তির পথে ড. আফিয়া সিদ্দিকী

 

মার্কিন কারাগারে বন্দি পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তার মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তদবিরকারী প্রতিনিধি দলের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকবাল জাইদি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. জাইদি জানান, ড. আফিয়া গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন। তবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়ার আগে তার সাজা কমিয়ে দিতে পারেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ড. জাইদি আরও জানান, তিন সদস্যের একটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এই বিষয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিল। যদিও তাদের মূল লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এর পরিবর্তে তারা মার্কিন সিনেটর এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মানবিক কারণে ড. আফিয়ার মুক্তির আহ্বান জানিয়ে বাইডেনকে একটি চিঠি দিয়েছেন। যদি বাইডেন ব্যবস্থা না নেন, তাহলে পাকিস্তান সরকার নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করবেন।
২০০৩ সালে করাচি থেকে তিন সন্তানসহ আটক হওয়ার পর ড. আফিয়ার জীবন এক অবিশ্বাস্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এটি এমন একটি অপরাধ যার জন্য মার্কিন আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর।
ড. জাইদি বলেন, ড. আফিয়া ২০ বছর ধরে তার সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।
তার এই মুক্তি ২৫ কোটি পাকিস্তানি এবং বিশ্বের ২ বিলিয়ন মুসলমানের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উন্নত করবে।

ড. আফিয়া সিদ্দিকীর এই মুক্তির বিষয়ে পাকিস্তানসহ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রতীক্ষা তৈরি হয়েছে।

 

নিকাব পরে টকশো করতে নিষেধাজ্ঞা;বিতর্কে চ্যানেল আই

সম্প্রতি চ্যানেল আই-এ একটি টকশোতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাফিসা ইসলাম সাকাফি। তবে নিকাব পরে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানালে প্রথমে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ তাকে টকশোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়নি। পরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার প্রেক্ষিতে চ্যানেল আই নিকাব পরে অংশগ্রহণের অনুমতি দিলেও, নাফিসা অফিশিয়ালি ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান।

নাফিসা জানান, এটি তার জন্য ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং দেশে ইসলামবিদ্বেষের একটি উদাহরণ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অতীতে রমজানে টিএসসিতে নামাজের ব্যবস্থা করায় ছাত্রলীগের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। তখন নিকাব না করার কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন, আর এখন নিকাব পরার কারণে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নাফিসা ইসলাম সাকাফিসহ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ চিন্তকরা ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে ”ইসলামোফোবিয়া: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শিরোনামে আলোচনার জন্য ২০জানুয়ারি রাত ৯টায় লাইভে আসবেন।

 

ছবি সূত্রঃ রিপাবলিক টেলিভিশন

 

ড. রাইসা খান তারেক: বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও অনুপ্রেরণার নাম

 

জন্ম বাংলাদেশে হলেও ড. রাইসা খান তারেকের শৈশব কেটেছে সুইডেনে। ছোটবেলা থেকেই রসায়নের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা থাকলেও তার নানির ক্যান্সারে মৃত্যুর ঘটনাই তাকে মেডিক্যাল কেমিস্ট্রিতে ক্যারিয়ার গড়ার প্রেরণা দেয়।

২০১৪ সালে রাইসা নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রিতে অনার্স সম্পন্ন করেন এবং ২০১৮ সালে সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিক্যাল কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ভিত্তিক কোম্পানি Evonetix-এ সিন্থেটিক কেমিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।

রাইসা এবং তার দল একটি “ডিএনএ প্রিন্টার” তৈরি নিয়ে কাজ করছেন, যা দ্রুত ও নির্ভুলতার সাথে ডিএনএ সিকোয়েন্স তৈরি করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তি স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ শিল্প এবং ডেটা স্টোরেজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এই উদ্ভাবন গবেষণার সময় ও খরচ কমিয়ে বিশ্বব্যাপী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এবং গবেষণাগারের কাজকে সহজ করবে।

পেশাগত সাফল্যের পাশাপাশি ড. রাইসা একজন জনপ্রিয় ভ্লগার। তার ইউটিউব ও ফেসবুক চ্যানেল Dr Raysa’s-এ তিনি বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট আপলোড করেন। এতে তাকে সহায়তা করেন তার স্বামী নাজমুস সাকিব তারেক, যিনি আইন ও স্টার্টআপ বিষয়ে কাজ করছেন।

ড. রাইসা STEM (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন আউটরিচ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে ভূমিকা রাখছেন।

ড. রাইসার মতে, নারীদের বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে সামাজিক বাধা দূর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কাজ ও জীবনসংগ্রাম বাংলাদেশের STEM ক্ষেত্রে নারীদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

 

আপনার সন্তানকে নিয়মিত খেলতে দিন

 

খেলা একটি শিশুর শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান উপায়। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে পড়াশোনা, কোচিং, এবং প্রযুক্তি আসক্তির কারণে শিশুরা প্রকৃত খেলার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে খেলার গুরুত্ব অনুধাবন করে শিশুদের নিয়মিত খেলতে দেওয়া প্রত্যেক অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

খেলা শিশুর শারীরিক বিকাশে সহায়ক। নিয়মিত খেলার মাধ্যমে শরীর মজবুত হয়, মাংসপেশি শক্তিশালী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, খেলাধুলা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বদানের গুণাবলী এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করে।

খেলা শিশুদের সামাজিক সম্পর্ক গড়তেও সাহায্য করে। দলগত খেলাগুলোর মাধ্যমে শিশুরা পরস্পরের প্রতি সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং শ্রদ্ধাবোধ শেখে। এ ছাড়া, খেলার সময় শিশুরা নিয়ম মেনে চলা এবং দায়িত্বশীল হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে।

অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত অল্প সময় খেলার জন্য উৎসাহ দেওয়া। প্রাকৃতিক পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ দিলে তারা আরও বেশি উপকৃত হবে।

আপনার সন্তানকে নিয়মিত খেলতে দিন

 

খেলা একটি শিশুর শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান উপায়। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে পড়াশোনা, কোচিং, এবং প্রযুক্তি আসক্তির কারণে শিশুরা প্রকৃত খেলার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে খেলার গুরুত্ব অনুধাবন করে শিশুদের নিয়মিত খেলতে দেওয়া প্রত্যেক অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

খেলা শিশুর শারীরিক বিকাশে সহায়ক। নিয়মিত খেলার মাধ্যমে শরীর মজবুত হয়, মাংসপেশি শক্তিশালী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, খেলাধুলা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বদানের গুণাবলী এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করে।

খেলা শিশুদের সামাজিক সম্পর্ক গড়তেও সাহায্য করে। দলগত খেলাগুলোর মাধ্যমে শিশুরা পরস্পরের প্রতি সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং শ্রদ্ধাবোধ শেখে। এ ছাড়া, খেলার সময় শিশুরা নিয়ম মেনে চলা এবং দায়িত্বশীল হওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে।

অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত অল্প সময় খেলার জন্য উৎসাহ দেওয়া। প্রাকৃতিক পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ দিলে তারা আরও বেশি উপকৃত হবে।