বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। একসময় এই ক্ষেত্রে পুরুষদের প্রাধান্য থাকলেও এখন নারীরাও সমান দক্ষতায় অবদান রাখছেন। তাদের উদ্ভাবন ও গবেষণা শুধু দেশের উন্নয়নই ত্বরান্বিত করছে না, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের পরিচিতি বাড়াচ্ছে।
ড. ফেরদৌসী কাদরী বাংলাদেশের একজন গর্বিত বিজ্ঞানী, যিনি ডায়রিয়া ও কলেরার টিকা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি “লরিয়েল-ইউনেস্কো ফর উইমেন ইন সায়েন্স” পুরস্কার লাভ করেন। তরুণ বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা শিশুদের সংক্রামক রোগের জিনোমিক গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তনিমা তাসনিম অনন্যা ব্ল্যাকহোল গবেষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)ব্যবহার করে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। অন্যদিকে, ফারহানা সুলতানা পাটের আঁশ দিয়ে পরিবেশবান্ধব স্যানিটারি প্যাড তৈরি করে নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন।
তবে নারীদের বিজ্ঞানচর্চার পথে চ্যালেঞ্জও কম নয়। সামাজিক বাধা, গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও সুযোগের অভাব, এবং লিঙ্গ বৈষম্য তাদের অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। পারিবারিক দায়িত্ব ও পেশাগত জীবনের সমন্বয়ও অনেক সময় কঠিন হয়ে ওঠে।
এই বাধাগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য নারীদের জন্য গবেষণা তহবিল বৃদ্ধি, সচেতনতা বাড়ানো, এবং কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সঠিক সহায়তা পেলে নারী বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশের অগ্রগতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। তাদের অবদান ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বিজ্ঞানমনস্ক ও টেকসই রাষ্ট্রে পরিণত করবে।