banner

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Monthly Archives: November 2024

 

শনিবার শপথ নেবেন দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী অতীশি

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এএপি জানায়, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন অতীশি। পরে তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও শপথ নেবেন।

দীর্ঘ ছয় মাস কারাভোগ শেষে কারামুক্তির মাত্র দুদিন পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। স্থানীয় সময় রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিল্লিতে আয়োজিত দলীয় এক অনুষ্ঠানে কেজরিওয়াল পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এরপর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ওইদিন সকালের দিকে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি (এএপি) জানায়, দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন অতীশি মারলেনা। এক বৈঠকে এএপির জাতীয় আহ্বায়ক অতীশির নাম প্রস্তাব করেন এবং তার এ প্রস্তাবে পার্টির সব বিধায়ক উঠে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান এবং তাকে আইনসভা দলের নেতা নির্বাচন করা হয়।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। তার আগ পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন অতীশি। যদিও, কেজরিওয়াল আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

শিল্পীর তুলির অপ্রতিরোধ্য শক্তি পর্ব-১

 

অপরাজিতা ডেস্কঃ একুশ শতকে শিল্পীর তুলির আধুনিকায়ন হয়েছে। বিভিন্ন এক্টিভিস্ট তুলির আচড়ের সাথে সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইনসহ বিভিন্নভাবে শৈল্পিকভাবে প্রকাশ করছে নিজেদের কথা এবং আলোড়ন তুলছে পুরো বিশ্বে।

আসুন জেনে নেই কয়েকজন নারীর কথা যারা অদম্য সাহসের সাথে নিজ কমিউনিটিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য শৈল্পিক উপায়ে আলোড়ন তুলেছে-

প্রথম পর্বে আমরা জানবো ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য আর্ট থেরাপির গল্প-

মনোবিজ্ঞানী ও আর্ট থেরাপিস্ট কাটেরিনা শুক ২০২২ সাল থেকে একজন শরনার্থী হিসেবে জীবন যাপন করছেন। ইউক্রেনে পূর্ণ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর কাটেরিনা ইউক্রেনের মারিউপোলে তার বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়ে পোল্যান্ডে চলে যান।

আমরা মনে করি যুদ্ধ এমন কিছু- যা অন্য লোকেদের সাথে ঘটে, যতক্ষণ না এটি আপনার সাথে ঘটে ততক্ষন পর্যন্ত! -ক্যাটরিনা শুক

তারপর থেকে, তিনি অন্যান্য ইউক্রেনীয় নারীদের তাদের ক্ষতি এবং ট্রমা সহ্য করার জন্য সহযোগিতা করছেন। নারীদের তাদের অনুভূতি প্রকাশ, পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে সুন্দর কিছু তৈরি করার পথ-নির্দেশনা দেয় এ আর্ট থেরাপি।

আর্ট থেরাপির একটি সেশনে আগামী পাঁচ বছরে তাদের জীবনকে কীভাবে দেখতে চান তার উপর ভিত্তি করে একটি কোলাজ তৈরি অংশগ্রহণকারী নারীরা।

যুদ্ধের ফলে সব পরিকল্পনা, লক্ষ্য এবং স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর নারীদের তাদের ভবিষ্যত নিয়ে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ৷ যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ় ভূমিকা পালন করেছে এ আর্ট থেরাপি।

অনুবাদঃ  সিলভিয়া জুম

 

নারী ভোটারের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

 

যুক্তরাষ্ট্রে নারী ভোটারদের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ক্রমে কমছে। এ নিয়ে দলটির নেতারা উদ্বিগ্ন। এমনটা যাতে না হয়, সেটাই চাচ্ছেন ট্রাম্প। তিনি চান, নারী ভোটাররা যেন তাঁর দিকে ঝোকেন। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না।

গতকাল বুধবার দ্য হিলের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মধ্যে রিপাবলিকানরা লিঙ্গ ব্যবধানের জন্য অপরিচিত নয়, তারা এখন নারী-পুরুষ ভোটারদের নিয়ে এক জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে। দলটির জরিপকারী হুইট আইরেস বলেন, বড় নেতৃত্বের জন্য নারীদের মধ্য থেকে কমলার উঠে আসা ট্রাম্পের জন্য ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হতে চলেছে।

তিনি সতর্ক করেন, রিপাবলিকানদের জন্য এ মুহূর্তে আসল চ্যালেঞ্জ হলো নারীদের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ানো। গত রোববার প্রকাশিত এবিসি নিউজ/ইপসস জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস নারীদের মধ্যে ট্রাম্পের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তিনি ৫৪ শতাংশ মার্কিন নারীর সমর্থন পেয়েছেন; ট্রাম্প পেয়েছেন ৪১ শতাংশের। তবে পুরুষদের মধ্যে কমলার চেয়ে ট্রাম্প ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন। ট্রাম্পকে ৫১ শতাংশ ‍পুরুষ ভোটার সমর্থন করেন; ৪৬ শতাংশ কমলাকে সমর্থন করেছেন।

এ জরিপের তথ্য অনুযায়ী, শিকাগোতে ডেমোক্রেটিক জাতীয় সম্মেলনের পর নারীদের মধ্যে কমলার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় রয়টার্স/ইপসোস জরিপ। সেখানে নারীদের মধ্যে কমলা ট্রাম্পের চেয়ে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। উভয় জরিপে দেখানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা সামগ্রিকভাবে ৪ শতাংশ এগিয়ে আছেন। এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল তৈরি করে দেওয়া ছয় অঙ্গরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপের ফল প্রকাশ করেছে সিএনএন।

তাদের জরিপে দোদুল্যমান এসব অঙ্গরাজ্যে সার্বিকভাবে কমলা হ্যারিসকে এগিয়ে রাখা হয়েছে। কমলার এগিয়ে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে আছে উইসকনসিন ও মিশিগান। আরিজোনায় কিছুটা এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। তবে জর্জিয়া, নাভাদা ও পেনসিলভানিয়ায় সমানে সমান টক্কর চলছে।