banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Monthly Archives: November 2024

 

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আদালতের প্রথম মুসলিম নারী বিচারক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নুসরাত

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আদালতের প্রথম মুসলিম নারী বিচারক হিসেবে শপথ নিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নুসরাত জাহান চৌধুরী। ২০২২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফেডারেল আদালতের বেঞ্চে নিয়োগের জন্য নুসরাতসহ আটজনকে মনোনয়ন দেন। তিনি নিউ ইয়র্কের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন।

গত ১০ মে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেন। প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান, প্রথম মুসলিম নারী এবং দ্বিতীয় মুসলিম আমেরিকান হিসেবে ফেডারেল বেঞ্চে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

শপথ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের মেজরিটি লিডার চাক শুমার বলেন, নিউ ইয়র্ক ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট-এর কেন্দ্রীয় আদালতে বিচারক (ফেডারেল জাজ) হিসেবে নুসরাত চৌধুরীকে শপথ নিতে সাহায্য করতে পেরে আমি খুবই সম্মানিত। ফেডারেল জাজ হিসাবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে তার জন্য আমি তাকে সুপারিশ করতে পেরে গর্বিত।’

নুসরাত জাহান চৌধুরী বর্তমানে ইলিনয়ের আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ)আইনি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শতবর্ষের পুরনো আইনি প্রতিষ্ঠান এসিএলইউ সাধারণ মানুষের অধিকারের পক্ষে কাজ করে থাকে।

নুসরাত চৌধুরী ১৯৭৬ সালে ইলিনয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার ৬ নম্বর দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ল স্কুল, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি এবং কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করেন। তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের লিগ্যাল ডাইরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্কে আমেরিকার সিভিল রাইটস ইউনিয়নে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি রেসিয়াল জাস্টিস প্রোগ্রামের ডেপুটি ডাইরেক্টর ছিলেন। নুসরাত চৌধুরী ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রেসিয়াল জাস্টিস প্রোগ্রামের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

 

মারা গেছেন নোবেলজয়ী সাহিত্যিক এলিস মুনরো

 

২০১৩ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী কানাডিয়ান লেখক এলিস মুনরো মারা (৯২) গেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ মে) রাতে কানাডার অন্টারিওর পোর্ট হোপে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার পরিবার ও প্রকাশক।। তিনি এক দশক ধরে ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন। খবর বিবিসির।

মুনরো ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছোট গল্প লিখেছেন। কানাডার গ্রামীণ জীবনকে উপজীব্য করেই তার বেশিরভাগ লেখা। সুইডিশ নোবেল একাডেমি ২০১৩ সালে তাকে পুরস্কারে ভূষিত করার সময় ‘সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’ অভিহিত করে বলেছিল, তার সুন্দর করে গুছিয়ে বলা গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট এবং বাস্তববাদী।

১৯৩১ সালের ১০ জুলাই কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন মুনরো। সেখানকার গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশেই তার বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন খামার মালিক, মা স্কুলশিক্ষক।

মাত্র ১১ বছর বয়সেই মুনরো ঠিক করে ফেলেন, বড় হয়ে একজন লেখকই হবেন। সে মতোই এগিয়েছে সবকিছু। নিজের পেশা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আর কখনো তিনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেননি।

মুনরো গভর্নর জেনালের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেডস, ১৯৭৮ সালে হু ডু ইউ থিংক ইউ আর এবং ১৯৮৬ সালে দ্য প্রোগ্রেস অব লাভ বইয়ের জন্য। তিনি কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারও পেয়েছেন। আর সাহিত্যে নোবেলের পর সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৯ সালে। দ্য বেয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেন বইয়ের জন্য তিনি ওই পুরস্কার পান।

তার এই বই অবলম্বনে পরিচালক সারাহ পলি তৈরি করেন সিনেমা অ্যাওয়ে ফ্রম হার। তার প্রকাশিত অন্যান্য ছোটগল্পের সংকলনের মধ্যে আছে লাইভস অব গার্লস অ্যান্ড উইম্যান-১৯৭১, সামথিং আই হ্যাভ বিন মিনিং টু টেল ইউ-১৯৭৪, দ্য মুনস অব জুপিটার-১৯৮২, ফ্রেন্ড অব মাই ইয়োথ-১৯৯০, ওপেন সিক্রেটস-১৯৯৪, দ্য লাভ অব আ গুড উইম্যান-১৯৯৮।

 

পুরুষের চেয়ে বেশি অসুস্থ হন নারীরা

গড় হিসাবে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি দিন বাঁচে। কিন্তু সেই জীবদ্দশায় পুরুষের চেয়ে বেশি অসুস্থ হন নারীরা। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত ফলাফলে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে কিন্তু দুর্বল স্বাস্থ্য নিয়ে। ফলে নারীদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতেও জোর দিয়েছেন তারা। দ্য গার্ডিয়ান।

বিশ্বের ২০টি রোগের প্রধান কারণের প্রভাব পরীক্ষা করে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।

সাধারণত বিষণ্নতা, মাথাব্যথা, উদ্বেগ, হাড় ও পেশির সমস্যা, স্মৃতিভ্রম, এইচআইভি সমস্যাগুলো নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। এ ধরনের অসুখগুলো মারাত্মক শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি না করলেও অসুস্থতা ও অক্ষমতা তৈরি করে। ফলে নারীদের অকালমৃত্যুর হার কম।

অন্যদিকে গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে অসুস্থতা ও মৃত্যুর শীর্ষ ২০টি কারণের মধ্যে ১৩টি কারণই পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। যেমন-কোভিড-১৯, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া, হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, যকৃতের রোগের মতো সমস্যাগুলো নারীর চেয়ে পুরুষদের মধ্যে বেশি। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশই প্রাণঘাতী ফলে পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি।

গবেষণার সিনিয়র লেখক ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর ডা. লুইসা সোরিও ফ্লোর বলেছেন: ‘এই প্রতিবেদনটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে, গত ৩০ বছরে স্বাস্থ্যবিষয়ক অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী অসম ছিল। নারীরা দীর্ঘজীবী হলেও বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। বয়স্ক অবস্থায় নারীদের শারীরিক ও মানসিক কার্যক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন সেদিকে নজর দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে।’ তবে এই গবেষণাটিতে স্ত্রীরোগ এবং প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো লিঙ্গভিত্তিক স্বাস্থ্য অবস্থার তথ্যগুলো নেওয়া হয়নি।

সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর

 

দ্বীপ বাঁচাতে একাট্টা নারীরা

পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী ক্যারিবীয় দ্বীপ অ্যান্টিগার বাসিন্দা কিনিয়াহ ম্যাকে। ছবি : বিবিসি
ক্যারিবীয় দ্বীপ অ্যান্টিগার বাসিন্দা কিনিয়াহ ম্যাকে। বয়স মাত্রই ১১ বছর। হলে কী হবে, এই বয়সেই মেয়েটি জলবায়ু সংকট সম্পর্কে রীতিমতো সচেতন! কিনিয়াহ জানে, গাছ কমে গেলে পরিবেশে অক্সিজেন হ্রাস পায়। আরো জানে, উপকূলে আবর্জনা ফেললে সামুদ্রিক কচ্ছপরা মরে যায়, যারা কিনা সুন্দর রাখে সমুদ্রের পরিবেশ।

‘তরুণদের পৃথিবীকে বাঁচাতে হবে’—বলে কিনিয়াহ। কথাটা বলার সময় এমন ভাবগম্ভীর দেখায় তাকে, কে বলবে বয়স মাত্রই ১০ পেরিয়েছে। বিবিসির সাংবাদিক যখন কিনিয়াহ ম্যাকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন মাত্রই মার্চের মাঝামাঝি। কিন্তু এরই মধ্যে সূর্য ভয়ানক রকম তাপ ছড়াচ্ছে চারদিকে।

কিনিয়াহর ক্লাসরুমের বৈদ্যুতিক পাখাগুলো বনবন করে ঘুরেও যথেষ্ট ঠাণ্ডা করতে পারছে না ঘর।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের বাকি অংশের মতো অ্যান্টিগায়ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিত্যদিনের বাস্তবতা। সৈকতের আকার হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা ক্রমেই তীব্র হওয়া, তীব্র খরা আর গ্রীষ্মকালের ক্রমেই দমবন্ধ করা হয়ে ওঠা তার প্রমাণ।

তবে দ্বীপের মানুষের একাংশ এ অবস্থার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে লড়ছে।

কিনিয়াহ তাদেরই একজন। ওদের এলাকার ৬০ জনের বেশি বিভিন্ন বয়সের নারীকে উপকূল রক্ষার কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় ক্ষয় কমানোর জন্য দেশীয় গাছ লাগানো, বিপন্ন কচ্ছপের বাসা বাঁধার স্থানগুলো রক্ষা এবং সৈকতের আবর্জনা রাখার ডাস্টবিন তৈরি ও তার ব্যবস্থাপনার কাজ দেওয়া হয়েছে তাদের।
স্থানীয় এনজিও ‘অ্যাডপ্ট-এ-কোস্টলাইন’-এর নেওয়া এই প্রকল্পটি এতটাই সফল যে গত আগস্টে জাতিসংঘের গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) থেকে এক লাখ ডলার অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ৬০০ আবেদনের মধ্যে নির্বাচিত মাত্র ২৩টি উদ্যোগের অন্যতম এটি।

এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক ক্যাট বাইলস জানিয়েছেন, তাঁদের কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার বিষয়ে নারী ও কম বয়সী মেয়েদের ‘আরো বেশি সোচ্চার হতে’ উৎসাহিত করা।
নারী-পুরুষের কাজকর্মের ক্ষেত্র নিয়ে এখনো ক্যারিবীয় অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশে সেকেলে ভাবধারা বহাল। কিনিয়াহদের স্কুলের প্রিন্সিপাল রায়োনা শ জোসেফ তাঁর একদল শিক্ষার্থীকে নিয়ে সৈকত পরিচ্ছন্ন করার কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে খুবই আনন্দিত। ‘প্রাকৃতিক সম্পদের যত্ন নেওয়াটা শিশুদের শেখাতে হবে, যাতে তা ভবিষ্যতের জন্য টিকিয়ে রাখা যায়’, বলেন তিনি।

অ্যান্টিগার মাত্র ২৪ বছরের তরুণ এমপি কাইশা জোসেফ একদিন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। আপাতত তাঁর মনোযোগ অবশ্য তরুণদের নিয়ে অ্যাডপ্ট-এ-কোস্টলাইনের পরিবেশ সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার ওপরই নিবদ্ধ।

বিবিসিকে কাইশা জোসেফ বলেন, ‘আমরা অ্যান্টিগা এবং বারবুডায় এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি, যেখানে কিছু ভূমিকা শুধু পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট করা আছে। অনেক নারীই এখনো সেই ধাত্রী, শিক্ষক এবং সেক্রেটারির মতো গতানুগতিক চাকরির পেছনেই ছোটেন।’

অ্যান্টিগার পশ্চিম উপকূলের পেনশনারস বিচ কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের দেখভাল করা জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। কাইশা স্বেচ্ছাসেবী দলটির ফেলে দেওয়া টায়ার থেকে তৈরি করা ডাস্টবিনগুলোকে দেখালেন বিবিসির সাংবাদিককে। এ কাজে না লাগানো হলে টায়ারগুলোর ঠাঁই হতো ভাগাড়ে। ধবধবে সাদা বালির এ সৈকতের কিনার ঘেঁষেই রয়েছে সিগ্রেপ গাছের সারি। দৃশ্যটা ভিউকার্ডের ছবির মতোই নয়নাভিরাম। প্রতিবছর এই রৌদ্রোজ্জ্বল দ্বীপে আসা লাখো পর্যটককে মুগ্ধ করে এই ছবি। কিন্তু মুগ্ধ পর্যটকের ঢলের বিপরীত চিত্রটি হচ্ছে অবিরাম বর্জ্য জমে ওঠা। ভ্রমণের মৌসুমে প্রায়ই রাজধানী শহরের বন্দরে দেখা যাবে এক থেকে কয়েকটি বিশাল পর্যটকবাহী প্রমোদতরি।

আগামী মে মাসেই অ্যান্টিগায় বসছে জাতিসংঘের চতুর্থ উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র সম্মেলন। তখনো বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতাসহ কয়েক হাজার দর্শনার্থীর চরণ পড়বে এখানে। জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবের সম্ভাব্য শিকার ছোট দ্বীপগুলোর টেকসই উন্নয়নের সামর্থ্য মূল্যায়ন করা এ সম্মেলনের লক্ষ্য। এমপি কাইশা জোসেফের মতো তরুণী নারীদের মতামত এখানে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

অ্যান্টিগা সরকারের যুব দপ্তরের কর্মকর্তা ক্যারোলাইন পেরি বলেছেন, এখন আগের চেয়ে বেশি নারী উচ্চতর শিক্ষা নিলেও তাঁরা এখনো উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার চাকরি পেতে বেগ পান। তাঁর মতে, মেয়েদের অল্প বয়স থেকেই ক্ষমতায়িত করা গেলে সমাজের রূপান্তর ঘটবে।

অ্যাডপ্ট-এ-কোস্টলাইন মেয়েদের দাতব্য দোকানে বিক্রির জন্য সামুদ্রিক বর্জ্য থেকে গহনা, পাখির বাক্স এবং বেঞ্চ তৈরি করা শিখিয়ে কিছু হলেও আয়ের পথ করে দিচ্ছে। অ্যান্টিগার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা জেনিফার মেরান্টো ২০০৯ সালে এনজিওটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সবার আগে নিজের ‘কৃতকর্মের প্রতিকার’ করতে চান। এ জন্য নিজে গত ২০ বছরে দ্বীপের মাটিতে যে পরিমাণ আবর্জনা সৃষ্টি করেছেন তার একটা সম্ভাব্য হিসাব বের করেছেন। তিনি দেখেছেন, বর্জ্যের বেশির ভাগই শেষ পর্যন্ত সমুদ্রে যায়। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগে নিজের ‘অবদান’ মুছে ফেলবেন।

দ্বীপের সৈকতগুলো থেকে এক হাজার ব্যাগ বর্জ্য সরানোর মাধ্যমে কাজটা শুরুও করেছেন জেনিফার মেরান্টো। সূত্র : বিবিসি।