banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

শিশুরা মিথ্যা বললে কী করবেন?

অনেক সময় দেখা যায়, বুঝে না বুঝে শিশুরা মিথ্যা কথা বলে। তবে শিশু মিথ্যা বলতে বলতে এমন হয় যে তার অভ্যাসে পরিণত হয়। তখন সে কারণে অকারণে মিথ্যা বলে।

মনোবিদদের মতে, শিশুদের মিথ্যে কথা বলার প্রবণতাকে প্রশয় দেয়া উচিত নয়। সন্তান কল্পনাপ্রবণ আর কোনো বিশেষ উদ্দেশে মিথ্যে বলছে কিনা বোঝার চেষ্টা করুন।

 

শিশুরা কেন মিথ্যা বলে?

১. শিশুরা কল্পনাপ্রবণ হলে মিথ্যের আশ্রয় নিতে পারে।

২. অনেক শিশু বিশেষ উদ্দেশে মিথ্যা কথা বলে। যেমন হয়তো তার সেদিন হোমওয়ার্ক হয়নি। সেদিন স্কুল না যাওয়ার জন্য সে পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা বলতেই পারে।

৩. মা-বাবা খুব রাগী হলেও শিশুরা মিথ্যা বলে।

৪. বাড়ির বড়রা যদি মিথ্যা বলে শিশুরাও মিথ্যা বলতে শিখবে।

৫. বড়দের মতোই অপ্রিয় সত্য কথা গোপন করতেও শিশুরা মিথ্যা বলে।

কী করবেন?

১. শিশুরা বড়দের দেখে শেখে। তাই আগে নিজেকে সংশোধন করুন।

২. শিশুরা মিথ্যা বললে মারধর করবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় বোঝান। কারণে-অকারণে মিথ্যা বলতে নেই।

৩. মনোবিদদের মতে, ছয় বছর বয়সের পর শিশুদের ‘সুপার ইগো’র বিকাশ ঘটে। তার ফলে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সে বুঝতে শেখে। এই সময় নীতিকথামূলক গল্প শোনান।

৪. শিশুদের সত্যি কথা বলার শিক্ষা অবশ্যই দিতে হবে।

 

আফগান নারীদের জন্য অনলাইন ম্যাগাজিন ‘জান টাইমস’

কানাডায় বসবাসরত আফগান নারী জাহরা নাদের ‘জান টাইমস’ নামের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন প্রকাশ করছেন। আফগানিস্তানে বাস করা নারী ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে থাকা আফগান নারীরা এতে কাজ করছেন।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকরার পর মেয়েদের অনেক অধিকার খর্ব করেছে। এই অবস্থায় সেখানকার নারীদের পরিস্থিতি তুলে ধরতে ২০২২ সালের আগস্টে জান টাইমস চালু করেন জাহরা নাদের।

আফগানিস্তানে থাকার সময় নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন ৩৪ বছর বয়সি জাহরা। এরপর পিএইচডি করতে ক্যানাডা পাড়ি জমান। তিনি যখন দেশ ছাড়েন তখনও তালেবান ক্ষমতা দখল করেনি। ‘আমার মাতৃভূমির মেয়ে ও নারীদের সহায়তা করার দায়িত্ব অনুভব করেছি আমি,’ বলেন জাহরা।

দেশ ও দেশের বাইরে থাকা আফগান নারী সাংবাদিকেরা তার ম্যাগাজিনে কাজ করেন বলে জানান তিনি।

‘আফগানিস্তানের অল্প কয়েকজন নারী সাংবাদিক স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। তাদের জন্য কাজ করা খুব বিপজ্জনক। তালেবান যে ইস্যুগুলো শুনতে চায় না এমন বিষয়ে তারা প্রতিবেদন পাঠান—এলজিবিটি, মানবাধিকার, পারিবারিক সহিংসতা কিংবা বাল্যবিবাহ। প্রতিবেদন করার অনেক কিছু আছে। অনেক অবিচার আছে,’ বলেন জাহরা।

ফার্সি ও ইংরেজি ভাষায় ম্যাগাজিনটি প্রকাশিত হয়ে থাকে।

জাহরা বলেন, তালেবানের প্রোপাগাণ্ডার সঙ্গে মেলে না এমন বিষয়ে প্রতিবেদন করা খুব বিপজ্জনক। ‘আমাদের স্থানীয় সহকর্মীদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। তারা ছদ্মনামে লেখেন আর আমাদের সঙ্গে কথা বলার পর ঘরের বাইরে যান। তারা একে অপরকে চেনেন না। শুধু বিদেশে থাকা সহকর্মীদের সঙ্গে তাদের পরিচয় আছে,’ বলে জানান তিনি।

নিজের কাছে জমা থাকা অর্থ দিয়ে ম্যাগাজিনের কাজ শুরু করেছিলেন জাহরা। সে কারণে শুরুতে তাদের বেতন ছাড়াই কাজ করতে হয়েছে। তবে এখন তারা বৃত্তি ও দান পাচ্ছেন। জাহরা বলেন, ‘আমরা মানুষকে সচেতন করতে চাই। তাদের চিন্তা করতে শেখাতে চাই।’

আফগানিস্তানের নারীরা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে থাকা আফগান নারীরা তার ম্যাগাজিন পড়েন বলে জানান তিনি।

 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ক্র্যানবেরির প্রথম মুসলিম মেয়র ঈমান

 

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ক্র্যানবেরি টাউনশিপে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এক মুসলিম। শুধু তাই নয়; তিনি একজন মুসলিম নারী।

এ মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ২০২৪ সালের মেয়র হিসেবে তাঁকে শপথ পাঠ করান সাবেক নারী মেয়র সাদাফ জেফার।

মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করা ওই নারীর নাম ঈমান আল-বাদাউই। তিনি মিসরীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

মেয়র নির্বাচিত হয়ে নিজের অনুভূতি জানিয়ে ঈমান বলেন, আমি কিছুতে প্রথম হতে চাইনি। তবে একজন হিজাবি নারী হিসেবে পুরোপুরি নতুন পরিবেশে নিজেকে দেখতে পেয়ে আমি সত্যিই অভিভূত। কারণ অনেক মানুষ নতুন করে আমার কার্যক্রম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে। সবাই আমার সম্পর্কে এভাবে বলা শুরু করছে, ‘ওহ, আপনি প্রথম ‍মিসরী মুসলিম, যিনি হিজাব পরে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।’ আমি মনে করি, তা শুধু আমার জন্য নয়, বরং সবার জন্য গর্বের। সর্বোপরি আগের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা ও দক্ষতা নিয়ে আমার শহরের জন্য কাজ করব।

এর আগে ২০২১ সালে ঈমান আল-বাদাউই তিন বছরের জন্য টাউনশিপ কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর গত বছর তিনি প্রথম মুসলিম ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্র্যানবেরির একজন সফল নেতা ও মেয়র হিসেবে তিনি সবার জন্য কাজ করতে চান।