banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে নারী ক্রীড়া দলে ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা

রিপাবলিকান শাসিত অঙ্গরাজ্য ওহাইওতে নারী ক্রীড়া দলগুলোতে ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্যটির আইনপ্রণেতারা। ওহাইওর গভর্নর প্রথমে এই প্রস্তাবে ভেটো দিলেও স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, নারী ক্রীড়া দলে ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ওহাইও সিনেট শিশুদের ক্ষেত্রে “জেন্ডার অ্যাফার্মিং কেয়ার” বা লৈঙ্গিক পরিচয় ফুটিয়ে তোলে এমন কোনো সেবা—চিকিৎসাসহ অন্যান্য সেবাও নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে এখন থেকে চাইলেও ট্রান্সজেন্ডার কোনো শিশুর ক্ষেত্রে তার কাঙ্ক্ষিত লিঙ্গ নিশ্চিত করতে সেবা দেওয়া যাবে না।

ওহাইও অঙ্গরাজ্যের গভর্নর মাইক ডেওয়াইন নিজেও রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অনেক বাবা-মায়ের কাছে তিনি শুনেছেন জেন্ডার অ্যাফার্মিং কেয়ার তাদের শিশুদের জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিন্তু গভর্নরের ভেটো আমলে না নিয়ে গতকাল বুধবার ওহাইও সিনেট বিষয়টিকে আইনে পরিণত করেছে। তার আগে অঙ্গরাজ্যটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভসেও বিলটি পাশ হয়। রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি গ্যারি ক্লিক বিলটি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ওহাইও সিনেট আজ নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা প্রশংসাযোগ্য।’

আগামী তিন মাস পর, অর্থাৎ ৯০ দিন পর থেকে এই আইন কার্যকর হবে। এর ফলে এখন রাজ্যটির কোনো চিকিৎসক শিশুদের স্বাভাবিকভাবে প্রাপ্ত লিঙ্গের পরিবর্তনের কোনো অপারেশন করতে পারবেন না। এমনকি, বয়ঃসন্ধিকালের বিকাশ রোধ করে এমন কোনো ওষুধও প্রেস্ক্রাইব করতে পারবেন না। একই সঙ্গে স্কুল, কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পর্যায়ে নারীদের দলে ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই আইনে।

ওহাইওর এলজিবিটিকিউ অধিকারগোষ্ঠী ইকুয়ালিটি ওহাইওর নির্বাহী পরিচালক সিওভান বয়েড নেলসন বলেছেন, ‘ওহাইওর ট্রান্সজেন্ডার, তাদের পরিবার ও মিত্ররা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে। কারণ, ওহাইও আমাদের নিজের দেশ।’

 

কুমিল্লায় ছাত্রীর হিজাব কেটে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

 

কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের তিন শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মিরন নাহার নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ওই কলেজের ক্যাম্পাসে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২১ জানুয়ারি নার্সিং কলেজের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দেন শিক্ষিকা মিরন নাহার। এসময় শিক্ষার্থীদেরকে হিজাব ছোট করে পড়ার কথা বললে শিক্ষার্থীরা এতে দ্বিমত পোষণ করেন। তবে ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কোনো কথার তোয়াক্কা না করে বারবার হিজাব কাটার কথা বলেন ও বিভিন্ন হুমকি দেন।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, এভাবে যদি আমাদের হিজাব কেটে পড়তে বলা হয়, বা কেটে ফেলা হয় তাহলে মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? ক্যাম্পাসে আমাদের শালীনতা কীভাবে আমরা বজায় রাখবো?

আরেক শিক্ষার্থী মৌরী রহমান বলেন, আমাদের প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ এবং তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থীদেরকে বেল্ট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তাই আমরা মেয়েরা যারা হিজাব বড় করে পড়ি তাদের বেল্ট দেখা যায় না। তাই আমাদের হিজাব কেটে দেয়া হয়েছে। আমি বলব বেল্ট দ্বারাই কেন চিহ্নিত করতে হবে, অন্য কোন উপায়ও তো এটা করা যায়। আমি আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। মেয়েরা যাতে শালীনভাবে চলাফেরা করতে পারে এটা চাই।

৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আকতার বলেন, আমাদের এই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সিং কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা মিরন নাহার বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমার এটি করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে আমি অনুতপ্ত। শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমি এটি করেছিলাম। তবে হিজাব কেটে দেয়া আমার উচিত হয়নি। আমি আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করব।

এ বিষয়ে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানম এর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।