banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

দাম্পত্য জীবনের শুরু থেকেই মনে রাখুন পাঁচ কৌশল

মাঝে মাঝে কিছু দমকা হওয়া ছন্দপতন এনে দিতে পারে সুন্দর দাম্পত্য জীবনে। অথবা কোনো ঠুনকো মান অভিমানের পাল্লা ভারী হতে হতে একসময় ভঙ্গুর হয়ে যায় দাম্পত্য জীবন। তাই দাম্পত্য জীবনের শুরুতেই মনে রাখুন পাঁচ কৌশল-

১। শ্রদ্ধার সম্পর্ক গড়ে তুলুন

দুটো প্রাণ এক সাথে পথ চলায় জীবনের আঁকাবাঁকা পথে কিছু কাঁটার আঁচড় রক্তাক্ত করে দেয় মাঝে মাঝে। রাগ ক্ষোভ জমতে জমতে একসময় একে অপরের প্রতি খানিক বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। ঠিক এ মুহুর্তে সঙ্গীর ভালো গুণগুলো মনে করুন। ভাবুন তাঁর অকৃত্রিম গুণসমূহের কথা, রাগ ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলে শ্রদ্ধা করুন একে অপরকে। স্বামী হলে স্ত্রীকে যথাযথ মর্যাদা দিন। তাঁর ব্যক্তিত্বে আঘাত লাগে এমন কথা কখনোই বলবেন না । আর স্ত্রী হলে স্বামীর প্রতি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কখনো বিষাক্ত বাণ ছুড়বেন না। কথার আঘাত তীরের চেয়েও ধারালো।

 

২। প্রত্যাশা ছাড়াই ভালবাসুন

কোনোরকম প্রত্যাশা ছাড়াই একে অপরকে ভালবাসুন। পরস্পরকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করতে হবে। যে কোনো সিদ্ধান্তে পরস্পরের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আপনি হয়তো তাকে বেশী ভালোবাসেন , তাই বলে সবক্ষেত্রে নিজের মতো ভালবাসা প্রত্যাশা করবেন না । মনে রাখুন প্রত্যেকের ভালবাসা প্রকাশের ধরণ ভিন্ন।

৩। বিবাহ পূর্ব জীবন সম্পর্কে অকারণ গোয়েন্দাগিরি বন্ধ করুন

আজকাল কিছু অতি উৎসাহী দম্পতিকে দেখা যায়, সঙ্গীর বিবাহ পূর্ববতী জীবন নিয়ে অতি সজাগ থাকে। এমনও হতে পারে আপনার স্বামী বা স্ত্রী বিবাহ পূর্ব কোন সম্পর্ক বা ভালো লাগায় জড়িত ছিলেন। এক্ষেত্রে সম্ভব হলে বিয়ের পূর্বে খোঁজ নিন, কিন্তু বিয়ের পরে নয়। স্বামী বা স্ত্রীকে মাফ করে দিন, মন থেকে ভালবাসুন।

৪। সহযোগী হন, প্রতিযোগী নয়

স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার মধ্য দিয়েই দাম্পত্য জীবন সুখী হয়। একে অপরের সাফল্যে নিজের মতোই খুশী হন । পরস্পরের কল্যাণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল হন।

৫। আজীবন একে অপরকে আবিষ্কার করুন

স্বামী স্ত্রীকে একে অপরকে আবিষ্কার করুন৷ প্রতিটি মানুষেরই ব্যক্তিগত ভালো মন্দের বিষয় আছে ৷ পরস্পরের প্রিয় বিষয়গুলোকে বিষয়গুলো মনোযোগের সাথে লক্ষ্য করতে হবে ৷ তার চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপারগুলোর প্রতিও একইভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে ৷ এগুলো আবিষ্কার করলেই হবেনা বরং ন্যায় সঙ্গত চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে ৷ তাছাড়াও ভালোবাসার কথা জানান দিন নিয়ম করেই।
এছাড়া স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে অবস্থান করলে নিয়মিত খোঁজ-খবর নেয়া উচিত ৷ কাজের ফাঁকে অফিস থেকে ফোন করে কথা বললে স্ত্রীর একাকীত্ব বা মন খারাপের ভেলা দূর হয়ে যায়। এছাড়া কোথাও বেড়াতে গেলে একে অপরকে ছোট-খাটো উপহার সামগ্রী দেয়া যেতে পারে। এতে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়।