প্রতিদিনের কাজের মাঝে শরীরের প্রয়োজন পর্যাপ্ত যত্ন ও মানসিক প্রশান্তি। তাই আপনার সারাদিনের ব্যস্ত রুটিনকে সাজিয়ে নিন সাস্থ্যকর কিছু ধাপে। আসুন জেনে নেই দৈনন্দিন কাজের মাঝেও এই শীতে যেভাবে নিজের যত্ন নিবেন।
শীতের ভোরে সহজে কেউ ব্যায়াম করতে চায় না বা হাঁটাহাঁটি করতে চায় না। ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই খাবার গ্রহণের সময় ব্যালেন্স করে খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন আগের দিন উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে পরেরদিন কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান। আবার অনেকেই যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা এই সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খেলে, নানান ধরনের সবজি খেয়ে খাবার গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন।
শীতের মিষ্টি রোদ আপনাকে ভিটামিন ডি’র যোগান দেবে, তাই শীতকালে অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অবশ্যই নিজের শরীরে রোদ লাগান। এতে আপনার শরীরের ব্যথা দূর হবে।
শীতকালে জলবায়ু রুক্ষ ও শুষ্ক হওয়ায় আমাদের ত্বক ফাটতে থাকে। তাই ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে হতে পারে ডিহাইড্রেশন, বলিরেখা, এবং মুখে দাগের মতো নানা ধরণের সমস্যা। যার ফলে ক্লান্তি বাড়ে এবং যে কাউকে বয়স্ক দেখাতে পারে। কনকনে শীতে শরীর চাঙা রাখতে অত্যন্ত উপকারী ও উপাদেয় একটি খাবার হলো স্যুপ। বিভিন্ন ধরনের সবজি ও মাংস দিয়ে তৈরি স্যুপ শরীরের পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ করবে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নরম পাতলা খিচুড়ি, লেবু চা, আদা চা, গরম দুধ ইত্যাদি খাবার খেলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন এবং দূর হবে পানির ঘাটতি।
প্রতিদিন আমরা কী খাচ্ছি তার উপরই নির্ভর করে আমাদের ভালো থাকা ও সুস্বাস্থ্য। খাবারের উপরেই নির্ভর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। নিজেকে ফিট রাখতে শীতে খাদ্যতালিকায় কিছু কিছু খাবার অপরিহার্য। শীতে সতেজ থাকতে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কমলা, গাজর, ডিম, আদা, কাঠবাদাম, মাশরুম, রসুন, মধু, সবুজ পাতার সবজী গ্রিন টি, সাইট্রাস ফল, মিষ্টি আলু ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার।