banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

ব্রিটেন সাময়িকী প্রসপেক্টাসের তালিকায় বিশ্বসেরা নারী চিন্তাবিদ

২০২০ আলের ১৪ জুলাই ৫০ সেরা চিন্তাবিদের তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের সাময়িকী প্রসপেক্টাস। সেখান থেকে শীর্ষ ১০ জনকে বাছাই করতে ২০ হাজার ভোট গ্রহণ করা হয়। সেই বিশ্বসেরা নারী চিন্তাবিদদের কয়েকজন হলেন-

কে কে সাইলাজা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কেরালা, ভারত

বিশ্বের সেরা ১০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছেন ভারতের কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে সাইলাজা। তিনি সাইলাজা টিচার হিসেবে বেশি পরিচিত। ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি আন্তর্জাতিকভাবেও ব্যাপক প্রশংসিত। করোনা মোকাবেলায় ভারতের কেরালা এখন বিশ্বে মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। জানুয়ারির শুরুতে কেরালায় তিন ছাত্রের করোনাভাইরাস সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। ওই তিন ছাত্রই চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই চীন থেকে আগত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের আগেই সাইলাজার নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলায় সাফল্য অর্জন করেছে কেরালা রাজ্য।

জাসিন্ডা আরডার্ন
প্রধানমন্ত্রী, নিউজিল্যান্ড

বিশ্বের সেরা ১০ চিন্তাবিদের মধ্যে জাসিন্ডা আরডার্ন দ্বিতীয়। পুরো নাম জাসিন্ডা কেট লরেল আরডার্ন। নিউজিল্যান্ডের দু’-দু’বারের প্রধানমন্ত্রী থেকে তিনি এখন পরিণত হয়েছেন বিশ্বকে শান্তির পথে নেতৃত্ব দেয়ার দূত হিসেবে। মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। গোটা বিশ্বে শান্তির পথে নেতৃত্ব দেয়ার দূত হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন জাসিন্ডা অরডার্ন।

মেরিনা তাবাসসুম

স্থপতি

বিশ্বের সেরা ১০ চিন্তাবিদের মধ্যে মেরিনা তাবাসসুম তৃতীয়। তিনি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে ভবন নির্মাণ এবং পরিবেশের দ্বারা উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করে নকশা তৈরিতে অবদান রেখেছেন। তার নকশা করা স্থানীয় উপকরণের হালকা ওজনের বাড়িগুলো স্টিলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে সক্ষম এবং পানির মাত্রা বেড়ে গেলে সেগুলো সরানো যায়। বিষয়গুলো আন্তর্জাতিকভাবে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ইলোনা জ্যাবো দে কার্ভালহো
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ব্রাজিল

বিশ্বের সেরা চিন্তাবিদদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ইলোনা জ্যাবো দে কার্ভালহো। তিনি একজন নাগরিক উদ্যোক্তা, ইগারাপা ইন্সটিটিউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইন্সটিটিউটটি সুরক্ষা, জলবায়ু এবং উন্নয়নের ছেদগুলো নিয়ে অগ্রণী গবেষণা, নতুন প্রযুক্তি এবং নীতি তৈরি করেছে।

ওলিভেট ওটেলে
ইতিহাসবিদ

ব্রিটেনের ইতিহাসবিদ ওলিভেট ওটেলে বিশ্বের নারী চিন্তাবিদদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন। তিনি কালো নারীদের মধ্যে প্রথম যিনি ব্রিসটল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক।

রুথ উইলসন গিলমোর
ভূগোলবিদ, মার্কিন

বিশ্বের সেরা চিন্তাবিদদের মধ্যে মার্কিন ভূগোলবিদ রুথ উইলসন গিলমোর স্থান সপ্তম। তিনি সেন্ট্রার ফর প্লেসের পরিচালক, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ এবং নিউইয়র্কের সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের পৃথিবী এবং পরিবেশবিজ্ঞানের অধ্যাপক। এ বছর তিনি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব জিওগ্রাফারস আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পান।

গ্রেটা সেলেস্ট গারউইগ
চলচ্চিত্র নির্মাতা

গ্রেটা সেলেস্ট গারউইগ। বিশ্বসেরা চিন্তাবিদদের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। তিনি একজন মার্কিন অভিনেত্রী, লেখক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। ২০১৭ সালে ‘লেডি বার্ড’ চলচ্চিত্র দিয়ে গ্রিটা গারউইগের একক পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয়। ছবিটি সমাদৃত হয়। ৭৫তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। ‘লেডি বার্ড’ ছবিতে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। অর্জন করেন একাডেমি অ্যাওয়ার্ডও। গারউইগ অস্কারের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে মনোনীত পঞ্চম নারী।

হিলারি ম্যানটেল
ঔপন্যাসিক

সাহিত্যিক হিলারি ম্যানটেলের লেখা বই ‘উল্ফ হল’ ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয়। এ বইয়ের জন্য তিনি ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন। তার সাহিত্যকর্মগুলো ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক উপন্যাস পর্যন্ত বিস্তৃত। ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে তিনি বেশ কিছু পত্রিকা ম্যাগাজিনে সমালোচক হিসেবেও কাজ করছেন। সমাজের নানা বিষয় উঠে এসেছে তার লেখায়। বিশ্বসেরা চিন্তাবিদের তালিকায় এর আগেও ছিলেন তিনি। এবারও তিনি তালিকায় রয়েছেন।

সারাহ গিলবার্ট
বিজ্ঞানী

বিজ্ঞানী সারাহ গিলবার্ট। কোভিড-১৯ নিরসনের ভ্যাকসিনের খোঁজে পৃথিবী যখন তোলপাড় তখন সর্বপ্রথম ‘সুখবর’ দেন এই সারাহ গিলবার্টই। লন্ডনের জেনার ইন্সটিটিউট ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। এ গবেষণার পুরোভাগে রয়েছেন সারাহ গিলবার্ট। বিশ্বসেরা চিন্তাবিদদের তালিকায় তিনি জায়গা করে নিয়েছেন।

এস্তের ডুফলো
অর্থনীতিবিদ

ফরাসি অর্থনীতিবিদ এস্তের ডুফলো ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন। নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে তিনি সর্বকনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ। তার স্বামী ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। এ বছর তিনি বিশ্বসেরা চিন্তাবিদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক।

কোরনেল ওয়েস্ট
দার্শনিক আফ্রিকান-আমেরিকান

বিশ্বের সেরা ১০ চিন্তাবিদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন কোরনেল রোনাল্ড ওয়েস্ট। তিনি একজন আমেরিকান দার্শনিক, রাজনৈতিক কর্মী, সামাজিক সমালোচক, লেখক এবং বুদ্ধিজীবী। পশ্চিম আমেরিকার বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত। তিনি বেশ কয়েকটি ডকুমেন্টারিতে অভিনয় করেছেন।

ফিলিপ্পে ভ্যান প্যারিস
দার্শনিক, বেলজিয়াম

বিশ্বের সেরা চিন্তাবিদদের মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছেন ফিলিপ্পে ভ্যান প্যারিস। তিনি একজন বেলজিয়ামের রাজনৈতিক দার্শনিক এবং রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ। তিনি একটি মৌলিক আয়ের ধারণার এবং ভাষাগত ন্যায়বিচারের প্রথম পদ্ধতিগত চিকিৎসার জন্য অন্যতম প্রবক্তা। প্রধান প্রতিরক্ষাকারী হিসেবে পরিচিত।

 

একজীবনে সফলতার প্রধান শর্ত সুপরিকল্পনা

সারা বিশ্বের রাজনৈতিক আলোচনায় এখন বাইডেন সর্বাধিক আলোচিত। আর তার নব্য ঘরানার প্রশাসন নিয়েও জল্পনা-কল্পনা অন্তহীন। তারই ধারাবাহিকতায় জেনিফার গ্রানহাম নামটি এখন আলোচনার শীর্ষে।

শুধু গ্রানহাম নামেই সারা বিশ্বে আলোচিত। পুরো নাম জেনিফার গ্রানহাম। জন্ম ১৯৫৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। জন্ম ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যানকোভারে। বর্তমানে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, লেখক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে সুখ্যাত। ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল অবধি ছিলেন মিশিগানের গভর্নর। ২০১৭ সালে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনে রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে যুক্ত হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের মা।

মাত্র চার বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে কানাডা থেকে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রেও এসেছিলেন। আনাহিম, সান জোসে এবং সান কার্লোসে তিনি বেড়ে ওঠেন। ১৯৭৭ সালে সান কার্লোস হাইস্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার আগে ইদা প্রাইস জুনিয়র হাই এবং ডেল মার হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। মিস সান কার্লোস সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তিনি জয়ী হয়েছেন।

শৈশব থেকেই হলিউডে অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তেমন সফল হতে না পেরে অভিনয় ছেড়ে দেন। ১৯৭৮ সালে ট্যুর গাইড হিসেবে চাকরি করেন। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসে পরিসেবা এবং রেডউড সিটিতে মেরিন ওয়ার্ল্ড আফ্রিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী ট্যুর গাইড হিসেবেও কাজ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন মন্ত্রিসভার জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবে জেনিফার গ্রানহামের নাম ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে বাইডেন নিজে গ্রানহামকে সবার সামনে উপস্থিত করে তার যোগ্যতা সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেন। মূলত এরপর থেকেই গ্রানহাম নামটি আরও বেশি গুরুত্ব পায়।

সাবেক গভর্নর জেনিফার গ্রানহাম সম্পর্কে জো বাইডেন বলেন, আমার ভালো বন্ধু তিনি। জ্বালানি ও পরিবেশ বিভাগের সদস্যরা মেধাবী, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছেন। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে প্রশাসনে গ্রানহাম ভবিষ্যতে সুদক্ষতার সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আরও যোগ্য প্রমাণ করবেন।

সম্ভাব্য নতুন মন্ত্রিসভার পরিচিতি অনুষ্ঠানে জ্বালানিমন্ত্রী করায় ও তার প্রতি আস্থা রাখায় শুরুতেই জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান গ্রানহাম।

সামনের সময়ে সব দেশ ও গাড়ি কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক গাড়ি ও ব্যাটারি তৈরিতে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে। সৃষ্টি হবে লাখ লাখ কর্মসংস্থান। সুতরাং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে অপার সম্ভাবনা সামাল দিতে পারা দেশগুলোই থাকবে করোনা অর্থনীতি জয়ী দেশগুলোর সামনের কাতারে। যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবে না বলে জানান ৬১ বছর বয়সি গ্রানহাম।

বাইডেন প্রশাসন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নির্বাচনের আগে থেকেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই জ্বালানির উৎস বিশেষ করে গ্যাস, কয়লা আর তেলের ব্যবহার কমিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে এমন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করবে বাইডেন প্রশাসন। এ ব্যাপারে গ্রানহাম এখন সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অতীতে তিনি দেশের জ্বালানি শিল্পকে কীভাবে গ্যাস, তেল ও কয়লানির্ভরতা থেকে বায়ু ও সৌর জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা যায় তার ওপর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড্যান কামম্যান জেনিফার গ্রানহাম সম্পর্কে বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তিনি অসাধারণ ও অভাবনীয়। কারণ তিনি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বোঝেন এবং জানেন। কীভাবে বড় দায়িত্ব পরিকল্পনার সঙ্গে এগিয়ে নিতে হয় তাও তার অজানা নয়। ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামা নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়ার কথা আলোচনায় এসেছিল।

চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে। সফল হতে হলে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুস্পষ্ট আর সম্যক ধারণা থাকাটা প্রথম শর্ত। সময় যেমনই আসুক ব্যবস্থাপনা আর সুপরিকল্পনা থাকলে তা থেকে উতরিয়ে যাওয়া কঠিন নয়। করোনা জয় করে জীবন একদিন স্বাভাবিক হবেই। বিশ্বাস নিয়ে একটু একটু করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। প্রতিদিনের কাজেও সফলতা আর না পারা থাকে। তাই জয়-পরাজয় নিয়ে থমকে না থেকে শুধু কাজ করে গেলে সফলতার পথ আপনা থেকেই অনুকূলে আসে। নিজের কথাগুলো এভাবেই জানিয়েছেন জেনিফার গ্রানহাম।