banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

বাংলাদেশের কোন ঘটনাগুলো ধর্ষণ বলে বিবেচিত হয়

বাংলাদেশে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন বিরোধী কঠোর আইন থাকলেও এ নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নেই। প্রায়ই স্বামীর দ্বারা স্ত্রী ধর্ষণের শিকার কিংবা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, আবার সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হওয়া সত্ত্বেও সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে শিশুকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ১৬ বা তার কম বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে উভয়কে।

মানবাধিকার সংস্থা ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবির হুদার মতে, এই সংজ্ঞায় শিশুকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই বয়সে মৌখিক বা লিখিত কোন সম্মতি দেয়ার মতো ক্ষমতা শিশুর গড়ে ওঠেনা।

তাই এই বয়সী কেউ যদি যৌন সম্পর্কে সম্মতি দিয়েও থাকে সেটা আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না। নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে যদি কোন পুরুষ ১৬ বছরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে যদি তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ক করেন তারপরও তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গণ্য হবে।

আবার বিবাহ বন্ধন ছাড়া ১৬ বছরের বেশি বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি ছাড়া, ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণা করে কেউ যদি যৌন সম্পর্ক করে সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে।

ভুক্তভোগীর বয়স ১৬ বছরের বেশি হলেও যদি প্রতারণা করে বা ব্ল্যাকমেইল করে তার সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক করা হয়, সেটাও ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে।
আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে দায়ী ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কিন্তু শিশু আইনে শিশুর সংজ্ঞায় বয়সের সীমা রাখা হয়েছে ১৮ বছর বা তার কম।

সেক্ষেত্রে অপরাধীর ক্ষেত্রে এই বয়স প্রাধান্য পাচ্ছে। ভুক্তভোগীর বয়স এখানে মুখ্য নয় বলে জানিয়েছেন মি. হুদা।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বয়স যদি ১৮ বা তার কম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হলেও সেটার বিচার হবে শিশু আইনে।

অন্যদিকে, নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে মামলা সত্ত্বেও ভুক্তভোগী যদি বেঁচে থাকেন এবং তার বয়স যদি ১৮ বছরের নীচে থাকে তাহলে তার শিশু আইনের আওতায় শিশু আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার সুযোগ আছে। তবে বিচার হবে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইন অনুসারেই।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ

বাংলাদেশে অনেক নারী বিয়ের আশ্বাসে সম্মতি দিয়ে তার সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক করে থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পুরুষ তাকে বিয়ে করতে না চাইলে অনেকেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে যেহেতু বলা আছে, যদি প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক করা হয়, তাহলে সেটা ধর্ষণ হিসেবে দেখা হবে।

এখন বিয়ের প্রলোভন দেখানোর বিষয়টি আইনানুযায়ী প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায়ের মধ্যে পড়লেও আদালতে অনেক সময় সেটা নাও টিকতে পারে।

এটা নির্ভর করে কতদিন ধরে বিয়ের আশ্বাস দেয়া হয়েছে, সম্পর্কের গভীরতা কেমন ছিল, লিখিতভাবে বিবাহিত না থাকলেও ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করেছিলেন কিনা, কোন সাক্ষী আছেন কিনা সেগুলোর ওপরেও নির্ভর করে বলে জানান তাকবির হুদা।

তবে বাংলাদেশের আইনে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কোন নারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনার কোন সুযোগ নেই।
আইন।

স্বামী দ্বারা স্ত্রী ধর্ষণ

বাংলাদেশের নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে, বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি কোথাও উল্লেখ নেই।

তবে স্ত্রীর বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয়, এবং তার স্বামী যদি জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করেন তাহলে ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন।

সেক্ষেত্রে শাস্তি শুধুমাত্র অর্থদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবীর হুদা।

স্ত্রীর বয়স যদি ১৩ বছর বা তার বেশি হয় তাহলে বৈবাহিক ধর্ষণের ফৌজদারি মামলা দায়েরের কোন সুযোগ নেই।

সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পারিবারিক সহিংসতা আইনের অধীনে যৌন সহিংসতার মামলা করলে কিছু প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে।

শুধু দেওয়ানি আদালতে প্রতিকার পাওয়া যাবে অর্থাৎ আদালত স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ, ভরণপোষণের আদেশ দিতে পারে।

তবে অভিযুক্ত স্বামী এসব আদেশ লঙ্ঘন করলে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে।

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করা হয়।

এর ফলে বাংলাদেশে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যুর শাস্তি প্রসঙ্গে ৯(১) ধারায় এতদিন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর যদি মৃত্যু হয় বা গণধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হয় বা আহত হন, তাহলেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল।

সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধান ছিল।

সেই আইনে পরিবর্তন এনে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে।

এর ফলে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেয়া সপ্তম দেশ হল বাংলাদেশ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ বা ধর্ষণ-পরবর্তী অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলেও একই শাস্তি হবে।

যদি কোন ব্যক্তি তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শ্লীলতাহানি করেন তাহলে এটি যৌন নিপীড়ন বলে বিবেচিত হবে।

এজন্য ওই ব্যক্তির অনধিক ১০ বছর এবং ন্যূনতম তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হবে।

এছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে যদি কোন নারী ধর্ষণের শিকার হন, তাহলে যাদের হেফাজতে থাকাকালীন ওই ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, তিনি বা তারা প্রত্যেকে হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, সর্বোচ্চ ১০ বছর কিন্তু ন্যূনতম পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং ন্যূনতম ১০,০০০ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

তবে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

তাদের অভিমত: “চরম শাস্তি সহিংসতাকে অব্যাহত রাখে, তা প্রতিরোধ করে না।”  বিবিসি বাংলা

 

ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাবের পিঠা উৎসব

রাজধানীর উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টর পার্কে পৌষ পার্বণ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাব উদ্যোগে আয়োজিত এই পিঠা উৎসব পরিণত হয় মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, সবাইকে নিয়ে আমাদের সবার ঢাকা। বর্তমানে শহুরে জীবনে বেশিরভাগ মানুষেরই প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। সামাজিক মেলবন্ধন বাড়াতে পিঠা উৎসবের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় আমাদের পাড়া-মহল্লা উৎসব করা দরকার।’

ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ হাফেজ হাবিব হাসান বলেন, ‘এই আয়োজনের জন্য ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাবের সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। দিনের শুরুতেই এত সুন্দর একটি পিঠা উৎসবের আয়োজন। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক আনন্দিত। ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাবের সাফল্য কামনা করছি।’

ক্লাবের সভাপতি আরফিনা বিলাল বলেন, ‘ঋতু বৈচিত্র্যের এই দেশে শীত আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয়। ঐতিহ্যগত কারণে এই ঋতুর সঙ্গে পিঠার অন্যরকম যোগসূত্র আছে। তাই প্রতিবছর এই শীতকে বরণ করে নেয় পিঠা উৎসবের মাধ্যমে।’

অনুষ্ঠানে সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ বিলালসহ ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই

আগামী ৩০ জানুয়ারি কলারোয়া পৌরসভার অনুষ্টিতব্য নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সাময়িক বরখাস্তকৃত পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুল ইসলাম ও তার সহধর্মিনী নার্গীস সুলতানা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছেন।

ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে উভয় প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা লাভ করেছে। এর ফলে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার চায়ের দোকান, কফি সপ, রেস্টুরেন্টে ভোটারদের মধ্যে একটাই আলোচ্য বিষয় স্বামী-স্ত্রীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মেয়র পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাকি দুইজনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী নার্গীস সুলতানা বলেন, স্বামীর নামে মামলা থাকায় আমিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চাই।

আক্তারুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনে দুজনই মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে থাকব। তবে স্ত্রীর প্রচারণায় অগ্রাধিকার রেখে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখব। আমার বিশ্বাস স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি মাঠে থাকি অন্য প্রার্থীর চেয়ে আমরা এগিয়ে থাকব।

 

করোনার ভ্যাকসিন নিলেন রানি এলিজাবেথ

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার স্বামী ডিউক অব অ্যাডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপ। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সূত্রে বিবিসি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৯ জানুয়ারি) উইন্ডসের প্রাসাদে রাজ পরিবারের একজন চিকিৎসকের কাছে রানী এবং তার স্বামী করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়।

লকডাউনের পর থেকে ৯৪ বছর বয়সী রানী এবং ৯৯ বছর বয়সী ফিলিপ উইল্ডসর প্রসাদেই অবস্থান করছেন। মহামারি করোনা থেকে বাঁচতে যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনার টিকা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।

এদিকে যুক্তরাজ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

 

সাদা এপ্রোন রক্ষায় সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে নার্সদের মানববন্ধন

‘নার্সবিদ্বেষী সিভিল সার্জন নিপাত যাক’, ‘আমাদের শরীর থেকে সুরক্ষা পোশাক খুলে নিতে দেব না’ ও ‘সাদা এপ্রোন নিয়ে হয়রানি চলবে না’ স্লোগানসহ নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামানের রিুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন নার্সরা।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে নার্সরা জানান, কর্মস্থলে সাদা এপ্রোন পরিধান করা যাবে না সম্প্রতি এমন নির্দেশনা জারি করেছেন সিভিল সার্জন। তিনি জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত না করে আমাদের এপ্রোন নিয়ে টানাটানি করছেন। মানববন্ধনে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) কুমিল্লা শাখার সহ-সভাপতি জাহানারা বেগম, আভা রানী মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুলী আক্তারসহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।

তারা বলেন, করোনায় সুরক্ষা হিসেবে সাদা এপ্রোন পরিধান করে আসছি। কিন্তু বর্তমান সিভিল সার্জন এ এপ্রোন পরিধান না করতে নির্দেশ দেন। এ জন্য প্রধান সহকারী হিসাবরক্ষক মো. আতিকুর রহমানের মাধ্যমে কর্মরত অবস্থায় ছবি তুলে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়ে হয়রানি করছেন।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাতৃকালীনসহ ছুটিসহ বিভিন্ন আবেদন নিয়ে সিভিল সার্জনের দফতরে গেলে প্রধান সহকারী আতিকুর রহমানকে উৎকোচ না দিলে হয়রানির শিকার হতে হয়।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, ‘তিন বছর ধরে এখানে আছি। আমার বিরুদ্ধে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’

কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাদা এপ্রোন ব্যবহার না করে নার্স ও মিডওয়াইফদের জাতীয় ইউনিফরম পরিধান নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রধান সহকারীর মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা।’

 

কন্যাশিশু ভূমিষ্ঠের খবরে নানা উপহার নিয়ে দরজায় পুলিশ

‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ স্লোগান সামনে রেখে মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলছেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে ‘কন্যাসন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সাথে সাথে’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেয়া হয় সম্প্রতি। ওই পোস্টে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের একটি ফোন নম্বরও দেয়া হয়।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কেদারগঞ্জ মালোপাড়ার মফিজুল হক ও সুলতানা পারভিন দম্পতির পরিবারে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। স্বজনরা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ওই নম্বরে ফোন দিয়ে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি জানায়। এর পরই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা নিউবর্ন বেবি প্যাকেজ, পোশাক, মিষ্টি, ফল এবং ফুলের তোড়া নিয়ে তাদের বাসায় উপস্থিত হন।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। এই বিপুল সংখ্যক নারী পিছিয়ে থাকলে সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব। তিনি চুয়াডাঙ্গা সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে সহযোগিতা কামনা করেন।