banner

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Monthly Archives: November 2024

 

কুমড়া বড়ি বানানোর সহজ পদ্ধতি

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এক খাবার হলো কুমড়া বড়ি। শীত এলেই কুমড়া বড়ি বানানোর ধুম পড়ে যায়। অনেকে একে ডালের বড়িও বলে থাকেন। তরকারির স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় বড়ি। মজাদার বড়ি তরকারির পাশাপাশি ভর্তা করেও খাওয়া হয়।

কুমড়া বড়ি বানানো বেশ ঝামেলার বলে মনে করেন অনেকেই! তবে চাইলেই কিন্তু সহজ উপায়ে বাসায় তৈরি করে নিতে পারবেন কুমড়ার বড়ি। বড়ি অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করেও খাওয়া যায়। জেনে নিন রেসিপি-

উপকরণ
১. মাসকলাইয়ের ডাল ১ কাপ
২. চালকুমড়া একটার অর্ধেক
৩. পাঁচফোড়নের গুঁড়া আধা চা চামচ
৪. কালোজিরা সামান্য

পদ্ধতি: প্রথমে চালকুমড়া মিহি করে কুচি করে নিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। যেন এর টক কস ভাব না থাকে। মিহি ভালো না হলে বেটেও নিতে পারেন। এদিকে সারারাত ভিজিয়ে রাখা মাসকলাইয়ের ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

যতক্ষণ না ডাল থেকে পরিষ্কার পানি বের হবে; ততক্ষণ ধুতেই হবে। যখন ডালগুলো সাদা হয়ে যাবে; তখন বুঝবেন হয়ে গেছে। তারপর পাটায় বা ব্লেন্ডারে বেটে নিতে হবে।

একটা বড় গামলায় বাটা ডাল ও চালকুমড়া ভালোভাবে অল্প অল্প করে মিশিয়ে মাখাতে হবে। ডাল মাখাতে মাখাতে একটা ফ্লাপি ভাব আনতে হবে।

মাথায় রাখবেন, এ মিশ্রণটি অনেকক্ষণ ধরে মাখাতে হবে। তারপর ছাদে পরিষ্কার পাতলা কাপড় পেতে ছোট ছোট করে বড়ি দিতে হবে। দু’দিন ভালোভাবে রোদ লাগলেই শুকিয়ে হয়ে যাবে বড়ি।

প্রথম দিন দুপুরের দিকে হাত দিয়ে দেখে যদি মনে হয় একটু শক্ত ভাব হয়ে গেছে। তাহলে কাপড় উল্টে বড়ির উল্টোপাশে রোদে দিবেন। ৫-৭ দিন পর থেকে রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন।

 

ঘরেই তৈরি করুন মজাদার ‘নাচোস’

বিভিন্ন ফাস্টফুড হাউস কিংবা রেস্টুরেন্টে বিদেশি খাবার নাচোসের দেখা মেলে। ছোট-বড় সবারই পছন্দ মেক্সিকান খাবারটি। এরই মধ্যে বাঙালির কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মুচমুচে নিমকি বা কর্ন চিপসের সঙ্গে সালাদ, চিকেন, মেয়োনিজ ও সসের দুর্দান্ত মিশেলে তৈরি হয় নাচোস।

এ খাবারে অনেক সস ও মেয়োনিজ থাকে, তাই বেশি ঝাল হয় না। এ কারণেই কম ঝালপ্রেমী ও শিশুদের কাছে নাচোস পছন্দের খাবার। তাই আপনি চাইলে কিছু উপকরণ দিয়ে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারবেন খাবারটি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-

চিপসের উপকরণ
১. ভুট্টার আটা ২ কাপ
২. ময়দা আধা কাপ
৩. পনির গুঁড়া ২০০ গ্রাম
৪. কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ
৫. লবণ পরিমাণমতো
৬. মাখন ২৫ গ্রাম
৭. কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো।

 

শীতে রুটি দীর্ঘক্ষণ নরম রাখার উপায়

স্বাস্থ্য সচেতনরা ভাতের বদলে এখন রুটি খেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে রুটি ঠান্ডা হলে খেতে ভালো লাগে না। তাই বলে তো, দিনে ২-৩ বার রুটি বানিয়ে খাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য অনেকেই এখন কিচেন হ্যাকস মেনে রুটি বেশি করে বানিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। এতে যখন প্রয়োজন; তখনই বের করে চুলায় সেঁকে নিলেই হয়ে যায়।

তবে শীতের দিনে রুটি বানানোর কিছুক্ষণ পরই তা শক্ত হয়ে যায়। যদিও বানানোর কারিশমার ওপর নির্ভর করে রুটি মখমলের মতো হবে, না-কি চামড়ার মতো শক্ত হবে। অনেকেই রুটি তৈরির সঠিক উপায় কিংবা সংরক্ষণের উপায় জানেন না, এজন্যই বাধে বিপত্তি।

আটা যেভাবে মাখবেন: ভুষিযুক্ত আটায় বেশি ফাইবার থাকে, যা স্বাস্থ্যকর। এজন্য এমন আটা নিন পরিমাপ অনুযায়ী। এর মধ্যে লবণ মিশিয়ে নিন এক চিমটি। সামান্য তেল মিশিয়ে গরম পানি দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম পানি দিয়ে রুটি তৈরি করলে তা যেমন নরম হয়; তেমনই হজমেও সাহায্য করে।

আটা যাতে খুব বেশি শক্ত বা নরম না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। আটা ভালো করে মথে নিতে হবে। যখন দেখবেন, আঙুলে যাতে না লেগে থাকে ততক্ষণ মথতে হবে। এরপর পাতলা ভেজা কাপড় দিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন।

জেনে নিন কোন উপায়ে রুটি বানালে ৪-৫ ঘণ্টা পরে খেলেও রুটি একই রকম নরম থাকবে-

>> রুটি বানানোর আগে একবার ভালো করে মেখে নিন আটার মণ্ড।

>> লেচি কাটার আগে দেখুন, তা নরম আছে কি-না! আটা বা ময়দা বেশি টাইট মাখলে কিন্তু রুটি ফুলবেও না, নরমও থাকবে না। তাই মণ্ডটা একটু নরম আছে কি-না দেখে নিন।

>> বেলার সময় লক্ষ্য করুন রুটি ঘুরছে কি-না। যতটা সম্ভব পাতলা করে রুটি বেলবেন।

>> আগুনের উপর রেখে যদি রুটি ফুলিয়ে নিতে পারেন, তা সবচেয়ে ভালো হবে। এজন্য রুটির একেকটা দিক আগুনের উপরে ১৫-২০ সেকেন্ডের বেশি রাখবেন না। এতে রুটি পুড়ে শক্ত হয়ে যাবে।

>> রুটি সেঁকা হয়ে গেলে, গরম তাওয়ায় অল্প পানি দিয়ে রুটিগুলো সেই জলে একবার বুলিয়ে নিয়েই তুলে নিন। তারপর এয়ারটাইট পাত্রে রেখে দিন।

>> হটপটে কিংবা লাঞ্চ বক্সে একটি ভেজা নরম কাপড় বিছিয়ে রাখুন। রুটি সেঁকা হয়ে গেলে তার মধ্যে রেখে, ভালো করে কাপড়টি দিয়ে মুড়ে নিন।

>> তন্দুরি রুটি দোকান থেকে কিনে এনে কয়েক ঘণ্টা পর খেলে তা শক্ত হয়ে যায়। তন্দুরি গরম করতে একটা পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার উপরে জালি রেখে তন্দুরিতে একটু স্টিম দিয়ে নিতে হবে। এতে তন্দুরি রুটি গরম ও নরম হবে।

>> রুটি কখনো দ্বিতীয়বার গরম করবেন না। তাহলে তা আরও শক্ত হয়ে যাবে।

 

মা হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধনে ২ মাসের শিশু

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার গৃহবধূ খাদিজা নাসরিন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চরফ্যাশনের সদর রোডে নিহতের ৫৩ দিনের শিশুকে নিয়ে পরিবারের সদস্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠন এ মানববন্ধেনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চরফ্যাশন পৌর কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু, চরফ্যাশন সরকারি টিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার স্নিগ্ধা, মহিলা কলেজের প্রভাষক মাহমুদা খানম মিলি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অফিস সহকারী গৃহবধূ নাসরিন হত্যার পর ৫৩ দিন অতিবাহিত হয়েছে। তারপরও মামলার মূল আসামি তার স্বামী কামাল হোসেনসহ জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দ্রুত প্রধান আসামি কামালসহ জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

গৃহবধূ খাদিজা নাসরিন চরফ্যাশন পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাদিস মিস্ত্রির বড় মেয়ে ও চরফ্যাশন উপজেলার চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অফিস সহকারী ছিলেন।

গত বছরের ২২ নভেম্বর রাতে কালিয়াকান্দি এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় খাদিজার। এর দুদিন আগে তিনি এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম নাসরিনের স্বামী কামাল হোসেন ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি একটি হত্যা মামলা করেন।

 

বাংলাদেশের কোন ঘটনাগুলো ধর্ষণ বলে বিবেচিত হয়

বাংলাদেশে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন বিরোধী কঠোর আইন থাকলেও এ নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নেই। প্রায়ই স্বামীর দ্বারা স্ত্রী ধর্ষণের শিকার কিংবা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, আবার সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক হওয়া সত্ত্বেও সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে শিশুকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ১৬ বা তার কম বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে উভয়কে।

মানবাধিকার সংস্থা ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবির হুদার মতে, এই সংজ্ঞায় শিশুকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই বয়সে মৌখিক বা লিখিত কোন সম্মতি দেয়ার মতো ক্ষমতা শিশুর গড়ে ওঠেনা।

তাই এই বয়সী কেউ যদি যৌন সম্পর্কে সম্মতি দিয়েও থাকে সেটা আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না। নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে যদি কোন পুরুষ ১৬ বছরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে যদি তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ক করেন তারপরও তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গণ্য হবে।

আবার বিবাহ বন্ধন ছাড়া ১৬ বছরের বেশি বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি ছাড়া, ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণা করে কেউ যদি যৌন সম্পর্ক করে সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে।

ভুক্তভোগীর বয়স ১৬ বছরের বেশি হলেও যদি প্রতারণা করে বা ব্ল্যাকমেইল করে তার সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক করা হয়, সেটাও ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে।
আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে দায়ী ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

কিন্তু শিশু আইনে শিশুর সংজ্ঞায় বয়সের সীমা রাখা হয়েছে ১৮ বছর বা তার কম।

সেক্ষেত্রে অপরাধীর ক্ষেত্রে এই বয়স প্রাধান্য পাচ্ছে। ভুক্তভোগীর বয়স এখানে মুখ্য নয় বলে জানিয়েছেন মি. হুদা।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বয়স যদি ১৮ বা তার কম থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হলেও সেটার বিচার হবে শিশু আইনে।

অন্যদিকে, নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে মামলা সত্ত্বেও ভুক্তভোগী যদি বেঁচে থাকেন এবং তার বয়স যদি ১৮ বছরের নীচে থাকে তাহলে তার শিশু আইনের আওতায় শিশু আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার সুযোগ আছে। তবে বিচার হবে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইন অনুসারেই।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ

বাংলাদেশে অনেক নারী বিয়ের আশ্বাসে সম্মতি দিয়ে তার সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক করে থাকেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পুরুষ তাকে বিয়ে করতে না চাইলে অনেকেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে যেহেতু বলা আছে, যদি প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক করা হয়, তাহলে সেটা ধর্ষণ হিসেবে দেখা হবে।

এখন বিয়ের প্রলোভন দেখানোর বিষয়টি আইনানুযায়ী প্রতারণামূলকভাবে সম্মতি আদায়ের মধ্যে পড়লেও আদালতে অনেক সময় সেটা নাও টিকতে পারে।

এটা নির্ভর করে কতদিন ধরে বিয়ের আশ্বাস দেয়া হয়েছে, সম্পর্কের গভীরতা কেমন ছিল, লিখিতভাবে বিবাহিত না থাকলেও ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করেছিলেন কিনা, কোন সাক্ষী আছেন কিনা সেগুলোর ওপরেও নির্ভর করে বলে জানান তাকবির হুদা।

তবে বাংলাদেশের আইনে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কোন নারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনার কোন সুযোগ নেই।
আইন।

স্বামী দ্বারা স্ত্রী ধর্ষণ

বাংলাদেশের নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে, বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি কোথাও উল্লেখ নেই।

তবে স্ত্রীর বয়স যদি ১৩ বছরের কম হয়, এবং তার স্বামী যদি জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক করেন তাহলে ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন।

সেক্ষেত্রে শাস্তি শুধুমাত্র অর্থদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্লাস্টের গবেষণা বিশেষজ্ঞ তাকবীর হুদা।

স্ত্রীর বয়স যদি ১৩ বছর বা তার বেশি হয় তাহলে বৈবাহিক ধর্ষণের ফৌজদারি মামলা দায়েরের কোন সুযোগ নেই।

সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পারিবারিক সহিংসতা আইনের অধীনে যৌন সহিংসতার মামলা করলে কিছু প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে।

শুধু দেওয়ানি আদালতে প্রতিকার পাওয়া যাবে অর্থাৎ আদালত স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ, ভরণপোষণের আদেশ দিতে পারে।

তবে অভিযুক্ত স্বামী এসব আদেশ লঙ্ঘন করলে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যাবে।

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করা হয়।

এর ফলে বাংলাদেশে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণ, ধর্ষণ জনিত কারণে মৃত্যুর শাস্তি প্রসঙ্গে ৯(১) ধারায় এতদিন ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

তবে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর যদি মৃত্যু হয় বা গণধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হয় বা আহত হন, তাহলেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল।

সেই সঙ্গে উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম এক লক্ষ টাকা করে অর্থ দণ্ডের বিধান ছিল।

সেই আইনে পরিবর্তন এনে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেই মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ডের বিধানও থাকছে।

এর ফলে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেয়া সপ্তম দেশ হল বাংলাদেশ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ বা ধর্ষণ-পরবর্তী অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটলেও একই শাস্তি হবে।

যদি কোন ব্যক্তি তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শ্লীলতাহানি করেন তাহলে এটি যৌন নিপীড়ন বলে বিবেচিত হবে।

এজন্য ওই ব্যক্তির অনধিক ১০ বছর এবং ন্যূনতম তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হবে।

এছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে যদি কোন নারী ধর্ষণের শিকার হন, তাহলে যাদের হেফাজতে থাকাকালীন ওই ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে, তিনি বা তারা প্রত্যেকে হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, সর্বোচ্চ ১০ বছর কিন্তু ন্যূনতম পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং ন্যূনতম ১০,০০০ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

তবে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

তাদের অভিমত: “চরম শাস্তি সহিংসতাকে অব্যাহত রাখে, তা প্রতিরোধ করে না।”  বিবিসি বাংলা

 

ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাবের পিঠা উৎসব

রাজধানীর উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টর পার্কে পৌষ পার্বণ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাব উদ্যোগে আয়োজিত এই পিঠা উৎসব পরিণত হয় মিলনমেলায়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, সবাইকে নিয়ে আমাদের সবার ঢাকা। বর্তমানে শহুরে জীবনে বেশিরভাগ মানুষেরই প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। সামাজিক মেলবন্ধন বাড়াতে পিঠা উৎসবের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় আমাদের পাড়া-মহল্লা উৎসব করা দরকার।’

ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ হাফেজ হাবিব হাসান বলেন, ‘এই আয়োজনের জন্য ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাবের সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। দিনের শুরুতেই এত সুন্দর একটি পিঠা উৎসবের আয়োজন। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক আনন্দিত। ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাবের সাফল্য কামনা করছি।’

ক্লাবের সভাপতি আরফিনা বিলাল বলেন, ‘ঋতু বৈচিত্র্যের এই দেশে শীত আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয়। ঐতিহ্যগত কারণে এই ঋতুর সঙ্গে পিঠার অন্যরকম যোগসূত্র আছে। তাই প্রতিবছর এই শীতকে বরণ করে নেয় পিঠা উৎসবের মাধ্যমে।’

অনুষ্ঠানে সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ বিলালসহ ঢাকা নর্থ লেডিস ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই

আগামী ৩০ জানুয়ারি কলারোয়া পৌরসভার অনুষ্টিতব্য নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সাময়িক বরখাস্তকৃত পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুল ইসলাম ও তার সহধর্মিনী নার্গীস সুলতানা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছেন।

ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে উভয় প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা লাভ করেছে। এর ফলে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার চায়ের দোকান, কফি সপ, রেস্টুরেন্টে ভোটারদের মধ্যে একটাই আলোচ্য বিষয় স্বামী-স্ত্রীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মেয়র পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাকি দুইজনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী নার্গীস সুলতানা বলেন, স্বামীর নামে মামলা থাকায় আমিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চাই।

আক্তারুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনে দুজনই মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে থাকব। তবে স্ত্রীর প্রচারণায় অগ্রাধিকার রেখে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখব। আমার বিশ্বাস স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি মাঠে থাকি অন্য প্রার্থীর চেয়ে আমরা এগিয়ে থাকব।

 

করোনার ভ্যাকসিন নিলেন রানি এলিজাবেথ

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার স্বামী ডিউক অব অ্যাডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপ। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সূত্রে বিবিসি এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৯ জানুয়ারি) উইন্ডসের প্রাসাদে রাজ পরিবারের একজন চিকিৎসকের কাছে রানী এবং তার স্বামী করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়।

লকডাউনের পর থেকে ৯৪ বছর বয়সী রানী এবং ৯৯ বছর বয়সী ফিলিপ উইল্ডসর প্রসাদেই অবস্থান করছেন। মহামারি করোনা থেকে বাঁচতে যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনার টিকা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।

এদিকে যুক্তরাজ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

 

সাদা এপ্রোন রক্ষায় সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে নার্সদের মানববন্ধন

‘নার্সবিদ্বেষী সিভিল সার্জন নিপাত যাক’, ‘আমাদের শরীর থেকে সুরক্ষা পোশাক খুলে নিতে দেব না’ ও ‘সাদা এপ্রোন নিয়ে হয়রানি চলবে না’ স্লোগানসহ নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামানের রিুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন নার্সরা।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে নার্সরা জানান, কর্মস্থলে সাদা এপ্রোন পরিধান করা যাবে না সম্প্রতি এমন নির্দেশনা জারি করেছেন সিভিল সার্জন। তিনি জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত না করে আমাদের এপ্রোন নিয়ে টানাটানি করছেন। মানববন্ধনে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) কুমিল্লা শাখার সহ-সভাপতি জাহানারা বেগম, আভা রানী মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুলী আক্তারসহ অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন।

তারা বলেন, করোনায় সুরক্ষা হিসেবে সাদা এপ্রোন পরিধান করে আসছি। কিন্তু বর্তমান সিভিল সার্জন এ এপ্রোন পরিধান না করতে নির্দেশ দেন। এ জন্য প্রধান সহকারী হিসাবরক্ষক মো. আতিকুর রহমানের মাধ্যমে কর্মরত অবস্থায় ছবি তুলে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়ে হয়রানি করছেন।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাতৃকালীনসহ ছুটিসহ বিভিন্ন আবেদন নিয়ে সিভিল সার্জনের দফতরে গেলে প্রধান সহকারী আতিকুর রহমানকে উৎকোচ না দিলে হয়রানির শিকার হতে হয়।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, ‘তিন বছর ধরে এখানে আছি। আমার বিরুদ্ধে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।’

কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাদা এপ্রোন ব্যবহার না করে নার্স ও মিডওয়াইফদের জাতীয় ইউনিফরম পরিধান নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রধান সহকারীর মাধ্যমে উৎকোচ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা।’

 

কন্যাশিশু ভূমিষ্ঠের খবরে নানা উপহার নিয়ে দরজায় পুলিশ

‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ স্লোগান সামনে রেখে মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলছেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে ‘কন্যাসন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সাথে সাথে’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেয়া হয় সম্প্রতি। ওই পোস্টে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের একটি ফোন নম্বরও দেয়া হয়।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কেদারগঞ্জ মালোপাড়ার মফিজুল হক ও সুলতানা পারভিন দম্পতির পরিবারে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। স্বজনরা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ওই নম্বরে ফোন দিয়ে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টি জানায়। এর পরই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা নিউবর্ন বেবি প্যাকেজ, পোশাক, মিষ্টি, ফল এবং ফুলের তোড়া নিয়ে তাদের বাসায় উপস্থিত হন।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। এই বিপুল সংখ্যক নারী পিছিয়ে থাকলে সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব। তিনি চুয়াডাঙ্গা সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে সহযোগিতা কামনা করেন।

 

জার্মানিতে নতুন আইন : কার্যনির্বাহী বোর্ডে রাখতে হবে নারী সদস্য

জার্মানিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কার্যনির্বাহী বোর্ডে নারী সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক করে নতুন আইন পাস হতে যাচ্ছে। বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকার এই ঐতিহাসিক বিলে সম্মতি জানিয়েছে। খবর এএফপির।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো, যাদের কার্যনির্বাহী বোর্ডে চার বা তার বেশি সদস্য রয়েছে, সেখানে অন্তত একজন নারী সদস্য রাখতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টিন ল্যাম্ব্রেখট এই আইনকে ‘একটি শক্তিশালী সংকেত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি ‘যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের প্রতিনিধিত্বের এই সুযোগ কাজে লাগানোর’ আহ্বান জানান কর্পোরেশনগুলোকে।

পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী ফ্রাঞ্জিসকা গিফে বলেন, ‘আমরা দেখাতে পারব যে জার্মানি ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত আধুনিক সমাজের পথে রয়েছে।’

ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে উচ্চপদে নারীদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। অলব্রাইট ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, জার্মানির ৩০টি বড় তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বোর্ডে মাত্র ১২.৮ শতাংশ নারী রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ২৮.৬ শতাংশ, ব্রিটেনে ২৪.৫ ও ফ্রান্সে ২২.২ শতাংশ।

করোনাভাইরাস মহামারির সময় জার্মানিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব আরও কমেছে। অক্টোবরে অলব্রাইট জানায়, ১১টি তালিকাভুক্ত কোম্পানির কার্যনির্বাহী বোর্ড শুধুমাত্র পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়।

জার্মানিতে পুরুষদের তুলনায় নারীরা ২০ শতাংশ কম আয় করে থাকে, যা সমগ্র ইউরোপীয় ইউনিউয়নের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম। যেসব কোম্পানির মালিকানার অধিকাংশ সরকারের হাতে সেগুলোতে আরও কঠোর হবে এই আইন। এসব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বোর্ডে দুই জনের বেশি সদস্য থাকলে সেখানে অন্তত একজন নারী থাকতে হবে।

 

ছুটির দিনে পাতে রাখুন সুগন্ধি পোলাও

ছুটির দিন মানেই ভরপেট খাওয়া-দাওয়া। পোলাও, বিরিয়ানি, কোফতা, কারি, ডেজার্ট সব কিছুর আয়োজনই থাকে ছুটির দিনটি ঘিরে। এবারের ছুটির দিন পরিবারসহ উপভোগ করতে পাতে রাখুন সুগন্ধি পোলাও। যেকোনো মাংসের সঙ্গে এ পোলাও দারুণ মানিয়ে যাবে। জেনে নিন রেসিপি-

উপকরণ
১. বাসমতি চাল ২ কাপ
২. ঘি ৫ টেবিল চামচ
৩. মাঝারি ২টি পেঁয়াজ কুচি
৪. গরম মশলা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
৫. লবণ প্রয়োজনমতো
৬. চিনি ৫০ গ্রাম
৭. কাজুবাদাম কুচি ২০ গ্রাম
৮. কিশমিশ ২০ গ্রাম
৯. গরম দুধে ভেজানো এক চিমটি জাফরান
১০. মটরশুটি এক মুঠো

পদ্ধতি: প্রথমে ২০ মিনিট চাল ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে চাল ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি বড় প্যানে ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি ও গরম মশলার গুঁড়া দিয়ে ভেজে নিন। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে চাল দিয়ে পাঁচ মিনিট ভাজুন।

পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। এরপর জাফরান ভেজানো দুধ, চিনি, কাজু বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে ভালোমতো নেড়ে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। ততক্ষণে পোলাও থেকে সুগন্ধ বের হতে থাকবে। এবার ভাত ফুটলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

কনের ইচ্ছায় এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে

এটি কোনো চলচ্চিত্রের ঘটনা নয়। ফরিদপুরে একটি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এক টাকা দেনমোহরে। আজ শুক্রবার দুপুরে শহরের ঝিলটুলী মহল্লার মেজবান পার্টি সেন্টারে কনের দাবির মুখে এবং কনের পরিবারের প্রস্তাবে এক টাকার দেনমোহরে কাবিন সম্পন্ন হয়। এরপর সেখানে আয়োজিত হয় বিয়ে–পরবর্তী ভোজের।

কনে বিপাশা আজিজ (২৫) মাদারীপুরের সাহেবের চর মহল্লার বাসিন্দা আজিজুল হক ও নাসরিন সুলতানার একমাত্র মেয়ে। তবে পরিবারটি ফরিদপুর শহরের আলীপুর মহল্লায় বসবাস করে। বিপাশা ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা পদে কর্মরত। বর আশীকুজ্জামান চৌধুরী (৩০) ব্যবসা করেন। ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ি কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও তাহমিনা চৌধুরীর ছেলে তিনি।

এ বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কনে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন, তিনি যেহেতু আর্থিকভাবে সচ্ছল, তাই তাঁর বিয়ের কাবিনে দেনমোহর ধরা হবে এক টাকা। কিন্তু ওই বিয়ের অনুষ্ঠানের কাজি দেনমোহরের জায়গায় দুই লাখ টাকা লেখেন। এ ঘটনা জানার পর মেয়ের মা তাঁর মেয়ের সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক টাকা দেনমোহর লেখান।

বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সামাজিক ফোরাম নাগরিক মঞ্চের সভাপতি আওলাদ হোসেন। তিনি বলেন, সাধারণত দেখা যায় কনেপক্ষই দর-কষাকষি করে কাবিনের সময় দেনমোহর বাড়িয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে এটি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। পাশাপাশি আর্থিকভাবে সচ্ছল এক নারীর আত্মমর্যাদা রক্ষার দৃষ্টান্তও বটে।

তবে এক টাকার দেনমোহরের দৃষ্টান্তকে সাধুবাদ জানাতে পারেননি নারী নেত্রী বেসরকারি আইনি সহায়তা প্রদান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ফরিদপুরের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মুসলিম বিয়ে একটি চুক্তি। মোহরানা নারীর হক। স্বামীর আর্থিক সংগতি ও নারীর সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে দেনমোহর নির্ধারিত হয়ে থাকে।

শিপ্রা গোস্বামী বলেন, মোহরানার ব্যাপারে আবেগের কোনো স্থান নেই। আবেগের বশে মোহরানায় এক টাকা লেখা যেতে পারে। কিন্তু এটি মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। কেননা, নারী বর্তমানে সচ্ছল হতে পারেন, কিন্তু ভবিষ্যতে তিনি সচ্ছল না–ও থাকতে পারেন।

 

অনলাইনে নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিয়ে প্রচার দরকার

বয়সে কিশোরী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর টিকটকে ভিডিও বানানোর শখ। তাকে এই জগতে তারকা বানানোর লোভ দেখান কয়েকজন তরুণ। নানাবাড়ি যাওয়ার কথা বলে কিশোরী বাড়ি থেকে বেরোয়। এরপর গণধর্ষণের শিকার হয় সে। এরপর মেয়েটি ভর্তি হয়ে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)। এই কিশোরীই শুধু না, ইন্টারনেট দুনিয়ায় দ্রুত জনপ্রিয় হতে বা তারকা হতে গিয়ে কিশোরীরা অপরাধের শিকার হচ্ছে। টিকটক, লাইকির মতো ভিডিও প্রকাশের অ্যাপ কিংবা বিগোর মতো লাইভ ভিডিওর অ্যাপে দ্রুত তারকা হওয়ার ইচ্ছা থাকে কমবয়সী অনেক ছেলেমেয়ের। লাখ লাখ অনুসারী, লাইকের আশায় অনেকেই এসব মাধ্যমে যায়। আর এর সুযোগ নেয় অপরাধীরা। এখন নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার অন্যতম মাধ্যম হয়েছে অনলাইন দুনিয়া।

প্রায় দুই বছর আগে ইউনিসেফের জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৩২ শতাংশ শিশু অনলাইন সহিংসতা, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ডিজিটাল উৎপীড়নের শিকার হওয়ার মতো বিপদের মুখে রয়েছে। সেখানে ৬৩ শতাংশ ছেলে এবং ৪৮ শতাংশ মেয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এ ছাড়া বলা হয়, ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ ছেলে ও ৪৪ শতাংশ মেয়ে অনলাইনে অপরিচিত মানুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করে।

প্রথম আলো ও বেসরকারি সংগঠন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ গত বছরের ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে সহিংসতার মাত্রা বুঝতে অনলাইনে একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে দেখা যায়, ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় ৫৩ শতাংশ নারী কখনো না কখনো অনলাইনে হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেনের (এনসিএমইসি) তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের দিয়ে যৌন-দৃশ্যে কাজ করানো, তাদের যৌন নিপীড়নের ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং তা আদান–প্রদানের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।

নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার বুলিং এখন অন্যতম সমস্যা বলে জানান ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শাবনাজ জাহেরিন। তিনি বলেন, অনলাইনে নিরাপত্তার বিষয়গুলো অনেকেই জানে না। সে কারণেই তারা বিভিন্ন সময়ে প্রতারণা ও অপরাধের শিকার হয়। দেখা যায়, অনেকে সরাসরি যেগুলো করতে সাহস পেত না, তা অনলাইনের মাধ্যমে করছে। অনলাইন সহিংসতায় মেয়েদের ক্ষেত্রে যৌন হয়রানির অভিযোগই বেশি।

শাবনাজ জাহেরিন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা এবং নিজের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, অপরিচিত কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করা, দেখা করা, ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি শেয়ার করা—এ বিষয়গুলো করা যাবে না। অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে হলে কী করতে হবে, সেসব নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা দরকার। কেউ হয়রানি বা অপরাধের শিকার হলে কোথায় অভিযোগ করা যায়, সেগুলো নিয়েও সরকারকে প্রচারণা চালাতে হবে। ভুক্তভোগী সবার পক্ষে সব সময় পুলিশের কাছে যাওয়া হয়তো সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ করার উপায়গুলো সহজ করে দিতে হবে। বিচার-প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও যেন দীর্ঘসূত্রতা না হয়। সরকারের ডিজিটাল উন্নয়নের যেমন প্রচারণা আছে, পাশাপাশি অনলাইনে সুরক্ষিত থাকার বিষয়ে তেমন প্রচারণা চালাতে হবে। শিক্ষকেরাও যেন ক্লাস শেষে এসব নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা নারীদের স্বাবলম্বী দেখতে চাচ্ছি এবং এটা সম্ভব। কিন্তু নারীদের জন্য সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে,’ বললেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান। তিনি আরও যোগ করলেন, ছোট থেকে কঠোর পরিবেশে মেয়ে শিশুকে বড় করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে তাদের আর কিছু জানা বা বোঝার সুযোগ খুব কম দেওয়া হয়। কিন্তু সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ছোট থেকেই মেয়েদের মেশার সুযোগ দিতে হবে। তখন নিজেরাই মানুষ সম্পর্কেও ধারণা পাবে। নয়তো নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আটকে রেখে বড় করলে এই মেয়েরা যখন হঠাৎ হাতে প্রযুক্তি পায়, তখন তার জন্য ভালো–মন্দ বোঝা সম্ভব হয় না। সে অনেক ফাঁদে পড়ে যায়। অনলাইনে নারীরা নানান বিষয়ে প্রতারিত হচ্ছে। তাই ছোট থেকেই সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে।

সাইবার বুলিং বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেয়েছে সাদাত রহমান। নিজেদের তৈরি সাইবার টিনস নামের অ্যাপের মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের ভুক্তভোগীদের সহায়তা করার চেষ্টা করে। নড়াইল জেলা-ভিত্তিক কাজই বেশি করেন সাদাত রহমানেরা। নিজেদের একটি কেসের উদাহরণ দিয়ে সাদাত প্রথম আলোকে বলে, নবম শ্রেণির এক মেয়ের ফেসবুক বন্ধুদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ ছিল। অন্য জেলার এক ছেলের সঙ্গে তার অনেক সখ্য হয়। একপর্যায়ে ছেলেটি তার কাছ থেকে বিপদের কথা বলে কিছু টাকা নেয়। পরে ছেলেটি যোগাযোগই বন্ধ করে দেয়।

সাদাত জানায়, এসব ছাড়াও ব্ল্যাকমেলিংয়ের ঘটনা অনেক ঘটে। ব্যক্তিগত ছবি ছড়িয়ে দেওয়া, ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলার মতো অপরাধের শিকার হয় কিশোরীরা। নিজেদের অভিজ্ঞতার থেকে সাদাতের পরামর্শ, অনলাইনে এমন একটা জায়গা, যেখানে সবকিছুই তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য চলে যায়। এখানে কখনোই ব্যক্তিগত কোনও তথ্য শেয়ার করা উচিত না। অপরিচিত কারও সঙ্গে শুধু অনলাইন বন্ধু হতে গিয়ে নিজের স্কুলের নাম পর্যন্তও জানানো উচিত না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বললেন, ‘প্রযুক্তির অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেশে এখন টিকটক, লাইকি, নানা অ্যাপের ব্যবহার জনপ্রিয়। এসব ব্যবহার করে অনেক অপরাধের শিকার হওয়ার অনেক অভিযোগ পাচ্ছি আমরা। এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে কিছু সামাজিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ অবগত, আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করতে। ইন্টারনেটের ব্যবহার যেন ভালো হয়। ভালো কাজে যেন এটা ব্যবহার করতে পারি।’

 

সাতক্ষীরায় দুই সন্তানসহ গৃহবধূ ১০ দিন ধরে নিখোঁজ

দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন গৃহবধূ শিল্পী রাণী ঘোষ (৩৪)। এরপর ১০ দিন কেটে গেলেও তাঁদের আর সন্ধান মিলছে না। স্ত্রী–সন্তানদের খোঁজ না পেয়ে পাগলপ্রায় হয়ে উঠেছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধান্দিয়া ইউনিয়নের ঝড়গাছা গ্রামের দীপংকর ঘোষ।

দীপংকর ঘোষ বলেন, কয়েক দিন আগে বড় মেয়ে চুমকি (১৩) ও ছেলে রুদ্রকে (৭) নিয়ে শিল্পী রাণী তালা উপজেলার খেসরা ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে বাবার বাড়ি যান। গত ২৫ ডিসেম্বর সেখান থেকে শিল্পী তাঁর ছেলেমেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়ি ঝড়গাছার আসার জন্য বের হন। এরপর থেকে তাঁদের কাছে থাকা দুটি মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

দীপংকর ঘোষ বলেন, তিনি তাঁর আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়েও সন্ধান পাননি। এ বিষয়ে তাঁর শ্বশুর গোবিন্দলাল ঘোষ ২৭ ডিসেম্বর তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পুলিশ তাঁদের খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে এখনো কোন ইতিবাচক তথ্য দিতে পারেনি। এমনকি তাঁদের ভাগ্যে কি ঘটেছে, তা–ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, তাঁরা জিডির সূত্র ধরে খোঁজাখুঁজি শুরু করছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।