banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

শীতের রেসিপি: সবজি পনির কারি

বাজারে এখন হাত বাড়ালেই পাবেন শীতের সবজি। সবজি দিয়ে ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু সবজি পনিরের কারি।

আসুন জেনে কীভাবে তৈরি করবেন-

উপকরণ

মটরশুটি এক কাপ, গাজর কিউব করে কাটা এক কাপ, ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা এক কাপ, পনির কিউব করে কাটা এক কাপ, ফুলকপি এক কাপ, মটর ডাল এক কাপ, টমেটো কিউব করে কাটা দুটি, কেসোনাট ১০টি, কাঁচামরিচ চার থেকে পাঁচটি, গরম মসলা এক চা চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ, তেজপাতা একটি, জিরা আধা চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, ধনেপাতা কুচি সামান্য, মাখন এক টেবিল চামচ, তেল পরিমাণমতো ও লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে একটি প্যানে তেল দিয়ে ফুলকপি ও পনির ভেজে নিন। এর পর একই প্যানে মটরশুটি, গাজর, মটর ডাল ও ক্যাপসিকাম ভেজে নিন। ভাজা সব সবজি অলাদা করে প্লেটে তুলে রাখুন।

এবার টমেটো ও কাজুবাদাম আলাদা করে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। আর অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে জিরা, তেজপাতা, হলুদ গুঁড়া, আদা বাটা ও কাঁচামরিচ দিয়ে কষিয়ে নিন।

এর পর এতে গরম মসলা, মরিচের গুঁড়া ও পানি দিয়ে নেড়ে দিন। পাঁচ মিনিট পর এতে ব্লেন্ড করা টমেটো ও বাদাম বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন।

এখন এতে একে একে সব সবজি ও পনির দিয়ে দিন। এবার এতে লবণ ও মাখন দিয়ে সবজির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। চাইলে সামান্য পানি দিতে পারেন। ঘন হয়ে এলে এর ওপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে চুলা থেকে নামিয়ে প্লেটে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু সবজি পনির কারি।

লেখক: গৃহিণী

 

সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর কন্টেন্ট থেকে শিশুদের বাঁচাবেন যেভাবে

সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে নানা ধরনের রেকমেনডেশন পাঠানোর জন্য যেসব প্রোগ্রাম দেয়া থাকে, তা শিশুদের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। মানসিক অবসাদ কিংবা আত্মহত্যার জন্য তথ্য খুঁজছে যে টিনএজার তার কাছে এসব রেকমেনডেশন ইঞ্জিনগুলো আরও বেশি করে তথ্য পাঠায়।

অনেক শিশু অনলাইনে ভিডিও দেখে সেগুলো থেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা পেতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর কন্টেন্ট ও ভিডিও থেকে শিশুদের দূরে রাখতে বাবা-মায়ের সচেতনতাটাই সবচেয়ে জরুরি।

ব্রিটেনের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অফকমের হিসাব অনুযায়ী, ১২-১৫ বছর বয়সীদের ৯০ শতাংশের হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে। এদের মধ্যে প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজনের এখন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও রয়েছে।

আইন অনুযায়ী, জনপ্রিয় অ্যাপগুলোতে ১৩ বছর বয়সের নিচে কাউকে অ্যাকাউন্ট খুলতে দেয়ার কথা না। কিন্তু তা সত্ত্বেও শিশুরা এসব অ্যাকাউন্ট তৈরি করছে এবং তাদের ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো কিছুই করছে না।

ব্রিটেনের শিশু রক্ষা চ্যারিটি ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েল্টি টু চিলড্রেন্স (এনএসপিসিসি) শিশুরক্ষা নীতি বিভাগের প্রধান এন্ডি বারোস জানান, শিশুরা এসব কন্টেন্ট দেখে যে ঝুঁকির মুখে পড়ছে তা বিবেচনা করার জন্য আইন তৈরি করে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করা উচিত।

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ফেসবুক ঘোষণা করেছে, আত্মহত্যা ও ক্ষতিকর কন্টেন্ট খুঁজে বের করতে এবং দূর করতে তারা ইনস্টাগ্রামে তাদের অটোমেটেড টুলের পরিধি আরও বাড়িয়ে দেবে।

কিন্তু ফেসবুক বলছে, ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ওপর ইউরোপের আইন এতই কঠোর যে এ ক্ষেত্রে তাদের খুব বেশি কিছু করার থাকে না।

শিশুদের প্রযুক্তির ভালো ও খারাপ বিষয়গুলো বোঝাতে হবে। নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য অন্যান্য বিষয়ে যেভাবে শিশুদের শিক্ষা দেয়া হয়, তেমনি অনলাইনে নিরাপদ থাকার দক্ষতাও শিশুদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা