banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

যে কারণে শিশুরা করোনায় কম আক্রান্ত হয়

সফলভাবে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য করোনাভাইরাসকে ফুসফুসের ‘এপিথেলিয়াল সেল’ ভেদ করতে হয়। আর যে ‘এনজাইম’ বা ‘কো-রিসেপ্টর’য়ের মাধ্যমে ভাইরাসটি এই কাজ করে সেটি প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধদের তুলনায় শিশুদের থাকে কম।

গবেষণায় বলা হয়, ওই ‘এনজাইম’কে দমন করতে পারলে প্রাপ্তবয়স্কদের ‘কোভিড-১৯’ থেকে সুরক্ষা দেয়া এবং রোগ সারিয়ে তোলাও সম্ভব হবে।

করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমাদের এখনও অনেকটা জানা বাকি। তবে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হল ‘ভাইরাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করার পর এর প্রোটিনের তৈরি ‘স্পাইক’ বা অভিক্ষেপগুলো ‘এসিই টু’ নামক ‘রিসেপ্টর’য়ের সঙ্গে আটকে যায়। এই ‘রিসেপ্টর’গুলো ফুসফুসের নির্দিষ্ট কিছু কোষের উপরিভাগে থাকে।

পরে কোষের ‘টিএমপিআরএসএস ‍টু’ নামক এনজাইম ওই প্রোটিনের অভিক্ষেপগুলো কেটে ধ্বংস করে। এতে ভাইরাস কোষের ‘মেমব্রেন’ বা ঝিল্লির সঙ্গে মিশে যায় এবং একপর্যায়ে কোষের ভেতরে প্রবেশ করে।

একবার কোষের ভেতরে প্রবেশ করতে পারলে ভাইরাস কোষের অভ্যন্তরীণ জিনগত নিয়ন্ত্রণ নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয় এবং নিজের ‘আরএনএ’য়ের ‘কপি’ তৈরি করা শুরু করে।

এই গবেষণার নেতৃত্তে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভ্যানডারবেল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকাল সেন্টার’য়ের ‘পিডিয়াট্রিকস’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেনিফার সুক্রে। তার সঙ্গে আরও ছিলেন এই সংস্থার ‘মেডিসিন’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাথন ক্রপস্কি।

তারা মনে করেন, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ‘কোভিড-১৯’য়ের তীব্রতা বেশি আর শিশুদের ক্ষেত্রে তা কম হওয়ার পেছনে ‘টিএমপিআরএসএস ‍টু’ এনজাইমের ভূমিকা আছে।

ভ্যান্ডারবেল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকাল সেন্টার’য়ের প্যাথলজিস্টদের সাহায্য নিয়ে গবেষকরা বিভিন্ন বয়সের মানুষের ফুসফুস কোষের নমুনা সংগ্রহ করেন।

‘সিঙ্গেল সেল আরএনএ’ সিকোয়েন্সিং’য়ের মাধ্যমে বয়সের সঙ্গে ফুসফুসের বিকাশবিষয়ক তথ্য বের করা হয়।

দেখা যায়, বয়স যত বাড়ে, ততই বাড়ে ‘টিএমপিআরএসএস ‍টু’ সক্রিয়তা।

‘জিন ও প্রোটিন দুই ক্ষেত্রেই ওই এনজাইমের প্রভাব বিদ্যমান’, বলেন সুক্রে।

 

শীতে গরম গরম মাশরুম মাসালা

মাশরুম হলো খাবার উপযোগী ছত্রাকের ফলন্ত অঙ্গ, যা অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মুখরোচক খাবার হিসেবে মাশরুম খেয়ে আসছেন। এ ছাড়া বর্তমান বিশ্বে সব দেশের মানুষই মাশরুম খেয়ে থাকেন।

মাশরুম দিয়ে মজাদার অনেক খাবার তৈরি করা যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো মাশরুম মাসালা।

আসুন জেনে নিই কীভাবে তৈরি করবেন মাশরুম মাসালা-

উপকরণ

মাশরুম ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২টি (স্লাইস), টমেটো ১টি (কুচি), কাঁচামরিচ ১টি (কুচি), রসুন ৬ কোয়া (কুচি), আদা ১ ইঞ্চি (কুচি), কারি পাতা কয়েকটি, তেল দেড় টেবিল চামচ, জিরা আধা চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, জিরার গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১/৪ চা চামচ, টকদই ১/৩ কাপ, পানি ১/৪ কাপ, ধনিয়া পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, ক্যাশুনাট ১ টেবিল চামচ ও গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন

প্যানে তেল গরম করে আস্ত জিরা দিন। এর পর ফুটতে শুরু করলে কাঁচামরিচ কুচি, আদা ও রসুন কুচি দিয়ে নাড়ুন। কাচা গন্ধ চলে গেলে কারি পাতা, পেঁয়াজ কুচি ও হলুদ দিয়ে দিন। পেঁয়াজ বাদামি রঙ ধারণ করলে টমেটো কুচি দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়ুন।

টমেটো নরম হয়ে গেলে গুঁড়া মসলা দিয়ে দিন। ভালো করে কষিয়ে মাশরুম দিয়ে দিন। চিনি ও লবণ দিয়ে নেড়ে নিন।

কয়েক মিনিট নেড়ে ঢেকে দিন প্যান। ৫ থেকে ৬ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ঢাকনা তুলে জ্বাল কমিয়ে টকদই দিয়ে মিশিয়ে নিন। কয়েক মিনিট নেড়ে ১/৪ কাপ পানি দিয়ে রান্না করুন।

আরেকটি প্যানে ঘি গরম করে ক্যাশুনাট ভেজে নিন। বাদামি রঙ হয়ে গেলে গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাশরুমের প্যানে ঢেলে নেড়ে নিন। ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।