banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

হারিয়ে যাচ্ছে শীতের খেজুর রস

মাগুরা জেলায় এক দশক আগেও শীতের মৌসুমে সকালে রসের হাড়ি ও খেজুর গাছ কাটার সরঞ্জামসহ গাছির ব্যস্ততার দৃশ্য চোখে পড়ত। শীতের মৌসুম শুরু হতেই বাড়ি বাড়ি চলত খেজুরের রস কিংবা রসের পাটালি গুড় দিয়ে মজাদার পিঠা-পুলির আয়োজন।

পাশাপাশি খেজুরের রস দিয়ে তৈরি ঝোলা গুড়ের সুনাম তো ছিলই। তবে গ্রামবাংলার সেই দৃশ্য এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এসব অনুষঙ্গ। নানাবিধ কারণেই গ্রামের মানুষ যেন ভুলতে বসেছে এসব ঐতিহ্যবাহী উপাদান।

মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা রহিমা বেগম জানান, তিনি প্রতিবছর শীতের সময় বাবার বাড়িতে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসেন শুধু খেজুর রস ও রসের তৈরি পিঠা-পুলি খেতে। কিন্তু কয়েক বছর হলো এখন তিনি আর রস খেতে পান না।

তিনি জানান, তার চার ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি এবছরও তার ছেলে-মেয়েদের এখন পর্যন্ত খেজুরের রসের তৈরি পিঠা-পুলি খাওয়াতে পারেননি।

মাগুরার শালিখা উপজেলার বুনাগাতি গ্রামের গাছি ওয়ালিয়ার জানান, ইটের ভাটায় ব্যাপকভাবে খেজুর গাছের খড়ি ব্যবহারের কারণে এ গাছ কমে যাচ্ছে। খেজুর গাছের খড়ি তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় ইটের ভাটায় এ গাছের চাহিদা প্রচুর।

তিনি জানান, খেজুর গাছের ব্যাপক নিধনের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো মাগুরায়ও কমছে খেজুর গাছ। দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে খেজুরের রস। আসলে গাছ বাঁচাতে পারলেই রস পাওয়া সম্ভব।

এ বিষয়ে মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, ‘মাগুরায় কিছু খেজুর গাছ থাকলেও গাছির সংকটে এসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘কয়েক গ্রামের ব্যবধানে দু’একজন গাছি পাওয়া গেলেও গাছ তুলনামূলকভাবে কম থাকায় রস সংগ্রহের কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে কারণে খেজুরের রসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী শীতের নবান্ন উৎসবের খেজুর রসের ক্ষির, পুলিপিঠা, রসের মন্ডা মিঠাইসহ নানা মুখরোচক খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। এ ঐতিহ্য বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ জাগোনিউজ

কফি পান করলে কমবে চর্বি

বাড়তি চর্বি নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার কারণ। এই চর্বির কারণে হতে পারে নানা অসুখ। তাই শরীর থেকে বাড়তি চর্বি ঝরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন প্রত্যেক সচেতন মানুষ। চর্বি কমাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কফি। তবে এই কফি দুধ-চিনি মেশানো নয়, হতে হবে ব্ল্যাক কফি।

এককাপ ব্ল্যাক কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ ২। ডিক্যাফেইনেটেড বীজ থেকে বানান হলে তাতে আবার একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতের খাবার খাওয়ার পরে এককাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে নতুন ফ্যাট কোষ তৈরি হয় না।

শুধুমাত্র ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডই যে ওজন কমানোর জন্য কালো কফিকে আদর্শ করে তুলেছে তা নয়। ব্ল্যাক কফিতে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস আছে যা দ্রুত ওজন কমানোর সহায়ক।

ব্ল্যাক কফিতে থাকে ক্যাফিন যা খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয়। ফলে ক্ষুধা কম পায়। তবে চিনি বা অন্যান্য মিষ্টি যুক্ত করে একে লো-ক্যালোরি পানীয় বানাবেন না।

ব্ল্যাক কফির সঙ্গে যদি সামান্য মধু আর লেবু যোগ করে খেতে পারেন, তাহলে যেমন স্বাদ বাড়ে তেমনই তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এমনিতেই লেবু আর মধু ওজন কমানোর সহায়ক। আর তার সঙ্গে যদি যুক্ত হল ব্ল্যাক কফি তাহলে ওজন কমবেই।

দুধ দিয়ে কফি পান করার খুব ইচ্ছা হলে আমন্ড কিংবা সয়া মিল্ক দিয়ে খান। তাতে শরীরও ভালো থাকবে। ওজনও কমবে।

ব্ল্যাক কফি সকালে খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। লেবু-মধু মিশিয়ে এই কফি খাওয়ার আদর্শ সময় হলো সন্ধ্যাবেলা। এতে অতিরিক্ত ফ্যাট জমবে না। অনেকেই বলেন রাতে ব্ল্যাক কফি খেলে ঘুম আসে না। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। কফির সঙ্গে মধু আর লেবুর রস মেশালে হজম ভালো হয়।

যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে এককাপ পানি গরম করুন। তাতে কফি মিশিয়ে কিছুটা সময় ফুটিয়ে নিন। এবার কাপে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া আর লেবু-মধুর মিশ্রণ বানিয়ে নিন। কফি ছেঁকে নিন। ৫ মিনিট রেখে একটু ঠান্ডা করে খান। মধুর বদলে ব্রাউন সুগারও ব্যবহার করতে পারেন।