banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশাতের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

‘পাপড়ি’স ড্রিম’ –এর প্রতিষ্ঠাতা নিশাত তাসমিনের পরিবারে তার মা-ই ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু তার মায়ের পক্ষে একা পুরো পরিবারের খরচ চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছিল।
তাই নিশাত তার মাকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন যাতে তাদের পরিবার একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার দু’বছর পর আমি লক্ষ্য করলাম যে অনেকেই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বাসায় রান্না করা খাবার বিক্রি করছে, যা আমার কাছে খুব সময়োপযোগী ও ভালো ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বলে মনে হয়েছিল। তাই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে যারা বাসায় রান্না করা খাবার বিক্রি করছে আমি সেই পেজগুলো সার্চ করতাম এবং তাদের ব্যবসার ধরণ বোঝার জন্য সেই পেজগুলোতে নিয়মিত দেখতাম। এসব করতেই করতেই রান্নাঘর থেকে আয় করার পরিকল্পনাটি আমার মাথায় আসে। – বলছিলেন নিশাত।

অনেক চিন্তাভাবনা করে অবশেষে ২০১৮ সালে নিশাত তার মায়ের রান্না করা খাবারের ছবি দিয়ে একটি ফেসবুক পেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি খাবারের ছবিগুলো ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপেও শেয়ার করেন।

এর কিছুদিন পরেই নিশাত তার প্রথম অর্ডারটি পান। প্রথম অর্ডারটি ছিল চিকেন রোস্টের, যেটি তার মায়ের হাতের রান্না করা প্রিয় খাবার। নিশাত আজও সেই দিনের কথা মনে করেন। প্রথম অর্ডারটি পাওয়ার পর আমি আমার মাকে ফেসবুক পেজটি সম্পর্কে বলি। প্রথমে তিনি অবাক হন এবং একই সঙ্গে বেশ খুশিও হন। তিনি যেহেতু বাড়ির বাইরে ছিলেন তাই তিনি আমাকে চিকেন রোস্ট রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যেতে বলেন। আমি তার কথামতো সবকিছু কিনে আনি এবং মা কাজ থেকে বাড়ি ফিরে রোস্ট রান্না করলেন। এভাবেই আমরা প্রথম অর্ডারটি আমাদের গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম।

এরপর প্রায় দুই বছর কেটে গেছে। এখন যে কয়েকটি বাংলা খাবারের পেজ আছে সেগুলোর মধ্যে ‘পাপড়ি’স ড্রিম’ বেশ পরিচিত।

নিশাতের মা এখন চাকরি ছেড়ে তার পুরো সময় মেয়ের ব্যবসায় দিচ্ছেন। তারা যৌথভাবে পুরো ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা, অর্ডার নেওয়া ও খাবার তৈরি করতে কাজ করছেন। পাপড়ি’স ড্রিম –এ চিকেন রোস্ট, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের দেশি ভর্তা পাওয়া যায়। তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশেষ খাবার হলো ‘খুদের ভাত ভর্তা’।

২০১৯ সালে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে সবচেয়ে বেশি খাবার বিক্রি করার জন্য নিশাত ‘হোমশেফ’ আয়োজিত ‘সেরা তরুণ উদ্যোক্তা’ পুরস্কারও পেয়েছেন।

তেলাপোকা তাড়াতে

তেলাপোকা তাড়াতে পারছেন না কিছুতেই? তেলাপোকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আজই ট্রাই করুন, এই ছোট পদ্ধতিগুলো:

• রান্নাঘরেই তেজপাতা থাকে৷ তেজপাতা গুঁড়া করে বিভিন্ন ঘরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে দিতে পারেন৷ তেলাপোকারা পালাবে
• তেলাপোকা দূর করতে ঘরের চারপাশে বোরিক পাউডারের সঙ্গে আটা বা ময়দা মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন।
• লবঙ্গও খুব কাজের তেলাপোকা তাড়াতে।
বেশ কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিন রান্নাঘরের বিভিন্ন জায়গায়। ছোট্ট এই মসলাটির ঝাঁঝালো গন্ধ তেলাপোকার শত্রু

• একটি মগে এক লিটার পানি নিন এবং এতে একটি রসুনের কোয়া, একটি পেঁয়াজের পেস্ট এবং এক টেবিল চামচ গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার স্প্রে করে দিন সারা বাড়িতে বা যেসব জায়গায় তেলাপোকা বেশি আসে
• শুধু তেলাপোকা নয়, সব ধরনের পোকামাকড় তাড়াতে ঘরে রেখে দিন নিমপাতা। নিম তেল বা নিমপাতার গুঁড়াও রাখতে পারেন।

 

মায়ের জন্যই সন্তান হয় বুদ্ধিমান!

সন্তান কোনো ভুল করলে তখন বাবা মা একজন অন্য জনের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন। প্রায়ই তাদের বলতে শোনা যায়, তোমার জন্য এমন হয়েছে বা তোমার সন্তান এমন করেছে। কিন্তু সন্তান যখন ভালো কোনো কিছু অর্জন করে তখন দৃশ্য বদলে যায় পুরোটাই।

সন্তানের বেড়ে ওঠার সময়গুলোতে দেখতে কেমন, তার স্বভাব সব কিছুতেই মা বাবার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। সন্তানের বেড়ে ওঠায় বাবা-মায়ের প্রায় সমান অবদান থাকলেও তার বুদ্ধি বিবেচনাবোধ কিন্তু মায়ের দিক থেকে আসে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সন্তানের মাথায় যে বুদ্ধি তৈরি হয়, তা আসে মায়ের থেকে, বাবার থেকে নয়। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ১২ হাজার জনের ওপর একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই জরিপে যারা অংশ নেন তাদের বয়স ছিল ১–২২ বছর। তাদের কাছে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাওয়া হয়। আর সেসব প্রশ্নের উত্তর থেকেই বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে আসেন।

সন্তানের বুদ্ধি কেমন হবে, সেটা নির্ভর করে মায়ের জিনের ওপরেই। সেখানে বাবার তেমন ভূমিকা নেই। আর এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, প্রায় প্রতিটি পরিবারে মায়ের সঙ্গে সন্তান বেশি সময় থাকে। এজন্য মায়ের আচরণ, ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধির প্রভাব সন্তানের ওপর বেশি।

তবে শিশুর আইকিউ বাবা-মা দু’জনের থেকেই তার কাছে আছে। মানুষের এক্স ক্রোমজমের ওপরেই নির্ভর করছে যে কতটা বুদ্ধি তৈরি হবে।