banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Monthly Archives: November 2024

 

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশাতের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

‘পাপড়ি’স ড্রিম’ –এর প্রতিষ্ঠাতা নিশাত তাসমিনের পরিবারে তার মা-ই ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু তার মায়ের পক্ষে একা পুরো পরিবারের খরচ চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছিল।
তাই নিশাত তার মাকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন যাতে তাদের পরিবার একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার দু’বছর পর আমি লক্ষ্য করলাম যে অনেকেই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বাসায় রান্না করা খাবার বিক্রি করছে, যা আমার কাছে খুব সময়োপযোগী ও ভালো ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বলে মনে হয়েছিল। তাই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে যারা বাসায় রান্না করা খাবার বিক্রি করছে আমি সেই পেজগুলো সার্চ করতাম এবং তাদের ব্যবসার ধরণ বোঝার জন্য সেই পেজগুলোতে নিয়মিত দেখতাম। এসব করতেই করতেই রান্নাঘর থেকে আয় করার পরিকল্পনাটি আমার মাথায় আসে। – বলছিলেন নিশাত।

অনেক চিন্তাভাবনা করে অবশেষে ২০১৮ সালে নিশাত তার মায়ের রান্না করা খাবারের ছবি দিয়ে একটি ফেসবুক পেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি খাবারের ছবিগুলো ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপেও শেয়ার করেন।

এর কিছুদিন পরেই নিশাত তার প্রথম অর্ডারটি পান। প্রথম অর্ডারটি ছিল চিকেন রোস্টের, যেটি তার মায়ের হাতের রান্না করা প্রিয় খাবার। নিশাত আজও সেই দিনের কথা মনে করেন। প্রথম অর্ডারটি পাওয়ার পর আমি আমার মাকে ফেসবুক পেজটি সম্পর্কে বলি। প্রথমে তিনি অবাক হন এবং একই সঙ্গে বেশ খুশিও হন। তিনি যেহেতু বাড়ির বাইরে ছিলেন তাই তিনি আমাকে চিকেন রোস্ট রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে যেতে বলেন। আমি তার কথামতো সবকিছু কিনে আনি এবং মা কাজ থেকে বাড়ি ফিরে রোস্ট রান্না করলেন। এভাবেই আমরা প্রথম অর্ডারটি আমাদের গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম।

এরপর প্রায় দুই বছর কেটে গেছে। এখন যে কয়েকটি বাংলা খাবারের পেজ আছে সেগুলোর মধ্যে ‘পাপড়ি’স ড্রিম’ বেশ পরিচিত।

নিশাতের মা এখন চাকরি ছেড়ে তার পুরো সময় মেয়ের ব্যবসায় দিচ্ছেন। তারা যৌথভাবে পুরো ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা, অর্ডার নেওয়া ও খাবার তৈরি করতে কাজ করছেন। পাপড়ি’স ড্রিম –এ চিকেন রোস্ট, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের দেশি ভর্তা পাওয়া যায়। তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশেষ খাবার হলো ‘খুদের ভাত ভর্তা’।

২০১৯ সালে নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে সবচেয়ে বেশি খাবার বিক্রি করার জন্য নিশাত ‘হোমশেফ’ আয়োজিত ‘সেরা তরুণ উদ্যোক্তা’ পুরস্কারও পেয়েছেন।

তেলাপোকা তাড়াতে

তেলাপোকা তাড়াতে পারছেন না কিছুতেই? তেলাপোকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আজই ট্রাই করুন, এই ছোট পদ্ধতিগুলো:

• রান্নাঘরেই তেজপাতা থাকে৷ তেজপাতা গুঁড়া করে বিভিন্ন ঘরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে দিতে পারেন৷ তেলাপোকারা পালাবে
• তেলাপোকা দূর করতে ঘরের চারপাশে বোরিক পাউডারের সঙ্গে আটা বা ময়দা মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন।
• লবঙ্গও খুব কাজের তেলাপোকা তাড়াতে।
বেশ কয়েকটি লবঙ্গ রেখে দিন রান্নাঘরের বিভিন্ন জায়গায়। ছোট্ট এই মসলাটির ঝাঁঝালো গন্ধ তেলাপোকার শত্রু

• একটি মগে এক লিটার পানি নিন এবং এতে একটি রসুনের কোয়া, একটি পেঁয়াজের পেস্ট এবং এক টেবিল চামচ গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার স্প্রে করে দিন সারা বাড়িতে বা যেসব জায়গায় তেলাপোকা বেশি আসে
• শুধু তেলাপোকা নয়, সব ধরনের পোকামাকড় তাড়াতে ঘরে রেখে দিন নিমপাতা। নিম তেল বা নিমপাতার গুঁড়াও রাখতে পারেন।

 

মায়ের জন্যই সন্তান হয় বুদ্ধিমান!

সন্তান কোনো ভুল করলে তখন বাবা মা একজন অন্য জনের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন। প্রায়ই তাদের বলতে শোনা যায়, তোমার জন্য এমন হয়েছে বা তোমার সন্তান এমন করেছে। কিন্তু সন্তান যখন ভালো কোনো কিছু অর্জন করে তখন দৃশ্য বদলে যায় পুরোটাই।

সন্তানের বেড়ে ওঠার সময়গুলোতে দেখতে কেমন, তার স্বভাব সব কিছুতেই মা বাবার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। সন্তানের বেড়ে ওঠায় বাবা-মায়ের প্রায় সমান অবদান থাকলেও তার বুদ্ধি বিবেচনাবোধ কিন্তু মায়ের দিক থেকে আসে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সন্তানের মাথায় যে বুদ্ধি তৈরি হয়, তা আসে মায়ের থেকে, বাবার থেকে নয়। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ১২ হাজার জনের ওপর একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই জরিপে যারা অংশ নেন তাদের বয়স ছিল ১–২২ বছর। তাদের কাছে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাওয়া হয়। আর সেসব প্রশ্নের উত্তর থেকেই বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে আসেন।

সন্তানের বুদ্ধি কেমন হবে, সেটা নির্ভর করে মায়ের জিনের ওপরেই। সেখানে বাবার তেমন ভূমিকা নেই। আর এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, প্রায় প্রতিটি পরিবারে মায়ের সঙ্গে সন্তান বেশি সময় থাকে। এজন্য মায়ের আচরণ, ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধির প্রভাব সন্তানের ওপর বেশি।

তবে শিশুর আইকিউ বাবা-মা দু’জনের থেকেই তার কাছে আছে। মানুষের এক্স ক্রোমজমের ওপরেই নির্ভর করছে যে কতটা বুদ্ধি তৈরি হবে।

আমি ছিলাম আইএস নেতার বাঙালি বধূ

তানিয়া জয়া

আমরা জন্ম উত্তর লন্ডনে, ১৯৮৩ সালে। বেড়ে উঠেছিলাম এক বাংলাদেশী-বাঙালি পরিবারে। আমি মনেপ্রাণে ইংরেজ হতে চাইতাম; কিন্তু পরিবার থেকে চাপ ছিল একজন ‘গুড মুসলিম গার্ল’ হয়ে ওঠার, পশ্চিমা সমাজের সঙ্গে মিশে না যাওয়ার। এই টানাপোড়েনে আমার পারিবারিক বন্ধন শিথিল হয়ে যাচ্ছিল। যখন নিজের বাবা-মায়ের ওপর আস্থা রাখা যায় না, তখন আর কারো কর্তৃত্বই মেনে নেওয়া কঠিন।
আমার বয়স যখন ১৭, আমরা পূর্ব লন্ডনে গিয়ে থিতু হই। সেখানে আমার নতুন নতুন বন্ধুত্ব তৈরি হয়; কিন্তু তারা সবাই ছিল রক্ষণশীল, ধার্মিক তরুণী। আমার ‘অতি পশ্চিমা’ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তারা তিরস্কার করতো। আমার এক কাজিন, আমার ওপর যে তরুণীর প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই উগ্রপন্থায় জড়িয়ে যায়। সে আমাকে খেলাফত সম্পর্কে শিক্ষা দিত। তখন আমি অনলাইনে সৌদিআরব থেকে প্রচারিত ইসলামী ফতোয়া সম্পর্কে ব্যাপক পড়াশোনা করতাম। আমার ধারণা ছিল যে, আমি ‘সত্যের সন্ধান’ করছি।

২০০৩ সালে লন্ডনে আমি ইরাক যুদ্ধবিরোধী মিছিলে যোগ দেই। তখন কিছু তরুণ আমার হাতে এক ফালি কাগজ গুঁজে দেয়। সেখানে একটি ‘মুসলিম ডেটিং’ ওয়েবসাইটের ঠিকানা লেখা ছিল। ওই সাইটে গিয়েই জন জর্জেলাসের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সে ছিল ইসলাম ধর্মান্তরিত আমেরিকান নাগরিক। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে। একাধিক ভাষা জানে এবং দেখতে বেশ স্মার্ট। আমি তার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠি। জন আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রথম যেবার লন্ডন এলো, সেবারই আমরা বিয়ে করে ফেলি। আমি জানতাম, রক্ষণশীল পরিবার ছাড়তে হলে এটাই একমাত্র সুযোগ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমি জনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই এবং আরও কিছুদিনের মধ্যে পুত্র সন্তানের মা হই। ততদিনে জন আরও বেশি উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকছে। আর আমি নেকাব পরা ছেড়ে দিয়েছি এবং আরও বেশি স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করছি।

২০০৬ সালে একটি ইসরাইলপন্থী লবিয়িং গ্রুপের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হয় জন। বিচারে জন জর্জেলাস তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু আমি তখনও অর্থনৈতিকভাবে তার প্রতি নির্ভরশীল ছিলাম এবং তখনো বুঝতে পারিনি যে এক নিবর্তনমূলক বিয়ের জালে আটকা পড়েছি।

কারাগারে ভালো ব্যবহারের জন্য জন খানিকটা আগেই মুক্তি পায়। আমরা তিন সন্তানসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথমে মিশর এবং তারপর ইস্তাম্বুল চলে যাই। জন একবার বলেছিল বটে, সে সিরিয়া যেতে চায়। কিন্তু আমি গোঁ ধরেছিলাম যে, আমার সন্তানদের যুদ্ধ কবলিত কোনো এলাকায় নিয়ে যাব না। ইস্তাম্বুলে থাকার ব্যয় যখন আমরা বহন করতে পারছিলাম না, তখন জন ও তার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত পরিবার আমাকে অন্য প্রস্তাব দেয়। বলে যে, তুরস্কের মধ্যেই আন্তাকিয়া চলে যাওয়া ভালো হবে, সেখানে জীবনযাত্রার ব্যয় কম। যদিও বাস্তবে আমাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সিরিয়া সীমান্তে।

দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে সর্বশেষ মধ্যরাতে যখন আমরা একটি বাসে উঠি, আমার ধারণা ছিল না আসলেই কী ঘটতে যাচ্ছে। আমি তখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা। বাস দেখে বরং স্বস্তি হয়েছিল যে তিন সন্তানসহ বসতে পারবো এবং ঘুমিয়ে নেওয়া যাবে। সূর্য ওঠার পর যখন ঘুম ভাঙলো, আমাদের বাস একটি সিরিয় চেকপোস্টে দাঁড়ানো। জন আমাকে সতর্ক করে দিল, যাতে কোনো নাটকীয়তা তৈরির চেষ্টা না করি।

সিরিয়ায় গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব একটি টেলিফোন খুঁজে নিয়েছিলাম এবং জনের মাকে ফোন করে বলেছিলাম যে তার পুত্র আমাদের মিথ্যা বলেছে। ফোনের এই পাশে আমি চিৎকার করে কাঁদছিলাম এবং আমার শাশুড়িকে বলছিলাম তিনি যেন শিগগিরই এফবিআই এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই এজেন্ট কয়েক বছর ধরে জনের গতিবিধি নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আমাকে পরবর্তীতে ফোনে বলেন- আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে পারি, তাহলে আমাকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা হবে না।

সিরিয়ায় আমরা পাইপ-ওয়াটার পেতাম না। বাড়ির ওপরের ওয়াটার-ট্যাঙ্ক গোলা লেগে ফুটো হয়ে গিয়েছিল। অপুষ্টিতে ভুগছিলাম; যেমন আমি, তেমনই শিশুরা। তাদের হারিয়ে ফেলার শঙ্কা ঘিরে ধরেছিল আমাকে। এফবিআই এজেন্টকে বলে দেওয়ার জন্য জন আমাকে দোষ দিত, আমিও তাকে পাল্টা রাগ দেখাতাম ধোঁকা দিয়ে সিরিয়ায় আনার জন্য। ক্ষোভ থেকে এক পর্যায়ে আমি মুখ ঢেকে রাখা ছেড়ে দিয়েছিলাম, সেটা ছিল জনের জন্য বিব্রতকর। সহযোদ্ধারা তাকে চাপ দিত- হয় আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, না হয় পরিত্যাগ করতে হবে।

শেষ পর্যন্ত জন ‘দয়া’ দেখায়। আমাদের জন্য সিরিয়া থেকে বের হয়ে আসার ব্যবস্থা করে। যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়েছে। কারণ বের হয়ে আসার রাস্তায় হয় অবরোধ না হয় লড়াই চলছিল। জন একজন মানব পাচারকারীর হাতে আমাদের তুলে দেয়। অর্থের বিনিময়ে সে আমাদের সিরিয়া সীমান্ত পার করে দেবে।
প্রথমে আমাদের কয়েক মাইল হাঁটতে হয়েছে। তারপর কাঁটাতারের ফোকর গলিয়ে বের হতে হয়েছে। সীমান্ত পার হয়ে কোনো রকমে যখন একটি ট্রাকে উঠে শুয়ে পড়ি, তখন মাথার ওপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছিল স্নাইপারের গুলি। কথা ছিল পাচারকারী সীমান্ত পার করে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। কিন্তু সে আমাদের একটি প্রান্তরের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। আমি হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। এ সময় একজন দয়ালু তুর্কি আমাদের পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

জীবন ফিরে পেয়ে আমি ছিলাম খুবই কৃতজ্ঞ। আমি কেবল চেয়েছিলাম আমার সন্তানরাও জীবন ফিরে পাবে। একটি পরিপূর্ণ জীবন কাটাবে এবং বিপুলা বিশ্বের কাছে ফিরে যাবে।
সিরিয়ায় আইএসের কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠায় জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং পশ্চিমা তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করতে শীর্ষস্থানীয় প্রচারক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। তার সঙ্গে আমার আর কখনোই দেখা হয়নি। পরিবর্তীতে জেনেছিলাম যে, সিরিয়ায় সে আবার বিয়ে করেছে। গত বছর আমি জানতে পারি যে, সে মারা গেছে। খুব সম্ভবত ২০১৭ সালে, মার্কিন বোমা হামলায়।

এখন আমি টেক্সাসে থাকি। জনের পিতা-মাতার বাড়ি থেকে কয়েকটি সড়ক দূরে। আমি জানি, নাতি-নাতনীরা দাদা-দাদীর কাছাকাছি থাকা উভয় পক্ষের জন্য ভালো। আমার বর্তমান স্বামী আমার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও মনোযোগী। নিজের অর্জিত স্বাধীনতা আমি উপভোগ করছি। দৈনিক সমকাল

দ্য গার্ডিয়ান থেকে ভাষান্তরিত

৬০তম জন্মদিনে স্থাপন হচ্ছে ডায়ানার ভাস্কর্য

যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানার ৬০তম জন্মদিনে তার একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হচ্ছে লন্ডনে কেনসিংটন রাজপ্রাসাদের বাগানে। তার দুই ছেলে ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি ওই ভাস্কর্য অনুমোদন করেছেন। খবর বিবিসির।

প্রিন্সেস ডায়ানা ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তখন তার দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারির বয়স ছিল যথাক্রমে ১৫ ও ১২ বছর। ডায়ানার মৃত্যুর ২০ বছর পর ২০১৭ সালে তার একটি ভাস্কর্য তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ডায়ানার ‘ইতিবাচক প্রভাবকে’ স্বীকৃতি দিতেই তার ওই স্থায়ী মূর্তি তৈরিতে সায় দেন দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারি। আগামী সোমবার হবে ওই দুর্ঘটনার ২৩ বছর।

কেনসিংটন রাজপ্রাসাদ সূত্র জানিয়েছে, ডায়ানার সাবেক বাসভবন কেনসিংটন প্যালেসের বাগানে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হবে। আগামী বছরের ১ জুলাই ওই বাগানের ডায়ানা স্মৃতিঝরনার কাছে মূর্তিটি স্থাপন করা হবে। ডায়ানার স্মরণে এটি হবে লন্ডন এলাকায় নির্মিত চতুর্থ স্মারক।

প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের মা অনেকের জীবনকে স্পর্শ করেছিলেন। আশা করি, ভাস্কর্যটি তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে কেনসিংটন প্যালেসে আসা দর্শনার্থীদের জন্য সহায়ক হবে।

পথশিশু জিনিয়া নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া ফুলবিক্রেতা শিশু জিনিয়াকে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর সোমবার রাতে তাকে উদ্ধার করো হয়।

ডিবি রমনা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মিশু বিশ্বাস ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জিনিয়াকে উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, টিএসসির প্রিয়মুখ জিনিয়াকে নারায়ণগঞ্জ থেকে একটু আগে আমরা উদ্ধার করেছি। সে সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছে। আবারও সে তার হাসিমুখ দিয়ে ক্যাম্পাস আলোকিত করবে, টিএসসির এই মাথা থেকে ওই মাথা ছুটে বেড়াবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন তারা। এ ঘটনায় লোপা তালুকদার নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কারা, কী উদ্দেশ্যে জিনিয়াকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।

এর আগে ১ লা সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফুল বিক্রেতা পথশিশু জিনিয়া আক্তার টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট থেকে হারিয়ে যায়।

২ সেপ্টেম্বর তার মা সেনুরা বেগম রাজধানীর শাহবাগ থানায় হারিয়ে গেছে মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

হুমাযাহ্‌

নীলজোসনা

স্বর্ণার মন খারাপ! শুধু মন? মেজাজ গরম! কারণ সকালে উঠেই দেখেছে কপালের ওপর প্রমাণ সাইজের একটা ব্রণ। রাগী লাল চেহারা করে আছে। তার ওপর সারা রাতের টুকরো চিন্তাগুলো, উফ!

এম্নিতে স্বর্ণা বেশ সময় সচেতন। মানে, সুযোগের অভাবে সৎ যাকে বলে। বাচ্চাদের আর প্রফেসর স্বামীকে একই সাথে বিদেয় দিতে হয় সকাল সাড়ে সাতে। তার আগে পর্যন্ত এলোখোঁপা আর রাতের কাপড়েই দৌড় চলতে থাকে। এর মধ্যে শাশুড়ির চা, বিস্কিট আর পেপারটা দিয়ে এসে বুড়ি ছোঁর মত করে নিজের কালো কফিটা করে ফেলতে পারলে ব্যাস! নয়টা পর্যন্ত নিজের কয়েকটা কাজ নিশ্চিন্তে সেরে ফেলা যাবে।

সকালে বাথরুমের সময়টা আর সাইক্লিং মেশিনে কয়েকশো প্যাডলের সময়টায় মেয়েদের গ্রুপগুলোয় কাল রাতের আড্ডাগুলো দেখে ফেলা যায়। একেকজন শশুরবাড়ির কাহিনী নিয়ে মস্ত গল্প লেখে, কেউ ধারাবাহিকও লেখে। একেকজনের আবার নিজের গ্রুপও আছে, তাতে সেসব গল্পের দানা ছাড়ানো হয়। কিছুদূর দেখতেই ‘স্বর্ণার মা’ ছোট্ট একটা বেল দেয়। ‘এতোবার বলি তোমাকে, বাব্বাহ একটু বাজিয়ে বেল দাও’। সহজ সরল মহিলা, স্বর্ণা নামটা বদলে ‘রোজীর মা’ করে দিলেও মিষ্টি একটা হাসি দিয়েছে। রোজ আঙুল একটু ছুঁইয়েই বেল দিয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ পাতাল ভাবে, দুইবারে হয়ত স্বর্ণা টের পায়। কি যন্ত্রণা!

আজকের ব্রণ ওঠার রাগটা রোজির মা’টাকেও ছুঁয়ে গেছে। দরজা খুলেই মস্ত ধমক খেয়েও সেই বোকা হাসি। চোখ ফিরিয়ে নিলো স্বর্ণা, ‘কি সব পড়লাম কালকে? কি হবে এখন?’

পরের কয়েক ঘন্টা যেন ধুনুচির তুলো। উড়তে উড়তে শেষ। শাশুড়ির নাশতা দিয়ে, রান্নার আয়োজন সেরে বারোটায় গিয়ে শাড়ির পেইজের মেসেজ দেখে ও। মহিলারা আসলেই আশ্চর্য এক সৃষ্টি! এই সকালটাই সবাইর মহা ব্যস্ত সময়, আর এই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি মেসেজ আসে। আর আসে গভীর রাতে। স্বর্ণার রাত করে ফোন ধরতে ভালো লাগে না, বমি পায়। ওর এই দুপুর ছাড়া উপায় নেই।

এই সময়টায় মা আসেন গুটি গুটি পায়ে। কখনও বসার ঘরের বারান্দায়, কখনও স্বর্ণার মস্ত বেতের চেয়ারের কাছেকাছে হাঁটেন। কোন কমেন্ট পড়ে স্বর্ণা হেসে উঠলে উৎসুক তাকান। হয়ত কোনোদিন মাত্র পড়ে শেষ করা কোন শাশুড়ি-বউ-ননদের ট্রিলজি শোনায় স্বর্ণা। আশ্চর্য এক গুণ আছে তাঁর, নিষ্পলক মনযোগী চোখে গল্প শুনতে ভালোবাসেন। মাঝেমাঝে উস্কেও দেন, ‘ওই যে ওইদিনের মেয়েটা, তার গল্পটা আর দিয়েছে নাকি দেখ না’! স্বর্ণা খুঁজেপেতে বের করে পড়ে শোনায়। এম্নিতে শাশুড়ি বউর আশ্চর্য সুন্দর শ্রদ্ধার একটা সম্পর্ক। তবু এইসব গল্পে স্বর্ণার চোখে পানি আসে। নিজে পায় নি বলেই হয়ত, না দেখা কোন মেয়ের কষ্ট ওকে ছুঁয়ে যায়। সাদাচুলের মহিলাটা তখন কালো চুলভর্তি মাথাটায় হাত বুলান, ‘আহা থাক। অত ভাবে না। ওরা একদিন ঠিইক বুঝবে, দেইখো’।

এই এমন করেই কালও বউয়ের পড়ে শোনানো গল্প শুনছিলেন। মাঝেমাঝে থামে স্বর্ণা, মেসেঞ্জারের গ্রুপে টুং আসে। গ্রুপের কোন চেনা ভাবির গল্পের অন্য দিক আলোচনা হয় আবার এই গ্রুপে। ‘জানেন মা, ওই যে বউটা, সে নিজেই আস্ত এক…’ বেরিয়ে আসা গালিটা গিলে রাগ ফোটায় গলায় ‘আস্ত পাজী’। শাশুড়িকে আচ্ছামত চাপের ওপর রাখে, আবার মেয়েদের গ্রুপে কাঁদুনি গায়। নীলা ভাবীর বোনের জা, সত্যি’।

এই বলতে বলতে হঠাত ভয়ের চোরা স্রোত মনে, ‘আচ্ছা মহিলার বদনাম গাইছি তো, ঠিক হচ্ছে?’ ভাবনাটা উড়িয়ে দিলেও খুট খুট মনে বেজেই যাচ্ছিলো। আসরের আজানের পর টিভিতে একটা সূরার বাংলা অনুবাদটা দেখে সে অস্বস্তিটা বাড়লো। সন্ধ্যার পর বাচ্চাদের পড়াতে পড়াতে ফোনের স্ক্রীণে হারিয়ে যেতে যেতে ফিরলো স্বর্ণা। এ তো ভারি বিপদ। কারুর পেছনে তো বদনাম করাই যাবে না, সামনেও না? আরে বাবা, ভুল শুধরে দিবো কি করে তাহলে? এই যে এত গ্রুপ, এতো গল্প আড্ডা, সবকিছুতে তাহলে দুর্গন্ধ মিশে আছে?

সেই চিন্তা রাতভর, আর তার ফলাফল বিচ্ছিরি একটা ফুসকুঁড়ি। সকাল থেকে পেটটাও যেন ফুলে আছে, কারণ আজকে আর গ্রুপ বা মেসেজে প্রাণ পাচ্ছে না স্বর্ণা।

ফোনে বড় বেশি বিরক্ত করে মেসেজের টুং, তাই ছেলের কম্পিউটারে বসলো রাতের খাবারের পর। নতমস্তকে উঠে আসতে হল ঘন্টাখানিক পর। ইস, কত বড় অন্যায় হয়ে গেছে এদ্দিন। কাউকে শুধরানোর কাজটা এতো জটিল, কে জানতো! না করা যাবে হুমাযাহ বা সামনে তিরষ্কার, না বলা যাবে লুমাযাহ বা পেছনে। চারদিকে উঁচু থামে ঘেরা, আগুন ভর্তি জায়গাটায় ফেলে দেয়া হবে এইসব মানুষকে, তাও আবার স্বর্না যাদের দেখতে পারে না, এমন সুদখোরদের সাথে। উফ, মা গো!

তাহলে? ‘এই গল্পগাছা না হয় না শুনলাম, কাউকে তো টুকটাক উপদেশও দিতাম, তার কি হবে?’ খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেল আরেক আয়াত, ঘুণাক্ষরেও কুধারণা করা যাবে না, কারুর ব্যপারে জানতে চেয়ে তার অগোচরে ঘাঁটাঘাঁটি করা যাবে না। উপদেশ দিলেও দিতে হবে সামনে, সরাসরি তাকেই, খুব নরম ভাষায়, তিরষ্কার না করেই।

আর যায় কোথায়, সমস্ত গল্প, কমেন্ট, মেসেজের গ্রুপের স্পেশাল তথ্য সব যে কেমন তেতো লাগছে এখন। তাই তো, ওই ভাবিগুলোকে সবাই সামনে সে কী আহা উঁহু করে, আর পেছনে শুধু বিষ ঢালে। না মানুষগুলো শুধরাতে পায়, না সত্যিকারের বন্ধু পায়। আহারে!

আজকের মধ্য দুপুরের হালকা অবসর সময়টা পেয়েই একে একে টিপে টিপে সবগুলো গ্রুপ ছাড়লো স্বর্ণা। শাশুড়ি রুম থেকে বেরিয়েছেন, ‘স্বর্ণা, মশারি ধুতে দিবে মনে আছে? আমাকে বলেছিলা মনে করাতে।’ গলা তুলে রোজির মা’কে কথাটা শুনিয়ে এবার আবদার করলো, ‘মা আপনার বিয়ের গল্প বলেন’। শাশুড়ি ততোক্ষণে নিজের কুশনওয়ালা মোড়ায় বসে গেছেন। আজকের গল্পগুলো সাদা, স্বচ্ছ, পরিষ্কার হবে। অনেকক্ষণের আটকে রাখা বদ্ধ নিঃশ্বাসটা বেরিয়ে এসেছে নিজেই। উফফ!

‘রোজির মা’, বেল তুমি দুইবার দাও বা তিনবার, সাথেসাথেই দিও। নইলে তো বুঝতে পারি না গো! আচ্ছা দাঁড়াও, একবার দিয়ে দেখাও তো? হ্যাঁ, এমন করে তিনবার দিও। এখন যাও। এইইই, ভাতের হাঁড়িটা নাও, ইস কি ভুলো মন রে বাবা!’ রোজির মায়ের সরলতায় এখন সহানুভূতির প্রলেপ দিতে শিখে গেছে স্বর্ণা! আজকে কি দারুণ লাগছে মাঝবয়েসি সরল মহিলাটার হাসিটাও। বন্ধ দরজার এপাশেও এখন আলো, দুটো মানুষের মনেও।

পাকিস্তানে নারী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা, ‘অনার কিলিং’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানে স্বামীর হাতে খুন হলেন দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের নারী সাংবাদিক। শাহিনা শাহিন নামের ওই সাংবাদিকের মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, এটি একটি ‘অনার কিলিং’ বা কথিত সম্মান রক্ষার্থে হত্যা। নিহতের পরিবারও পুলিশের কাছে করা অভিযোগে একে অনার কিলিং দাবি করেছে। শাহিনার স্বামীকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

পাকিস্তান সাংবাদিকদের জন্য সবথেকে ভয়ংকর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৯২ সালের পর থেকে দেশটিতে অন্তত ৬১ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায়ও দেশটি শেষের দিকে।
সাংবাদিক শাহিনা হত্যাকাণ্ডটির তদন্ত করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজ আহমাদ। তিনি জানান, আমরা অপরাধীদের ধরতে সব ধরণের চেষ্টা চালাচ্ছি।

শাহিন পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি টকশো এর সঞ্চালক ছিলেন। এছাড়া একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাকে তার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর তার স্বামী তাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। গত বছরের নভেম্বর মাসেও পাকিস্তানের লাহোরে এক ব্যাক্তি তার সাংবাদিক স্ত্রীকে হত্যা করে। নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা সূচকে বিশ্বের সবথেকে ভয়াবহ দেশগুলোর একটি পাকিস্তান। আল-জাজিরা জানিয়েছে, নারীদের জন্য সবথেকে ঝুঁকিপূর্ন দেশের তালিকায় ৪ নম্বরেই রয়েছে দেশটি। পাকিস্তানের পূর্বে রয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান ও ইয়েমেন।

চুলের যত্নে কফির ব্যবহার

 

কফি কীসে ব্যবহার করেন? প্রশ্ন শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। ভাবছেন, কফি তো সবাই পান করে, আবার কীসে ব্যবহার করবো! শুধু পানীয় হিসেবেই নয়, কফি ব্যবহার করা যায় ত্বক আর চুলের যত্নেও। কফি দিয়ে তৈরি হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল দ্রুত বাড়ে। বিভিন্ন কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হলে কফি কাজে লাগাতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক, কফি দিয়ে কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন-

কফি দিয়ে চুল ধোয়া
কফি দিয়ে চুল ধুলে তা চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রথমে ২ টেবিল চামচ গ্রাউন্ড কফি ও ১ কাপ পানি নিন। এবার ১ কাপ কফি তৈরি করে তা ঠান্ডা হতে দিন। মাথায় ভালো করে শ্যাম্পু করে মাথা মুছে ফেলুন এবং চুল থেকে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর মাথার ত্বকে এবং চুলে ঠান্ডা কফি ঢালুন। পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন।৩০ মিনিট চুল ঢেকে রাখুন। তারপর হালকা গরম পানির সাহায্যে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন। দ্রুত ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ২-৩ বার এটি করতে পারেন।

কফি, নারিকেল তেল ও দই
চুলে পুষ্টি জোগায় নারিকেল তেল। এটি চুলকে শক্তিশালী করতে চুলের ফলিকলগুলোকে পুষ্ট করে। আর দইয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা মাথার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। প্রথমে ২ টেবিল চামচ কফি পাউডার, ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল ও ৩ টেবিল চামচ দই নিন। এবার একটি পাত্রে কফি পাউডার, নারিকেল তেল ও দই নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এরপর হাতে পরিমাণমতো এই মিশ্রণটি নিয়ে তা মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালোভাবে লাগান। এরপর এক ঘণ্টা চুল ঢেকে রাখুন। এক ঘণ্টা পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার করতে পারেন।

কফি স্ক্রাব
মাথার ত্বকেও প্রয়োজন পড়ে স্ক্রাবের। এটি স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য এবং আপনার চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রথমে ৮ টেবিল চামচ কফি ও ১ কাপ পানি নিন। এককাপ কফি তৈরি করে তা ঠান্ডা হতে দিন। এরপর পরিমাণমতো হাতে নিয়ে পাঁচ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে ভালোভাবে স্ক্রাব করুন। মাথা ধুয়ে চুল শুকিয়ে নিন। এটি সপ্তাহে দু’বার করুন।

 

বিফ ফিঙ্গার তৈরির সহজ রেসিপি

বিকেলের নাস্তায় ঝটপট সুস্বাদু কিছু খেতে চাইলে বেছে নিন বিফ ফিঙ্গার। ফিশ ফিঙ্গার তো খাওয়া হয়-ই, একটু ব্যতিক্রমী এই খাবার নাহয় চেখে দেখলেন! চলুন জেনে নেয়া যাক সুস্বাদু বিফ ফিঙ্গার তৈরির রেসিপি-

উপকরণ:
এককাপ মাংসের কিমা
দেড় চা চামচ আদা ও রসুনের পেস্ট
এক টেবিল চামচ গরম মসলার গুঁড়া
এক চা চামচ শুকনো মরিচের গুঁড়া
এক চা চামচ জিরা বাটা
এক টেবিল চামচ লেবুর রস
এক টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুঁচি
স্বাদমতো লবণ
একটি ডিম
প্রয়োজনমতো ব্রেডক্রাম্ব
ভাজার জন্য তেল।

প্রণালি:
পেঁয়াজ বাদে অন্যান্য সব মসলা, লবণ ও লেবুর রসের সাথে কিমা খুব ভালোভাবে মাখিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। ১৫ মিনিট পরে পেঁয়াজ কুঁচি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা উচিত যে, কোনো মসলা মেশাতে হাত ব্যবহার করলে মেশানোটা সবচেয়ে ভালো হয়। এবার এই মিশ্রণটা আঙুলের মতো আকৃতিতে ডো তৈরি করতে হবে।

ভাজার জন্য অন্য একটি বাটিতে ফাটানো ডিম ও আরেকটি বাটিতে ব্রেডক্রাম্ব মিশিয়ে পরপর ডোগুলো এই দুই উপাদানে মাখিয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে। লালচে হয়ে গেলেই প্রস্তুত হয়ে গেল মজাদার বিফ ফিঙ্গার। সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।