banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

মা-মেয়েকে নির্যাতন, তদন্তে গাফিলতি হলে ব্যবস্থা: হাইকোর্ট

কক্সবাজারে গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার বিষয়ে নজর রাখছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, নির্যাতনের বিষয়ে তদন্তে গাফিলতি হলে হস্তক্ষেপ করবেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। মা-মেয়েসহ নির্যাতিতদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট জেসমিন সুলতানা। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী এএম জামিউল হক ফয়সাল।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় ‘গরু চোর’ আখ্যা দিয়ে মা-মেয়েকে নির্দয়ভাবে পেটায় দুর্বৃত্তরা। পরে কোমরে রশি বেঁধে মা-মেয়েসহ তিনজনকে প্রকাশ্য সড়কে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। একপর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুলিশকে খবর দিয়ে বিপদাপন্ন মা-মেয়ে ও ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

গত শুক্রবার রাতেই হারবাং বিন্দাবনখীল লাল ব্রিজ মাহবুবুল হক নামের একজন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি গরু চুরির মামলা করেন। এ মামলায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে গত শনিবার বিকালেই তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। -মানবজমিন

বিয়ের ৩ বছর পর গায়েহলুদ, কনের মোটরসাইকেল র‌্যালির ছবি ভাইরাল

বিয়ের তিন বছর পর গায়েহলুদের দিনে বাইক চালিয়ে শহরে শোডাউন করে নেট জগতে হইচই ফেলে দিয়েছেন যশোরের মেয়ে ফারহানা আফরোজ ড্রিমি। শহর জুড়ে বন্ধুবান্ধব ও সাথিদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করার ১১ দিন পর ব্যতিক্রমী এ আয়োজনটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

তার এমন উদ্যোগে প্রশংসার পাশাপাশি কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করেছেন ফেসবুকে। তবে অসম্মানজনক বক্তব্যের প্রতিবাদে ফারহানার মা মাহমুদা হাসান আইসিটি আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করছেন বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে মাহমুদা হাসান জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাককে জানান, ২০১৭ সালে নিজের পছন্দে তার মেয়ে পাবনার কাশিনাথপুরের হাসনাইন রাফিকে বিয়ে করে। এ বছরের ৩০ জুন এই দম্পতির ঘর আলো করে একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু পারিবারিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়নি। তবে এতদিন এমনকি সন্তান হবার পরে কেন গায়েহলুদের অনুষ্ঠান—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ছেলের বাবা মাসখানেক আগে তাকে ফোন করে তার বৌমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেওয়ার কথা বলেন। ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক হয়। আর তার মেয়ে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান ছাড়া কোনো আনুষ্ঠানিকতা করবে না বলে জানায়। ফারহানা এটাও তার মাকে জানায় গায়েহলুদের অনুষ্ঠান তার ভীষণ শখের। এটা করতেই হবে। আর তাই বিয়ের তিন বছর পর মা হবারও পর মেয়ের শখ পূরণ করতে এমন অভিনব আয়োজন।

নারী ক্রিকেট : বেতন, ম্যাচ ফি বাড়ছে রুমানাদের

মুমিনুল হকরা আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন। খেলবেন তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। করোনাকালে তামিম-মুশফিকদের মতোই বিসিবির ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুশীলন করছেন নারী ক্রিকেটাররা। যদিও তাদের সামনে কোনো লক্ষ্য নেই। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের সূচি নেই রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলমদের জন্য। এমনকি কোনো ক্যাম্প আয়োজনেরও খবর নেই।

তবে করোনাকালে নারী ক্রিকেটারদের স্বস্তির খবর আছে। নিকট ভবিষ্যতেই সালমা-রুমানাদের বেতন, ম্যাচ ফি বাড়াবে বিসিবি। উইমেন্স উইং থেকে এ সম্পর্কিত প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বোর্ড সভায়। বিসিবির অনুমোদন পেলেই তা কার্যকর হবে।

জানা গেছে, নারী ক্রিকেটারদের বেতন ১০-২০ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব করবে উইমেন্স উইং। ওয়ানডে, টি-২০’র ম্যাচ ফিও কয়েক গুণ বাড়ানো হবে।

জানতে চাইলে উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল গতকাল বলেছেন, ‘আমরা ওদের বেতন বাড়াবো, ম্যাচ ফিও বাড়ানো হবে। একেবারে অনেক হবে না। অল্প অল্প করে বাড়ানো হবে। বেতন ১০-২০ ভাগ বাড়ানো হবে। ম্যাচ ফি কয়েক গুণ বাড়বে।’ পরবর্তী বোর্ড সভায় এটি অনুমোদন হতে পারে।

তামিম-মুমিনুলদের তুলনায় নারী ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফির ফারাক অনেক। বর্তমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার তুলনায় সেটি অনেকটাই অপ্রতুল। তাই বাড়ানোর চিন্তা করছে উইমেন্স উইং। বর্তমানে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৫০ হাজার, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজার ও ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার করে প্রতি মাসে বেতন পান নারী ক্রিকেটাররা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন ২০ ক্রিকেটার।

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ১০০ ডলার ও টি-২০ ৭৫ ডলার ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন জাহানারা আলমরা। বাড়ানোর পর ওয়ানডেতে ৪০০ ডলার হতে পারে ম্যাচ ফি। আর টি-২০ তে ৩০০ ডলার।

পারিশ্রমিকের এই পরিবর্তন নারী ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করবে বলেই মনে করেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। এমনিতে আমাদের সুযোগ-সুবিধা খারাপ না। যা দিচ্ছে বিসিবি। আরো ভালো করতে, আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দরকার। বেতন, ম্যাচ ফি বাড়ানো হয় যদি, তাহলে এটা ভালো পদক্ষেপ। পারিশ্রমিক বাড়ালে সবাই আত্মবিশ্বাস পাবে। এটা আমাদের ভালো খেলতে উৎসাহ দিবে।’