banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

আম যেভাবে রেখে বছরজুড়ে খাওয়া যাবে

আমের চেয়ে মজার ফল হয়ত আর নেই। আর আমাদের দেশের আমের স্বাদ বিশ্বের সব ফলকেই হার মানাবে।
সবার প্রিয় আম বছরের মাত্র কিছু দিনই পাওয়া যায়। এইতো এবারের মতো শেষ হয়ে এসেছে আমের মৌসুম।

তবে কি পুরো বছর আম না খেয়েই কেটে যাবে? একদমই না। যদি সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, তবে প্রায় বছরজুড়ে আম খেতে পারবেন। আর রাখতে চাইলে এখনই সময়, ক’দিন পরে ইচ্ছা থাকলেও আম কিন্তু থাকবে না।

সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
• পাকা আমের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে জিপলক ব্যাগে রাখুন
• একটার ওপর আরেকটা রাখবেন না
• ভেতরের বাতাস বের করে আমের প্যাকেটগুলো ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন
• স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে বহু দিন
• আম ব্লেন্ড করে আইস ট্রে-তে বরফ জমিয়ে জিপলক ব্যাগে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন
• বছরজুড়ে খেতে পারবেন এই মজার আম।

সংরক্ষণ করা আম দিয়ে বছরের যেকোনো সময় আমের মিল্কশেক কিংবা দুধ-আম খেতে পারেন। ফ্রিজারে আম এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।

 

ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ঐতিহাসিক মনোনয়ন পেলেন কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের আসছে নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে ঐতিহাসিক এক মনোনয়ন পেয়েছেন কমলা হ্যারিস। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত কৃষ্ণাঙ্গ ও ভারতীয় মিশ্রণের সিনেটর।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, কমলা হ্যারিস জো বাইডেনের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটের ভাইরাস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন। এর আগের দিন দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনিত হন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আরও ইতিহাস সৃষ্টি হবে। প্রথম কোনো নারী দেশটির দ্বিতীয় শীর্ষ পদে যাবেন। আবার কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কোনো অশ্বেতাঙ্গ নারীর অভিষেক ঘটবে।

গত ১৭ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে দলীয় কনভেনশন ডেকেছিল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। চার দিনব্যাপী এই কনভেনশনের তৃতীয় দিন রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে কমলা হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করেন ডেমোক্র্যাটরা। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে অনলাইনে ভোট দিয়ে তার প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেন দলের প্রতিনিধিরা।

চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে কমলা হ্যারিস কনভেনশনে বলেন, রিপাবলিকান নেতা ‘আমাদের ট্র্যাজেডিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে পরিণত করেছেন’। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে উইলমিংটনের হলরুমে তিনি বলেছেন, আমরা একটি প্রতিচ্ছবিতে এসে গেছি।

এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর এবং বড় একটি দল থেকে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া কৃষ্ণঙ্গ রানিং মেট কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’ ধরিয়ে দিয়েছেন প্রথম দিনই।

এর আগের দিন রাতে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। জো বাইডেন এর আগেও দুই বার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ১৯৯৮ ও ২০০৮ সালের সেই দুই লড়াইয়ে তিনি না পারলেও এবার তৃতীয়বারে এসে সফল হয়েছেন।

আসছে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস জুটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে লড়াই করবেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে।

চুল ও ত্বকের যত্নে আমলকী

সুস্বাস্থ্যেও জন্য ভেষজ গুণসম্পন্ন আমলকীর জুড়ি নেই। এ কথা সবাই কমবেশি জানেন। তবে রূপচর্চায় এই সস্তাদরের দেশি ফলটির ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। ত্বক ও চুলে আমলকী ব্যবহার বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। রূপচর্চায় আমলকী ব্যবহারের কিছু টিপস-

ব্রণের দাগ দূর করতে
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়তা করে আমলকী। আমলকীর রস মুখে মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে ঊষ্ণ পানিতে। অনুভূতিপ্রবণ ত্বক হলে আমলকীর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য পানি। ভালো ফলের জন্য ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত।

মরা ত্বক দূর করতে
স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পাওে আমলকীর রস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব ও টানটান করতে সহায়তা করে। এক চামচ আমলা পাউডার গরম পানিতে মিশিয়ে তৈরি করা পেস্টে মুখ স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাব করার পাঁচ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিলেই হলো। এই পেস্টের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নেয়া যেতে পারে।

চুল পড়া রোধে
চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকী বেশ কার্যকর। প্রয়োজনীয় পরিমাণ শুকনো আমলকী পানিতে নিয়ে গরম করম করতে হবে। আমলকী ভালোভাবে সেদ্ধ হলে তা চটকে পেস্ট করে নিতে হবে। এই পেস্ট চুলের গোড়া ও পুরো চুলে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে হবে এই প্যাক। ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য শুধু আমলকীর রসও ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে আমলকীর রস চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিলেই হলো।

আমলকীর তেল তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি
তেল তৈরির জন্য প্রয়োজন টাটকা আমলকী ও নারকেল তেল। প্রথমে এক কাপ আমলকী ভালোভাবে ধুয়ে বিচি ছাড়িয়ে নিয়ে মিক্সারে গুঁড়া করে নিতে হবে। এতে পানি ব্যবহার করা যাবে না। এরপর একটি পাত্রে এক কাপ নারকেল তেল চুলায় গরম করতে দিতে হবে। তেল গরম হলে এতে দিয়ে দিতে হবে আমলকীর গুড়াঁ।

আমলকীর গুঁড়া মিশ্রিত নারকেল তেল ফুটে ওঠার ১০-১৫ মিনিট পর তেল চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের জারে রাখতে হবে। এই তেল চুলের গোড়া ও চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চুল ধুয়ে নিতে হবে ভালো ব্র্যান্ডের মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে।

গর্ভনিরোধক বড়ির ক্ষমতা ‘কমিয়ে দিতে পারে’ অ্যান্টিবায়োটিক

হরমোনাল গর্ভনিরোধক ওষুধ ব্যবহার করা নারীরা সাধারণ সমস্যায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।

বিশেষজ্ঞরা ৭৪ হাজার ৬২৩ নারীর ওষুধ সেবনের ডেটা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ গর্ভনিরোধক বড়ির কার্যক্ষমতা পুরোপুরি কমিয়ে দিতে পারে।

গবেষণায় অংশ নেয়া ৪৬ জন নারী গর্ভনিরোধক বড়ি সেবনের পরেও গর্ভধারণ করেন, তারা সবাই অ্যান্টিবায়োটিক নিচ্ছিলেন।

ফলাফলে গবেষকেরা লিখেছেন, ‘হরমোনাল গর্ভনিরোধকের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যে একটা যোগসূত্র আছে, সেটি এই গবেষণায় দেখা গেল।’

‘হরমোনাল গর্ভনিরোধক ওষুধ সেবনকারী নারীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।’

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক স্টিফেন ইভান্স বলছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে রোগীরা ওষুধের নির্দেশিকা ঠিকমতো পড়ে দেখেন না অথবা চিকিৎসক ঠিকমতো সতর্ক করছেন না।’

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে সাধারণ ওষুধ সেবনকারী নারীদের তুলনায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনকারী নারীদের (যারা গর্ভনিরোধক ওষুধ নিচ্ছেন) গর্ভধারণের শঙ্কা ৭ গুণ বেশি।

পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ পাবেন যেখানে

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির প্রসারে বদলে গেছে চাকরির বাজারও। ফলে স্থায়ী (ফুল-টাইম) চাকরির বাইরে বেড়েছে অস্থায়ীভাবে (পার্ট-টাইম) কাজ করার সুযোগও।

মূলত শিক্ষার্থীরাই এসব পার্ট-টাইম চাকরি করে থাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের সুযোগ হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোও ছোটোখাটো চাকরির জন্য ফুল-টাইম কর্মী নিয়োগ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাছাই করে থাকে। চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটগুলোতেই পাবেন পার্ট-টাইম চাকরির বিজ্ঞপ্তি বা খবরাখবর।

আসুন জেনে নিই, কোন কোন কাজে পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ মেলে।

সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট
সুপারশপ থেকে শুরু করে ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট বা বিক্রয়কর্মীর চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মৌসুমে এ পদের কর্মীর চাহিদা বাড়ে। তখন প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাদের কাজ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি বাড়ানো। ভালো যোগাযোগ দক্ষতা ও সুন্দর বাচিক ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিকে বাছাই

কপিরাইটার
বিভিন্ন অ্যাড ফার্ম, মার্কেটিং ও পিআর এজেন্সি, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র কপিরাইটার হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য আগ্রহীকে ভাষাগত দক্ষতা ও কম্পিউটারের কারিগরী জ্ঞান থাকতে হবে।

কল সেন্টার অ্যাসিস্ট্যান্ট
এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাস্টমারদের অনলাইন সেবা দিয়ে থাকে। তাদের এ কাজ করে দেয় মূলত কল সেন্টারগুলো। সেখানে অনেক জনবলের দরকার হয়। যোগাযোগ দক্ষতা, পরিশ্রম করার মানসিকতা ও ধৈর্যশক্তি থাকলে কল সেন্টারগুলোতে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পার্ট-টাইম চাকরি করতে পারবেন।

ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেইনার
আপনি হয়তো একাধিক ভাষায় দক্ষ, সেটিকেই কাজে লাগিয়ে ভালো আয় করতে পারেন। দেশে অবস্থান করা অনেক বিদেশি নাগরিক বাংলা ভাষা শিখতে চায়; বাংলার ওপর ভাষাগত দক্ষতা থাকলে সে সুযোগ আপনি নিতে পারেন। এ ছাড়া ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, জার্মান, জাপানিজ কিংবা চীনা- এসব বিদেশি ভাষার শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে দেশে এখন। ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শুরু করে বিদেশি কোম্পানিগুলোতে ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেইনার বা গাইড হিসেবে কাজ করতে পারেন।

টিউটর
বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং থেকে শুরু করে চাকরির জন্য পড়াশোনা বা কোচিং- এসব জায়গায় ক্লাস নিতে পারেন। বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন। এতে আপনার একাডেমিক রেজাল্ট এবং অন্যান্য সাফল্য সহায়তা করবে।

ওয়েটার
রেস্টুরেন্ট ও কফি শপগুলোতে ওয়েটার হিসেবে পার্ট-টাইম চাকরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কাস্টমারদের খাবার পরিবেশনায় মনোযোগ ও মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।

ট্যুর গাইড
দেশের মানুষের মধ্যে এখন ঘোরাঘুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি ঘুরতে পছন্দ করেন তাহলে অন্যদের ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করতে পারেন। দেশি বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এর জন্য।

ডেলিভারি ম্যান
এখন প্রায়ই প্রতিষ্ঠান অনলাইন কেনাকাটার সার্ভিস দিয়ে থাকে। কাস্টমারদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে লাগে ডেলিভারি বয়ের। এ ক্ষেত্রে আপনার সাইকেল বা মোটরবাইক চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।

আইইডিসিআর’র নতুন পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর নতুন পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে একই প্রতিষ্ঠানে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভাইরোলজি ) হিসেবে কর্মরত আছেন। ডা. তাহমিনা শিরীন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সারমিন সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীনের বদলি/পদায়নকৃত আদেশ ২০শে আগস্ট থেকে কার্যকর করা হবে। বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/স্বাস্থ্য সার্ভিসের এই কর্মকর্তাকে পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তার বদলি/পদায়নকৃত কর্মস্থলে থাকবেন।

তরুণ উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া সহজ করতে হবে: সায়মা হক

বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার পর যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসএস এবং নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রম অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশের শ্রমবাজার, দারিদ্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা, জেন্ডার ও নারীর ক্ষমতায়ন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, তরুণ জনগোষ্ঠী ও অভিবাসন নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। ড. বিদিশা সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নীতি কৌশল—যেমন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ইত্যাদি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন।

মহামারির এই সময়ে বিশ্বব্যাপী অনেক নেতিবাচক দিক থাকলেও নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াতে বিকল্প পণ্যের সন্ধান করছেন। এ সময় ব্যক্তি সুরক্ষা পণ্য ও অনলাইন ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এতে সম্পৃক্ত হয়েছে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী। সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে এসব কথা বলেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা।

তিনি বলেন, করোনাকালে টিকে থাকতে বিকল্প ব্যবসার সন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে অনেক ব্যবসায়ী যিনি চামড়ার ব্যগ তৈরি করতেন; তিনি এখন মাস্ক তৈরি করছেন। কেউ কেউ ব্যক্তি সুরক্ষার পণ্য পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষা পণ্য তৈরিতে বিনিয়োগ করছেন। এখানে বড় উদ্যোক্তারা যেমন এগিয়ে এসেছেন; একই সঙ্গে ছোট ছোট তরুণ উদ্যোক্তাও জড়িত হয়ে পড়েছেন।

মহামারির এই সময়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি কিভাবে পুনরুদ্ধার হবে জানতে চাইলে সায়মা হক বিদিশা বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে বিশাল বাজার। মানুষের আয়ও ভালো। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুনরা প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে এগিয়ে আসছেন। তাঁদের ধরে রাখতে সরকার নীতি সহায়তাসহ স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে পাশে দাঁড়াতে পারে।

সম্প্রতি মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষা পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এ ক্ষেত্রে তরুণদের এই বিনিয়োগ কতটা টেকসই হবে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে গুণগত মানের অনেক সমস্যা হচ্ছে। ফলে অনেক সময় ভোক্তাদের প্রতারিত হতে হচ্ছে। এ ধরনের ব্যবসায় ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে দরকার নীতিমালা।

এর পরও করোনাকালীন চূড়ান্ত সময়ের (এপ্রিল-জুলাই) চেয়ে বর্তমানে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় আগের চেয়ে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে উল্লেখ করে সায়মা বলেন, বিশেষ করে ওষুধ ব্যবসায় চাহিদা বেড়েছে। এ সময় ভিটামিন ও মাল্টিভিটামিন অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে।

নতুন করে গড়ে ওঠা ব্যবসাকে টেকসই করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, মান সনদ, মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারে এমন একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জরুরি একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

নতুন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাজারে টিকে থাকতে হলে পণ্যের মান নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে কিছুটা দাম কম নিয়ে হলেও সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায় ঠিকে থাকতে হলে বাজারে সুনামের বিকল্প নেই বলেও তিনি মনে করেন।

করোনা-পরবর্তী সময়ে বিকল্প পণ্যের চাহিদা সম্পর্কে তিনি বলেন, পণ্যের চাহিদা কিছুটা কমলেও এর ব্যবহার অনেকাংশেই থেকে যাবে। একসময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেউ ব্যবহার না করলেও এখন অবস্থা পাল্টেছে। মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ বাজার তৈরি হয়েছে।

করোনাকালে তরুণরা নতুন নতুন পণ্য নিয়ে অনলাইনের দিকে ঝুঁকেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে অনলাইনের প্রসার ঘটেছে। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে ভোক্তা নিত্যদিনের বাজার করছে অনলাইনে। এ ক্ষেত্রে বড় একটি অংশজুড়ে জায়গা করে নিয়েছে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর বিকল্প পরিষেবার মধ্যে ‘ডেবিট ও ক্রেডিট’ কার্ডের বিল পরিশোধ, খাওয়াদাওয়ার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ—সবই হচ্ছে অনলাইনে। বিশেষ করে দেশের কুরিয়ার সার্ভিসগুলো মহামারির এই সময়ে বড় ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

অর্থনীতির চাকাকে বেগবান করতে বড় শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র খাতগুলোকে প্রণোদনার আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে নীতিমালা সহজ করতে হবে। এ ছাড়া তরুণ উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের স্বার্থও নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য ব্যবসার উন্নয়নে ব্যাকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারলে স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র-মাঝারিদের ঋণ পাওয়া কঠিন হবে বলেও তিনি মনে করেন। কালের কণ্ঠ