banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Monthly Archives: November 2024

 

মা-মেয়েকে নির্যাতন, তদন্তে গাফিলতি হলে ব্যবস্থা: হাইকোর্ট

কক্সবাজারে গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার বিষয়ে নজর রাখছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, নির্যাতনের বিষয়ে তদন্তে গাফিলতি হলে হস্তক্ষেপ করবেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। মা-মেয়েসহ নির্যাতিতদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট জেসমিন সুলতানা। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী এএম জামিউল হক ফয়সাল।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের পহরচাঁদা এলাকায় ‘গরু চোর’ আখ্যা দিয়ে মা-মেয়েকে নির্দয়ভাবে পেটায় দুর্বৃত্তরা। পরে কোমরে রশি বেঁধে মা-মেয়েসহ তিনজনকে প্রকাশ্য সড়কে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। একপর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুলিশকে খবর দিয়ে বিপদাপন্ন মা-মেয়ে ও ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

গত শুক্রবার রাতেই হারবাং বিন্দাবনখীল লাল ব্রিজ মাহবুবুল হক নামের একজন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি গরু চুরির মামলা করেন। এ মামলায় চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে গত শনিবার বিকালেই তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। -মানবজমিন

বিয়ের ৩ বছর পর গায়েহলুদ, কনের মোটরসাইকেল র‌্যালির ছবি ভাইরাল

বিয়ের তিন বছর পর গায়েহলুদের দিনে বাইক চালিয়ে শহরে শোডাউন করে নেট জগতে হইচই ফেলে দিয়েছেন যশোরের মেয়ে ফারহানা আফরোজ ড্রিমি। শহর জুড়ে বন্ধুবান্ধব ও সাথিদের নিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করার ১১ দিন পর ব্যতিক্রমী এ আয়োজনটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।

তার এমন উদ্যোগে প্রশংসার পাশাপাশি কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করেছেন ফেসবুকে। তবে অসম্মানজনক বক্তব্যের প্রতিবাদে ফারহানার মা মাহমুদা হাসান আইসিটি আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করছেন বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে মাহমুদা হাসান জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাককে জানান, ২০১৭ সালে নিজের পছন্দে তার মেয়ে পাবনার কাশিনাথপুরের হাসনাইন রাফিকে বিয়ে করে। এ বছরের ৩০ জুন এই দম্পতির ঘর আলো করে একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু পারিবারিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়নি। তবে এতদিন এমনকি সন্তান হবার পরে কেন গায়েহলুদের অনুষ্ঠান—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ছেলের বাবা মাসখানেক আগে তাকে ফোন করে তার বৌমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেওয়ার কথা বলেন। ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠানের তারিখ ঠিক হয়। আর তার মেয়ে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান ছাড়া কোনো আনুষ্ঠানিকতা করবে না বলে জানায়। ফারহানা এটাও তার মাকে জানায় গায়েহলুদের অনুষ্ঠান তার ভীষণ শখের। এটা করতেই হবে। আর তাই বিয়ের তিন বছর পর মা হবারও পর মেয়ের শখ পূরণ করতে এমন অভিনব আয়োজন।

নারী ক্রিকেট : বেতন, ম্যাচ ফি বাড়ছে রুমানাদের

মুমিনুল হকরা আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন। খেলবেন তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। করোনাকালে তামিম-মুশফিকদের মতোই বিসিবির ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুশীলন করছেন নারী ক্রিকেটাররা। যদিও তাদের সামনে কোনো লক্ষ্য নেই। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের সূচি নেই রুমানা আহমেদ, জাহানারা আলমদের জন্য। এমনকি কোনো ক্যাম্প আয়োজনেরও খবর নেই।

তবে করোনাকালে নারী ক্রিকেটারদের স্বস্তির খবর আছে। নিকট ভবিষ্যতেই সালমা-রুমানাদের বেতন, ম্যাচ ফি বাড়াবে বিসিবি। উইমেন্স উইং থেকে এ সম্পর্কিত প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বোর্ড সভায়। বিসিবির অনুমোদন পেলেই তা কার্যকর হবে।

জানা গেছে, নারী ক্রিকেটারদের বেতন ১০-২০ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব করবে উইমেন্স উইং। ওয়ানডে, টি-২০’র ম্যাচ ফিও কয়েক গুণ বাড়ানো হবে।

জানতে চাইলে উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল গতকাল বলেছেন, ‘আমরা ওদের বেতন বাড়াবো, ম্যাচ ফিও বাড়ানো হবে। একেবারে অনেক হবে না। অল্প অল্প করে বাড়ানো হবে। বেতন ১০-২০ ভাগ বাড়ানো হবে। ম্যাচ ফি কয়েক গুণ বাড়বে।’ পরবর্তী বোর্ড সভায় এটি অনুমোদন হতে পারে।

তামিম-মুমিনুলদের তুলনায় নারী ক্রিকেটারদের বেতন, ম্যাচ ফির ফারাক অনেক। বর্তমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার তুলনায় সেটি অনেকটাই অপ্রতুল। তাই বাড়ানোর চিন্তা করছে উইমেন্স উইং। বর্তমানে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৫০ হাজার, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজার ও ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার করে প্রতি মাসে বেতন পান নারী ক্রিকেটাররা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন ২০ ক্রিকেটার।

আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ১০০ ডলার ও টি-২০ ৭৫ ডলার ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন জাহানারা আলমরা। বাড়ানোর পর ওয়ানডেতে ৪০০ ডলার হতে পারে ম্যাচ ফি। আর টি-২০ তে ৩০০ ডলার।

পারিশ্রমিকের এই পরিবর্তন নারী ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করবে বলেই মনে করেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। এমনিতে আমাদের সুযোগ-সুবিধা খারাপ না। যা দিচ্ছে বিসিবি। আরো ভালো করতে, আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দরকার। বেতন, ম্যাচ ফি বাড়ানো হয় যদি, তাহলে এটা ভালো পদক্ষেপ। পারিশ্রমিক বাড়ালে সবাই আত্মবিশ্বাস পাবে। এটা আমাদের ভালো খেলতে উৎসাহ দিবে।’

যারা একাধিক বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী তাদেরকে বলছি…

এ এফ আখি

ইদানিং একাধিক বিয়ে নিয়ে অনেক নসিহত হচ্ছে। যারা একাধিক বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী তাদেরকে বলছি-

1) আপনি আরেকটা বিয়ে করতে গেলে কুমারী খুজবেন না তো?

2)আপনার মেয়েকে আরেকটা বউ আছে এমন পাত্রের সাথে বিয়ে দিবেন তো?

3)আপনার বাবাকে আরেকটা বিয়ে করবেন তো?

4) বিধবা,তালাক প্রাপ্ত, দুই বাচ্চার মা,আপনাদের চেয়ে বয়সে বড় এমন নারীদের বিয়ে করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন তারপর নারীদের দোষ ধরবেন স্বামীকে বিয়ে করতে দিতে চায় না ।আজব!

5) মনে রাখবেন একাধিক বিয়ে ইসলামে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদিত একটা বিষয়।ফরজ নয়।তাই ফরজ গুলো নিয়ে জনমত তৈরী করুন।

বিয়ে নিয়ে ফেসবুকে এত নসিহতের দরকার নাই। কারণ চার বিয়ের ব্যাপারে আমার জানামতে কোন পুরুষের দ্বিমত নাই তো নসিহত কাদের জন্য?

যখন আপনারা নজির স্থাপন করতে পারবেন অধিক বয়স ,বিধবা আর তালাক প্রাপ্ত নারীদের হুর হুর বিয়ে করবেন তখন দেখবেন অনেক মেয়েই তা মেনে নিবে।

আরেকটা বিষয় যদি কিছু করতে চান তো –

সমাজে কোটিপতিদের তালিকা করুন, অসহায় নারীদের খুজে বের করুন তারপর তাদেরকে একাধিক বিয়ে করতে বাধ্য করুন। যারা পতিতাদের কাছে যায় তাদের খুজে বের করুন এবং একেকটা পতিতার সাথে তাদের বিয়ে দিয়ে দিন।

যে ছেলেরা আথির্ক সামর্থ না থাকার জন্য বিয়ে করতে পারছে না তাদের সাহায্য করুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন অন্তত কিছু মেয়ের তো গতি হবে।

যদি বলেন এ গুলো তো রাষ্ট্র করবে , তাহলে বলবো এবার তাহলে সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্ঠা করুন এটা ফরজ। আর দ্বিতীয় বিয়ে সুন্নত।

সামাজিক মাধ্যমে নারী ও শিশুদের ছবিতে কারা খারাপ মন্তব্য করে? কেন করে?

বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কন্যার ছবিতে খারাপ মন্তব্যকারীদের পুলিশ খুঁজতে শুরু করেছে। অরুচিকর মন্তব্যকারীদের খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে সাকিব সাকিব আল হাসানের স্ত্রী, উম্মে আহমেদ শিশির নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, পাবলিক ফিগার হিসাবে এসব বাজে মন্তব্য তারা পাত্তা দিচ্ছেন না, বরং এই ব্যাপারটিকে বড় করে আলোচনায় নিয়ে আসাটা পছন্দ হয়নি তাদের।

কিন্তু তারপরেও এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছে। তবে ফেসবুকে নারী ও শিশুদের ছবিতে খারাপ মন্তব্যের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। তারকা বা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের বাইরেও ফেসবুকে এরকম আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষও।

সম্প্রতি কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব) সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথের ছবি বা অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার ছবিতেও অনেককে অরুচিকর বা খারাপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

কিন্তু কারো ছবিতে কেন অরুচিকর মন্তব্য করেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা? এর পেছনে কি মনোভাব কাজ করে?
সাইবার হামলার শিকার বেশি নারীরা

যারা কারো ছবি বা স্ট্যাটাসে অরুচিকর মন্তব্য করেন, তাদের ভেতর কয়েকটি বিষয় কাজ করে বলে বলছেন সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা।

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেখলা সরকার বলছেন, যারা এই ধরণের মন্তব্য করে, তাদের মধ্যে একটা মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা থাকে। মহিলাদের নিয়ে কথা বলতে তাদের ভালোই লাগে।

”তাদের মধ্যে আত্মসম্মানের সমস্যা থাকে। যেভাবে তারা বড় হয়েছেন, সেখানে সমস্যা থাকে, এটা যে একটা নেগেটিভ জিনিস, সেটা সে বুঝতে পারে না।”

তিনি মনে করেন, এ ধরণের মানুষজন সাধারণত অন্যদের কাছে মনোযোগ পায় না। ফলে এভাবে সামাজিক মাধ্যমে তারা অন্যদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে। সেটা নেতিবাচক হলেও সে মানুষের মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা করে।

তবে যারা এরকম মন্তব্য করেন, তারাও আবার অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর কাছ থেকে লাইক কমেন্টসও পান, সেটাও তাদের আবার একাজে উৎসাহিত করে।

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেখলা সরকার বলছেন, যারা এরকম মন্তব্য করছেন, তারাও কিন্তু অনেকের কাছ থেকে লাইক, কমেন্ট পান। পজিটিভ-নেগেটিভ, যেকোনো ধরণের কমেন্টই তাকে উৎসাহিত করে।

”এটার সাথে তার শিক্ষা বা চাকরি বা অর্থনৈতিক অবস্থানের সম্পর্ক নেই। দেখা যাবে, সমাজের ভালো অবস্থানের একজন হয়তো এ ধরণের আচরণ করছে, কিন্তু কম শিক্ষিত একজন হয়তো সেটা করছে না। আসলে প্রকৃত শিক্ষা তো এখানে হচ্ছে না।” তিনি বলছেন।

শিশুদের জন্য মোবাইলের ব্যবহার নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম বলেছেন, এক্ষেত্রে অসচেতনতা, মানসিক বিকৃতি এবং কট্টর পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ কাজ করে।

তার মতে, একজন নারী তিনি যে বয়সেই হন না কেন তাকে সমাজে এখনও যৌনবস্তু হিসেবে বিচার করা হয়।

এছাড়া তারকাদের জীবনের প্রতি ঈর্ষাবোধ ও হীনমন্যতা এই অরুচিকর মন্তব্যগুলোয় প্রতিফলিত হয় বলে তিনি মনে করেন।

“সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহজেই যা ইচ্ছা লেখা যায়। যেটা অন্য কোথাও সম্ভব না। যারা এ ধরণের মন্তব্য করে তারা নারীকে মানুষ হিসেবে দেখে না, নারী যে বয়সের হোক সে ভোগের বস্তু। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি তাদের কোন সম্মানবোধ নেই,” বলেন সাদেকা হালিম।

কোন শ্রেণীর মানুষ এ ধরণের কটু মন্তব্য বেশি করে?

বাংলাদেশের একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ জেনিফার আলম বলছেন, আসলে সব ধরণের শ্রেণীর মানুষই এ ধরণের মন্তব্য করে। তবে সবচেয়ে বেশি করে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষজন।

”এজন্য তাদের মধ্যে হতাশা ও বিনোদনের অভাব একটা প্রধান কারণ। এছাড়া আমাদের এখানে সাধারণ সৌজন্য বোধের অনেক অভাব রয়েছে। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে মানুষের সাথে ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে, তেমনি ইন্টারনেটেও বিচরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। কিন্তু এই ব্যাপারে আমাদের দেশের মানুষের সেই সচেতনতা তৈরি হওয়ার আগেই অনেকের হাতে ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তি চলে গেছে।

”ফলে অনেকের মধ্যে যে হতাশার ব্যাপার থাকে, দিন শেষে সে সেটা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই হতাশার বহিঃপ্রকাশ এসব কটু মন্তব্য। যাকে নিয়ে মন্তব্য করা হচ্ছে, সে যে কষ্ট পাচ্ছে, এটা যে একধরণের সাইবার বুলিং, সেই সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। তারা মনে করেন, ফোন-ইন্টারনেট থাকলেই তারা যে কাউকে যেকোনো কিছু লিখে দিতে পারেন, ম্যাসেজ করতে পারেন। ” বলছেন জেনিফার আলম।
সাইবার অপরাধ ঠেকানোর মূল ওষুধ সচেতনতা বাড়ানো।

খারাপ মন্তব্য করার পেছনে কি যুক্তি দেখান মন্তব্যকারীরা
ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে খারাপ মন্তব্য করার কারণে বিভিন্ন সময় অনেককে আটক করেছে বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেপ্তারকৃতরা এরকম কর্মকাণ্ডের পেছনে কি যুক্তি দেন, জিজ্ঞেস করেছিলাম ইউনিটের প্রধান আ ফ ম আল কিবরিয়ার কাছে।

তিনি বলছেন, ”নিজেদের প্রচারণা বাড়ানোর জন্য কেউ কেউ এটা করে, পেজের ভিউ বাড়ানোর জন্য। আরেক ধরণের মানুষ মনে করে, এটা একটা আলোচনার টপিক হলো। আমি একটা কমেন্ট করলাম, তাতে আমাকে গালিগালাজ করলেও অনেক মানুষ আমার প্রোফাইলে ঢুকবে। হয়তো আমার ফলোয়ার বাড়লো, ফ্রেন্ড বাড়ল। এসব উদ্দেশ্যে অনেকে করে।”

”আরেক গ্রুপ আছে এমন এমনি করে। তাদের মধ্যে কিছু স্যাডিস্ট থাকে, মেন্টালি ডিস্টার্বড থাকে, তাদের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয়, কিছুটা বিকৃতি থাকে।”

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, অনেকে ভাবেন, ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে এরকম কিছু মন্তব্য করলে তার কিছু হবে না। অনেক সময় তারা ফেক আইডি ব্যবহার করে এসব মন্তব্য করেন। তারা ভাবেন, তাদের কেউ ধরতে পারবে না বা পরিচয় জানতে পারবে না।

যদিও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর তাদের সেই ভুল ভেঙ্গে যায়।
সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরকম বুলিংয়ের শিকার হওয়ার পরেও অনেকে আইনি সহায়তা নিতে চান না।

সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরকম বুলিংয়ের শিকার হওয়ার পরেও অনেকে আইনি সহায়তা নিতে চান না।

সাইবার বুলিংয়ের আইনি প্রতিকার

সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরকম বুলিংয়ের শিকার হওয়ার পরেও অনেকে আইনি সহায়তা নিতে চান না।

ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরকম ব্যক্তিরা শাস্তির মুখোমুখিও হন না। তবে আইনি পদক্ষেপ নেয়ায় অনেককে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে।

সাইবার বিশেষজ্ঞ জেনিফার আলম বলছেন, সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েও আমাদের মানুষ যে কাজটি সহজে করতে চান না, সেটি হলো আইনি প্রতিকার চাওয়া বা আইনি পদক্ষেপ নেয়া।

”আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সক্ষমতা আছে যেকোনো ধরণের সাইবার বুলিং বা সাইবার হ্যারাজমেন্ট ট্র্যাক করার এবং তাদের আইনের আওতায় আনা। কিন্তু যিনি ভিকটিম, তিনি যদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেন, তাহলে তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু করতে পারবে না। তাই হয়রানির শিকার হলে অভিযোগ করার ব্যাপারটা নিশ্চিত করা জরুরি।” তিনি বলছেন।

সাইবার ক্রাইম বিভাগের প্রধান আ ফ ম আল কিবরিয়া বলছেন, ‘ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী কিছু কিছু ধারা আছে কগনিজেবল অর্থাৎ পুলিশ চাইলে মামলা নিতে পারবে এবং গ্রেপ্তার করতে পারবে। আর কিছু ধারা আছে নন-কগনিজেবল, অর্থাৎ এখানে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল মামলা করতে হবে। আদালতের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত করবে এবং ব্যবস্থা নেবে। ”

”ফেসবুকে গালি দেয়া বা কটু মন্তব্য করার বিষয়গুলো আইন অনুযায়ী নন-কগনিজেবল অপরাধের মধ্যে পড়েছে। ফলে ভিকটিমকে ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে মামলা করতে হয়। অথবা থানায় জিডি করতে পারেন। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই প্রতিকার চাইতে হবে।” তিনি বলছেন।

তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, যে কেউ সাইবার অপরাধ, হয়রানি বা বুলিং শিকার হলে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

”আপনি থানায় জিডি করুন, সেটার তদন্ত করবে পুলিশ। অথবা চাইলে আপনি কোর্টেও মামলা করতে পারেন।” তিনি বলছেন- বিবিসি

ফ্রিজ কি করোনাভাইরাসের নিরাপদ আশ্রয়স্থল

গত বছরের শেষভাগে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে চার লাখের বেশি মানুষ মারা গেলেও এই ভাইরাসের উৎস, চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য, গতিপ্রকৃতি বা বিবর্তনের ধরণ সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি বিজ্ঞানীরা।

এই ভাইরাস কোন ধরণের সমতলে কতক্ষণ বেঁচে থাকে, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে কত দ্রুত ছড়ায়, কোন ধরণের আবহাওয়া বা তাপমাত্রায় এর প্রকোপের কতটা তারতম্য হয়, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা একেকবার একেক মত দিয়েছেন, আবার নতুন গবেষণা প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে দফায় দফায় বিশেষজ্ঞদের মত পরিবর্তন করার ঘটনাও ঘটেছে।

শুরুতে একসময় মানুষের ধারণা ছিল যে উচ্চ তাপমাত্রায় এই ভাইরাস বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না, তবে এই দাবির কোনো প্রমাণ বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি শেষ পর্যন্ত। সেরকম আরেকটি ধারণা হলো, ফ্রিজের ভেতরে অন্যান্য স্থানের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ভাইরাসটি বেঁচে থাকতে পারে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অন্যান্য মতবাদের মত এই বিষয়টি নিয়েও শতভাগ নিশ্চিত হতে পারেনি বিজ্ঞানীরা।

ফ্রিজে কি করোনাভাইরাস বেশি সময় ধরে টিকে থাকে?

এর আগে যেসব করোনাভাইরাস পরিবেশে ছিল, সেগুলোর কয়েকটি প্রজাতি হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রায় পুরোপুরি কার্যকরভাবে বেঁচে না থাকলেও স্থিতিশীল অবস্থায় টিকে থাকে বলে প্রমাণ পেয়েছিল বিজ্ঞানীরা।

২০১০ সালে আমেরিকান সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলোজি’র এক গবেষণায় উঠে আসে যে সার্স করোনাভাইরাস (যেটি অনেকটা কোভিড-১৯ ভাইরাসের মত) ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় (প্রায় ৪.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) যেরকম আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা থাকে, ওই পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।

সাধারণত গৃহস্থালিতে যেসব রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে এই তাপমাত্রা থাকে।

গবেষণায় উঠে আসে, তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতা ২০ শতাংশের নীচে হলে সার্স করোনাভাইরাস প্রায় ২৮ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর আর্দ্রতা ৮০ শতাংশ হলে ভাইরাসটির স্থায়িত্বকাল থাকে ৬ ঘণ্টার মত।

অনেক বিশেষজ্ঞ এই প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে আর পরবর্তী গবেষষণার জন্য অপেক্ষা না করে ফ্রিজ ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

তারা বলছেন, কাছাকাছি প্রজাতির একটি করোনাভাইরাস যেহেতু ফ্রিজে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে, কাজেই নভেল করোনাভাইরাসেরও একই বৈশিষ্ট্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্যান ফ্র্যান্সিসকোর গ্ল্যাডস্টোন ইনস্টিটিউটের রিসার্চ সাইন্টিস্ট ও ভাইরোলজিস্ট ড. ওয়ার্নার গ্রিন গত এপ্রিলে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন করোনাভাইরাস চরিত্রগতভাবে একটি ‘আঠালো’ ভাইরাস।

ওই সাক্ষাৎকারে ড. গ্রিন বলেছিলেন, ‘এই ভাইরাস (সার্স) বিভিন্ন সমতলে আশ্চর্জজনকভাবে লম্বা সময় টিকে থাকে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ভাইরোলজিস্ট নজরুল ইসলাম বলেন, নভেল করোনাভাইরাস ফ্রিজে কতদিন বেঁচে থাকতে পারে সেসম্পর্ক না জানা গেলেও ফ্রিজের আবহাওয়ায় অন্য জায়গার তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি সময় বাঁচতে পারে বলে ধারণা করা যায়।

তিনি বলেন, ‘এটি যেই ধরণের ভাইরাস, তা সাধারণত ফ্রিজের পরিবেশে বেশি সময় বাঁচতে পারার কথা। কিন্তু সেখানে ঠিক কতদিন বাঁচতে পারবে, এ ধরণের কোনো গবেষণা এখনো নেই।’

তবে সার্স করোনাভাইরাস নিয়ে করা গবেষণার ভিত্তিতে নভেল করোনাভাইরাসের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে চান না বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।

এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ার এবিসি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার মাইকেল কিড বলেন নভেল করোনাভাইরাস ফ্রিজে টিকে থাকতে পারে কিনা আর থাকলেও কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে, তা গবেষণার আগে বলা সম্ভব না।

তিনি বলেন, ‘সার্স করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা হলেও নভেল করোনাভাইরাস সম্পর্কে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি। কাজেই আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না যে এই ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য সার্স করোনাভাইরাসের মত কি না।’ তাই তিনি ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।

ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী ধরণের সতর্কতা নেবেন?

এবিসি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক মাইকেল কিড মন্তব্য করেছিলেন যে ফ্রিজে রাখার পরে তো বটেই, ফ্রিজে রাখার আগেও সব খাদ্যপণ্য অথবা পণ্যের প্যাকেট অন্তত একবার জীবাণুমুক্ত করে নেয়া জরুরি।

‘বাইরে থেকে বাজার ঘরে এনে ফ্রিজে রাখার আগে জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি বারবার হাত ধোয়ার বিষয়টিও মনে রাখতে হবে সবাইকে,’ বলেন মাইকেল কিড।

সার্স করোনাভাইরাসের মত, ফ্রিজে রাখা খাদ্যপণ্যের গায়ে বা প্যাকেটে নভেল করোনাভাইরাস লেগে থাকলে তা সপ্তাহ চারেক বেঁচে থাকতে পারে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তাই বাজার করার পর পণ্য ফ্রিজে রাখার আগে ও ফ্রিজ থেকে বের করার পর তা জীবাণমুক্ত করার ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভাইরোলজিস্ট নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্রিজে রাখা খাবারের প্যাকেট বের করার পর প্যাকেটটি জীবাণুনাশক মেশানো কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নেয়া প্রয়োজন।’

ফ্রিজে রাখা শাকসবজি রান্না করার আগে কিছুক্ষণ সাবান মিশ্রিত পানিতে রেখে ধুয়ে নেয়ার উপদেশ দেন তিনি। তবে মাছ বা মাংসের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয় বলে মাছ-মাংস যেই প্যাকেটে বা পাত্রে রাখা হবে, সেটিকে জীবাণুমুক্ত করে নেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

‘এছাড়া যারা ফ্রিজ থেকে বের করা মাছ-মাংস কাটাকাটির দায়িত্বে থাকবেন, তাদের আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্রিজ থেকে খাবার বের করা এবং রান্নার কাজ করার সময় বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করার উপদেশ দেন তিনি।

‘ফ্রিজ থেকে বের করা মাছ-মাংস নিয়ে কাজ করবেন যারা, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং নিয়মিত ভিত্তিতে হাত ধোয়ার মত বিষয়গুলো মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। যেই কাজে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে, সেরকম প্রত্যেকটি ছোট ছোট কাজ শেষে মনে করে হাত ধোয়া জরুরি।’

সূত্র : বিবিসি

সাকিবকন্যাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারীরা আসছে আইনের আওতায়

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের শিশুকন্যাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইমের এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেয়।

সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন জানায়, বাংলাদেশের গর্ব সাকিব আল হাসানের কন্যার ছবি নিয়ে কিছু বিকৃত মানসিকতার লোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিষ্টাচার বজায় রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সূর্যমুখী ফুলের বাগানে কানে লাল ফুল গুঁজে পোস্ট করা ফুলের মতো সুন্দর একটি ছবির নিচে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন কয়েকজন বিকৃত মানসিকতার মানুষ। বিষয়টি সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। চারদিক থেকে আসতে থাকে প্রতিবাদ। ইতোমধ্যে কয়েকজনের পরিচয়ও শনাক্ত হয়েছে।

পাইনাপেল ফ্রাইড রাইস তৈরির সহজ রেসিপি

ফ্রাইড রাইস অনেকের কাছে পছন্দের একটি খাবার। বিশেষ করে শিশুরা এটি খেতে দারুণ পছন্দ করেন। ফ্রাইড রাইস রান্নায় বৈচিত্র আনতে চাইলে রাঁধতে পারেন পাইনাপেল ফ্রাইড রাইস। চলুন জেনে নেয়া যাক রেসিপি-

উপকরণ:
পোলাও বা বাসমতির চাল দিয়ে রান্না ভাত ২ কাপ
পাকা-আনারস কিউব করে কাটা আধা কাপ
রসুনকুচি ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি স্বাদমতো
তেল ৩/৪ টেবিল চামচ
ফিশ সস ১/২ টেবিল চামচ
সয়া সস ১/২ টেবিল চামচ
চিংড়ি মাছ ৮/১০টি
গাজর কিউব করে কাটা ২ টেবিল চামচ (সিদ্ধ করা)
মটরশুটি ২ টেবিল চামচ (সিদ্ধ করা)
গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ
কিশমিশ ১ টেবিল চামচ
কাজুবাদাম ৭/৮টি (ভাজা)
কারি পাউডার ১ চা চামচ (ইচ্ছা)
পেঁয়াজপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ
ডিম ১টি
চিনি ১ চা চামচ

আম যেভাবে রেখে বছরজুড়ে খাওয়া যাবে

আমের চেয়ে মজার ফল হয়ত আর নেই। আর আমাদের দেশের আমের স্বাদ বিশ্বের সব ফলকেই হার মানাবে।
সবার প্রিয় আম বছরের মাত্র কিছু দিনই পাওয়া যায়। এইতো এবারের মতো শেষ হয়ে এসেছে আমের মৌসুম।

তবে কি পুরো বছর আম না খেয়েই কেটে যাবে? একদমই না। যদি সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, তবে প্রায় বছরজুড়ে আম খেতে পারবেন। আর রাখতে চাইলে এখনই সময়, ক’দিন পরে ইচ্ছা থাকলেও আম কিন্তু থাকবে না।

সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
• পাকা আমের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে জিপলক ব্যাগে রাখুন
• একটার ওপর আরেকটা রাখবেন না
• ভেতরের বাতাস বের করে আমের প্যাকেটগুলো ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন
• স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে বহু দিন
• আম ব্লেন্ড করে আইস ট্রে-তে বরফ জমিয়ে জিপলক ব্যাগে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন
• বছরজুড়ে খেতে পারবেন এই মজার আম।

সংরক্ষণ করা আম দিয়ে বছরের যেকোনো সময় আমের মিল্কশেক কিংবা দুধ-আম খেতে পারেন। ফ্রিজারে আম এক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।

 

ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ঐতিহাসিক মনোনয়ন পেলেন কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের আসছে নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে ঐতিহাসিক এক মনোনয়ন পেয়েছেন কমলা হ্যারিস। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত কৃষ্ণাঙ্গ ও ভারতীয় মিশ্রণের সিনেটর।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিবিসি জানিয়েছে, কমলা হ্যারিস জো বাইডেনের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটের ভাইরাস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন। এর আগের দিন দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনিত হন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আরও ইতিহাস সৃষ্টি হবে। প্রথম কোনো নারী দেশটির দ্বিতীয় শীর্ষ পদে যাবেন। আবার কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কোনো অশ্বেতাঙ্গ নারীর অভিষেক ঘটবে।

গত ১৭ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে দলীয় কনভেনশন ডেকেছিল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। চার দিনব্যাপী এই কনভেনশনের তৃতীয় দিন রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে কমলা হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করেন ডেমোক্র্যাটরা। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে অনলাইনে ভোট দিয়ে তার প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেন দলের প্রতিনিধিরা।

চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে কমলা হ্যারিস কনভেনশনে বলেন, রিপাবলিকান নেতা ‘আমাদের ট্র্যাজেডিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে পরিণত করেছেন’। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে উইলমিংটনের হলরুমে তিনি বলেছেন, আমরা একটি প্রতিচ্ছবিতে এসে গেছি।

এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর এবং বড় একটি দল থেকে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া কৃষ্ণঙ্গ রানিং মেট কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’ ধরিয়ে দিয়েছেন প্রথম দিনই।

এর আগের দিন রাতে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। জো বাইডেন এর আগেও দুই বার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ১৯৯৮ ও ২০০৮ সালের সেই দুই লড়াইয়ে তিনি না পারলেও এবার তৃতীয়বারে এসে সফল হয়েছেন।

আসছে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস জুটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে লড়াই করবেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে।

চুল ও ত্বকের যত্নে আমলকী

সুস্বাস্থ্যেও জন্য ভেষজ গুণসম্পন্ন আমলকীর জুড়ি নেই। এ কথা সবাই কমবেশি জানেন। তবে রূপচর্চায় এই সস্তাদরের দেশি ফলটির ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। ত্বক ও চুলে আমলকী ব্যবহার বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। রূপচর্চায় আমলকী ব্যবহারের কিছু টিপস-

ব্রণের দাগ দূর করতে
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়তা করে আমলকী। আমলকীর রস মুখে মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে ঊষ্ণ পানিতে। অনুভূতিপ্রবণ ত্বক হলে আমলকীর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সামান্য পানি। ভালো ফলের জন্য ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত।

মরা ত্বক দূর করতে
স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পাওে আমলকীর রস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক সজীব ও টানটান করতে সহায়তা করে। এক চামচ আমলা পাউডার গরম পানিতে মিশিয়ে তৈরি করা পেস্টে মুখ স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাব করার পাঁচ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিলেই হলো। এই পেস্টের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নেয়া যেতে পারে।

চুল পড়া রোধে
চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকী বেশ কার্যকর। প্রয়োজনীয় পরিমাণ শুকনো আমলকী পানিতে নিয়ে গরম করম করতে হবে। আমলকী ভালোভাবে সেদ্ধ হলে তা চটকে পেস্ট করে নিতে হবে। এই পেস্ট চুলের গোড়া ও পুরো চুলে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে হবে এই প্যাক। ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর জন্য শুধু আমলকীর রসও ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে আমলকীর রস চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিলেই হলো।

আমলকীর তেল তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি
তেল তৈরির জন্য প্রয়োজন টাটকা আমলকী ও নারকেল তেল। প্রথমে এক কাপ আমলকী ভালোভাবে ধুয়ে বিচি ছাড়িয়ে নিয়ে মিক্সারে গুঁড়া করে নিতে হবে। এতে পানি ব্যবহার করা যাবে না। এরপর একটি পাত্রে এক কাপ নারকেল তেল চুলায় গরম করতে দিতে হবে। তেল গরম হলে এতে দিয়ে দিতে হবে আমলকীর গুড়াঁ।

আমলকীর গুঁড়া মিশ্রিত নারকেল তেল ফুটে ওঠার ১০-১৫ মিনিট পর তেল চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের জারে রাখতে হবে। এই তেল চুলের গোড়া ও চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চুল ধুয়ে নিতে হবে ভালো ব্র্যান্ডের মাইল্ড শ্যাম্পুর সাহায্যে।

গর্ভনিরোধক বড়ির ক্ষমতা ‘কমিয়ে দিতে পারে’ অ্যান্টিবায়োটিক

হরমোনাল গর্ভনিরোধক ওষুধ ব্যবহার করা নারীরা সাধারণ সমস্যায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।

বিশেষজ্ঞরা ৭৪ হাজার ৬২৩ নারীর ওষুধ সেবনের ডেটা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ গর্ভনিরোধক বড়ির কার্যক্ষমতা পুরোপুরি কমিয়ে দিতে পারে।

গবেষণায় অংশ নেয়া ৪৬ জন নারী গর্ভনিরোধক বড়ি সেবনের পরেও গর্ভধারণ করেন, তারা সবাই অ্যান্টিবায়োটিক নিচ্ছিলেন।

ফলাফলে গবেষকেরা লিখেছেন, ‘হরমোনাল গর্ভনিরোধকের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যে একটা যোগসূত্র আছে, সেটি এই গবেষণায় দেখা গেল।’

‘হরমোনাল গর্ভনিরোধক ওষুধ সেবনকারী নারীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।’

লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক স্টিফেন ইভান্স বলছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে রোগীরা ওষুধের নির্দেশিকা ঠিকমতো পড়ে দেখেন না অথবা চিকিৎসক ঠিকমতো সতর্ক করছেন না।’

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে সাধারণ ওষুধ সেবনকারী নারীদের তুলনায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবনকারী নারীদের (যারা গর্ভনিরোধক ওষুধ নিচ্ছেন) গর্ভধারণের শঙ্কা ৭ গুণ বেশি।

পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ পাবেন যেখানে

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির প্রসারে বদলে গেছে চাকরির বাজারও। ফলে স্থায়ী (ফুল-টাইম) চাকরির বাইরে বেড়েছে অস্থায়ীভাবে (পার্ট-টাইম) কাজ করার সুযোগও।

মূলত শিক্ষার্থীরাই এসব পার্ট-টাইম চাকরি করে থাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের সুযোগ হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোও ছোটোখাটো চাকরির জন্য ফুল-টাইম কর্মী নিয়োগ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাছাই করে থাকে। চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটগুলোতেই পাবেন পার্ট-টাইম চাকরির বিজ্ঞপ্তি বা খবরাখবর।

আসুন জেনে নিই, কোন কোন কাজে পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ মেলে।

সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট
সুপারশপ থেকে শুরু করে ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট বা বিক্রয়কর্মীর চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মৌসুমে এ পদের কর্মীর চাহিদা বাড়ে। তখন প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাদের কাজ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি বাড়ানো। ভালো যোগাযোগ দক্ষতা ও সুন্দর বাচিক ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিকে বাছাই

কপিরাইটার
বিভিন্ন অ্যাড ফার্ম, মার্কেটিং ও পিআর এজেন্সি, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র কপিরাইটার হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য আগ্রহীকে ভাষাগত দক্ষতা ও কম্পিউটারের কারিগরী জ্ঞান থাকতে হবে।

কল সেন্টার অ্যাসিস্ট্যান্ট
এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাস্টমারদের অনলাইন সেবা দিয়ে থাকে। তাদের এ কাজ করে দেয় মূলত কল সেন্টারগুলো। সেখানে অনেক জনবলের দরকার হয়। যোগাযোগ দক্ষতা, পরিশ্রম করার মানসিকতা ও ধৈর্যশক্তি থাকলে কল সেন্টারগুলোতে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পার্ট-টাইম চাকরি করতে পারবেন।

ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেইনার
আপনি হয়তো একাধিক ভাষায় দক্ষ, সেটিকেই কাজে লাগিয়ে ভালো আয় করতে পারেন। দেশে অবস্থান করা অনেক বিদেশি নাগরিক বাংলা ভাষা শিখতে চায়; বাংলার ওপর ভাষাগত দক্ষতা থাকলে সে সুযোগ আপনি নিতে পারেন। এ ছাড়া ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, জার্মান, জাপানিজ কিংবা চীনা- এসব বিদেশি ভাষার শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে দেশে এখন। ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শুরু করে বিদেশি কোম্পানিগুলোতে ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেইনার বা গাইড হিসেবে কাজ করতে পারেন।

টিউটর
বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং থেকে শুরু করে চাকরির জন্য পড়াশোনা বা কোচিং- এসব জায়গায় ক্লাস নিতে পারেন। বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন। এতে আপনার একাডেমিক রেজাল্ট এবং অন্যান্য সাফল্য সহায়তা করবে।

ওয়েটার
রেস্টুরেন্ট ও কফি শপগুলোতে ওয়েটার হিসেবে পার্ট-টাইম চাকরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কাস্টমারদের খাবার পরিবেশনায় মনোযোগ ও মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।

ট্যুর গাইড
দেশের মানুষের মধ্যে এখন ঘোরাঘুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি ঘুরতে পছন্দ করেন তাহলে অন্যদের ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করতে পারেন। দেশি বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এর জন্য।

ডেলিভারি ম্যান
এখন প্রায়ই প্রতিষ্ঠান অনলাইন কেনাকাটার সার্ভিস দিয়ে থাকে। কাস্টমারদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে লাগে ডেলিভারি বয়ের। এ ক্ষেত্রে আপনার সাইকেল বা মোটরবাইক চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।

আইইডিসিআর’র নতুন পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর নতুন পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে একই প্রতিষ্ঠানে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভাইরোলজি ) হিসেবে কর্মরত আছেন। ডা. তাহমিনা শিরীন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সারমিন সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীনের বদলি/পদায়নকৃত আদেশ ২০শে আগস্ট থেকে কার্যকর করা হবে। বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/স্বাস্থ্য সার্ভিসের এই কর্মকর্তাকে পুনরায় আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তার বদলি/পদায়নকৃত কর্মস্থলে থাকবেন।

তরুণ উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া সহজ করতে হবে: সায়মা হক

বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার পর যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএসএস এবং নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রম অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দেশের শ্রমবাজার, দারিদ্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা, জেন্ডার ও নারীর ক্ষমতায়ন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, তরুণ জনগোষ্ঠী ও অভিবাসন নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। ড. বিদিশা সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও নীতি কৌশল—যেমন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ইত্যাদি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন।

মহামারির এই সময়ে বিশ্বব্যাপী অনেক নেতিবাচক দিক থাকলেও নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াতে বিকল্প পণ্যের সন্ধান করছেন। এ সময় ব্যক্তি সুরক্ষা পণ্য ও অনলাইন ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এতে সম্পৃক্ত হয়েছে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী। সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে এসব কথা বলেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা।

তিনি বলেন, করোনাকালে টিকে থাকতে বিকল্প ব্যবসার সন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে অনেক ব্যবসায়ী যিনি চামড়ার ব্যগ তৈরি করতেন; তিনি এখন মাস্ক তৈরি করছেন। কেউ কেউ ব্যক্তি সুরক্ষার পণ্য পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষা পণ্য তৈরিতে বিনিয়োগ করছেন। এখানে বড় উদ্যোক্তারা যেমন এগিয়ে এসেছেন; একই সঙ্গে ছোট ছোট তরুণ উদ্যোক্তাও জড়িত হয়ে পড়েছেন।

মহামারির এই সময়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি কিভাবে পুনরুদ্ধার হবে জানতে চাইলে সায়মা হক বিদিশা বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে বিশাল বাজার। মানুষের আয়ও ভালো। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুনরা প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে এগিয়ে আসছেন। তাঁদের ধরে রাখতে সরকার নীতি সহায়তাসহ স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে পাশে দাঁড়াতে পারে।

সম্প্রতি মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষা পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এ ক্ষেত্রে তরুণদের এই বিনিয়োগ কতটা টেকসই হবে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে গুণগত মানের অনেক সমস্যা হচ্ছে। ফলে অনেক সময় ভোক্তাদের প্রতারিত হতে হচ্ছে। এ ধরনের ব্যবসায় ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে দরকার নীতিমালা।

এর পরও করোনাকালীন চূড়ান্ত সময়ের (এপ্রিল-জুলাই) চেয়ে বর্তমানে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় আগের চেয়ে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে উল্লেখ করে সায়মা বলেন, বিশেষ করে ওষুধ ব্যবসায় চাহিদা বেড়েছে। এ সময় ভিটামিন ও মাল্টিভিটামিন অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে।

নতুন করে গড়ে ওঠা ব্যবসাকে টেকসই করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, মান সনদ, মানদণ্ড নিশ্চিত করতে পারে এমন একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জরুরি একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

নতুন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বাজারে টিকে থাকতে হলে পণ্যের মান নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে কিছুটা দাম কম নিয়ে হলেও সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায় ঠিকে থাকতে হলে বাজারে সুনামের বিকল্প নেই বলেও তিনি মনে করেন।

করোনা-পরবর্তী সময়ে বিকল্প পণ্যের চাহিদা সম্পর্কে তিনি বলেন, পণ্যের চাহিদা কিছুটা কমলেও এর ব্যবহার অনেকাংশেই থেকে যাবে। একসময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেউ ব্যবহার না করলেও এখন অবস্থা পাল্টেছে। মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ বাজার তৈরি হয়েছে।

করোনাকালে তরুণরা নতুন নতুন পণ্য নিয়ে অনলাইনের দিকে ঝুঁকেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে অনলাইনের প্রসার ঘটেছে। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে ভোক্তা নিত্যদিনের বাজার করছে অনলাইনে। এ ক্ষেত্রে বড় একটি অংশজুড়ে জায়গা করে নিয়েছে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর বিকল্প পরিষেবার মধ্যে ‘ডেবিট ও ক্রেডিট’ কার্ডের বিল পরিশোধ, খাওয়াদাওয়ার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ—সবই হচ্ছে অনলাইনে। বিশেষ করে দেশের কুরিয়ার সার্ভিসগুলো মহামারির এই সময়ে বড় ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

অর্থনীতির চাকাকে বেগবান করতে বড় শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র খাতগুলোকে প্রণোদনার আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে নীতিমালা সহজ করতে হবে। এ ছাড়া তরুণ উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের স্বার্থও নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য ব্যবসার উন্নয়নে ব্যাকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারলে স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র-মাঝারিদের ঋণ পাওয়া কঠিন হবে বলেও তিনি মনে করেন। কালের কণ্ঠ

মেয়ে হয়ে চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তার হওয়া সহজ ছিল না: শিমুর

বিরূপ পরিস্থিতিতেও থেমে থাকেননি দেশের নারী উদ্যোক্তার। যাঁরা নানা প্রতিকূলতাকে জয় করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার ভূমিকায় নিজেদের দাঁড় করিয়েছেন। এমন একজন নবীন উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনের গল্প আজ তুলে ধরা হচ্ছে।

মাদারীপুরে জন্ম শাহানা আক্তার শিমুর। ছোটবেলায় মাকে হারিয়ে বড় হয় নানির স্নেহে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ্য ন্যাশনাল কলেজ অফ হোম ইকোনমিকস থেকে শিশু বন্ধন ও পারিবারিক সম্পর্ক বিষয়ে অর্নাস ও মাষ্টার্স শেষ করে শাহানা। বর্তমানে স্বামী সন্তান নিয়ে বাস করেন রাজধানীর মিরপুরে।

ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চাকরি করেন বেসরকারি এনজিও তে। নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ার লক্ষ্যে দীর্ঘ ১১ বছরের চাকরি ছেড়ে নতুন সিদ্ধান্তে পৌছেন শাহানা। মাত্র ৪ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে শুরু করেন উদ্যোক্তা জার্নী। ব্লক ও বাটিকের প্রতি ছিলো তার প্রচুর আগ্রহ, তাই নিজের উদ্যোগ শিমু’স কালেকশনে যুক্ত করেন ব্লক ও বাটিক। কাপড়রে মান নিয়ে নিজের মধ্যে সংশয় থাকায় ২০১৫ সালে নিজস্ব সোর্সের কাপড় ডিজাইন শুরু করেন শাহানা।

ই-কমার্স উদ্যোক্তা হওয়ার কারণ জানতে চাইলে শাহানা বলেন, ছোটবেলা বাবা-মাকে হারিয়ে বুঝতে পারি মায়ের অভাব, তাই নিজের একমাত্র পুত্র সন্তানকে সময় দেওয়া এবং স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা ছিল ই-কমার্স ক্যারিয়ারের অন্যতম কারণ। এখন ঘরে বসে পরিবারের দেখাশোনা, সন্তানকে দেখা শোনা এবং যেকোন জায়গায় বসে ব্যবসায় সময় দিতে পারছি রাতদিন।

ব্লক ও বাটিকের প্রতি ভালোবাসা এবং ব্লক শিল্পে নিজের অবদান রাখতে শাহানা শুরু করে শিমু’স কালেকশন। নিজস্ব টেইলারিং সার্ভিস ও ডিজাইনের মাধ্যমে প্রস্তুত করেন প্রতিটি প্রোডাক্ট। গত ছয় বছর যাবৎ সুনামের সাথে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবী এবং বেবি প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন শাহানা। দেশের পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে বিদেশে যাচ্ছে শিমু’স কালেকশনের পণ্য। ব্লক ইন্ড্রাস্টিতে শিমু’স কালেকশনকে সুপরিচিত ও বিশ্বস্ত ব্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত করা শাহানার স্বপ্ন।

উদ্যোক্তা জীবনের চ্যালেঞ্জ গুলো জানতে চাইলে তিনি জানান, মেয়ে হয়ে চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তার হওয়া মসৃণ ছিল না। প্রতিটি পদে পদে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করত হয়েছে। পারিবারিক বাধা, পর্যাপ্ত অর্থ সংকট, ই-কমার্স নলেজ, মানসম্পন্ন প্রোডাক্ট সোর্সিং, বিদেশি পণ্যের সাথে দেশি পণ্যের প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে আগাতে হয়েছে।

উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর অবদান স্বীকার করে শাহানা বলেন, দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের জন্য ঢাল স্বরূপ উই। আমার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। উইয়ের সাথে আমার পথচলা প্রায় একবছর। বাংলা ভাষায় ই-কমার্স জ্ঞান অর্জনের সেরা মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আমাদের চ্যালেঞ্জ গুলো মোকাবেলা করতেও দারুণ ভাবে ভূমিকা রাখছে। উইয়ের মাধ্যমে ই-কমার্স ট্রেনিং, নেটওয়ার্কিং ডেভেলেপ ও বিক্রি করতে পারছি, শুধু মাত্র সময় ইনভেস্ট করে। আমি কৃতজ্ঞ উই এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা আপু এবং ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উইয়ের এডভাইজর রাজিব আহমেদ স্যার এর কাছে, যারা আমাদের প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ ও সুবিধা নিয়ে জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

বিশ্বের শীর্ষ নারী উদ্যোক্তার তালিকায় মালিহা কাদির

সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নারী স্টার্ট আপ ফাউন্ডার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ‘সহজ’-এর ফাউন্ডার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মালিহা এম কাদির। বিজনেস-ফাইন্যান্স বিষয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইট বিজনেস ফাইন্যান্সিং ইউকে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নারী ফাউন্ডারদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।

সেই তালিকায় অ্যান্ট ফিন্যান্সিয়াল, গ্র্যাব, উইল্যাব-এর মতো বিখ্যাত এশিয়ান কম্পানির ফাউন্ডাররাও রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে শীর্ষ নারী ফাউন্ডার হিসেবে এককভাবে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন সহজ-এর ফাউন্ডার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মালিহা কাদির।

২০১৪ সালে দেশের ট্রাভেল ও টিকেটিং ইন্ডাস্ট্রিকে আরো গোছালো করতে মাত্র ৩০ জন কর্মী নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম ডিজিটালাইজড টিকেটিং সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করা ‘সহজ’ এখন ৩৫০ জনের অধিক কর্মীর এক বিশাল শক্তিশালী পরিবার। দেশীয় অনলাইন প্লাটফর্ম হিসেবে নানামুখী সেবা নিয়ে সহজ ব্যবহারকারীদের জীবনকে করছে আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। সব থেকে বেশি সেবা নিয়ে সহজ এখন বাংলাদেশের সব থেকে দ্রুত বর্ধমান স্টার্ট আপ। টিকেটিং প্রসেসকে ডিজিটালাইজড করার পর সহজ অনলাইন ফুড সার্ভিস, রাইড শেয়ারিং ও লজিস্টিক সেবা যুক্ত করেছে তাদের প্লাটফর্মে। ধীরে ধীরে সহজ হয়ে উঠছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সুপার অ্যাপ; এক অ্যাপেই যেখানে পাওয়া যাচ্ছে অনেক সেবা।

কভিড-১৯ মহামারির সময়েও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে সহজ যুক্ত করেছে গ্রোসারি, মেডিসিন ডেলিভারি ও ই হেলথ (ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ) সেবা। এমনকি মহামারির এই সময়ে সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সহজ কাজ করেছে ‘করোনা ট্রেসার অ্যাপ’ এর মতো চ্যালেঞ্জিং টেকনোলজিক্যাল অ্যাপ তৈরিতে। শুরু থেকেই সহজের লক্ষ্য একটিই- টেকনোলজি ব্যবহার করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন আরেকটু সহজ ও আরামদায়ক করা; যে চেষ্টা সামনেও অব্যাহত থাকবে।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্টার্ট আপ ইকো সিস্টেমে সব থেকে বেশি পরিমাণের ফান্ডিং পেয়েছে সহজ। বিভিন্ন ইউরোপিয়ান ও এশিয়ান বিনিয়োগকারিদের কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে সহজ।

হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ করা মালিহা কাদিরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথ কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে মালিহা কাদির প্রায় এক যুগ আমেরিকা ও সিংগাপুরে মরগান স্ট্যানলি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, নোকিয়া এবং ভিস্টাপ্রিন্টের মতো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বনামধন্য ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ও টেকনোলজি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন

তালেবানের সঙ্গে দর কষাকষি করা নারী কর্মকর্তার ওপর জঙ্গি হামলা

তালেবানের সঙ্গে দর কষাকষি করা সরকারের এক নারী কর্মকর্তার ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে। বন্দুকধারী জঙ্গিরা শুক্রবার রাতে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে আহত হলেও বেঁচে গেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে সাউথ এশিয়ান মনিটর।

আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই নারীর নাম ফাউজিয়া কুফি। ৪৫ বছর বয়স্ক এই নারী একজন সাবেক এমপি ও বিখ্যাত মানবাধিকার কর্মী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী পারওয়ান প্রদেশ থেকে যখন কাবুলে ফিরছিলেন তখন রাজধানীর কাছে একটি বাজার এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিরা তার গাড়ির উপর হামলা করে। তবে তারা তালেবান সদস্য কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তালেবানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতের রাজনৈতিক নিস্পত্তির জন্য গঠিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় টিমের প্রধান মোহাম্মদ মাসুম স্তানেকজাই।

তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন। এতে তিনি বলেন, কুফি সামান্য আহত হয়েছেন তবে তিনি ভালই আছেন। কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এই ঘটনাকে কাপুরুষের কাজ বলে অভিহিত করেছেন।

নতুন রূপে মিশেল ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন রূপে ফিরে এলেন সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। সোমবার তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করলেন কড়া ভাষায়। মার্কিনিদের প্রতি আহ্বান জানালেন, গত ৪ বছর ক্ষমতার মেয়াদে যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছেন ট্রাম্প তার ইতি ঘটাতে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনকে ভোট দিতে। ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের প্রথম রাতে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি। সেখানে মিশেল ওবামা বলেন, ট্রাম্পের হাতে প্রচুর সময় ছিল। এ সময়ে তিনি প্রমাণ করতে পারতেন যে, তিনি প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারি, অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা এবং বর্ণবাদী অবিচারের এই মুহূর্তে দেশ যখন কাঁপছে- তখন তিনি ব্যর্থ।

এ সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভুল প্রেসিডেন্ট বা ‘রং প্রেসিডেন্ট’ বলে আখ্যায়িত করেন। এদিন ডেমোক্রেটদের কনভেনশনে সবার দৃষ্টি ছিল মিশেল ওবামার দিকে। তিনি তার স্বামী, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মতোই বাগ্মী। তিনি বলেন, যখনই আমরা হোয়াইট হাউজের নেতৃত্বের দিকে তাকাই, শান্তনার জন্য তাকাই, অবিচল প্রস্তুতির জন্য তাকাই, তার পরিবর্তে আমরা দেখতে পাই বিশৃংখলা, বিভাজন, সহমর্মিতার পুরো অভাব। আমাদের জন্য যার প্রয়োজন, তিনি সেই ব্যক্তি হতে পারেন নি। তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, যদি আপনারা মনে করেন পরিস্থিতি এর চেয়ে খারাপ হবে না, তবে আমাকে বিশ্বাস করুন। আমি বলছি, পরিস্থিতি খারাপ হবে, যদি আপনারা এই নির্বাচনে পরিবর্তন না আনেন। যদি আমরা এই বিশৃংখল অবস্থার অবসান আশা করি, তাহলে জো বাইডেনকে ভোট দিতে হবে। এর ওপর নির্ভর করে আমাদের জীবন।

সোমবার অনাকাঙ্খিতভাবে অনলাইনে ডেমোক্রেটদের এই কনভেনশন শুরু হয়। এতে জো বাইডেনের প্রতি ডেমোক্রেটরা ঐক্য প্রকাশ করেন। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যখন মনোনয়ন দেয়া নিয়ে এই কনভেনশন চলছিল, তখন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প করোনা ভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে উইসকনসিন এবং প্রতিবেশি মিনেসোটায় প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। উইসকনসিনে ট্রাম্প কনভেনশনের মডারেটর অভিনেত্রী ইভা লঙ্গোরিয়া তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, গত চারটি বছর আমরা গণতন্ত্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। এ বছরও আমরা তা অক্ষুন্ন রাখবো।

ওদিকে ডেমোক্রেটদের কনভেনশনে পরে বক্তব্য রাখেন ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের। এসব বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা বক্তব্যে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন এটি। আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত হুমকিতে। ট্রাম্পকে বাদ দিয়ে জো বাইডেনকে নির্বাচিত করা এখন চরমভাবে অত্যাবশ্যক।

শখের দ্বিতীয় বিয়ে

 

চলতি বছরের শুরুতেই মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন ওঠে গোপনে বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ। কিন্তু বরাবরই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী।

তবে এবার জানা গেল ঘটনার সত্যতা। চলতি বছর ১২ মে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেছেন শখ। বর রহমান জন। বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার বলিয়াদি গ্রামে। এক সময় টুকটাক মডেলিং করেছেন, এখন পেশায় ব্যবসায়ী। দু’জনে সংসার পেতেছেন উত্তরার একটি বাসায়।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে স্বামী জনের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি বলিয়াদি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছেন শখ। জানা যায়, শখ বর্তমানে শ্বশুরবাড়ি বলিয়াদি গ্রামে আছেন। করোনার প্রকোপ কমলে খুব শিগগিরই ঢাকায় ঘটা করে তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে। তবে বিয়ের প্রসঙ্গে জানতে শখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি অভিনেতা নিলয় আলমগীরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন শখ। দুই বছরের মাথায় সেই বিয়ে ভেঙে যায়।

বিলে পড়ে ছিল নারীর বিচ্ছিন্ন মাথা ও শরীর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার রাঙামাটিয়া বিলে পড়ে ছিল এক নারীর বিচ্ছিন্ন মাথা ও শরীর। মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে বিচ্ছিন্ন লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম মোসা. শ্যামলী ওরফে কাদনি (৪৫)। তিনি একই উপজেলার ঘাইবাড়ি গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর মেয়ে। প্রায় ২০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে শ্যামলী বাবার বাড়িতেই থাকতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাঙামাটিয়া বিলে ঘাস কাটার উদ্দেশ্যে গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন শ্যামলী। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি। স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাননি। আজ সকালে বিলে তাঁর মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পরিবারকে খবর দেন।

ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্যামলীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দেহ ও মাথা আলাদা জায়গায় পড়ে ছিল। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

পর্বতারোহী রত্নাকে গাড়িচাপা দেয়া ঘাতক গ্রেফতার

পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্নাকে চাপা দেয়া মাইক্রোবাসটি জব্দ করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। এ সময় ঘাতক চালককেও গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর ইব্রাহীমপুর থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। তবে গ্রেফতারের স্থান এখনো জানায়নি পুলিশ।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী জাগো নিউজকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, দুর্ঘটনার সময় সেই গাড়ি চালাচ্ছিল।

শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন ও রেশমার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দুপুরে আটকের পর ওই যুবককে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে সাইক্লিং করার সময় গাড়ির ধাক্কায় মারা যান তরুণ অভিযাত্রী রেশমা নাহার রত্না।