banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

স্বর্ণের কালিতে হাতে পুরো কুরআন লিখলেন ইরানি নারী মরিয়ম

স্বর্ণের কালি দিয়ে পুরো কুরআন হাতে লিখলেন ইরানি নারী ক্যালিগ্রাফার মরিয়ম কাজেমি সাভাদকুহি। ক্যালিগ্রাফের নখশি লিপীতে তিনি পবিত্র কুরআনের একটি পাণ্ডুলিপি লিপিবদ্ধের কাজ সম্পন্ন করেছেন। বিশ্বাস করা হয়, মরিয়ম মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী ক্যালিগ্রাফার, যিনি পুরো কুরআন হাতে লিখেছেন।

ফারসি সংবাদ মাধ্যম হোনারঅনলাইনকে তিনি বলেন, ‘আমি পবিত্র কুরআনের পাণ্ডুলিপিটি সম্পন্ন করতে প্রায় একছর যাবত দিনের বেশিরভাগ সময় কাজ করেছি। পুরো কাজ আমি নিজেই করেছি। তবে বাঁধাইয়ের কাজ করেছেন আলি বেহদানি।’

শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫০ সেন্টিমিটার প্রস্থ ও ৭০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যর পাণ্ডলিপিটির প্রতিটি পৃষ্ঠা জাফরান দিয়ে রাঙানো হয়েছে। বইটি বাঁধাইয়ে অত্যন্ত মূল্যবান কাভার ব্যবহার করা হয়েছে, যেটি তৈরি করা হয়েছে ইরানের ঐতিহ্যবাহী ‘গোল-ও-মোরঘ’ চিত্রকলার ব্যবহারে। এটি ফারসি চিত্রকলার একটি অনন্য শৈলী যেখানে বিভিন্ন রঙে পাখি ও পুষ্পশোভিত নকশা চিত্রায়িত করা হয়।

কাজেমি জানান, ক্যালিগ্রাফের নখশি লিপী খুবই প্রাচুর্যপূর্ণ একটি লিপী। সে কারণে তিনি এই লিপীটিকে বেছে নেন। কুরআন লিপিবদ্ধে তিনি ১৮শতকের ক্যালিগ্রাফি মাস্টার আহমাদ নেইরিজির ক্যালিগ্রাফি শৈলী ব্যবহার করেছেন। স্বর্ণের প্রলেপের ব্যবহারে প্রতিটি পৃষ্ঠা খোদাই-করা আলোকসজ্জা দিয়ে সুশোভিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার শৈল্পিক পেশায় একটি মূল্যবান ও চিরস্থায়ী শিল্পকর্মের অভাববোধ করছিলাম। আমি ভাবছিলাম আমাকে অবশ্যই এমন কিছু লিপিপদ্ধ করতে হবে যা আমাকে শান্তি ও প্রশান্তি দেবে। তাই কুরআন লিপিবদ্ধ করা আমার জন্য ছিল বিশাল তাৎপর্যের। আমি বিশ্বাস করি, আমার জীবনে এর আধ্যাত্মিক প্রভাব দেখতে পাবো।

কাজেমি ১৯৯০ সালে উত্তর ইরানে অবস্থিত ইরান ক্যালিগ্রাফার অ্যাসোসিয়েশনের চালাস শাখায় ক্যালিগ্রাফি শেখার কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি তেহরানে ক্যালিগ্রাফি অঙ্কনের কাজ অব্যাহত রাখেন।

ইরানি এই নারী ক্যালিগ্রাফার বলেন, আমি প্রায় ৩০ বছর ধরে ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ করে আসছি। এপর্যন্ত আমি ক্যালিগ্রাফি এবং ক্যালিগ্রাফিক পেইন্টিংয়ের ওপর বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি।

ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহের বাসিন্দা ফারিবা মাকসুদি প্রথম নারী ক্যালিগ্রাফার হিসেবে বিবেচিত হন যিনি ক্যালিগ্রাফির নাস্তালিক লিপীতে পুরো কুরআন লিখেছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মুসলিম বিশ্বের প্রথম নারী ক্যালিগ্রাফার হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন।

সূত্র: তেহরান টাইমস।

রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩% নারী রাখার শর্ত বদলের ইঙ্গিত

চলতি বছরের মধ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব থাকার আইনি বাধ্যবাধকতাকে ‘অবাস্তব’ ও ‘অকার্যকর’ বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের কোনো কোনো সদস্য। এ কারণে ২০০৮ সালে বিগত শামসুল হুদা কমিশনের করা এই আইনি বাধ্যবাধকতাটি বাতিল বা পরিবর্তন করার চিন্তা করছে বর্তমান নূরুল হুদা কমিশন।

কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) আইনে থাকা রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের অংশটিকে নিয়ে আলাদা আইন করার কথা ভাবছে। সে ক্ষেত্রে কমিশনকে আরপিওতেও পরিবর্তন আনতে হবে। কমিশন সূত্র জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়া এখনো খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। গত সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিষয়টি তোলা হলেও এ নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার টেলিফোনে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সভায় নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সভায় একজন বলেছেন, এ বিধানের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। তা ছাড়া যেসব বিষয় যেমন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিষয়টিও কোনো দলই মানছে না, এ বিষয়ে আলোচনা হবে। মো. আলমগীর বলেন, নারী প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে কমিশন রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের মতামত নিতে ডাকতে পারে। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় আছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই অধ্যাদেশ সংসদে পাস করে।

২০০৮ সালে ভোটে অংশ নিতে দলগুলোর নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। ওই সময় নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো প্রতিশ্রুতি করে, ২০২০ সালের মধ্যে দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখবে তারা। অবশ্য দলগুলো এই শর্ত বাতিলের দাবি না জানালেও কমিশনই মনে করছে, শর্ত অবাস্তব ও অকার্যকর।

২০১৮ সালে দলে এক-তৃতীয়াংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব রাখার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান জানতে চেয়ে ইসির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে ৪০টি দলের মধ্যে ১০টি দল কমিটিতে নারী নেতৃত্বের বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনকে জানায়। এর মধ্যে একটিমাত্র দল গণফ্রন্ট তাদের নেতৃত্বে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি আনতে পেরেছিল। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কমিটিতে ৮১ জনের ১৯ জন নারী। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৫ শতাংশ এবং জাতীয় পার্টির কমিটিতে ২০ শতাংশ নারী রয়েছেন।

এ বিষয়ে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘শর্ত শিথিল করার আলোচনা হচ্ছে বলে আমিও শুনেছি। যদি এ শর্ত শিথিল করা হয় তবে তা হবে অবিশ্বাস্য। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিধান মানতে বাধ্য করার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের। সে ক্ষমতাও আছে কমিশনের। কিন্তু রাজনৈতিক দল মানছে না, মানতে চাচ্ছে না এ ধরনের অজুহাতে কমিশন এ শর্ত থেকে সরে আসতে পারে না।’

এই সংবাদটি ০৩ জুন ২০২০ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত

জেনে নিন ঘরে মাস্ক বানানোর সহজ পদ্ধতি, দেখুন ভিডিওসহ

সারা বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়েছে করোনা আতঙ্ক। এর মধ্যে মাস্কের সংকট দেখা যাচ্ছে ওষুধের দোকানে। এই অবস্থায় চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নেয়া যায় মাস্ক।

শুধু করোনার জীবাণু আটকাবে তাই-ই নয়, বাইরের দূষণ, ধুলাবালি আর নানা রোগের জীবাণু থেকে বাঁচতেও ছোট-বড় সবার প্রতিদিনই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

জেনে নিন ঘরে মাস্ক বানানোর সহজ পদ্ধতি:

– চার ইঞ্চি করে দুই টুকরো সুতির কাপড় নিনি

– একটির সাথে আরেকটি সেলাই করুন

– সেলাই করার সময় ওপরের ছবিরমতো আধা ইঞ্চি পর পর ভাঁজ করে নিন

– এবার দুই পাশে রাবার লাগিয়ে নিন কান পর্যন্ত

এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আপনার মাস্ক।

বাড়ির সবার জন্য একবারে বেশি করে তৈরি করে রাখুন, এগুলো ব্যবহার করলে সব সময়ই জীবাণু থেকে নিরাপদে থাকতে পারবেন। সূত্র: ইউএনবি।

 

মায়ের দুধে করোনা সংক্রমণ হয় না

যথাযথভাবে মায়েরা শিশুকে দুধ খাওয়ালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয় না। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘যে মায়েরা সন্তানকে দুগ্ধদান করে থাকেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, দুগ্ধদানের মাধ্যমে কোন ভাইরাস ট্রান্সমিট বা ভাইরাসের সংক্রমণ হয় না। কাজেই আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে মায়েরা মুখে মাস্ক পরে বুকের দুধ দিতে পারেন। দেয়ার আগে স্তন ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। হাত ভালোভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। হাত ও স্তন পরিষ্কারের পরই বাচ্চাকে দুগ্ধ দান করতে পারেন।’

নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, ‘আপনারা সবাই স্বাস্থ্য নিয়মগুলো মেনে চলুন। যারা বয়োজ্যেষ্ঠ আছেন, যাদের অন্যান্য অসুখ আছে যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের, ফুসফুসের, কিডনির অসুখ বা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি অসুখে যারা ভুগছেন, তারা অত্যন্ত সাবধানে থাকবেন। পরিবারের সদস্যরাও যাদের এই সমস্যাগুলো আছে, তাদের দিকে খেয়াল রাখবেন।’

সবাইকে মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকার পরামর্শ দিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘শিশুরাও যেন এ নিয়মগুলো মেনে চলতে অভ্যস্ত হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। সবক্ষেত্রেই মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকলে, আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের মনোবল দৃঢ় রাখলে, যিনি আক্রান্ত হননি, তিনিও মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকবেন। মানসিক মনোবল দৃঢ় রাখা ও মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়ার একটি মাপকাঠি।’

৬ মাস লকডাউনে ৭০ লাখ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের শঙ্কা

 

 

করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত গোটা দুনিয়া। এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশে দেশে চলছে লকডাউন-কারফিউ। মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। ঘরবন্দী হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়বে। ঝুঁকিতে পড়বে নারী ও মেয়েশিশুর প্রজননস্বাস্থ্য। এছাড়াও এ লকডাউন ছয় মাস অব্যাহত থাকলে ৭০ লাখ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ‘ইমপ্যাক্ট অব দ্য কোভিড ১৯ পেনডেমিক অন ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড এনডিং জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারেজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১১৪টি দেশে প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং অনিরাপদ গর্ভপাতের হার বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের বিদ্যমান লকডাউন ছয় মাস অব্যাহত থাকলে বিশ্বে অতিরিক্ত ৭০ লাখ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এবং অতিরিক্ত ৩ কোটি ১০ লাখ সহিংসতার ঘটনা ঘটবে।

ইউএনএফপিএ বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশে পরিবার পরিকল্পনার চাহিদা পূরণে বাধা, স্বাস্থ্যকর্মীদের সংকট বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যথাযথ সেবাদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে। অন্যদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে সেবা নিতে যাওয়া নারীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।

ইউএনএফপিএর হেলথ সিস্টেম স্পেশালিস্ট দেওয়ান মো. ইমদাদুল হক বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ প্রজননক্ষম (১৫-৪৯ বছর) জনসংখ্যা। এই জনসংখ্যার মধ্যে গর্ভধারণ করে ১৫ শতাংশ। এদের মধ্যে গর্ভকালীন জটিলতায় অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্ম দিতে হয় ৫ থেকে ১৫ শতাংশকে। তবে দেশের এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী সেবা নেয়ার হার কমবে। মায়েরা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে চাইছেন না। আবার যে নারী কোভিড-১৯ আক্রান্ত, তাকে সেবা দেয়া নিয়েও জটিলতা দেখা দিচ্ছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে কি না, তা নিয়ে এখনো তেমন কোনো গবেষণা হয়নি। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা মহানগর এলাকায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনে ধর্ষণ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন ও অপহরণের ২৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে নয়টি ধর্ষণের, আটটি যৌতুকের জন্য নির্যাতন, পাঁচটি অপহরণ ও ছয়টি যৌন নিপীড়নের মামলা।

ব্র্যাকের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উদ্যোগের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী বলেন, ‘এই সময়ে বিশেষভাবে নারীর অবস্থা বুঝতে যে জরিপ চালিয়েছি সেখানে দেখেছি, মাস্ক এমনকি সাবানের ব্যবহারেও নারী সমান অধিকার পাচ্ছেন না। ৭০ শতাংশ পুরুষ যেখানে মাস্ক ব্যবহার করছেন, নারীর ক্ষেত্রে তা ৩৫ শতাংশ। অর্থনৈতিক চাপ বেড়েছে, তাই মেয়ের ওপর বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার চাপ বেড়েছে।’ ব্র্যাকের জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩২ শতাংশ বলেছেন, এই সময়ে পরিবারে এবং পাড়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা আরও বেড়েছে।

ইউএনএফপিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাল্যবিবাহ বন্ধের পরিকল্পিত চেষ্টা বিঘ্নিত হবে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উপপরিচালক সাবিরা নূপুর জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার থামলে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেখা যাবে মেয়ে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি ছেলে শিশুদের চেয়ে কমে গেছে। এরপর যেকোনো উপায়েই হোক মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। ওয়ার্ল্ড ভিশনের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে ২১টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে।