banner

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

আসুন রমজানের হক আদায় করি-

আসুন রমজানের হক আদায় করি


আকলিমা ফেরদৌস আখি


এ মাসের প্রস্তুতির জন্য যা করা যেতে পারে তা হলো-

১) ঈমান ও এহতেসাবের সাথে রোজার নিয়ত করা।

২) ইচ্ছা শক্তি দৃঢ় করে নেওয়া যে,‘ ইনশাল্লাহ রমজান মাসে আল্লাহর ক্ষমা ও নাজাত হাসিল করে নিবোই।’

৩) রমজানের প্রয়োজনীয় মাসলা মাসায়েল জানা ও দোয়া গুলো মুখস্ত করে নেওয়া।

৪) রমজান মাসে কি কি নেক আমল করা যায় তার একটা তালিকা তৈরি করে রাখা। যেমন-

-কোরআন অধ্যায়ন করা (অধ্যায়ন বলতে কোরআনের তাফসীর সহ পড়াকে বুঝায়) তিন/চারটি সূরা ঠিক করে নেওয়া এবং পুরো মাসে এই তিনটি/চারটি সূরা সর্ম্পকে একটি পরিপূর্ণ ধারনা নেবার চেষ্টা করা।

-কোরআন তেলওয়াত করা। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে চার পৃষ্ঠা কোরআন তেলওয়াত করলে মাসে একবার কোরআন খতম দেওয়া যায়।

-কয়েক টি ইসলামী ও হাদিস বই ঠিক করে রাখা এবং সারা মাস ধরে পড়া।

-ওয়াক্তের শুরুতেই নামাজ আদায়ের চেষ্টা করা এবং সুন্নত ও নফল নামাজ আদায়ে মনোযোগী হওয়া।

-নিয়মিত সালাতুল দুহা, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।

-তাহাজ্জুদ নামাজের আগে আকাশের দিকে তাকিয়ে সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকু তেলাওয়াত করা।

-দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজে রাসুল(সা:) এর শিখিয়ে দেওয়া দোয়াগুলো পড়া।

-সহীহ করে কোরআন তেলওয়াত শেখার চেষ্টা করা।

-প্রতিদিন অন্তত: একজন ব্যক্তিকে ইফতার করানো।

-প্রতিদিন অন্ত:ত একজন ব্যক্তিকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া।

৫) নিজের কমপক্ষে দশটি দোষ চিহ্নিত করে তার তালিকা তৈরী করা এবং এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যে রমজানে এ দোষগুলো থেকে নিজেকে বাচিঁয়ে রাখার চেষ্টা করা এবং পরির্পূণভাবে দোষগুলি থেকে নিজেকে মুক্ত করা।

৬) পরিবারের সদস্যদের রমজানের হক আদায়ের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত করা।

৭) রমজানের প্রতিটি দিন ঠিক ভাবে কাজে লাগানো জন্য একটি রুটিন করে রাখা।

৮) শেষের দশদিন পরিপূর্ণভাবে হক আদায়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতি রাতে ইবাদতের একটি পরিকল্পনা ঠিক করে নেওয়া।

৯) যাকাতের হিসাব করে রাখা।

১০) অভাবীদের মধ্যে ঈদের উপহার বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করা।

এবারে আসুন একজন রোজাদার হিসাবে নিজের কাজগুলি গুছিয়ে নিয়ে কিভাবে প্রতিটি সময়কে ইবাদতে পরিণত করে নেওয়া যায় তার একটা নমুনা দেখে নেয়া যাক-

রাতের শেষাংশে

সালাতুল তাহাজ্জুদ-২:৩০-৩:১৫

(তাহাজ্জুদ নামাজের আগে আকাশের দিকে তাকিয়ে রাসূল সা: সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকু তেলওয়াত করতেন। এই আমলটির অভ্যাস করা যেতে পারে।)

সেহেরী গ্রহন-৩:১৫-৩:৫০মি:

(সালাতুল ফজর ও সকালবেলার আযকার পাঠ)

৩:৫০মি:-৪:৩০মি:

(হিসনূল মুসলিম অথবা কতিপয় প্রয়োজনীয় দোয়া বই গুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে) বাংলা অনুবাদসহ কোরআন তেলওয়াত

(চার পৃষ্ঠা)-৪:৩০-৬:০০টা

সালাতুল দুহা বা ইশরাক-৬:০০টা থেকে-৬:১৫মি:

বিশ্রাম ও ঘুম-৬:২০-৮:৩০মি:

সকাল বেলা

ঘুম থেকে উঠা-৮:৩০ থেকে ৯:৩০টা

দৈনিন্দন কাজ শেষ করা-৯:৩০টা থেকে-১১:৩০

(এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের জন্য সারাদিনের খাবার রেডি করা, ইফতার কি হবে, রাতের খাবার ও সেহেরী কি হবে তা রেডি করে রাখা। মাছ, সবজি কেটে ধুয়ে রাখা যেতে পারে)

১১:৩০ থেকে ১২:৩০ কোরআন অধ্যায়ন, তেলওয়াত, ইসলামী বই পড়া, হাদিস পড়া ইত্যাদি।

দুপুর বেলা

১২:৩০-১:৩০
বিশ্রাম ও সালাতুল জহুরের প্রস্তুতি, জহুরের সারাত আদায় এবং সালাত পরবর্তী মুস্তাহাব তাসবীহ ও যিকির পাঠ।

কোরআন তেলওয়াত

(চার পৃষ্ঠা)-১:৩০-২:৩০মি:

২:৩০-৪:০০ সন্তানদের নিয়ে রমজান স্কুল

(প্রতিবেশীর সন্তানদেরও সাথে নেওয়া যেতে পারে) কোরআন পড়ানো, হাদিসের গল্প বলা, ইসলামী বই পড়িয়ে শুনানো, সাথে নিয়ে ইউটিউবে মটিভেশন মূলক ভিড়িও গুলো দেখা, স্কুলের পড়া ইত্যাদি।

বিশ্রাম-৪:০০-৪:৩০

বিকেল বেলা ব্যস্ত সময়

৪:৩০-৬:০০
যে কাজ গুলো করবেন বা আপনারা সাধারণত করেই থাকেন তা একটু গুছিয়ে নিলেই হবে। যেমন-
সালাতুল আসর, সালাত পরবর্তী মুস্তাহাব তাসবীহ ও যিকির, রাতের খাবার, ইফতার ও সেহেরীর জন্য প্রস্তুতি এবং রান্না শেষ করে ফেলা ইত্যাদি।

এ সময় মায়েরা যেহেতু রান্না বা ইফতারের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত থাকেন তাই বাবারা সন্তানদেরকে কিছুটা সময় দিতে পারেন।গল্পের বই পড়ে শুনানো, হাতের লেখা প্রেকটিস করানো, টিভিতি ভালো কোন অনুষ্ঠান দেখানো, আল্লাহর নিরানব্বইটা নাম থেকে প্রতিদিন পাচঁটি করে শিখানো, সৃজনশীল লিখা ইত্যাদি।

ইফতার ও সন্ধ্যা বেলা

অন্তত: ৬;১০মি: এর মধ্যে ইফতারের প্রস্তুতি ও রান্না শেষ করে টেবিলে বা ইফতার সাজিয়ে বসে যাওয়া।

এ সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে কেউ কোরআনের কয়েকটি আয়াত পড়ে শুনাতে পারে। একটি/দুইটি হাদিস পড়ে শোনানো এবং সবশেষে সবাই মিলে বা ব্যক্তিগত ভাবে দোয়ার পরিবেশ তৈরী করা যেতে পারে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা যেতে পারে।

ইফতার গ্রহন-
৬:২৫(ইফতারের সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সময়টা মিলেয়ে নিতে হবে।)

সালাতুল মাগরীব ও সন্ধ্যাকালীন আযকার পাঠ
৭:০০-৭:৩০{মাগ