নারী সংবাদ
চিকিৎসায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছর (২০২০) একুশে পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য একুশে পদক পাচ্ছেন দেশের ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদকপ্রাপ্তদের এ তালিকা প্রকাশ করে।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে একুশে পদক তুলে দেবেন।
এক নজরে অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার
অধ্যাপক ড. সায়েবা আক্তারের জন্ম চট্টগ্রামে। তবে পিতা টাঙ্গাইলের করটিয়া সাদত কলেজের শিক্ষক হওয়ার সুবাদে ওই ক্যাম্পাসেই বেড়ে ওঠা।
তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর সেখানেই কর্মজীবনের শুরু করেন।
স্বামী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবিরও পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি একজন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজির সাবেক পরিচালক।
তিন মেয়ে এক ছেলের মধ্যে বড় মেয়েটিও ডাক্তার।
স্বাস্থ্যে তাঁর অবদান
অবসর গ্রহণের পর রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ‘মামস ইনস্টিটিউট অব ফিস্টুলা অ্যান্ড ওমেনস হেলথ’ গড়ে তোলেন তিনি। এটি মূলত বিশ শয্যার দাতব্য হাসপাতাল।
নারী শিক্ষায়ও ভূমিকা রাখছেন ড. আক্তার, এজন্য স্বল্প আয়ের পরিবারের মেয়েদের কর্মমুখী শিক্ষা দেবার জন্য ঢাকা ও গাইবান্ধায় দুটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তিনি।
একুশে পদক পেলেন যারা-
ভাষা আন্দোলনে মরণোত্তর মরহুম আমিনুল ইসলাম বাদশা।
শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক।
শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান।
শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন।
শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান।
মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর) মরহুম হাজি আক্তার সরদার, মরহুম আব্দুল জব্বার, মরহুম ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার)।
সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর)।
গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ।
শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া।
অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি।
প্রতিষ্ঠান
গবেষণায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।