গাজীপুরে কিশোরী গার্মেন্টস শ্রমিক খুন, মামী-মামাতো ভাই আটক
নারী সংবাদ
গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে কারখানার শ্রমিক এক কিশোরীকে হত্যা করেছে। শুক্রবার নিহতের লাশ এক বন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ নিহতের মামী ও মামাতো ভাইকে আটক করেছে। নিহতের নাম লুনা আক্তার (১৫)। সে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার কুলশীবাড়ি এলাকার নবীর উদ্দিনের মেয়ে।
জিএমপি’র সদর থানার এসআই শহিদুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাহাদুরপুর হাজী মার্কেট এলাকায় মামী ও মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে মুজিবের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় পারটেক্স গ্রুপের আরসি কোলা কারখানায় কাজ করতো লুনা। পারিবারিক কলহের জেরে বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে লুনাকে তার মামী ও মামাতো ভাই বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনার পর অসুস্থ্যতার কথা বলে রিক্সায় করে নিহতের লাশ পার্শ্ববর্তী রাজেন্দ্রপুরের বিকেবাড়ি এলাকার এক বনে নিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার স্থানীয়রা ওই বনে নিহতের লাশ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে পুলিশ বন থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ নিহতের মামী ও মামাতো ভাইকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার কুশলীবাড়ি এলাকার মৃত জামিরুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা বেগম (৪৮) ও তাদের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০)। এদের মধ্যে আকলিমা এলাকায় রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে এবং রবিউল স্থানীয় এক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সুত্রঃ নয়াদিগন্ত।