ছোট্ট শিশু “মাসানকে (৪)” নিতে চান না বাবা-মা
অন্যান্য সংবাদ
সৃষ্টিকর্তার পর মানুষের সবচেয়ে আপনজন বলা হয় মাকে। আমরা বলি মা-বাবা। কিন্তু চার বছরের ছোট্ট শিশু মাসান আরদিতের আপন যে কে? দুপক্ষের আইনজীবীসহ বিস্মিত পুরো আদালত।
মানবাধিকারকর্মীরা মতে, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বিপর্যস্ত করে তুলছে শিশুদের জীবনকে প্রতিনিহিত।
ঢাকার সিএমএম আদালতে তার মা-বাবা জানিয়েছেন, মাসানকে তারা রাখতে চান না। বিবাহ বিচ্ছেদের পর, বাবা উঠেছেন একটি মেসে। সেখানে শিশুটিকে রাখার পরিবেশ নেই। আর সন্তানের খরচ চালানোর অক্ষমতার কথা বলছেন মা।
জানা যায় যে, ২০১৩ সালে দিকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এ দম্পতি। তবে, নানান কারণে বিভেদ সৃষ্টি হয় দুজনের মধ্যে। দাম্পত্য কলহের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ডিভোর্সের যান তারা।
তবে সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় হলো সন্তানকে কেউ কারো কাছে রাখতে চাচ্ছেন না। এমন ঘটনা অবাক করে দেয় উপস্থিত সবাইকে।
এ সময় আদালত প্রশ্ন রাখেন, বাবা-মা না দেখলে ছোট্ট শিশুটির দায়িত্ব নেবে কে?
সানজিদা শারমিন (মাসানের মা) ভাষ্য মতে, বাচ্চার বাবা তার কোনই খোজ নেই না, একবার দেখতে আসে না। ভরণপোষণ ও দিচ্ছে না। তাহলে বাচ্চাটাকে আমি কিভাবে রাখবো?
তবে, বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি বাবা মাহফুজ ইসলাম।
মাসানের বাবার আইনজীবী ইকবাল আহাম্মেদ খান বলেন, বাচ্চা নাবালক হলে ৭ বছর বয়স পর্যন্ত আইন অনুযায়ী মার কাছেই থাকবে। অপর দিকে মাসানের মায়ের আইনজীবী আকলিমা ইসলাম বলছেন, বাচ্চার মা রাখতে পারবে কিন্তু বাচ্চার খরচ অবশ্যই বাবাকে দিতে হবে, না দিলে ভিন্নপথ অবলম্বন করতে হবে আমাদের।
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ফাওজিয়া কর্মী ফিরোজ বলছেন, বিচ্ছেদের মামলা বিষাক্ত করে তুলছে এখন শিশুদের জীবনকে। তিনি বলছেন, আমাদের আদালত নারী ও শিশু বান্ধব নয়। আদালত দেখতে চান বলে অনেকেই ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে আসেন, কিন্তু সেখানে বাচ্চা নিয়ে ঢোকার মত পরিবেশ থাকে না।