banner

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

সন্তান হলে কি বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসা কমে যায় 

সন্তান হলে কি বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসা কমে যায়


শামসুন নাহার মলি


সমবয়সী এক ভাবি প্রায়ই অনেক কিছু জানতে চান দেখা হলে,
সে দিন বল্লেন,
“আচ্ছা মলি ভাবি সন্তান হলে কি বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসা কমে যায়?”

এক চোট ভেবে নিয়ে বল্লাম,
“ভালবাসা কমে না,বরং আমার বেড়েছে।সন্তান হবার পর বুঝেছি বাবা মা কি জিনিস,কি নিয়ামত,কত টুকো নি:স্বার্থ ভাবে তারা ভালবাসেন,কতটা ভালো চান,প্রয়োজন মেটান,বোঝেন।এটাও বুঝেছি বাবা মা সন্তানের জন্য কতটা ভাবেন,রক্ত ঘাম ঝরিয়ে মানুষ করেন।ভালোবাসা কমেনি,শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে,নিজেকে দিয়ে বুঝেছি কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন,এখনো করে যাচ্ছেন আমাদের জন্য।
তবে হ্যা,সন্তান হবার পর দায়িত্ব বোধ বেড়েছে।

ভাবি কিছু বাস্তব উদাহরণ চাইলেন,
বল্লেন,”দেশে গিয়ে যখন বাবা মা আর সন্তান কে দেখা শুনা করেন কোনটা বেশি গুরুত্ব দিয়ে করেন?”

একটু চমকে গেলাম,আসলেই তো আমরা এমন এক বিন্দুতে বসা যার এক মেরুতে সন্তান আরেক মেরুতে বাবা মা।সন্তান ছোট মানুষ,বাবা মা ছাড়া অচল,কর্তব্যের খাতিরেই তো আগেই সন্তানের প্রয়োজন বা কাঁন্না থামাই।তার মানে কি এই যে বাবা মাকে ভালোবাসিনা?

আসলে একজন বাচ্চার পাশে অনেক কেই পাওয়া যায়।ক্ষুধা লাগলে কতজন খাবার দেয়,কাঁদলে খেলনা দেয়,ললিপপ দেয়,ঘুরতে নিয়ে যায়।এমন কি পটি ক্লিন ও করে আপন কতজন ই।কিন্তু ঠিক অপর মেরুর আরেক জোড়া ভালোবাসার মানুষ দের জন্য কজন এমন করে?একজন বাবা মা ৮/১০ টা সন্তান কে হেসে হেসেই লালন পালন করে,অনুভব করে প্রতিটা প্রয়োজন,সমস্যা কে।
কই ৮/১০ জন সন্তান তো পারেনা ২ জন বাবা মায়ের বৃদ্ধকালে ঠিক ওভাবে ছোট বেলার মত করে পাশে থাকতে,ভালোবাসতে,প্রয়োজন মেটাতে?

কেন পারেনা?

কারণ হলো ঐ পিছুটান,সংসার সন্তানের দায়িত্ব বোধ।কোন কোন সন্তান এত টাই উদাসিন হয়ে যান যে বাবা মার সাথে ঠিক মত কথা বলা,সময় দেয়া,খোঁজ নেয়ার ও সময় পান না।

ভাবি,আপনার কি মনে হয় ভালোবাসা কমে গেছে বাবা মায়ের প্রতি?

না ভালোবাসা আসলে কমে না,কোন কোন সন্তান ব্যালেন্স করতে পারেনা।তাদের ভালোবাসার যায়গা অনেক।কোনটাকে কত টুকো গুরুত্ব দিতে হবে,প্রাধান্য দিতে হবে তারা খেয়াল করার সময় পান না।

আমি দেশে গেলে চেষ্টা করি বাবা মা আর সন্তানের জন্য সমান ভাবে করতে।বাচ্চাদের কিছু কাজ কমিয়ে বাবা মা কে সময় দিই।

আমার বড় ভাই আর বোন সেদিন বল্লেন,
“প্রতিবেশি,দীনি ভাই বোন এর জন্য আমরা যত টুকো করি বাবা মা,শ্বশুর,শাশুড়ির জন্যও করবো।দাওয়াতে তাদের মুখে মজার মজার খাবার তুলে দিই,বাবা মা,শ্বশুর-শাশুড়ী ও মাঝে মাঝে এরকম খাবার খাচ্ছে কিনা,পরিবেশ তৈরি করতে পারছেনা খোঁজ নিবো।এটাও আমাদের কর্তব্য তাদের জন্য সেরকম বা তার চেয়ে বেশি বেশি এরকম পরিবেশ তৈরী করা।”

মেইন থিম টা হলো,আমাদের বুঝতে হবে সন্তানের জন্য,প্রতিবেশির জন্য,দ্বীনি ভাই বোন দের জন্য করতে করতে আমাদের আসল নেয়ামাত যাদের জন্য দুনিয়াতে এসেছি তাদের বঞ্চিত করছি কিনা।কোনটার প্রায়োরিটি আগে সেটা বুঝতে হবে।সন্তান দের অভুক্ত রেখে মেহমান দের জন্য জান মাল উজাড় করে দিচ্ছি কিনা কিংবা বাবা মা কে অভুক্ত রেখে সংসার বা বাইরের জগৎ নিয়ে বেশি মাতামাতি করছি কিনা।

ভাবি,একটা সময় সব থাকবে,সব হবে কিন্তু বাবা মা থাকবে না,তাই তারা যতদিন আছেন তাদের সম্মান করি,ভালোবাসি।কারণ একজন বাচ্চার পেছনে কতজন খাটে,কিন্তু একজন মুরুব্বীর ডাকে কেউ সাড়া দেয়না।বিছানা নোংরা করলে ও পরিস্কার করার কেউ থাকেনা।যে সব সন্তান রা এত বড় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে হয়তো তারাই আশাবাদী যে তাদের বার্ধক্যেও তাদের সন্তানরা পাশে থাকবে।কিন্তু বাকিরা?

দুনিয়ার সব কিছু করার সময় হয়,বাবা মায়ের সাথে কথা বলার সময় হয়না,কিসের এত ব্যস্ততা?আমি বুঝিনা।

আমার ডক্টর বলেছিলেন,তোমার সাথে কাউন্সিলিং এর জন্য নার্স পাঠাবো?
গল্প করলে তোমার স্ট্রেস কমবে,ডিপ্রেশন কমবে।
আমি না করেছিলাম।আমার স্ট্রেস কমে আমার ২ জোড়া বাবা মার সাথে কথা বল্লে।আমার বড় ভাই বোনের সাথে কথা বল্লে।যারা আমাকে দ্বীন আর দুনিয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়,প্যারেন্টিং শেখায়।এদের চেয়ে বড় আর ভালো ডক্টর আমার জীবনে আসেনি।

সেজন্যই তো শত ব্যস্ততার ভিতর ও নিজের খবর দেই তাদের,আমিও খোঁজ নিই।খেয়াল করে দেখলাম এতেই আমি ভালো থাকি। আর ভালো থাকি ইবাদাহ বাড়াতে পারলে আর পরোপকার করলে।আরো কিছু মানুষের সাথে কথা বল্লে আমার স্ট্রেস কমে,শান্তি লাগে।কিন্তু ডমিনেটিং ক্যারেক্টার,অহংকারী মানুষ,কঠোর,জটিল স্বভাবের মানুষ,বদ রাগী,অগোছালো,ঝগড়াটে,কম প্রাক্টেজিং দের সাথে মিশলে,কথা বল্লে শান্তি লাগেনা।
তাই নিজের মানুষিক সুস্থতার জন্য এসব মানুষ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকে।কম কথা বলি।

আমি বোকা হলেও এত টুকো বুঝে চলি কোনটা গুরুত্বপূর্ণ।কোনটা আমার দরকার।আগে আমার দ্বীন,তার পর বাবা মা সন্তান পরিবার তারপর সমাজ।

ভালোবাসা কমছে না বাড়ছে এটার চেয়ে দায়িত্ব পালনে আমি সফল না বিফল এটা আমায় ভাবায়।

ধন্যবাদ ভাবিকে,যার এই মুল্যবান প্রশ্নের উত্তর খুৃঁজতে গিয়ে আমার এই লম্বা ভাবনার সুজোগ হলো।

#এন্টিডিপ্রেশন

 

হিল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ 

হিল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ 


স্বাস্থ্যকথা


“যদি সুস্থ থাকতে চান

নিজের মনকে সুস্থ রাখুন”

আজ ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’। প্রায় প্রতি বছর ১০ই সেপ্টেম্বর ‘হিল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ নামের সংগঠন দিবসটি পালন করছেন এবং সারা মাসব্যাপী আত্মহত্যা প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নানা কর্মকাণ্ডের আয়োজনও রেখেছেন। ২০১৯ এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করা’।

জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দিনটিকে সামনে রেখে আত্মহত্যা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নতুন এই রিপোর্ট বলছে, প্রতি ৯ মিনিটে ৯ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন আত্মহত্যায়। যদিও বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার হ্রাস পেয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিবছর ৮ লাখ মানুষ মারা যান শুধু আত্মহত্যায়, যা ম্যালেরিয়া, স্তন ক্যান্সার বা যুদ্ধ এমনকি হত্যাযজ্ঞের কারণে মারা যাওয়ার চেয়েও বেশি।

দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে সাইক্লিনিং মাধ্যমে ক্যাম্পেইন করেছে হিল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। ভোরে সাইকেল র‍্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হল আত্মহত্যা প্রতিরোধ সচেতনতার  প্রচারনা। সংসদ ভবন থেকে চাকায় চাকায় মাইল পাড়ি দিয়ে রমনা পার্কের কুসুম চত্বর ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য –এর সামনে এসে শেষ হয়। ছেলে মেয়ে একসাথে সাইকেল র‍্যালিতে যোগদান করেন।

সাইকেল র‍্যালিতে আত্মহত্যাকে না বলে সবার মধ্যে আত্মবল নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার মানসিকতা তৈরির কথা বলা হয়। আত্মহত্যার চিন্তা না করে সমস্যা সমাধানে সবাইকে মনোযোগী করে তোলার আহ্বান জানায় অংশগ্রহণকারী সবাই।

আজকের দিনই বেলা তিনটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যত্নশীল যৌথ সহায়ক মঞ্চ গঠন অনুষ্ঠান। আত্মহত্যার ঝুকি ও পূর্বাভাস চিনতে খোলামেলা আলাপচারিতায় যুক্ত হবে সবাই। সংকোচ কাটিয়ে মনের গোপন কষ্ট, আত্মহত্যার চিন্তার কথা প্রকাশ করা জন্য জরুরী নিরাপদ ও সম্ভব স্বচ্ছন্দের জায়গা সুনিশ্চিত করা হবে। অন্ধকার ঘর থেকে নিজে বের হয়ে এসে অন্যকে বের করতে উৎসাহি হাত একসাথে কাজ করার জন্য যুক্ত হবে বেইলি রোডে।

পরবর্তিতে ২০ শে সেপ্টেম্বর আয়োজন করা হবে মনোসেবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি জন্য বিশেষায়িত কর্মশালা।
এরই ধারাবাহিকতায় ২১শে সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সাড়া দিন লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরামে আয়োজন করা হবে তিনটা পৃথক মনোশালা। আত্নহত্যার প্রতিপক্ষে আশা জাগানোর জন্য সুস্থ মনের চর্চা করা হবে।

সবাই এই উন্মুক্ত মঙ্গলশালায় হাটতে হাটতে চলে এসে যোগ দিতে পারবে।

 

 

গল্পে গল্পে শিশুদের কুরআন শেখা……১

গল্পে গল্পে শিশুদের কুরআন শেখা……১


আফরোজা হাসান


আজ মিহিরের মনে অনেক আনন্দ কারণ দেড়মাস পর দাদুভাই আর দাদুমনিকে আবার কাছে পেয়েছে। দুজনই হজ্জ করতে সৌদিআরব গিয়েছিলেন। মিহিরের জন্য অনেক উপহার নিয়ে এসেছেন তারা। সব উপহারের মধ্যে থেকে কাবা ঘরের শোপিস হাতে নিয়ে মিহির বলল, এটা দিয়ে আমি কি করবো দাদুভাই? দাদুভাই মিহিরকে কাছে টেনে হেসে বললেন, তুমি জানো এটা কি?

হুম জানি তো এটা হচ্ছে আল্লাহর কাবা ঘর। এখানেই তো তোমরা গিয়েছিলে হজ্জ করতে। আচ্ছা দাদুভাই আল্লাহই কি এই ঘর বানিয়েছেন?

হেসে, না দাদুভাই। তবে আল্লাহর নির্দেশে ইবরাহীম(আ)তাঁর ছেলে ইসমাইল(আ)কে নিয়ে কাবা ঘর বানিয়েছিলেন। সে এখন থেকে বহু বহু বছর আগের কথা। একবার কি হয়েছিলো জান?

কি হয়েছিলো দাদুভাই?

আবরাহা নামে এক দুষ্টু রাজা ছিল। সে ঠিক করেছিল সেই কাবাটা সে ভেঙে ফেলবে। কারণ তার ছিল অনেক শক্তি। ইবরাহীম(আ) আর ইসমাইল(আ) আল্লাহর কথা মত কাবা বানানোর পর থেকে অনেক দূর থেকে মানুষরা আল্লাহর ইবাদত করার জন্য কাবায় আসতো। তাই তার মনে কাবাকে ঘিরে খুব হিংসার সৃষ্টি হলো। সে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে দামি দামি জিনিসপত্র দিয়ে ভীষণ সুন্দর একটা উপাসনালয় বানালো। তারপরে মানুষকে দাওয়াত দিলো যাতে সবাই তার উপাসনালয়ে আসে। কিন্তু কেউ এলো না বরং সবাই আগের মতোই কাবা ঘরেই যাচ্ছিল ইবাদতের করতে। তাই সে ভীষণ রেগে ঠিক করলো কাবা ঘর ধ্বংস করে দিবে।

দুষ্টু রাজাটা তখন কি করলো দাদুভাই?

সে তখন অনেক সৈন্য সামন্ত আর বিশাল এক হাতির বহর নিয়ে কাবা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে রওনা করলো।

তারপর কি হলো দাদুভাই?

আবরাহা তার সৈন্য বাহিনী আর বিশাল এক হাতির বহর নিয়ে কাবা ধ্বংস করতে আসছে শুনে তো মক্কার মানুষেরা অনেক ভয় পেয়ে গেল। তাদের তো অস্ত্র বলতে ছিল শুধু ঢাল, তলোয়ার আর বর্ষা। এত বিশাল সেনাবাহিনীর সাথে কিভাবে লড়াই করবে তারা ভেবে পাচ্ছিলো না। তাই তারা দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যদের কোন বাঁধা দিতে চেষ্টা করলো না।

মিহির ভীত কণ্ঠে বলল,তাহলে দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যরা কাবা ঘর ভেঙ্গে ফেলেছিল?

না দাদুভাই দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যদের সেই ক্ষমতা কোথায় যে তারা আল্লাহর ঘর ভেঙ্গে ফেলবে। আল্লাহ তো সর্ব শক্তিমান। নিজের ঘরকে দুষ্টুদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ আকাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছোট ছোট আবাবীল পাখী পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

হাসি ফুটে উঠলো মিহিরের চেহারাতে। উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বলল,আবাবীল পাখীরা দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যদের সাথে লড়াই করেছিল?

হেসে, তা বলতে পারো।পাখীদের প্রত্যেকের কাছে ছিল তিনটি করে পাথর। যা তারা সেনা বাহিনীর উপরে ছুড়ে দিয়েছিল। সেই ছোট্ট ছোট্ট নূরী পাথর বৃষ্টির ফোঁটার ঝরে পড়েছিল দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যদের উপর। যারফলে দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যদের ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

আনন্দে লাফিয়ে উঠে হাততালি দিয়ে মিহির বলল, খুব ভালো হয়েছে। কত্তো বোকা আল্লাহর ঘর ভাঙতে এসেছিল। উচিত শিক্ষা হয়েছে দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যদের।

হেসে নাতীকে কোলে টেনে নিয়ে, ঠিক বলেছো দাদুভাই দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যরা ভীষণ বোকা ছিল। এমন অনেক বোকা মানুষ আছে যারা ক্ষমতা ও সম্পদের কারণে নিজেদেরকে অনেক বিশাল কিছু মনে করে। যারফলে তারা আল্লাহ্‌র সাথে লড়াই করতে চায়। কিন্তু…

দাদার মুখ থেকে কথা ছিনিয়ে নিয়ে বলল,আল্লাহ তো সর্বশক্তিমান তাই কেউ জিততে পারে না লড়াইতে।

হেসে,একদম ঠিক বলেছো। আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে যারা লড়াই করতে আসে দুষ্টু রাজা ও তার সৈন্যদের মতই করুণ অবস্থা হয় তাদের।

চোখের সামনে কাবাঘরের শোপিসটা তুলে ধরলো মিহির। কিছুক্ষণ দেখে বলল, আমি আল্লাহর ঘরকে কোথায় রাখবো দাদাভাই?

তুমি কোথায় রাখতে চাও?

একটু চিন্তা করে মিহির বলল, আমার পড়ার টেবিলের উপর। এক্ষুনি রেখে আসি আমি। দাদার কোল থেকে নেমে নিজের ঘরের দিকে ছুট লাগালো মিহির।

চলবে…