banner

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

আমার সুখী ডেইলি লাইফ

আমার সুখী ডেইলি লাইফ


খালেদা বীথি


এক একজন আপুর ডেইলি লাইফ পড়ছি আর নিজের জীবনের সুখটুকু যেন বেশী উপলব্ধি করতে পারছি। এক একজন হোম মেকার আপু যেন এক একজন আলাদিনের জীনি। কতটা ধৈর্য্য নিয়ে তারা নিজেদের সংসার আলোকিত করে যাচ্ছেন।

আমার বিয়ে হয় ২০০৮ এ। ২০০৯ এর জুন থেকে চাকুরী শুরু করি। ঐ বছর এ অক্টোবর থেকে নতুন জীবন শুরু করি, শশুর শাশুড়ী ও দুই দেবর সহ। অফিস থাকতো বলে প্রতিদিনের রান্না বান্না সামলানোর যুদ্ধ সেভাবে করতে হয়নি। বাসায় রান্নার জন্য আলাদা লোক সব সময়ই ছিল কারণ শাশুড়ী ও চাকরি করেন। ছুটির দিনে চেষ্টা করতাম কিছু না কিছু বা পুরো রান্নার দায়িত্ব নিতে।

২০১৪ থেকে সম্পূর্ণ নিজের একার সংসার হল। তবে ভাগ্য ভালো আমার। তখনও আমাকে প্রতিদিনের রান্নার ঝামেলা পোহাতে হয়নি। সপ্তাহে ৫/৬ দিন চাকরি করি আর ছুটির দিনে স্পেশাল কিছু রান্না করি। মাঝে মাঝে এটা সেটা নাস্তার আইটেম করা। এই ছিল আমার কাজ।

২০১৮ তে এসে বিভিন্ন ঝামেলায় টিকতে না পেরে জব ছেড়ে দিলাম। প্রায় ৯ বছর চাকরি করে নিজেও যেন হাপিয়ে উঠেছিলাম। ভাবলাম কিছুদিন বিশ্রাম নেই। এজন্য আর নতুন করে চাকরির চেষ্টাও করলাম না। বুঝতে পারছিলাম যে আমার স্বামীর একার কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ও কখনোই আমাকে কোন কিছুর জন্য প্রেশার দেয় নি। ভাবলাম বাসায় বসে আছি। অনেক সময় আমার। একটা অনলাইন বিজনেস করি। কিন্তু যতটা সহজ হবে ভেবেছিলাম ততটা সহজ না আসলে কাজটা। ছোট ছোট দুটো বাচ্চা ( একজনের ৭, অন্যজনের সাড়ে ৩ চলছিল তখন) নিয়ে সারাদিন ওদের পেছনেই চলে যায়। তাই আমার দ্বারা বিজনেসও হয়ে উঠেনা।

আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলাম। ২০১১ তে মনোবিজ্ঞানের আরেকটি Applied branch হিসেবে যাত্রা শুরু করে Educational & Counselling Psychology Department , আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল এই বিষয়ে পড়াশুনা করার। কিন্তু এখানে full time student হতে হয় বলে তখন চাকরি ছেড়ে এখানে পড়ার সাহস হয়নি। তো গত বছর অক্টোবরে যখন শুনলাম নতুন বছরের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে তখনই ঠিক করে ফেললাম বসেই যখন আছি তখন কেন পড়াশোনাটা করে ফেলিনা এই সুযোগে। একাডেমিক পড়াশুনা শুরু করলাম পুরো ১০ বছর পর। ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। ভয়ে ভয়ে ছিলাম, মনে হচ্ছিল যদি চান্স না পাই। আল্লাহর হুকুমে চান্স পেয়ে গেলাম। ২০১৯ জানুয়ারী থেকে শুরু করলাম নতুন করে ছাত্রী জীবন। এখন আমার ডেইলি লাইফ হল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্লাস করে বাসায় আসি। তারপর কিছুটা রেস্ট নিয়ে মাঝে মাঝে ছোট কন্যাকে নিয়ে পড়তে বসি। আর নিজেও কিছুটা পড়ি। এখনো সেই আগের মতোই ছুটির দিনে স্পেশাল কিছু রান্না করি আর বাচ্চাদের জন্য এটা সেটা নাস্তা বানানো, মাঝে মাঝে ঘর গুছানো, কাপড় গুছানো আমার কাজ এতটুকুই। সেল্ফ কেয়ার হিসেবে চলে কাজের পাশাপাশি গান শোনা।

এর মাঝে উল্লেখযোগ্য একটা ঘটনা শেয়ার করতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমার সহপাঠীরা আমার চেয়ে ১০ বছরের ছোট। ওরা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করে নিয়েছে যাতে আমার মনেই হয়না যে আমি বুড়ী হয়ে গিয়েছি। আমার মনে হয় আমি যেন আমার ১০ বছর আগের স্টুডেন্ট লাইফ ফিরে পেয়েছি আবার। গত মাসে এই বন্ধুদের কয়েকজন মিলে ৪ দিনের জন্য ঘুরে এলাম কক্সবাজার। আমার সমসাময়িক অনেকে খুব অবাক হয়েছে আমার এই ঘুরতে যাওয়া নিয়ে। কারণ সবাই এমন সাপোর্ট পায় না। তাই বাচ্চা রেখে একা ঘুরতে যাওয়ার কল্পনা ও করতে পারে না। আমি ভাগ্যবান আলহামদুলিল্লাহ। আমার নিজের রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য এই ট্যুরটা যে কি উপকারী ছিল তা বলে বোঝানো যাবে না।

আমি বিন্দাস ইঞ্জয় করে যাচ্ছি আমার এই নতুন জীবন। আমার জন্য দোয়া করবেন আপুরা।

 

দ্রুত ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৩ দফা প্রস্তাব

দ্রুত ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৩ দফার প্রস্তাব


ডা. সাকলাইন রাসেল


১. সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হোক। কারণ এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায়। স্কুল কলেজ থেকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা তাই বেড়ে যাচ্ছে।

২. যেকোন একটা দিনকে ‘ক্লিন ঢাকা দিবস’ ঘোষণা করা হোক। এই দিন সব স্থানে পরিস্কার করবে সিটি কর্পোরেশন, বাড়ীওয়ালা-ভাড়াটিয়া, স্বেচ্ছাসেবকরা।

৩. ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন করতে ৭২ ঘন্টার জন্য সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হোক।

৪. পূর্বের ন্যায় বিমান থেকে পুরো ঢাকাতে মশানাশক কার্যকর ঔষধ ছিটানো হোক।

৫. ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু কর্ণার চালু করে সেখানে চিকিৎসা জনবল বৃদ্ধি করা হোক।

৬. অতিরিক্ত রোগীর জন্য চিকিৎসক স্বল্পতা কমাতে দ্রুত ও অস্থায়ী ভিত্তিতে বেকার ডাক্তারদের নিয়োগ দেয়া হোক।

৭. ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাড়ী বাড়ী অভিযান চালানো হোক। কোন বাড়িতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে জরিমানা করা হোক।

৮. ডেঙ্গু মানেই হাসপাতাল নয়। রোগী সেটেলড থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঘরে বসেও চিকিৎসা নেয়া যায়। প্রচারণার সময় এ বিষয়টাকে গুরত্ব দেয়া হোক।

৯. ডেঙ্গু সম্পর্কিত সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হোক।

১০. বৃষ্টির আধিক্য জুলাই মাসে বেশি থাকায় প্রতি বছর জুলাই মাসকে ‘ডেঙ্গু সচেতনতা মাস’ ঘোষণা করা হোক।

১১. ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকিভাতার আওতায় আনা হোক।

১২. সিনিয়র ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি ডেঙ্গু এডভাইজারি বোর্ড করা হোক। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলে এ বোর্ড দ্রুত গাইড লাইন প্রনয়ন ও দিকনির্দেশনা দিবে।

১৩. ডেঙ্গু নাই..নাই..নাই বলে যারা গুজব রটিয়েছেন..তাদেরকে এডিস বন্ধু ঘোষনা করা হোক এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেয়া হোক।

ডেঙ্গুর কোন কার্যকর টীকা নেই।
ডেঙ্গুর সরাসরি কোন চিকিৎসা নেই।
কিন্তু..
এটাকে শতভাগ প্রতিরোধ করা যায় শহরটাকে পরিচ্ছন্ন করে।
শ্লোগান হোক..
চল যাই যুদ্ধে..এডিস মশার বিরুদ্ধে।