banner

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

সেহরী এবং ইফতারী নিয়ে কিছু কথা-৩

সেহরী এবং ইফতারী নিয়ে কিছু কথা-৩


সাদিয়া মুকিম


আমরা যা করতে পারি চিনি মুক্ত খাবার ও পানীয় পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি। যেমন: ফলের শরবত, বিভিন্ন রকমের ফ্রেশ ফল , চিনি যুক্ত না করে দই এর শরবত ইত্যাদি। কোমল পানীয় পান না করে করে ইফতার থেকে সেহেরী পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত। এক্ষেত্রে ইসুবগুল এর ভুষির শরবত এবং ডাবের পানি অনেক সহায়ক ।

জটিল শর্করা না খাওয়া: শর্করা জাতীয় খাবার

আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়, তাই অনেকে মনে করি রোজায় বেশি বেশি শর্করা খাওয়া উচিত। অনেকেই অন্যান্য সময়ের চাইতে রমাদ্বানেই বেশী ভাত খান । আমাদের দেশে সাধারনত: সাদা ভাত

বা সাদা আটা খাওয়া হয়। যা শরীরে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে একটু পরেই আবার খেতে ইচ্ছা করে, তাছাড়া এগুলো হজম হতে সময় কম লাগে, ফলে ক্ষুধাও তাড়াতাড়ি লাগে।

আমরা যা করতে পারি সম্ভব হলে সাদা শর্করা বাদ দিয়ে লাল শর্করা: যেমন: লাল আটা, লাল চাল খেতে অভ্যাস করতে পারি। এগুলোতে low-glycaemic index থাকে,তাই হজম হয় আস্তে আস্তে এবং ক্ষুধা লাগে দেরীতে । রক্তে চিনির পরিমান তাড়াতাড়ি বাড়তে দেয় না। সম্ভব হলে সব সময়ের জন্য অভ্যাসে পরিণত করলে আমাদের ই কল্যাণ বয়ে আনবে ইনশা আল্লাহ।

একেবারেই বেশী না খাওয়া – ইফতার বা সেহরীতে যেনো মনে না করি সারা দিন খাই নি বা অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকতে হবে এজন্য বেশী করে খাই – এটা একেবারেই সঠিক না । এভাবে খাবার টেবিলের উপর পাগলের মতো ঝাপিয়ে পড়ে হাপুশ হুপুশ খাওয়া রোজার যে আসল উদ্দেশ্য–সংযম,সেই সংযম কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। সেই সাথে নষ্ট হয়

আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়া । তাছাড়া একসাথে এতরকমের ও এত বেশি খাবার খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা,গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি বেড়ে যাতে পারে । আবার অনেকে সেহেরিতেও অনেক বেশি খান,মনে করেন, বেশি খেলে পরে ক্ষুধা লাগবে না, এটিও ভুল ধারণা।