banner

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: November 15, 2024

 

সেহরী এবং ইফতারী নিয়ে কিছু কথা-১

সেহরী এবং ইফতারী নিয়ে কিছু কথা-১


সাদিয়া মুকিম 


আসসালামুআলাইকুম। আশা করি আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এই রমাদ্বানে সিয়াম, কিয়াম, তিলাওয়াত, দোআ, সাদাকাহ ইত্যাদি পবিত্র ও বহুল সওয়াবের কাজে নিয়োজিত রেখেছেন।

অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি সেহরি এবং ইফতার এ দুটোও গুরুত্বপূর্ন ইবাদাত । তবে এ দুটোকে ঘিরে আমাদের উপমাহাদেশে রয়েছে বিরাট খাদ্য বিভ্রান্তি। বিষয়টি ইবাদতের পরিবর্তে ভোজোৎসব হয়ে দাঁড়িয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রেই ।

সেহরি এবং ইফতার নিয়ে রমাদ্বানের আগে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বেশ কিছু আর্টিকেল পড়েছিলাম। এর মাঝে বেশিরভাগ ছিলো স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক। যেগুলো পড়ে আমরা নিজেরা উপকৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। সেখান থেকে সংগৃহ করে কিছুটা সংযোজনা করে আজকের এই সচেতনতা পোস্ট টির অবতারণা।

রমাদ্বানে সারাদিন সিয়াম সাধনার পর ইফতারের মুহূর্ত যখন আসে স্বভাবতঃ আমাদের চোখে ভেসে উঠে রকমারি বাহারি ভোজ্যবিলাসী ইফতারি সামগ্রী । অনেকেই আছি ভাজা পোড়া ছাড়া ইফতার মুখে ও নিতে না পারার কঠিন (? ) অভ্যাস। এটা ঠিক দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকার পর মুখ রোচক খাবার খাওয়ার আগ্রহ জন্মায় তবু নিজেদের স্বাস্থ্যের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে ইফতার ও সেহরিতে আমরা কী ধরণের খাবার মেন্যুতে রাখছি !

ভাজা -পোড়া, গুরুপাচক খাবার :- ইফতারে ভাজা পোড়া না থাকলে আমাদের যাদের কপাল কুঁচকে যায় ,তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- একটু চিন্তা করলেই সহজবোধ্য হবে যে, আমাদেরকে বাংলাদেশে প্রায় ১৫ ঘন্টা আর ইউরোপে প্রায় ১৮ ঘন্টা সিয়াম করতে হচ্ছে। সারাদিনের সিয়ামে আমাদের পাকস্থলি ক্ষুধার্ত ও দুর্বল অবস্থায় থাকে । অনেক সময় ধরে না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের এনজাইম, যা হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরী হয়,তা বন্ধ থাকে । তাছাড়া পাকস্থলীর ভিতরের মিউকাস আবরণও সংকুচিত অবস্থায় থাকার ফলে যখন ইফতার শুরু হয় ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত, গরম, গুরুপাক খাবার দিয়ে তখন পাকস্থলি নাজুক অবস্থায় পড়ে যায় । এতে যাদের গ্যাস্ট্রিক আছে সেটার পরিমাণ যায় বেড়ে আর যাদের নেই তাদেরও লক্ষণ শুরু হয়ে যাবে স্বল্প সময়ে । তাছাড়া পেটে জ্বালা পোড়া করা , পেটের সমস্যা,

কোষ্ঠকাঠিন্য, দুর্বলতা, অবসাদ, হজমের সমস্যা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা শুরু হয়ে যাবে অল্প দিনে । এই সমস্যা ছাড়াও এই খাবারগুলোর ক্যালোরি মান অতি উচ্চ থাকায় আমরা অল্প খেলেও পেট ভরা অনুভূত হবে দ্রুত । যেমন- পিঁয়াজু,বেগুনী, আলু চপ, সমুচা, সিংগারা, বিরিয়ানি, তেহারি, হালিম, ছোলা ভুনা, ফাস্টফুড ইত্যাদি ।