প্যারেন্টিং
চড়-থাপ্পর মারবেন না
শাস্তি বলতে আমরা বুঝি বাচ্চাকে চড় মারার বিষয়টি। খেয়াল রাখবেন বাচ্চার গায়ে হাত তুলছেন যে কারণটির জন্য তা তার স্বভাবে স্থায়ী করে দিচ্ছেন কিনা অজান্তে। মার সাধারণ শরীরে লাগে এবং মানুষ ভুলে যায় সময়ের সাথে সাথে। তবে এর মানসিক প্রভাবটি থেকে যায় দীর্ঘ দিন।
খারাপ কাজে শাস্তি
অন্যায় করলে শাস্তি দেওয়া। বাচ্চা একদিন দেরি করে বাসায় এসেছে তাকে প্রচুর শাস্তি দিলেন কিন্তু আরেকদিন দেরি করে আসায় আর শাস্তি দিলেন না ফলে তার কাছে ভুল মেসেজ চলে যায়। তাই শাস্তি দিন বিষয়টি আপনি বুঝে।
শুয়ে খাওনো নিষেধ
ছোটবেলায় বাচ্চা খেয়ে না চাইলে শুয়ে অনেক সময় মা খাওয়ান। এই অভ্যাসটি আপনার মাঝে থাকলে ছেড়ে দিন। বাচ্চাকে টেবিলে বসিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
হাসাহাসি & ছুটাছুটি করুন
সময় পেলে বাচ্চার সাথে খেলুন। দৌড়াদৌড়ি করুন। আদর করুন। বাচ্চাকে জড়িয়ে রাখুন আপনার ভালোবাসার চাদরে।
শিশুদের সরি বলুন
বাচ্চারা ভুল করলে বড়রা চান তাদের সরি বলা হোক। আপনাকে দেখে ও শেখে। সুতরাং আপনি ভুল করলে বাচ্চাকে সরি বলুন। তারাও আপনাকে দেখেই শিখবে।
গোপনীয়তা বজায় রাখুন
খেয়াল রাখবেন আপনি অন্যের কাছে আপনার দূর্বলতা প্রকাশ করতে চান না। তেমনি বাচ্চাও তার দুর্বলতা অন্যের সামনে বলে দেওয়া হলে তার অপমানে লাগে। সুতরাং নিজের পাশাপাশি বাচ্চাদের দুর্বলতা যত সামান্য হোক গোপনীয়তা বজায় রাখুন।
নতুন কাজ শিখানো
নতুন মূল্যবোধ, নতুন খেলা, নতুন জায়গার সাথে পরিচয় করে দিন বাচ্চার সাথে। আপনি তাদের সাথে শিখুন নতুন কিছু।