banner

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: March 11, 2025

 

কেন নারী দিবস সম্পর্কে জানবো?


সম্পাদকীয়


২০১৯ এর প্রতিপাদ্য : ‘‘সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’’।

১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।

কেন?
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন।আর সেই থেকেই
নারী দিবসের শুরু।

এখন কি বৈষম্য নেই

আছে
(বিশ্ব বাংকের তথ্য—-)
# মজুরিবৈষম্য,
# কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট,
# কাজের অমানবিক পরিবেশ-এখনও নারীরা এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তি ও পুরো সমাজকে আঘাত করার কৌশল হিসেবে সংঘাতে যৌন সহিংসতার পথ বেছে নেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি -নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে। তবুও কি আমরা নারীরা সত্যিকার অধিকার আদায় করতে পারছি?

নারীদের মধ্যে থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ানো অপরিহার্য। কিন্তু ক্ষমতা প্রাপ্তি ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের এখনো বড় ধরনের বাধার মুখোমুখি হতে হয়।

এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো সমান চিন্তা, বুদ্ধিদীপ্ত নির্মাণ, পরিবর্তনের জন্য উদ্ভাবন, যা সেই সব পরিকাঠামো, ব্যবস্থা ও অবকাঠামোকে চিহ্নিত করে, যেগুলো গড়ে উঠেছে পুরুষ নির্ধারিত সংস্কৃতির আলোকেই। আমাদের এই বিশ্বটাকে পুনঃকল্পনা ও পুনর্নির্মাণের জন্য আমাদের একটি উদ্ভাবনী প থ খুঁজে বের করা প্রয়োজন, যা সবার জন্যই সমান কার্যকর হবে। নগরায়ন নকশা, পরিবহন ও জনপ্রশাসনের মতো ক্ষেত্রে নারী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা এসব খাতে নারীর প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি, হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিহত এবং সবার জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে পারেন। (জাতিসংঘ মহাসচিব)

পরিশেষে বলা যায় যে, আসুন আমরা নিশ্চিত করি। যে প্রতিটি নারী ও প্রতিটি কিশোরীও আমাদের সবার জীবনের ওপর প্রভাব ফেলে, এবং তাদের ভূমিকা আমাদের জীবনে অনেক, সুতরাং সমাজকে পরিষেবা ও অবকাঠামোর আকার দিতে পারে।