banner

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: March 11, 2025

 

ভিডিও ধারণ করে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, মামলা দায়ের


নারী সংবাদ


মাদরাসায় পড়ুয়া সন্তানকে খাবার দিয়ে আসার পথে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ (২৫) কে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে।

এদিকে গণধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার বালিয়াকান্দি থানায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।

ধর্ষিতা ওই গৃহবধূ জানান, তার ৮ বছর বয়সী ছেলে উপজেলার ঠেঙ্গাবাড়িয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পড়ে। ছেলের জন্য বাড়ি থেকে তিনি ওই মাদ্রাসায় দুই বেলা খাবার দিয়ে আসেন। গত ৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ছেলেকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে কুরশী গ্রামের মোজাইর কলাবাগানের কাছে অভিযুক্ত শামীম, মর্তুজা, মনির, সোহেল, সাব্বির তাকে ঘিরে ধরে।

এ সময় মনির তার গায়ের চাদর দিয়ে মুখ বেঁধে কলাবাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর অভিযুক্তরা তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে ও ছবি তোলে।

তিনি আরো জানান, পালাক্রমে ধর্ষণের পর অভিযুক্ত ধর্ষকরা তাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর অসুস্থ্য অবস্থায় তিনি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় ডাক্তারের চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনার দুইদিন পর মর্তুজা ধর্ষিতা গৃহবধূর বাড়িতে এসে ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না বলে ওই গৃহবধূ তাকে ২৫ হাজার টাকা দেয়। এদিকে টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত ধর্ষকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে গণধর্ষণের বিষয়টি জানা-জানি হয়।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ঠেঙ্গাবাড়ীয়ার মৃত আবু বক্করের ছেলে শামীম (২৫), কুরশীর সোনাইডাঙ্গী গ্রামের মমিন মন্ডলের ছেলে মর্তুজা (২০), আয়ুব আলীর ছেলে মনির (২৫), খালেক শেখের ছেলে সোহেল (২৬) ও একই গ্রামের মাজেদের ছেলে সাব্বির (২০) কে আসামী করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।

বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল হক জানান, গণধর্ষণের বিষয়ে শনিবার দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি, বিপিএম, পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) ফজলুল করিম, থানার ওসি একেএম আজমল হুদা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি আরো বলেন, তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন থানার ওসি একেএম আজমল হুদা। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
সুত্র: নয়াদিগন্ত।